সফল ক্যারিয়ার গড়তে জেনে নিন ৭টি মূলমন্ত্র।(Learn 7 keywords to build a successful career)

আমরা পড়াশোনা শেষ করে চাকুরী করাকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়। তবে এর বাহিরে অনেকসম্মানজনক ও মূল্যবান পেশা রয়েছে যা অনেকেই  জানি না,  জানলে ও কিন্তু সেই ক্যারিয়ার পথে এগোতে সাহস পাই না। এর প্রধান কারণ হলো সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ও আত্নবিশ্বাসের অভাব। 

সেই দৃষ্টিভঙ্গিও আত্নবিশ্বাসের অভাবের কারনে আমরা বিভিন্ন কাজ ছেড়ে দিয়ে থাকি । সেই হতাশা এবং অসাধ্যকে কিভাবে জয় করা যায় সেসব নিয়ে  মোটেও ভাবি না। আমরা চেষ্টা করলে কিন্তু সকল বাঁধাবিপত্তির যাত্রা গুলোতে সফল হওয়া সম্ভব। তবে আপনাকে ক্যারিয়ার যাত্রা শুরু করার আগে সাতটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। 

আপনার কি করতে ভাল লাগে : 

নিজে ক্যারিয়ারে লক্ষ্য নির্ধারণ করার আগে নিজের সম্পর্কে ভালো মতো জানতে হবে। আপনি কোন বিষয়ে দক্ষ, মেধা ভাল রয়েছে সেটি আপনাকেই যাচাই করতে হবে। 

অর্থাৎ আপনি যে কাজে বেশি আগ্রহী, সে কাজটিকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেয়াই উত্তম।  

 আপনার দক্ষতা ও গুণাবলি : 

আপনি যদি বুঝতেই না পারেন যে, কোন বিষয়ের উপর আপনার বেশ ভালো দক্ষতা রয়েছে তাহলে ক্যারিয়ার দ্বিধায় পরে যাবেন। অর্থাৎ কোন বিষয়ে  আপনার প্রতিভা রয়েছে, 

কোন বিষয়ে আপনি অধিক দক্ষ তা চিহ্নিত করুন। তারপর কাজ শুরু করার সিদ্ধন্ত নিতে হবে । তা না হলে বড় ভুল হয়ে যেতে পারে । 

 ভবিষৎ চিন্তা করতে শিখুন : 

আপনার জীবনের ক্যারিয়ার নির্বাচন সবথেকে বড় সিদ্ধান্ত । কাজেই আপনাকে অবশ্যই ভবিষৎ চিন্তাকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। অর্থাৎ, আজকে  আপনি ক্যারিয়ার নিয়ে যে পরিকল্পনা করছেন, তার ফলাফল আজ থেকে পাচঁ বছর পর কি হতে পারে সেসব বিষয়ও চিন্তা করতে হবে। 

নিজের সময়ের দিকে খেয়াল রাখুন : 

আপনার জীবনের ক্যারিয়ার ভাল ভাবে যেন শুরু হয সে দিকে দৃষ্টিপাত করুন।কোন সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়োকরে নেওয়া উচিত নয়। সঠিক ক্যারিয়ার  নির্বাচন আপনার ভবিষ্যৎ জীবন নির্ধারণ করে দিবে। কাজেই আপনি যেই সিদ্ধান্ত নেবেন তাড়ি ফল পাবেন । কাজেই খুবিই সাবধানে এগিয়ে যেতে  হবে । 

 যত দ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করতে হবেঃ 

আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ হয়ে গেলে যত দ্রুত সম্ভব তা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করে দিন। যত তাড়াতাড়ি কাজ শুরু করবেন ততো ভাল ফল পাওয়া যাবে ।

কেননা সময়ের কাজ সময়ে না করলে অন্য কেউ আপনাকে পেছনে ফেলে সফল হয়ে যাবে। তখন আপনার জন্য খুবিই কঠিন হয়ে যাবে । 

 কাজের প্রতি ধৈর্যশীল হউন, এবং লক্ষ্যে অর্জনে অটুট থাকুনঃ 

আপনি যে কাজ টি করছেন তার প্রতি মনোনিবেস অটুট রাখুন। ধৈর্যকে সফলতার চাবিকাঠি বলা হয়ে থাকে। কাজেই আপনাকে ধৈর্য সহকারে সামনে  এগিয়ে যেতে হবে।

লক্ষ্যে স্থির না হলে, পূর্ণ মনোবল পাওয়া যায় না। তাই আপনি যে লক্ষ্যে কাজটি শুরু করেছেন তা শেষ না করা পযর্ন্ত ধৈর্য সহকারে কাজটি করুন । 

আপনার একটি পরামর্শদাতা বানাতে হবেঃ 

আপনি তাকেই পরামর্শদাতা বানাবেন, যার ক্যারিয়ার ফিল্ডগুলো আপনার কাজের সম্পর্কে সঠিক ধারণাএবং অভিজ্ঞতা আছে। আপনি হয়তো জানবেনই না যে,

 আপনার নেওয়া সিদ্ধান্ত ভবিষ্যত ক্যারিয়ারের জন্য সঠিক নয়।কিন্তু একজন পরামর্শদাতার সাপোর্ট পেলে আপনি এসব ভুলগুলো খুব সহজেই এড়িয়ে  যেতে পারবেন।এবং ভাল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন । 

পরিশেষে বলতে হয় যে : 

আপনি চিন্তা,ভাবনা করে, ভবিষ্যৎ ভাবনা মাথায় রেখে একটা সিদ্ধান্ত নেবেন ।যার ফলে আপনার জীবনে যেন শান্তি বয়ে যায়। আর আপনি ভাল থাকেন সব সময় ।কারন ক্যারিয়ারের শুরুতে আপনি যদি কোন ভুল সিদ্ধান্ত নেন তার ফল ভাল নাও হতে পারে ।

 আপনি আমি সবাই ভাল থাকতে চাই । চাই সুন্দর ভাবে বাচঁতে আর এ  চলার পথে যে বাধা বা বিপওি  তা শক্ত হাতে মোকাবেলা করতে পারলে আপনি বা আমি ভাল জীবন পার করতে পারবো এ আসা রাখি । 

ভাল থাকবেন ।

Leave a Comment