“চাকুরী নাকি ব্যাবসা” অনলাইনে কোনটি করে আয় করতে চান? (Which is the “job or business” you want to earn online?)

চাকুরী নাকি ব্যাবসা

কেমন আছেন বন্ধুরা । ভাল নিশ্চয়ই । ভাল থাকবেন । আজ আপনি যে বিষয় নিয়ে কথা বলবো তা হলো , আপনি অনলাইনে কিভাবে আয় করতে চান ? চাকুরী নাকি ব্যাবসা করে । এ সর্ম্পকে আজ আলোচনা করবো । অনলাইনে আয় নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। বিশেষ করে তরুণদের মাঝে এ নিয়ে যেন উৎকণ্ঠা  বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন । 

কিন্তু এ সমস্যা রোধের তেমন কোন বই পাওয়া যায় না বললেই চলে। আর তাই, শুরুতেই অনেক কষ্ট করতে হয় এই পেশায় নতুনদের। এমন সমস্যায় যদি আপনিও যদি পড়ে  থাকেন তাহলে আজকের লিখাটি বিশেষভাবে আপনার জন্যই তৈরি। এখানে আপনি অনলাইনে আয়ের  বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে অতি সংক্ষেপে কিন্তু ভালভাবে জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি আপনি কিভাবে  সামনের দিকে এগুবেন সেটিও জানতে পারবেন। তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক।

আপনি  অনলাইনে কি করতে চান জেনে নেওয়া যাক । অনলাইন হচ্ছে এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে সঠিক রাস্তায় হাটলে অবশ্যই আয় করা সম্ভব। এবং এই  আয়টা আমাদের দেশের অনেক চাকুরীজীবীদের মার্কেটের তুলনায় অনেক ভাল। এবং এখানে রয়েছে কাজ করার পূর্ণ স্বাধীনতা। ফ্রীল্যান্সিং সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবেদন বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে বেশ কয়েকবার প্রচারিত হয়েছে। আপনারা  হয়তো দেখে থাকবেন ।  

আসলে অনলাইনে আয় বলতে এক কথায় ইন্টারনেট থেকে টাকা উপার্জনকে বোঝায়। অনলাইন থেকে আয় করার প্রথম এবং পূর্ব শর্ত হচ্ছে একটি কম্পিউটার এবং সচল ইন্টারনেট সংযোগ। এই দুটি না থাকলে  অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব নয়। এই ক্ষেত্রে কিছু স্পেশাল কাজ ব্যতীত নরমাল যে কোন কম্পিউটার  দিয়েই এই কাজ গুলো করা সম্ভব।  ইন্টারনেটকে আমাদের বাস্তব জীবনের সাথে তুলনা করলে সহজেই অনলাইনে আয়ের ব্যাপারটা বোঝা  সম্ভব।  

আমাদের বাস্তব জীবনে আমরা সাধারণত দুই ভাবে অর্থ উপার্জন করে থাকি। তা হলো : 

১. চাকুরি করে । 
২. ব্যাবসা করে । 

ঠিক তেমনি অনলাইনে আপনি  দুই ধরনের পদ্ধতিতেই টাকা আয় করতে পারবেন। এখানেও রয়েছে ব্যাবসা এবং চাকুরি উভয়েরই সুযোগ। এখন নতুন অবস্থায় অনলাইনে আয়ের বিষয়  গুলোতে এখানেই কিন্তু সব জটিলতার সৃষ্টি হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক আপনি ব্যাবসা করে কিভাবে  আয় করবেন অনলাইন থেকে 

 অনলাইন থেকে ব্যাবসা করে আয় : 

অনলাইন থেকে অনেকেই বিভিন্ন ভাবে ব্যাবসা করে আয় করে থাকেন। এর মধ্যে অন্যতম একটি উপায়  হচ্ছে অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তার আর এক নাম হচ্ছে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এটি আপনার  অনলাইন ব্যাবসা ।  আমরা জানি এখন অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যা কিনতে চান তাই কেনা সম্ভব ।

আমাদের নিত্য  প্রয়োজনীয় জিনিস পএ । চাল থেকে শুরু করে সকল কিছু কেনা যায়। আর অনলাইনে প্রোডাক্ট বিক্রির এই ব্যাবসাকে বলা হয় ই-কমার্স বিজনেস।  এছাড়াও অনলাইনের অন্যান্য ব্যাবসার মধ্যে রয়েছে- ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি।  এখানে, ব্লগিং হচ্ছে এমন এক ধরনের ব্যাবসা যেখানে আপনি আগে ভাল মানের তথ্য সমৃদ্ধ  একটি  ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

