- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
যদি আপনার ওয়েবসাইট কে সুরক্ষিত এবং নিরাপদ দেখাতে চান, তাহলে অবশ্যই আপনাকে একটি SSL
সার্টিফিকেট সেটআপ করে নিতে হবে। বিশেষ করে, আপনি যদি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে কোন পণ্য
বিক্রয় করতে চান। SSL Certificate লাগে মূলত যেমন- E-commerce Bisiness অথবা
Customer দের কে আপনার ওয়েবসাইটে Registration ও Login করার অনুমতি দিলেন সেই
ক্ষেত্রে SSL Certificate আপনার এবং আপনার কাস্টমারদের তথ্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে
সাহায্য করে।
SSL সার্টিফিকেট কি:
SSL (Secure Sockets Layer) সার্টিফিকেট হলো একটি ডিজিটাল সার্টিফিকেট যা ওয়েব ব্রাউজার
এবং ওয়েব সার্ভার এর মধ্যে একটি Encrypted Secure Connection তৈরি করে যা আপনার
এবং আপনার কাস্টমারদের তথ্য Secure এবং Trustworthy রাখতে সাহায্য করে।
এই SSL সার্টিফিকেট সাধারণত ওয়েব পেজে ইন্সটল করা হয় যা কাস্টমারদের সংবেদনশীল তথ্য যেমন,
Login Name, Password, Pin Code, Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর)
ইত্যাদি নিরাপদে রাখে।
আরো জানুন: ওয়েব সাইট খুলুন আর আয় করুন
সাধারণত,
যেসব ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট আছে সেসব ওয়েবসাইট অ্যাড্রেস বা URL এর শুরুতে https://
থাকবে।। আর যে সব সাইটে URL এর শুরুতে http:// দেখবেন সে সব সাইটে SSL Certificate
দেয়া নাই। এমন সাইটে কেনা-কাটা করা নিরাপদ নয়। যখন একটি ব্রাউজার SSL সার্টিফিকেট যুক্ত
Web Server এর সাথে কানেক্ট হতে চায়, তখন ব্রাউজার আগে নিজের পরিচয় Web Server কে
প্রদান করে। তারপর ওয়েব সার্ভার ব্রাউজারকে তার Web Certificate পাঠায়। তখন ব্রাউজার
ওয়েব সার্ভার টি Trustworthy কিনা তা চেক করে এবং Web Server কে একটি মেসেজ পাঠায়।
আরো জানুন:ওয়েব সাইট তৈরি করুন সহজ উপায়ে ।
তারপর ব্রাউজার এবং Web Server এর মধ্যে Digital Encrypted Data দেখায়। এই পুরো
প্রক্রিয়ায়, ওয়েব ব্রাউজার এবং ওয়েব সার্ভার নিজেদের মধ্যে ট্রাস্টেটভাবে ডাটা প্রদর্শন করে এবং
ব্রাউজার ওয়েব সার্ভারের ডাটা সিকুইরড ( Data Secured) দেখায়।
আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য SSL সার্টিফিকেট কিনতে চান তবে আপনি Namecheap,
Godday, Domain.com এ সমস্ত সাইট থেকে কিনতে পারেন।কারন তারা আপনাকে অনেক
সুবিধা দিয়ে থাকে।
SSL সার্টিফিকেট এর প্রকারভেদঃ
SSL সার্টিফিকেট বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নিচে সেগুলো আলোচনা করা হলো Secure Domain
এর (সংখ্যার) উপর ভিত্তি করে SSL সার্টিফিকেট কে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:-
১. সিঙ্গেল নেম এসএসএল সার্টিফিকেট (Single Name SSL certificate):
Single Name SSL certificate শুধু মাত্র একটি Domain এই SSL সার্টিফিকেট ভেলিডেট
(Validate) করতে পারে। কোন Sub Domain এটা ভেলিডেট করতে পারে না।
২.ওয়াইল্ড কার্ড এসএসএল সার্টিফিকেট (Wildcard SSL Certificate):
Wildcard SSL Certificate একটি Domain এর আন্ডারে সকল Sub Domain ও ভেলিডেট
করতে পারে।
আরো পড়ুন: ডোমেইন এবং হোস্টিং বলতে কি বুঝ? সে সর্ম্পকে আলোচনা কর?
