এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?(What is affiliate marketing?)

আমরা মার্কেটিং কি আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তারা কম বেশি সবাই জানে। 

আসলে মার্কেটিং হচ্ছে ,

যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য এর ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন এ করবেন সেটা হবে “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিল টা নিজের কোন প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিক্রয় ও প্রমোশন এর জন্য ব্যাবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং।

আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তাহলে এবার আমারা জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে আর এর জন্য আমি প্রথমেই একটি ছোট্ট

উদাহরণ পেশ করতে যাচ্ছি।

আপনি ঘরে বসেই আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির অসংখ্য প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারেন। আর যখনই আপনি ওই কোম্পানিগুলোর জন্য সেলস নিয়ে আসতে পারবেন তখনই আপনিএকটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে থাকবেন। যত সেল করতে পারবেন ততো কমিশন পাবেন।

সেল না করেও কমিশন পাওয়া যায় যেটি আমি সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করার সময় বলবো।তবে এক্ষেত্রে সবথেকে মজার ব্যাপার হলো এই যে প্রোডাক্টগুলো আপনি প্রমোট করছেন সেগুলো কিন্তু আলটিমেটলি আপনার নিজের কাছে গচ্ছিত রাখতে হচ্ছে না কারণ অনলাইনে অনেক ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাবেন যেগুলো আপনি প্রমোট করতে পারেন।

আবার যদি কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন (যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং) তবে শুধু তার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ভালো দিক, খারাপ দিক, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি দেখিয়ে আপনার অডিয়েন্সের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিংকরতে পারেন।তাই আপনি এক দেশে বসে অন্য দেশের কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো অংকের অ্যাফিলিয়েট কমিশন পেতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এতটা জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কাজের এই ফ্লেক্সিবিলিটি একটি অন্যতম কারন।আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসে বা আপনার অফিসে বসে অথবা কোন সী বিচে বসেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।বিশ্বের এমন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছেন যারা সারা বছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন।

তাদের জীবনটা এতটাই রোমাঞ্চকর যে তাদের কোন ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বোরিং জব করতে হয় না। আবার তাদের অর্থ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনেক আয় করা যায়। একই সাথে তারা পেয়ে যান সময়ের স্বাধীনতা। তাই সময়, অর্থ ও ভ্রমণের স্বাধীনতা এই তিনটিকে একই সাথে পেতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জুড়ি নেই।

আসুন এ বিষয়টা একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করি। ধরুন আমার একটি ঘড়ির দোকান আছে। কিন্তু সেটি একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে ঘড়ি ভালো হওয়া সত্ত্বেও আমি ভালো মানের ক্রেতা পাইনা। আর আপনি আমার দোকানের ঘড়ির মান দেখে প্রায় সময়ই আমার দোকানে আসেন।তো আমি আপনাকে একদিন বললাম যে,

ভাই আপনি যদি আমার দোকানে বেশি লোকজন আনতে পারেন এবং আপনার আনা মানুষ জনের কাছে আমি ঘড়ি বিক্রি করতে পারি তাহলে আপনার চেনা মানুষের কাছে ঘড়ি বিক্রি করে আমার যা লাভ হবে তার নির্দিষ্ট একটি অংশ আমি আপনাকেদিয়ে দিব।এখন দেখা গেলো যে প্রস্তাবটি আপনি সহযে মেনে নিলেন। এখন থেকে আপনি প্রায় সময়ই আমারদোকানে নানা প্রকার মানুষ আনেন। তারা আমার দোকান থেকে ঘড়ি কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে

Reliable Dedicated Servers with Namecheap

এবং তার বিনিময়ে আপনারও কিছু বাড়তি আয় হয়ে যাচ্ছে। এদিকে আমার দোকানও আগের থেকে বেশি বেচাকেনা হতে লাগল। এতে করে আমার ব্যবসায়ও ভালো লাভ হতে লাগল।এই যে একটি উদাহরণ পড়লেন, মূলত এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি অনলাইনে কাউকে কোন বস্তু বিক্রি করার জন্যে ক্রেতা এনে যোগার করে দিতে পারেন তাহলে ঐ ব্যাক্তি আপনাকে আপনার ক্রেতার বিক্রি করে পাওয়া টাকার একটা নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে দিবে।আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টসমূহের সঙ্গে থাকুন ।

আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে তা অন্যান্যদেরকেও জানিয়ে দিন। ছোট্ট একটি অনুরোধ! ভাল লাগলে দয়া করে কন্টেন্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

Leave a Comment