আপনি জানেন কি YouTube থেকে আজ অনেকেই সিনেমার রূপালী পর্দায় অভিনয় করার সুযোগ
পেয়েছেন আবার অনেকেই প্রতি মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছেন।তাদের এই সফলতা দেখে
আমাদের অনেকেই ইউটিউব এ নিজের ক্যারিয়ার গড়ার জন্য এবং অর্থ উপার্জনের জন্য ইউটিউব এ
নিজের চ্যানেল খোলে ফেলি। কিন্তু কিছু দিন পরই সঠিক গাইড লাইনের অভাবে কোনো সফলতা না
পেয়ে হতাস হয়ে ইউটিউব ছেড়ে দেই , তাদের জন্যই আমার এই লেখা। আপনি কিভাবে ইউটিউব
থেকে সফল হতে পারবেন তার সর্ম্পকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আলোচনা করবো। তাই আপনাকে একটু
কষ্ট করে ধৈর্য ধরে এই লম্বা আরটিকেলটি পড়তে হবে। তাহলে শুরু করা যাক:-
কিভাবে এ্যাকাউন্ট তৈরি করা যায় :-
প্রথমেই একটি সুন্দর নাম নির্বাচন করতে হবে, নামটাই অনেক কিছু। তাই প্রথমেই এমন একটি নাম চিন্তা
করুন যা এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি। নামটি আপনি যে কোন বিষয়ের উপর নিতে পারেন, সেটা
হতে পারে রান্না বিষয়ক, গেমস নিয়ে, স্বাস্থ্য নিয়ে বা যে কোন বিষয়। দরকার হলে অনেক সময় নিয়ে
চিন্তা করুন, ভাবুন তারপর ঠিক করুন আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম। তবে নামটি অবশ্যই এমন
একটি নাম দিবেন যাতে আপনার চ্যানেলের নাম খুব সহজে মনে রাখা যায়। তারপর একটি ইমেইল
নিবার্চন করুন আপনার চ্যানেল এর জন্য আমরা সবাই জানি ইউটিউবে একাউন্ট খুলতে একটি
জিমেইল লাগবে। আর এজন্য অবশ্যই আপনাকে জিমেইল ব্যবহার করতে হবে। তাই প্রথমেই একটি নতুন
জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে হবে। একাউন্টটি অবশ্যই ভেরিভাই করে নিতে হবে।
আরো জানুন: ইউটিউব চ্যানেল কিভাবে খুলবেন তার র্সম্পকে আলোচনা ?
কপিরাইট এবং ফেয়ার ইউজেস এড়িয়ে চলুন :-
আপনি যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে ফেলেছেন তখন আপনি ইউটিউব এর পার্টনার
হয়ে গেছেন। আর পার্টনার থাকা অবস্থায় এমন কোন ভিডিও আপলোড করবেন না, যাতে কপিরাইট
থাকে তাই কপিরাইট এড়িয়ে চলুন।যেমন অন্যের গান এর মিউজিক নকল করে আপনার ভিডিওতে
ব্যবহার, অন্য কোন টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠান। আপনি আপনার ভিডিওতে ইউটিউবের নিজস্ব কিছু
গানের ট্রাক থেকে গান নির্বাচন করে ব্যবহার করতে পারেন ।বা ইন্টারনেটে অনেক ওয়েব সাইট আছে
ওই গুলোতে ফ্রিতে অনেক অডিও ও ভিডিও পাবেন যা ব্যবহার করতে কোনো প্রকার কপিরাইটের
প্রয়োজন নেই।কখনোই নকল করবেন না, কারণ ইউটিউব জানে আপনি কোথা থেকে কি ব্যবহার
করেছন। সুতরাং সাবধান। আপনার কপিরাইট ভিডিও আপলোড এর সংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে
আপনার একাউন্টটি তারা ব্যান করে দিবে।