৩.মাল্টি ডোমেইন এসএসএল সার্টিফিকেট (Multi-Domain SSL Certificate):
Multi-domain SSL Certificate একাধিক Domain এবং Sub Domain সার্টিফাইড করতে
পারে। যারা একসঙ্গে কয়েকটি বিজেনস ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ চালান তাদের জন্য এটি প্রযোজ্য।
ভেলিডেশনের ( Validation) উপর ভিত্তি করে SSL তিন ধরণের হয়ে থাকে।
যেমন-
১) ডোমেইন ভেলিডেশন (Domain Validation):-
মূলত SSL সার্টিফিকেট আপনার Email Address অথবা DNS Record এর উপর ভিত্তি করে
ডোমেইন ভেলিডেট (Domain Validate) করে থাকে। মূলত আপনি যে ডোমেইন এর মালিক সেটার
ভেলিডেশন করায় এটার কাজ।
যাদের প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দরকার পড়ে না তারা এই ধরণের SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে পারে
এবং এটি বেশ চিপও বটে। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এটি একটিভ করা যায়।
আরো জানুন: ইউটিউব নাকি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন করে আয় করবেন।
২) প্রাতিষ্ঠানিক ভেলিডেশন (Organization Validation):
ই-কমার্স অথবা ব্যবসায়িক ওয়েব সাইটের জন্য এটায় সব থেকে কম দামের SSL সার্টিফিকেট।
ডোমেইন ভেলিডেশন এবং অর্গানাইজেশন ভেলিডেশনের মধ্যে পার্থক্য হলো ডোমেইন ভেলিডেশন
শুধুমাত্র ডোমেইন সার্টিফিকেশন দেয় অন্যদিকে অর্গানাইজেশন ভেলিডেশন প্রাতিষ্ঠানিক এড্রেস,
লোকেশন সহ অন্যান্য বেশ কিছু ভেলিডেশন দেয়। সাধারণত ২-৩ দিন লাগে এটা ভেলিডেট করতে।
৩) এক্সটেনডেট ভেলিডেশন (Extended Validation)
যেইসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোন ট্রানজেকশন (Transaction) হয় সেখানে এক্সটেনডেট
ভেলিডেশন খুবই গুরুত্বপুর্ণ। বেশিরভাগ ব্যাংক বা ফিন্যান্সিয়াল কর্মকাণ্ডে জড়িত প্রতিষ্ঠানরা এটা
ব্যবহার করে এবং এটিই সবথেকে জনপ্রিয় বা বিশ্বস্ত গ্রিন সিগনাল (Green Signal) প্রদান করে।
সাধারণত ৭-১০ দিন সময় লাগে এই সেবা এক্টিভ করতে।
ওয়েবসাইটে এসএসএল (SSL) সার্টিফিকেট এর ব্যবহার:
SSL সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের উপর বিশ্বাস করা সত্যি কষ্টকর, বিশেষ করে যেখানে
কাস্টমারদের সংবেদনশীল তথ্য থাকে। যেমন- Login Name, Password, Pin Code,
Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর) ইত্যাদি।
তাই আপনার যদি কোন বড় ওয়েবসাইট থাকে, যেখানে এইসব সংবেদনশীল তথ্য আদান প্রদান করা
হয়, তাহলে অবশ্যই আপনাকে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করতে হবে, এতে করে আপনার এবং আপনার
কাস্টমারদের তথ্য সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে। সেই সাথে আপনার কাস্টমাররা
আপনার সাইটকে পছন্দ করবে।
এছাড়া SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করার ফলে আপনি নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো পাবেন-
আপনার সাইটে SSL সার্টিফিকেট থাকলে সহজেই গুগলে র্যাঙ্ক পাবেন ।
গুগল SSL সার্টিফিকেট ওয়ালা সাইটগুলোর ক্ষেত্রে র্যাঙ্কিং বুস্ট করে।
SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করলে আপনার সাইটের প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।
SSL সার্টিফিকেট আপনার ভিজিটরের সেনসেটিভ ইনফরমেশন হ্যাকারদের থেকে রক্ষা করবে ।
যেভাবে আপনার ওয়েবসাইটে SSL সার্টিফিকেট ইনস্টল করে ব্যবহার করবেনঃ
সাধারণত কিছু বাংলাদেশি Vendor বিভিন্ন আশ্বাসের সাথে SSL সার্টিফিকেট অফার করে থাকে।
এছাড়া অনেক বিদেশী ভালো ব্র্যান্ড এর SSL সার্টিফিকেট রয়েছে। যেগুলো থেকে আপনি সহজেই কিনে
নিয়ে সেটআপ করিয়ে নিতে পারবেন। তবে ভালো SSL সার্টিফিকেট ক্রয় করার সময় অবশ্যই
“Website Security Seal” সহ ক্রয় করবেন কারন এটি আরেকটি দৃশ্যমান নির্দেশক যেটি আপনার
ভিজিটরকে ওয়েবসাইট সিকিউরিটি বিষয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
আরো জানুন: ওয়ার্ডপ্রেস কি? ওয়ার্ডপ্রেসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য সমূহ আলোচনা কর?
