একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে কয়েকটি শ্রেণি কাজ করে। এখন আমরা এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা করব।ধরুন আপনি একটি কাপড়ের দোকনের মালিক । আপনি ঘোষনা দিলেন যে আপনার দোকনের পণ্য যে বিক্রি করে দিবে আপনি তাদের কমিশনের ঘোষণা দিলেন । আপনার কোম্পানির নাম হলো এস পান দাদা।
তাহলে আমরা এক কথায় খুব সোজা ভাষায় বলতে পারি যে যার প্রোডাক্ট তাকে মার্চেন্ট বা রিটেইলার বলে। আর যারা আপনার কাপড়ের দোকনের নতুন নতুন কাস্টমার নিয়ে আসলো তাদেরকে অ্যাফিলিয়েট বলা যায়। তাহলে মার্চেন্ট এর প্রোডাক্ট যারা কমিশনের আশায় প্রমোট করছে তাদেরকে বলা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট (affiliate) বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার।
এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেহেতু অনলাইনেই করা হয়ে থাকে তাই অধিকাংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে থাকেন আর এজন্য তাদেরকে পাবলিশার (publisher) বলেও ডাকা হয়।আর কাস্টমার কারা তাতো বুঝতেই পেরেছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার যাদেরকে মার্র্চেন্ট এর প্রোডাক্ট এর প্রতি আগ্রহী করে সেল নিয়ে আসে তাদেরকেই কাস্টমার (customer) বলা হয়ে থাকে।
এই তো গেল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে জড়িত ৩ শ্রেণী। এখন আরও একটি শ্রেণী নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি যার নাম হলো নেটওয়ার্ক (network) বা এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক।এরা কারা? হ্যাঁ, অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হল তারা যারা বিভিন্ন মার্চেন্টের অ্যাফিলিয়েট অফারসমূহ বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটারের কাছে প্রকাশ করে যেমন আমরা বলতে পারি কমিশন জংশন, ক্লিকব্যাংক, রাকুটেন মার্কেটিং ইত্যাদি হল বিভিন্ন নেটওয়ার্ক।
অনেক সময় মার্চেন্ট নিজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ঝামেলা সমূহ এড়ানোর জন্য এরকম অনেক নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হন ফলে তারা খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামটি চালাতে পারেন। এই হলো চারটি দিক আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ।আশা করি বুঝতে পেরেছেন । আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টসমূহের সঙ্গে থাকুন ।
আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে তা অন্যান্যদেরকেও জানিয়ে দিন। ছোট্ট একটি অনুরোধ! ভাল লাগলে দয়া করে কন্টেন্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন