অনলাইন অর্থ আয় করা । বিশ্বের যে কোন জায়গায় থেকে সম্ভব। সুতরাং আপনি গাছতলায় থাকেন আর বট তলায় থাকেন । দেশে থাকেন বা বিদেশে থাকেন। যে কোন জায়গা থেকে আপনি আয় করতে পারেন । সুতরাং আপনি কোন দ্বিধা ছাড়াই অর্থ উপার্জন পদ্ধতি শিখতে শুরু করতে পারেন।
এখন আমি আপনাকে টাকা আয় করার উপায় জানাচ্ছি। এই দেশে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সাবধানে সবকিছু পড়তে হবে। এবং বুঝে সিদ্ধন্ত নিতে হবে ।
আরো পড়ুন:
গুগল থেকে আয় করার সেরা ৩টি উপায়।
গুগলের প্রথম পেজে ওয়েবসাইট আনতে যা করবেন।
Google Ad Sense খুলবেন কিভাবে তার সহজ ও সুন্দর পথ
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং করে :
ফ্রিল্যান্সিং ইতিমধ্যে বাংলাদেশে খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটা বাড়িতে থেকে অর্থ উপার্জন করার জন্য মহান সম্ভাবনা আছে। বাংলাদেশে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং করে বিপুল অর্থ উপার্জন করছেন।বিশ্বাস হচ্ছে নানা হবার কিছু নেই এটায় সত্য কথা । আপনারা খুশি হবেন যে বাংলাদেশ বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিংয়ের দ্বিতীয়অবস্থানে রয়েছে।
সুতরাং আপনি এটিশুরু করতে পারেন।একটি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কাজ করতেচাইলে তার অনেক ক্ষেত্র আছে। আপনি লেখালেখি করে , গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, ডাটা এন্ট্রি, ভার্চুয়াল সহায়তা ইত্যাদির মতো কাজ করে আপনি টাকাআয় করতে পারেন। আপনার যে বিষয়টি বেশি আগ্রহ সেটিতে কাজ শুরু করতে পারেন ।
ব্লগিং পোষ্ট তৈরি করা :
ব্লগিং করে একটি বিশাল অর্থ উপার্জন সুযোগ আছে। আপনি ব্লগিং থেকে হাজার হাজার টাকা আয় করতেপারেন তবে তা যদি সঠিকভাবে করতে পারেন । এমন অনেক ব্লগার আছেন যারা প্রতি মাসে অনেক টাকা আয় করে যাচ্ছে । এবং ভাল আছে । আপনার ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে কয়েক গুলো উপায় রয়েছে। আমি এখানে একটি ব্লগ থেকে কি উপায়ে আয় করতে পারেন তার সর্ম্পকে বলছি ।
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং :
এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার ব্লগ দিয়ে অর্থ উপার্জন করার সেরা উপায়। যদিও আপনি নিজের ব্লগ ছাড়া অধিভুক্ত মার্কেটিংয়ের জন্য যেতে পারেন, তবে একটি ব্লগ থাকা আপনাকে আপনার অনুমোদিত বিক্রির উন্নতি করতে সহায়তা করবে।এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের বেশ কয়েকটি ইতিবাচক দিক রয়েছে,
তবে এই ধরনের অর্থ উপার্জন পদ্ধতির ডাউনসাইডগুলির মধ্যে একটি হল এটি অনুমোদিত পণ্য বিক্রি করে অর্থ উপার্জন শুরু করার জন্য দীর্ঘ সময় নেয়। কিন্তু আপনি যদি উপযুক্তভাবে মার্কেটিং করতে পারেন, তবে আপনি অনেক দ্রুত অর্থ আয় করতে পারবেন বলে আশা রাখি ।
অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে :
অ্যাডসেন্স গুগল এর বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক যা তাদের প্রকাশকদের একটি শালীন অর্থ উপার্জন সুযোগ প্রদান করে। গুগল তাদের মূল্যবান প্রকাশকদের 60% এর বেশি উপার্জন করে দেয় । সুতরাং, আপনি আপনার ব্লগে AdSense ব্যবহার করতে এবং এটির সাথে নগদীকরণ করতে পারেন।
মনে রাখবেন যে আপনি GoogleAdSense এর অনুমোদন পেতে কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশিকা বজায় রাখতে হবে। AdSense এর মাধ্যমে একটি শালীন অর্থোপার্জন করতে, আপনাকে আপনার ব্লগে প্রচুরট্র্যাফিক চালাতে হবে। কম ট্রাফিক ব্লগের জন্য উপার্জন খুব নগণ্য হওয়া উচিত।