যে সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করবেন ইউটিউবের জন্য:
ভিডিও ইডিটর ব্যবহার:
ভিডিও ইডিট করার জন্য অবশ্যই ভালো কোন সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। অনেক ভিডিও ইডিট
করার সফটওয়্যার পাবেন, কিন্তু আমি বিশেষভাবে ব্যবহার করতে বলবো Wondershare
Filmora। এই সফটওয়্যারটি আপনি ম্যক ও উইনডোজ দুটোতেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে
অবশ্যই যে সফটওয়্যার ব্যবহার করেন না কেন তা কিনে ব্যবহার করুন। আর ভিডিও ইডিটিং করা
অনেক সহজ একটি কাজ যদি আপনি অনেকটা ধৈর্য ধরে এই কাজটি শিখতে পারেন।
ইনট্রো ভিডিও তৈরি :
আপনার চ্যানেলের জন্য সুন্দর একটি ইনট্রো বানাতে হবে। মনে রাখবেন এই ইনট্রোর উপর নির্ভর করবে
আপনার অনেক কিছু। আপনার হাতে অনেক সময় আছে, আস্তে ধীরে তৈরি করুন আপনার ইনট্রো।
ইনট্রোর সময় বেঁধে দেয়া আছে ১০ সেকেন্ড। এই ১০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনাকে আপনার চ্যানেলের
একটি সুন্দর ইনট্রো বানাতে হবে। আপনার চ্যানেলের একটি লোগো বানিয়ে নিন, এরপর GOOGLE
থেকে অনেক টেমপ্লেট পাবেন ইনট্রো বানানোর জন্য; একটি টেমপ্লেট নির্বাচন করে ভিডিও ইডিটিং
সফটওয়্যার দিয়ে লোগো সহ ১০ সেকেন্ড এর একটি ইনট্রো ভিডিও বানিয়ে ফেলুন। আপনি ভিডিও তৈরি
করার যে কোন সফটওয়্যার দিয়ে এই ইনট্রো বানাতে পারেন, তবে মনে রাখবেন আপনার ইনট্রোটি যেন
ভিডিও ফরমেট এর হয়। এরপর থেকে আপনি যে ভিডিও আপলোড করেন না কেন, সেটা শুরু হবার
আগে এই ইনট্রোটি দেখা যাবে। ইনট্রো করার পর তা আপনি আপলোড করেবেন আপনার চ্যানেলের ইন
ভিডিও প্রোগ্রাম এর ভিতরে- ইন ভিডিও প্রোগ্রাম পাবেন আপনার চ্যানেলের ড্যাশবোর্ড এর চ্যানল
সেটিংস এর ভিতর। এখানে যাবার পর Add a branding intro এখানে আপনার তৈরি ইনট্রোটি
আপলোড করে দিন।
অডিও ইডিটিং এর টিপস এন্ড ট্রিক্স এর ব্যবহার:
অডিও ইডিটিং অনেক গুরত্বপূর্ণ আপনার ভিডিওটির জন্য। আর অডিও ইডিটিং এর উপর নির্ভর করে
ইউটিউব আপনার ভিডিওটি মনিটানাইজেশন করতে দিবে কি দিবে না। আমি আপনাদেরকে কিছু
টিপস বলে দিব সেগুলো যদি ঠিকমতো মেনে চলেন তাহলে আশা করি আপনি একটি ভালো রেজাল্ট
পাবেন ইউটিউব এর কাছ থেকে।
1. প্রথমেই নিশ্চিত হয়ে নিন যে আপনার তৈরি করা অডিও ফাইলে কোন ধরনের ব্যকগ্রাউন্ড নয়েজ
নেই। ভয়েজ রেকর্ডিং – এ অনেক সময় এসি বা ফ্যান এর শব্দ শোনা যায়, চেষ্টা করবেন এই জাতীয়
নয়েজগুলো এড়িয়ে যেতে।
2. একটি ভালো ভিডিও একটি খারাপ অডিওর কারণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চেষ্টা করুন ভালো
অডিও দিতে। দরকার হলে নিজেই অডিও বানিয়ে নিন। অন্যের অডিও কখনোই ব্যবহার করবেন না।