এবং সেখানে এই তথ্য পড়ার বা জানার জন্য যখন বিভিন্ন লোকজন  আপনার ওয়েবসাইটে আসতে থাকবে তখন সেখানে আপনি বিজ্ঞাপন বসিয়ে আয় করতে পারবেন। তা হতে পারে অনলাইনে কিভাবে আয় করতে পারবেন সে সর্ম্পকে লেখা , চিকিৎসা সর্ম্পকে,  শিক্ষণীয় বিষয় সর্ম্পকে লেখা।  বিভিন্ন পন্য সর্ম্পকে বিশদ আলোচনা ।

আরো অনেক বিষয় আসে অনলাইনে লেখার জন্য । আর আপনার এই লিখা পড়ার জন্য এক জন দুজন করে রোজ আপনার সাইটে বিভিন্ন লোক আসে, কারন আপনার  লিখাগুলো মানসম্মত এবং এখান থেকে মানুষেরা উপকৃত হয়। তো এমন এক সময় আসবে যখন একজন  দুইজন করতে করতে প্রচুর লোক আপনার লিখা পড়ার জন্য নিয়মিত আপনার ওয়েবসাইটে আসবে।

এখন যেহেতু আপনার সাইটে প্রতিদিন অনেকেই আসেন আপনার লিখা পড়ার জন্য তাই আপনি ভাবলেন, ” আচ্ছা যেহেতু অনেকেই আমার সাইটে আসে প্রতিদিন তাই আমি যদি শিখা বিষয়ক আমার একটি বই বা  কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন আমার লিখার সাথে দিয়ে দেই তাহলে তো কিছু বিক্রি করা সম্ভব! ” হ্যাঁ, যেই কথা  সেই কাজ, আপনি আপনার লিখার পাশাপাশি কোন পণ্যের বিজ্ঞাপন দিয়ে দিলেন।

ব্যাস এতে করে ওই  বিজ্ঞাপন থেকে আপনার কিছু আয়ও হয়ে যাবে। মূলত এই থিমকে কাজে লাগিয়েই গোটা পৃথিবীতে কোটি  কোটি টাকার ব্লগিং মার্কেট গড়ে উঠেছে। আপনি চাইলে এ ব্যাবসা করে আয় করতে পারেন লক্ষ লক্ষ টাকা  এখন বিশ্বে এ ব্যাবসা করে অনেকে অনেক টাকা আয় করে থাকে । এখানে আপনার কোন ঝামেলা নায় ।  শুধু প্রথম অবস্থায় একটু পরিশ্রম করবেন ব্যাস সারা জীবন বসে বসে আয় করবেন । 

এটা হলো ইন্টারনেট ভিত্তিক কিছু ব্যবসার নমুনা। তাহলে চলুন দেখি ইন্টারনেটে আপনি কিভাবে চাকরিও করতে পারবেন! 

 অনলাইন থেকে চাকুরী করে আয়

ইন্টারনেটের চাকরিটা অনেকটা আমাদের বাস্তব জীবনের মত হলেও এখানে রয়েছে অনেক সুবিধা। বাস্তব  জীবনে চাকরি করতে প্রয়োজন সার্টিফিকেট, কিন্তু ইন্টারনেটে চাকরি করতে গেলে এই সার্টিফিকেটের কোন প্রয়োজন নেই, এখানে দরকার শুধু দক্ষতা। বাস্তব জীবনে যেমন চাকরির একটা গদবাধা সময় থাকে,  নিয়ম থাকে, এখানে কিন্তু এমন কিছুই নেই।

এখানে আপনি সম্পূর্ণই স্বাধীন বা মুক্ত। আর এই জন্যই এই  চাকরিকে বলা হয়ে থাকে ফ্রীল্যান্সিং বা মুক্তপেশা। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমরা বিভিন্ন জায়গায় চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। যেমন ধরুন- প্রথম  আলো বা বিভিন্ন পত্রিকায় আলাদা একটি কলাম ই থাকে চাকরির বিজ্ঞাপনের জন্য, যেখানে বিভিন্ন  চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান তাদের কোম্পানীতে চাকুরির জন্য বিজ্ঞাপন দেয়।

এবং আমরা পত্রিকায় সেই  বিজ্ঞাপন দেখে ওই কোম্পানীর সাথে চাকুরির জন্য যোগাযোগ করি। অনলাইনের চাকুরির ব্যাপারটাও অনেকটা একই রকম। তবে এখানে, চাকুরীদাতা এবং আপনার মধ্যে  একটি সিকিউর বা নিরাপদ যোগসূত্র তৈরি করার জন্য রয়েছে অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস। এই সকল  মার্কেটপ্লেস গুলো মূলত হচ্ছে এক একটি ওয়েব সাইট।  

এই সকল সাইটে মূলত দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট খোলা যায়।  একটি হচ্ছে ফ্রীল্যান্সার বা ওয়ার্কার অ্যাকাউন্ট এবং  আরেকটি হচ্ছে বায়ার বা ক্লাইন্ট অ্যাকাউন্ট।  একই সাইটে এই দুই ধরনের লোক থাকেন,  একদল কাজ দেন এবং একদল কাজ করেন।  

যারা কাজ দেন তাদের বলে বায়ার বা ক্লাইন্ট, আর যারা কাজ করেন তাদের বলে ওয়ার্কার বা ফ্রীল্যান্সার। 

আমার জানা মতে কিছু জনপ্রিয় ফ্রীল্যান্সিং ওয়েবসাইট/মার্কেটপ্লেস হচ্ছে-  

http://www.odesk.com

http://www.freelancer.com

http://www.elance.com

http://www.getacoder.com

http://www.guru.com

http://www.vworker.com

http://www.scriptlance.com

http://www.fivver.com

http://www.outsourcemyjob.com

আপনি চাইলে এসব সাইটে কাজ করে আয় করতে পারেন । তবে একটু পরিশ্র্রম হলেও মুক্তভাবে কাজ  করতে পারবেন । এখান থেকে । এটা হলো অনলাইনে চাকুরী । এখানে আয় করা টাকা আপনি তুলবেন কিভাবে । চাকুরীর জায়গাতে আপনি তাদের দেওয়া কাজটি যদি আপনি সফলভাবে করে দিতে পারেন তাহলে ক্লাইন্ট  আপানাকে সরাসরি পেমেন্ট করবে না।

ক্লাইন্ট পেমেন্ট করবে সেই ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যেখানে আপনার  সাথে ক্লাইন্টের পরিচয় হয়েছে। মানে, আপনি যেই ওয়েবসাইট থেকে কাজটি পেয়েছিলেন, ক্লাইন্ট সেখানে  পেমেন্ট করবে। এবং সেই ওয়েবসাইট আপনার অ্যাকাউন্টে মোট পেমেন্ট থেকে ১০% চার্জ কেটে রেখে  দিয়ে বাকি টাকা আপনাকে পরিশোধ করে দিব।

এই টাকা প্রথমে আপনার অনলাইন বা ওই ফ্রীল্যান্সিং  সাইটের অ্যাকাউন্টে আসবে এবং সেখান থেকে আপনি চাইলে সরাসরি বাংলাদেশী অনলাইন সাপোর্ট করে  এমন যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। ভয় নাই বন্ধুরা  ফ্রীল্যান্সিং যে টপ সাইট গুলো আছে সেখান থেকে আপনি সরাসরি আপনার ব্যাংক  অ্যাকাউন্টেই টাকা তুলতে পারবেন।

এমনকি টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে ডলারে আসলেও আপনি ব্যাংকে ট্রান্সফার করার পর সেটি টাকায় কনভার্ট হয়ে যাবে। তাই পেমেন্ট নিয়ে ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই। তবে কিছু সাইট রয়েছে যেখান থেকে টাকা তুলে গেলে একটি মাস্টারকার্ড প্রয়োজন হবে। তবে,  মাস্টারকার্ড পাওয়া তেমন কঠিন কিছুই না। Payoneer থেকে আপনারা চাইলে সম্পূর্ণ ফ্রীতেই একটি  মাস্টারকার্ড পেতে পারেন।  

এভাবে আপনি অনলাইনে পেমেন্ট পেয়ে যাবেন । এবার বন্ধুরা কোনটি আপনার মনের মত কাজ বেছে নিয়ে আজিই কাজ শুরু দিন ।  

   চাকুরী না ব্যাবসা  

অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম ভাল থাকবেন সবাই। পোস্টটি ভাল লাগলে ফেসবুকে আপনার বন্ধুর সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।  আপনি যদি অনলাইনে ওয়েব সাইট খুলতে চান ? তবে অবশ্যই এখানে ক্লিক করে জেনে নিন আপনি কি  ধরনের সাইট খুলতে চান ।  

সেরা ডোমেন এবং হোষ্টিং জানতে হলে ক্লিক করুন :-  Namecheap

Leave a Comment