পণ্য এবং সেবা বিক্রয় :
আমি এই পোস্টের পরবর্তী অংশে বিভিন্ন কেনাকাটার এবং বিক্রয় সাইটগুলির মাধ্যমে পণ্য বিক্রি সম্পর্কে কথা বলব,আচ্ছা, যদি আপনি আমার ব্লগে একটি হায়ার বা আমার সাথে পৃষ্ঠা তৈরি করেন এবং সেখানে আপনার পরিষেবাগুলি অফার করেন তবে নিশ্চিতভাবেই আপনার কিছু দর্শক এই পরিষেবা গুলিতে আগ্রহী হতে পারেন।
এছাড়াও, আপনি আপনার নিজস্ব ডিজিটাল বা শারীরিক পণ্য তৈরি করতে পারেন এবং আপনার ব্লগের মাধ্যমে তাদের বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন তবে আপনার নিজের কোনও পণ্য তৈরি করতে হবে না তবে আপনার নিজের পণ্যগুলি বিক্রি করতে হবে, আপনাকে সেগুলিকে তৈরি করতে হবে বা তাদের পুনরায় বিক্রয় করতে হবে।
প্রকাশনা স্পনসর পোস্ট :
আপনি যদি আপনার ব্লগটি অনেক বেশি বাড়িয়ে তুলতে পারেন তবে অনেকগুলি কোম্পানি আপনার ব্লগে তাদের পণ্যগুলি পর্যালোচনা বা উল্লেখ করার জন্য আপনার কাছে আসবে।এটি তাদের ব্যাকলিঙ্কগুলিতৈরি করতে, এক্সপোজার পেতে এবং ট্র্যাফিক চালাতে সহায়তা করবে।এই সমস্ত সুবিধাগুলির বিনিময়েতারা আপনাকে হতাশ করবে না কারণ আপনি তাদের পোস্ট প্রকাশ করার পরে তারা আপনাকে অর্থ প্রদান করবেন।
বিজ্ঞাপন জন্য আপনার ব্লগ এর স্পেস ভাড়া
কিছু ব্লগার এই পদ্ধতিটিও উপভোগ করেন। যদি আপনি দেখতে পান যে আপনার ব্লগটি ক্রমবর্ধমান হয়এবং আপনার কাছে এটি উপযুক্ত ট্র্যাফিক থাকে তবে আপনি তাদের বিজ্ঞাপনগুলি প্রদর্শনের জন্য আপনার ব্লগের কিছু অংশ ভাড়া দিতে পারেন।আপনার ব্লগে অন্য বিজ্ঞাপনগুলি দেখানোর জন্য, আপনি এর জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ জিজ্ঞাসা করতে পারেন। এটি AdSense বিজ্ঞাপনের মতোই, তবে এইক্ষেত্রে, আপনি সরাসরি আপনার বিজ্ঞাপনদাতাদের সাথে ডিল করছেন। কোন মধ্যস্থতাকারী নেই।
ব্লগ বিক্রয় :
এটি আরেকটি অর্থ উপার্জন পদ্ধতি হতে পারে। অনেক মানুষ এটি একটি প্রতিশ্রুতিশীল অর্থ উপার্জন হিসাবে গ্রহণ করেন। ব্লগ বিক্রি একটি ব্লগ শুরু করার সাথে সম্পর্কিত এবং এটি বিক্রি আপনার সময় উপর নির্ভর করে ।
আপনি এমনকি আপনার সম্ভাব্য বিক্রেতাদের দ্বারা অনেক বেশি উৎসাহিত এবং আকৃষ্ট হলে আপনার ব্লগটি হাজার হাজার ডলার বিক্রি করতে পারেন। অনেক মানুষ তাদের পেশাহিসাবে অর্থ উপার্জন এই পদ্ধতি টি বেছে নিয়েছে।
ডিজিটাল এবং শারীরিক পণ্য বিক্রি:
আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। এটা করার অনেক উপায় আছে। আপনি Bikroy.com এ আপনার বাজারজাতকরণগুলি কেনার এবং বিক্রি করার ক্ষেত্রে আপনার পণ্যগুলি (শারীরিক ও ডিজিটাল উভয়) বিজ্ঞাপন দিতে পারেন।
অথবা আপনি আপনার নিজস্ব ই-কমার্স ওয়েবসাইটটি শুরু করতে এবং সেই সাইট থেকে সরাসরি পণ্যগুলি বিক্রি করতে পারেন। একটি ই-কমার্স সাইট শুরু করার সময় এবং অর্থের প্রাথমিক বিনিয়োগের প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু একবার আপনি এটি স্থাপন করতে পারলে, তারপরে কোনও ব্যক্তি আপনার চেয়ে বেশি সুখী হবে না।
কোনও কাজ আইনি বা অবৈধ কিনা তা আপনি ইন্টারনেটে একটু অনুসন্ধান করে বিজ্ঞতার সাথে হওয়া উচিত। সবসময় মান তৈরি করতে পারেন যে একটি জিনিস করতে চেষ্টা করুন। আপনি যদি দেখেন যে কোনও কাজের মান তৈরি করা যায় না তবে আসলে এটি একটি নৈতিক কাজ নয়। সুতরাং আপনি ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, অ্যাফিলিয়েট বিপণন, পণ্য বিক্রয় ইত্যাদি জন্য যেতে পারেন। আশা করি আপনি শীঘ্রই যেকোন জায়গা থেকে অর্থ উপার্জন শুরু করতে পারবেন। আপনাদের সকলের শুভ কামনা করে শেষ করছি ।