অডিও বানানোর জন্য অনলাইনে অনেক সফটওয়্যার পাওয়া যায়; সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
3. আপনার অডিওটি আপনি নিজেই কয়েকবার শুনুন, আপনার কাছে ভালো লাগলে এরপর আপনার
ভিডিওর সাথে যোগ করুন।
চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো বানান আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনে ভালো
হন, তাহলে আপনার চ্যানেলের সুন্দর একটি লোগো আর একটি কাভার ফটো বানিয়ে ফেলুন। কাভার
এবং লোগো বানানো জন্য ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর ব্যবহার করতে পারেন।
ভিডিওর টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে:
টাইটেল, বর্ণনা এবং ট্যাগ হচ্ছে একটি ভিডিওর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আপনার ভিডিও যত ভালোই
হোক না কেন, এই তিনটি ছাড়া এর কোন মূল্য নেই। কয়েক হাজার ভিডিও এর মধ্য থেকে মানুষ
আপনার ভিডিও তখনই দেখবে যখন আপনার ভিডিওতে এই তিনটির সমন্বয় থাকবে। শুরুতেই
কিওয়ার্ড রিসার্চ করে আকর্ষণীয় টাইটেল তৈরি করুন। আর আপনার টাইটেল তৈরি করার জন্য
কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। চলুন দেখি কি কি উপায়ে কিওয়ার্ড রিসার্চ করা যায়।
ক) কিওয়ার্ড রিসার্চ :
পদ্ধতি–1 :ইউটিউবে সার্চ দিতে পারেন আপনার কাঙ্খিত ভিডিওর সাথে মিল রেখে। যেমন ধরুন
আপনার ভিডিওটি যদি হয় মানি মেকিং নিয়ে তাহলে ইউটিউবে সার্চ দিন- How to make money।
এবার দেখুন কি কি রেজাল্ট দেখায়, এখান থেকেই বেচে নিতে পারেন আপনার টাইটেল টি অথবা নিজেই
এই সমস্ত টাইটেল থেকে আপনারটা বানিয়ে নিতে পারেন।
পদ্ধতি– 2 :আপনি যে টাইটেল দিতে চাচ্ছেন তা ইউটিউবে লিখে সার্চ দিন, এবং দেখুন একদম প্রথমে
কোনটি আছে। সেটার কাছাকাছি একটি টাইটেল তৈরি করতে পারেন। শুধু টাইটেল নয়, আপনি ভালো
করে দেখে নিন সেই ভিডিওতে কি কি ট্যাগ ব্যবহার করা হয়েছে, আর বর্ণনাতে কি লেখা আছে। আপনি
চাইলে সেগুলোও আপনার ভিডিওতে ব্যবহার করতে পারেন, তবে সেটা নিজের মতো করে বানিয়ে
নিবেন।
খ) বিবরন দিবেন :-
বর্ণনা এমন দিবেন এমনভাবে, যেন আপনার বর্ণনার ভেতর অবশ্যই টাইটেল এবং ট্যাগ এর উপস্থাপনা
থাকে, বর্ণনা করার সময় অবশ্যই আপনার চ্যানেলের লিংক দিতে ভুলবেন না । আপনার বর্ণনার ভেতর
আপনার চ্যানেলের লিংক প্রতিস্থাপন করুন। বর্ণনা যত বড় করবেন আপনার জন্য ততই ভালো।
আপনার ভিডিও তে আরো যোগ করুন ফেসবুক ফ্যান পেজ, টুইটার একাউন্ট সহ আরো যে সমস্ত
সোস্যাল নেটওর্য়াকিং সাইটে আপনার একাউন্ট আছে সেগুলো।
গ) ট্যাগ:
এবার আপনার ভিডিও অনেকটাই তৈরি পাবলিশ করার জন্য। শুধুমাত্র শেষ এই ধাপটি পুরণ করলেই
কাজ শেষ। কমকরে হলেও ১০টি থেকে ২০ টি ট্যাগ ব্যবহার করুন আপনার ভিডিওতে এবং চেষ্টা
করবেন ট্যাগগুলো যেন আপনার ভিডিও রিলেটেড হয়।
চলুন একটি উদাহরণ দেখে নেয়:
TITLE : Comedy Youtube Channel – LEVEL NAME
DESCRIPTION
Your best funny and comedy youtube channel – Bangla Fun – LEVEL
NAME (notice the title is repeated in the first line of the description) …
TITLE videos: Youtube link Check out Video Title Walkthrough Part 2
PLAYLIST LINK “Like” me on Facebook FACEBOOK LINK Follow me on
Twitter TWITTER LINK
Tags
Bangla comedy,
b.funny SMS ,
comedy Natok,
Natok comedy,
b. funny video,
b.comedy video,
b. funny Natok,
comedy Natok,
Bangla jokes,
Bangladeshi funny video,
Bengali jokes,
Bangladeshi comedy Natok,
jokes Bangla,
Bangla funny jokes,
funny video Bangla,
Bengali funny jokes,
jokes in Bengali,
funny Bengali jokes,
Bangla jokes,
funny Bangla jokes, ( tags are repeated in the bottom of the description)
ভালোমানের ভিডিও তৈরি করতে হবে :-
এতক্ষণতো আমার কিভাবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করবেন, আপলোড করার নিয়মগুলো
জানলাম। এবার চলুন যে ভিডিওটি আপনি আপলোড করবেন তা তৈরি করি।
1. ক্যামেরা এবং লাইটিং আমরা অনেকেই ক্যামেরা এবং লাইটিং এর ব্যবহার সর্ম্পকে ভালোভাবে জানি
না। ক্যামেরা এবং লাইটিং এর উপরে সল্প সময়ে একটি কোর্স করে নিতে পারি আমরা। এটি পরবর্তী
জীবনে আপনার অনেক কাজে দিবে। ভালো একটি ভিডিও তৈরি করার পিছনে অনেক সাধনা করতে
হয়। আর লাইটিং সমন্ধে যদি আপনার ভালো ধারণা থাকে তাহলে আপনি ভালো একটি ভিডিও বানাতে
পারবেন। তাই ভালো একটি ভিডিও তৈরি করতে আপনাকে অবশ্যই এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে।
2. এন কোডিং ভিডিওটি যখন বানাবেন তখন খেয়াল রাখবেন এর এনকোডিং এর দিকে । সঠিক ভাবে
নির্বাচন না করলে আপনার ভিডিওটি ইউটিউবে লাইভ নাও হতে পারে । আর একটি ব্যপার এন কোডিং
যদি ঠিকমতো করতে না পারেন , তাহলে আপনার ভিডিওর রেজুলেশন এতটাই কমে যাবে
যার কারণে আপনার ভিডিও আপলোড করার অনুপোযোগী হয়ে যাবে ।
চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে হবে :
প্রতিদিন সময় করে ইউটিউবের অন্য যে ভিডিওগুলো কয়েক লাখ ভিজিটর আছে সেগুলোতে কমেন্ট
করুন। কমেন্ট টি অবশ্যই এমনভাবে করুন যাতে লেখা থাকবে আপনি তার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবেন
তার বদলে সে আপনার চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করবে। আপনি যে ভিডিওগুলো আপলোড করবেন,
সেগুলোর বর্ণনাতে অবশ্যই আপনার অন্য ভিডিওর লিংক যোগ করবেন। এছাড়া আপনার ভিউয়ার কে
সাবস্ক্রাইব করতে অনুরোধ করবেন। সম্ভব হলে মজাদার জোকস বলে আপনার ভিউয়ার কে সাবস্ক্রাইব
করতে বলতে পারেন।
