Google Adsense এর ভেরিফিকেশন পিন নাম্বার পাবেন যেভাবে

কেমন আছেন বন্ধুরা, নিশ্চয় ভালো আছেন। আজ আমি আলোচনা করবো, কিভাবে আপনি Google

Adsense ভেরিফিকেশন পিন নাম্বার পাবেন। এবং তা ‍কিভাবে আপনার এ্যাকাউন্টে বসাবেন। চিন্তার

কোন কারন নায়। Google Adsense আপনাদের অনেক সুবিধা দিয়ে থাকে এর জন্য, আপনি যে এ

এ্যাকাউন্টের মালিক তা প্রমাণ করার জন্য এ পিন নাম্বার Google Adsense আপনাদের ‍দিয়ে থাকে।

যারা গুগল এডসেন্স (Google AdSense PIN Verification) নিয়ে কাজ করেন তারা “পিন

নাম্বার” শব্দটার সাথে সবাই কম-বেশি পরিচিত।

আর যারা এর মধ্যে Google Adsense থেকে আয় করছেন, তারা সবাই জানেন , গুগল তার এড

পাবলিসারদের কে অনেক ভাবে ভেরিফাই করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম পিন-নাম্বার ভেরিফিকেশন।

আরো পড়ুন: 20 Best Hair Clippers For Men of 2020

Google Adsense এ আপনি কাজ করে যখন ১০ থেকে ১৫ ডলার আয় করবেন Google

Adsense তখন আপনার একাউন্ট ‘‘HOLD” করে রাখবে। তখন Google তখন আপনার ঠিকানা

ও একাউন্ট ভেরিফিকেশনের জন্য “Pin Code Number“ পাঠাবে আপনার বাড়ির ঠিকানায়।

যে এড্রেস দিয়ে আপনি গুগল এডসেন্স একাউন্ট এর জন্য আবেদন করেছিলেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে পিন

নাম্বার পোষ্টাল সার্ভিসে আসতে ১ থেকে দেড় মাস এর মত সময় লাগে। তাই এই সময়ের জন্য আপনার

একাউন্ট “HOLD” থাকে। ভয় পাবেন না, এই ১মাস আপনার সাইটে এডের পেইজ ইম্প্রেশন ও ক্লিক

কাউণ্ট হতে থাকবে। “HOLD” এর ব্যাপারটা হল, “আপনি আপনার একাউণ্ট থেকে টাকা তুলতে

পারবেন না”। আশা করি বুঝতে পারছেন।

আরো পড়ুন: Best 10 headphones Reviews of 2020

আপনি যখন আপনার দেওয়া পিন নাম্বার পেয়ে যাবেন, তখন যদি আপনি সাইট এর নিদিষ্ট জায়গায় ওই

পিন নাম্বারটি বসান তাহলে আপনার একাউন্ট এর “HOLD” অপশনটি চলে যাবে। (গুগল আপনাকে

বলে দিবে কোথায় আপনাকে পিন নাম্বারটি বসাতে হবে) আপনি নিজে তা বুঝতে পারবেন।

অনেক কারনে আপনার কাছে পিন নাম্বার নাও আসতে পারে। আপনার এড্রেস যদি ঠিক থাকে তাহলে

অবশ্যই আপনি পিন নাম্বার পাবেন। আর যদি ঠিক না থাকে তবে চিন্তার কোন  কারন নাই, গুগল

আপনাকে তিনবার পিন নাম্বার এর জন্য আবেদন করতে সুযোগ দিবে। ১ম পিন নাম্বার আবেদন এর

তিন সপ্তাহের ভিতরে যদি আপনি পিন নাম্বার এর পার্সেল (চিঠি) না পান তাহলে ২য় পিন নাম্বার এর

জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভাবে আপনি সর্বোচ্চ তিনবার পিন নাম্বার এর জন্য আবেদন করতে

পারবেন।

আরো পড়ুন: নেমচিপ কোম্পানির সেরা সব হোস্টিং প্যাকের দাম সর্ম্পকে আলোচনা

তিনবার আবেদন করেও যদি আপনার পিন নাম্বার না পান। তখন ও ভয় পাবেন না। কারন গুগল তার

এড পাবলিসারদের সুবিধার জন্য সব রকম ব্যবস্থাই করে রেখেছে। আপনি যদি পিন নাম্বার না পান

তাহলে গুগল আপনাকে একটি লিংক দিবে, ওই লিঙ্কে গেলে আপনাকে আপনার এড্রেসের একটি ডিজিটাল

প্রুফ কপি পাঠাতে বলবে।

 (যেমনঃ Payoneer ক্রেডিট কার্ডের আবেদন এর সময় আমাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ডের একটি

কপি তাদের কাছে পাঠাতে হয়,ঠিক সেই রকমভাবে আপনার এড্রেসের একটি কপি তাদের কাছে পাঠিয়ে

দিবেন)। এর পরে গুগল এডসেন্স (Google AdSense PIN Verification) টিম ম্যানুয়ালি

আপনার এড্রেস ভেরিফাই করবে। সব কিছু যদি ঠিক থাকে তাহলে আপনার এ্যাকাউন্ট “HOLD”

অপশনটি তুলে নেওয়া হবে। ব্যস হয়ে গেল আপনার পিন নাম্বার জটিলতার সমাধান।

কখনো কোন অবম্থাতে “গুগল কে ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। কারন গুগল জানে পাবলিক কি

কি করতে পারে। তাই দেখবেন, চালাকি করতে গিয়ে শেষে নিজের ফাঁদে নিজেই পড়ে গেছেন।”

আরো পড়ুন: বাংলা গান ডাউনলোড করবেন যেভাবে জেনে নিন।

নিয়মিত গুগল এডসেন্স (Google AdSense PIN Verification) একাউন্ট ও ই-মেইল চেক

করুন। তাহলে পিন নাম্বার সহ আরোও অনেক বিড়ম্বনা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।

আজকে এতটূকুই। লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না

। আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে

থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো

পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

 ভাল থাকবেন।

আরো পড়ুন:- দক্ষতা ও বুদ্ধিমত্তা দিয়ে কাজ করুন কোন প্রকার পরিশ্রম ছাড়াই

Leave a Comment