এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ গুলো কি?(What are the advantages and disadvantages of affiliate marketing?)

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা গুলো :

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোট করে আয়ের এক অসাধারণ উপায়। এরপর ও অনেকেরই এই প্রশ্ন থাকতে পারে যে কেন আমি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবো! তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি।এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করলে তার তালিকা এত লম্বা হবে যে তা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই আমি শুধু উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উপস্থাপন করছি যার জন্য আপনার

এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত।

কারণগুলো নিম্মে তুলে ধরা হলঃ-

১. এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোনো টাকার ইনভেস্ট করার দরকার হয় না।

২. কোনো নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকার প্রয়োজন হয় না।

৩. পছন্দমতো প্রোডাক্ট প্রমোট করা যায়।

৪. ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করা যায়।

৫. প্রোডাক্টের সেলস করার পর সার্ভিস নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না।

৬. ফুলটাইম ক্যারিয়ার গড়া যায়।

৭. নিজেই নিজের বস হিসাবে কাজ করা যায়।

৮. সময়ের স্বাধীনতা থাকে।

৯. তাই যেকোনো সময় ভ্রমণে যাওয়া যায়।

১০. বিভিন্ন কোম্পানির কাছে যথেষ্ট সম্মান পাওয়া যায়।

11.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোনো বিড করার প্রয়োজন পড়ে না।

12.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে।

13.কটি ওয়েবসাইট দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব হয়।

14.একটি অ্যাফিলিয়েট সাইট দিয়ে একাধিক ওয়েতে ইনকাম করা সম্ভব হয়।

15.আনলিমিটেড ইনকাম করা সম্ভব।

16.ঘুমিয়ে থাকলেও ইনকাম করা সম্ভব।

বাস্তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোনো খরচ করতে হয় না। বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বিনাপয়সায় অংশগ্রহণ করা যায়।তবে পূর্ণাঙ্গরূপে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো আয় করতে চাইলে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরি, আর এটিই আপনার মূল খরচ।উল্লেখ্য যে আপনার ওয়েবসাইট থেকে যে শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তা কিন্তু নয়।

চাইলেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে নানাভাবে আয় করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো নিজেই নিজের বস হবার এক অনন্য উপায়। স্বাধীনচেতা যেকোনো কেউই এর সাহায্যে এক অনাবিল সুন্দর ক্যারিয়ারের দিকে এগোতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি স্মার্ট এবং আধুনিক পেশা। এই পেশার কিছু স্বাতন্ত্রতা রয়েছে যা এটিকে অনলাইনের অন্যান্য কাজ থেকে পৃথক করেছে ।

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধাঃ

অনেক সুবিধার পাশাপাশি এই পেশার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন,

  • ফ্রিল্যান্সিংয়ে শুরুর দিকেই সবাই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না।
  • জীবনে গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড-এর জন্য অনেক রিস্ক নিলেও এই ইন্ডাস্ট্রির রিস্কটা অনেকে নিতে চায় না।
  • আয়ের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা বিরক্তিকর মনে হয়।
  • ধৈর্য্য ধরতে হয় বেশ কিছু ‍দিন । আয় পাওয়ার জন্য ।

মানুষের  চাহিদা সম্পর্কে জানার সীমাহীন আগ্রহ কিংবা সেই চাহিদার বস্তুটাকে তার চোখের সামনে মেলে ধরতে পারার যোগ্যতা থাকলে আপনার পক্ষেই সম্ভব একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া। ধৈর্য্যের সাথে একনিষ্ঠতা থাকলে অসাধ্যকে সাধন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র ।আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টসমূহের সঙ্গে থাকুন ।

আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে তা অন্যান্যদেরকেও জানিয়ে দিন। ছোট্ট একটি অনুরোধ! ভাল লাগলে দয়া করে কন্টেন্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

Leave a Comment