গোপন ফরমুলা জানলে উপকার হবে:
আপনাদের সাথে এখন একটি গোপন ফরমুলা নিয়ে কথা বলবো, যে ফরমুলা ব্যবহার করলে অতি সহজে
আপনি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারেন। ধরুন আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ১৫০
জন। এখন আপনার চ্যানেলের ভিডিওর সাথে মিলে যায় এরকম আর একটি চ্যানেল খুজে বের করুন
যার সাবস্ক্রাইবার ২৫০ থেকে ৩০০ জনের মত। তাকে একটি ম্যসেজ পাঠান যে আপনি একটি ভিডিও
তৈরি করেছেন যাতে বলা আছে এই চ্যানেলটি কি কি কারণে অনেক ভালো। এবং এই চ্যানেলটি
সাবস্ক্রাইব করলে আপনি আরো ভালো ভালো ভিডিও পেতে পারেন। আপনি এখন চাচ্ছেন তার চ্যানেলে
এবং আপনার চ্যানেলে এই ভিডিওটি আপলোড করতে। আপনি আপনার চ্যানেলে যখন এই ভিডিওটি
আপলোড করবেন তখন লিংক হিসেবে ওই চ্যানেলের লিংক ব্যবহার করবেন, এবং ওই চ্যানেলের মালিক
আপনার লিংক ব্যবহার করবে। এতে করে আপনি মিনিমাম একটি চ্যানেলে থেকে ১০০ থেকে ২০০ এর
মত সাবস্ক্রাইবার পেতে পারেন। তাহলে আপনার এখন মোট সাবস্ক্রাইবার দাড়ালো ২৫০ জনে। এবার
আপনি খুজবেন ৩০০ থেকে ৫০০ সাবস্ক্রাইবওয়ালা চ্যানেল। এখানেও একই কাজ করবেন। এভাবে
আপনার সাবস্ক্রাইবার যত বাড়বে আপনি তার চেয়ে বেশি সাবস্ক্রাইবার ওয়ালা চ্যানেল খুজবেন। এভাবে
বাড়তে বাড়তে বাড়তে একদিন নিশ্চয়ই আপনার সাবস্ক্রাইবার কয়েক হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
ভিডিও এমবেড কোড ব্যবহার করুন :
আপনার যদি অনেক টুইটার ফলোয়ার থাকে, কিংবা অনেক ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে সেক্ষেত্রে আপনার
চ্যানেলের জন্য অনেক ভালো। যদি আপনার ১০০ জন ফেসবুক ফ্রেন্ড থাকে তাহলেও আপনার জন্য শুভ
সংবাদ। কারণ এরাই আপনার রিয়েল ফ্রেন্ড। ভুয়া ফ্রেন্ড দিয়ে কোন লাভ নাই। আপনি আপনার টুইটার
আর ফেসবুকে আপনার ভিডিওটি শেয়ার করুন, তারপর আপনি এই ১০০ জন ফ্রেন্ডকেই বলেন
সারাদিনে কয়েক সেকেন্ড বের করতে আপনার জন্য। তারা আপনার ভিডিওটি ৩০ সেকেন্ডের জন্য
হলেও দেখবে, একটি করে লাইক দিবে, যদি সম্ভব হয় তাহলে একটি করে কমেন্ট করবে। প্রতিদিন
আপনিও তাদের জন্য নতুন নতুন ভিডিও নিয়ে আসবেন। এভাবে আপনার ভিডিও রিলেটেড ফেসবুকে
যে গ্রূপগুলো আছে সেগুলোতে জয়েন করুন। সেখানে আপনার ভিডিওটি শেয়ার করুন। এভাবেই দিনে
অন্তত ১০ জন করে ফ্রেন্ড আপনি আপনার একাউন্টে যোগ করুন। যখন আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড এর
সংখ্যা ৫,০০০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে, তখন আপনার চ্যানেলের একটি ভিডিও লিংক এর ভিউয়ার
সংখ্যাও বাড়বে। যেখানে আগে প্রতিদিন আপনার ভিডিও এর ভিউ হতো ২০০, সেখানে আপনার