এছাড়া আপনি নিজে SSL সার্টিফিকেট সেটাপ করতে চাইলে সেটা সিপ্যানেলের (cPanel) মাধ্যমে
সেটাপ করতে পারবেন। সিপ্যানেল ছাড়াও আপনি জেডপ্যানেল (ZPane), ভিস্তাসিপি (Vesta
Control Panel) বা ওয়েবুজোর (Webuzo) মাধ্যমেও SSL সেটাপ করতে পারবেন।
সিপ্যানেলের মাধ্যমে যেভাবে SSL ইনস্টল করবেন?
1. প্রথমে আপনার সিপ্যানেলে SSL অপশনে যান
2. তারপর “Private Key” সেটাপের প্রয়োজন পড়বে
3. এখন আপনাকে CSR (Certificate Signing Request) সেটাপ করতে হবে। এখান থেকে
আপনি SSL ইস্যু করবেন।
4. এবার আপনার কেনা SSL কাস্টমার প্যানেলে লগইন করুন। এখানে আপনি CSR বের করতে
পারবেন।
আরো জানুন: ই-কমার্স কি ?ই-কমার্স সাইটের জন্য সেরা ডোমেইন ও হোস্টিং কিনবেন কিভাবে?
5.তারপর CSR সাবমিট করলে আপনার ইমেইলে একটি লিঙ্ক যাবে সেটা ভেরিফাই করলেই সব কাজ
কমপ্লিট।
6.কখনও কখনও কোড ভেরিফিকেশন চাইতে পারে, সেখেত্রে আপনার মেইলে আপনি কোডটি পাবেন।
7.ভেরিভাই হয়ে গেলে আপনার মেইলে SSL কোড চলে আসবে। তখন কোডটি আপনার cPanel থেকে
Install SSL এ গিয়ে বসিয়ে দিলেই চলবে।
আরো জানুন: ই-কমার্স কী? ই-কমার্স কীভাবে কাজ করে?
আপনার ওয়েব সাইট এখন SSL সার্টিফিকেট “Green Signal” শো করবে।
তবে একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখবেন। যখন আপনি SSL ইনস্টল করবেন তারপর পর http://
অবশ্যই https:// এ রিডাইরেক্ট করে দিবেন। তাহলে কাজ হয়ে যাবে।
বিশ্বস্ত সাইট SSL সার্টিফিকেট কেনার জন্য: আপনি যদি আপনার সাইটের জন্য SSL সার্টিফিকেট
কিনতে চান তবে আপনি Namecheap, Godday, Domain.com এ সমস্ত সাইট থেকে কিনতে
পারেন।কারন তারা আপনাকে অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে।
পরিশেষেঃ
সাধারনত, SSL সার্টিফিকেট ছাড়া কোন ওয়েবসাইটের উপর বিশ্বাস করা সত্যি কষ্টকর, বিশেষ করে
যেখানে কাস্টমারদের সংবেদনশীল তথ্য থাকে। যেমন- Login Name, Password, Pin Code,
Payments Details (ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড নম্বর) ইত্যাদি।
তাই আপনার যদি কোন বড় ওয়েবসাইট থাকে, যেখানে এইসব সংবেদনশীল তথ্য আদান প্রদান করা
হয়, তাহলে আমি আপনাকে SSL সার্টিফিকেট ব্যবহার করার জন্য সাজেস্ট করবো, এতে করে আপনার
কাস্টমারও আপনার সাইটকে পছন্দ করবে। সেই সাথে আপনার এবং আপনার কাস্টমারদের তথ্য
সুরক্ষিত এবং নিরাপদ রাখতে সাহায্য করবে।
আরো জানুন: কীভাবে একটি ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করবেন?
আমরা সাধ্যমত উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি তাই লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই অন্যদের সাথে
শেয়ার করতে ভুলবেন না । এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে
কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই
দেওয়ার চেষ্টা করবো।