ইউটিউব চ্যানেলে কি কি ভিডিও দেওয়া যায় ?(What videos can be given on YouTube channel?)

ইউ টিউব চ্যানেলে কি কি ভিডিও দেওয়া যায় ?

বাংলাদেশের এক শ্রেণীর নতুন ইউটিবাররা অর্থ উপার্জনের চক্করে পড়ে ইউনিক এবং ভালো মানের কন্টেন্ট নির্মাণের বদলে  মাণহীন এবং কোনক্ষেত্রে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ এবং কপিরাইটেড কন্টেন্ট নিজের কন্টেন্টের সাথে মিশিয়ে প্রচার করছে। নতুন ইউটিউবারদের জন্য আমাদের ধারাবাহিক ইউটিউব টিউটোরিয়াল।

আপনি ভাবতে পারেন যে, কেমন ধরনের ভিডিও দিয়ে আপনি ইউটিউবিং শুরু করবেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে এডাল্ট ভিডিও ছাড়া যে কোন ধরনের ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। আমাদের তরুন সমাজ কেউ গান গেয়ে তার চ্যানেলে ছাড়ছে, কেউ বা কমেডি অভিনয় করে চ্যানেলে আপলোড দিচ্ছে আবার কেউ বা বিভিন্ন ট্রিক্স নিয়ে কাজ করে ছাড়ছে।

আসুন কি কি নিয়ে আপনি ইউটিউবিং করতে পারেন তার কিছু ধারনা দেই।

1। টিউটোরিয়াল ভিডিও তৈরি করে :

ধরুন আপনি কম্পিউটার বিষয়ে খুব ভাল জানেন। এখন আপনি স্ক্রিন রেকর্ডার দিয়ে কম্পিউটারের অনেক সমস্যা ও তার সল্যুশন বানিয়েও আপনি আপনার চ্যানেলে আপলোড দিতে পারেন। আমাদের দেশে টিউটোলিয়াল ভিত্তিক চ্যানেল গুলোরও অনেক বেশি ডিমান্ড।

শুধু কম্পিউটার নয়, আপনি যে কোন ধরনের টিউটোরিয়াল বানাতে পারেন। আপনি যদি মোবাইল ফোন সম্পর্কে ভাল জানেন, তাহলে মোবাইল ফোনের অনেক ধরনের নতুন ফেচারের রিভিউ নিয়ে হাজির হতে পারেন ।

2। কমেডি ভিডিও তৈরি করে :

আপনি যদি কমেডি করে মানুষ হাসাতে পারেন, তাহলে কমেডিও ভিডিওই হবে আপনার ইউটিউবিং এর জন্য বেস্ট উপায়। কারণ কমেডি ভিডিও যে কোন বয়সের মানুষ ভালবাসে। আপনি আপনার বন্ধুদের নিয়ে বিভিন্ন কমেডিও ভিডিও বানাতে পারেন। আমাদের দেশে সবচেয়ে কমেডি নির্ভর চ্যানেল বেশি চলে।

ইউটিউবে এমন অনেক চ্যানেল আছে যারা একা একাই কমেডি ভিডিও তৈরি করে মানুষদের বিনোদন দিয়ে প্রচুর টাকা ইনিকাম করছে। তাই আপনি চাইলে কমেডি ভিডিও দিয়ে ইউটিউবিং শুরু করতে পারেন।

3। মডেলিং করে আয় করতে পারেন :

মডেল কে না হতে চায়। আপনি যদি ভাল অভিনয় করতে পারেন তাহলে তো কথাই নেই। এখন মডেলিং ভিডিও গানের ব্যপক জনপ্রিয়তা। আপনি কোন একটা গানের মডেলিং করে ইউটিউবিং করতে পারেন। একে মিউজিক্যাল ফ্লিম বলে।

অর্থাৎ আপনি যদি কোন গানের সাথে মডেলিং বা অভিনয় করে সেটা গানের ভাষার সাথে ফুটিয়ে তুলে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনি নিজের অভিনয়ের জন্য ও চ্যানেলের জন্য অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন। আপনি আপনার বন্ধু বান্ধবদের দিয়েও এই কাজ করাতে পারেন।

4। গানের ভিডিও করে তা থেকে আয় করতে পারেন :

ভাল গান করতে পারনে এমন অনেক মানুষই আছে। আপনি যদি ভাল গান করতে পারেন তাহলে আপনি সেটা নিয়েও ইউটিউবিং শুরু করে দিতে পারেন। শুধু আপনার গান গুলো ভিডিও করে নিজের চ্যানেলে আপলোড দিতে হবে।

আপনি নিজে ভাল গান গাইতে না পারলে সমস্যা নেই। আপনার এলাকায় এমন অনেকেই আছে যারা ভাল গান গাইতে পারে। আপনি তাদের গান ভিডিও করে ছাড়তে পারেন।

5। পণ্যের রিভিউ তৈরি করে আয় করতে পারেন :

বাজারে প্রতিদিনই নতুন নতুন পণ্য আসছে। আপনি চাইলে সেই সকল পণ্যের ভাল দিক ও খারাপ দিক নিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। এখন কেউ কোন পণ্য ক্রয় করার আগে ইউটিউবে সেই পণ্যের রিভিউ দেখে নেয়। তারপর সেটা ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। যেমন বাজারে নতুন একটা মডেলের মোবাইল ফোন আসল।

আপনি সেটার ভাল দিক ও মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা করতে পারেন আপনার ভিডিওতে। তাই আপনি চাইলে বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ নিয়ে ইউটিউবিং করতে পারেন। এছাড়া আপনি আপনার পছন্দমত যে কোন ধরনের ভিডিও মেক করতে পারেন। তবে সাবধান থাকতে হবে যেন চ্যানেলে কোন এডাল্ট ভিডিও না থাকে। কারণ ইউটিউব কোন এডাল্ট ভিডিও গ্রহন করে না।

মনে রাখবেন, আপনার সাধের চ্যানেল এক নিমিষে বিনা নোটিসে চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান আর ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন

Leave a Comment