ভিউয়ের সংখ্যা বেড়ে দাড়াবে ১০০০ এরও বেশি। একই কাজ আপনি আপনার টুইটার একাউন্টে করতে
পারেন। পাশাপাশি অন্যান্য যে সকল সোস্যাল সাইটগুলো রয়েছে সেখানেও আপনি আপনার ভিডিওটি
শেয়ার করতে পারেন। এছাড়াও আপনার যদি নিজস্ব কোন ওয়েবসাইট থেকে থাকে তাহলে সেখানেও
ভিডিওটি এমবেড করে বসাতে পারেন। এখান থেকেও আপনি ভালো ভিউয়ার পাবেন।
এনোটেশন ব্যবহার করতে হবে:
এনোটেশন হচ্ছে আপনার ভিডিওটির ওপর আপনার অন্য একটি ভিডিওর লিংক দেয়া। আপনার চলতি
ভিডিওটি দেখতে দেখতে আপনার যে কোন ভিউয়ার যেন আপনার অন্য ভিডিওগুলো সর্ম্পকে জানতে
পারে, সেজন্য আপনার প্রতিটি ভিডিওতে এনোটেশন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। যখন কোন ভিউয়ার
আপনার ভিডিওটি দেখবে তখন আপনি যে লিংকটি এনোটেশন করে দিয়েছেন সে যদি সেই লিংক এ ক্লিক
করে তাহলে নতুন একটি উইন্ডো ওপেন হবে এবং সে তখন ওই ভিডিওটি দেখতে পাবে। আপনার
ভিডিওটি আপলোড হওয়ার পর ভিডিও ম্যানেজারে গেলেই পাবেন এই অপশনগুলো।
সময় নিয়ে র্ধৈয্য ধরে কাজ করুন :
আপনার চ্যানেলের জন্য সময় অতন্ত্য গুরত্বপূর্ণ। একটি ডাইরিতে নোট করে রাখুন, প্রতিদিন কোন
সময়টি আপনি আপনার ভিডিওগুলো আপলোড করবেন। ভিডিও কখনো রাত ৩ টায় আপলোড
করবেন না। যদি সম্ভব হয় ভিডিও সকালের দিকে আপলোড করুন। টার্গেট অডিয়েন্স সব সময় ১৮+
চিন্তা করবেন। আর একটি জিনিষ মাথায় রাখবেন আপনার ভিডিও এর বর্ণনাতে যদি সম্ভব হয় এর
তৈরির তারিখটি বসাবেন। রবিবার ইউটিউবে ভিউয়ার বেশি হয়, আপনি চাইলে এই দিনটিকে মাথায়
রেখে আপনার ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
ভালো থাম্বনেইল ব্যবহার করুন :
আপনার আপলোড কৃত ভিডিওটি আপনার ভিউয়ারকে আকর্ষণ করার জন্য ভালো একটি থাম্বনেইল
নির্বাচন করুন। আপনার ভিডিওটির থাম্বনেইল ফটোটি যদি আকর্ষণীয় না হয় তাহলে দর্শক আকৃষ্ট
করতে পারবে না, আর দর্শক আকৃষ্ট না হলে আপনার চ্যানেলে ভিউয়ার বাড়বে না। তাই চ্যানেলের
সাবস্ক্রাইবার আর ভিউয়ার বাড়াতে চাইলে ভালো থাম্বনেইল নির্বাচণ করুন।
আমি বিশ্বাস করি আপনার যদি এই কাজগুলো ধাপে ধাপে করতে পারেন, তাহলে আপনার চ্যানেলের
সফলতা অবশ্যই আসবে। মনে রাথবেন কোন কিছুই শেখার উর্দ্ধে নয়, তাই যত পারেন শিখতে থাকুন।
আর আনন্দ নিয়ে কাজ করুন YouTube। আপনি যদি শুধূ টাকা ইনকাম করার জন্য YouTube
আসতে চান তাহলে এতক্ষন ধরে যা যা পড়লেন তা ভুলে যান। কারণ আপনি যে কাজ করে আনন্দ
পাবেন না সে কাজে অন্যকে কিভাবে আনন্দ দিবেন। আর সবচেয়ে বড় কথা ‘‘ধৈর্য’’ ধৈর্য ধরুন।
পরিশেষে: লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে
থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো
পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।
সাইন আপ করুন You Tube Chanel