Fiverr কি?Fiverr সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়?Spandada-3

Fiverr  বলতে কি বুঝ?

ফাইভার হ’ল একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস যা বিভিন্ন ধরণের পরিষেবা, কার্য এবং মিনি-জব সরবরাহ করে। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত।

সহজ ভাষায়,

ফাইভার হচ্ছে একটি বেচা কেনা করার মার্কেটপ্লেস যেখানে আপনি একটি প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন আর একজন বায়ার সেটি আপনার কাছ থেকে

কিনবে। যেহেতু এটি একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস সেহেতু আপনি এখানে অনলাইন এবং প্রযুক্তি ভিত্তিক বিভিন্ন সেবা বিক্রি করে পারবেন।

ফাইভারের লক্ষ্য এমন একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সরবরাহ করা যেখানে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের উপলভ্য ডিজিটাল পরিষেবাগুলির বিজ্ঞাপন এবং

তালিকাবদ্ধ করতে পারে। ফাইভার এ সারা বিশ্বের অনেক বায়াররা বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে। এখানে অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে

গ্রাফিক্স ডিজাইন, এসইও এবং অন্যান্য কাজ পাওয়া যায়।

আরো জানুন:-

প্রাথমিকভাবে সহজে কাজ পাওয়ার জন্য নুতন ফ্রিল্যান্সারদের জন্য ভিন্ন ধারার সেরা অনলাইন মার্কেটপ্লেস ফাইভার। ফাইভার ইতিমধ্যে অত্যন্ত

জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হিসেবে সবার কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এ মার্কেটপ্লেসে গিগ এর রেট ৫ ডলার দেখে অনেকে কাজ করতে কম উৎসাহিত

হয়। আসলে বিষয়টি ঠিক এরকম না। এ মার্কেটপ্লেসে কাজ করে অনেকে প্রতিমাসে গড়ে ১৫০০ ডলারের বেশীও আয় করছেন।

এখানে বায়ার নয়, বরং ফ্রিল্যান্সাররাই কাজের অফার টিউন করে থাকে এবং বায়ার উক্ত অফার কিনে নেয়। এখানে প্রতিটি অফার বা কাজকে

গিগ বলা হয়। প্রতিটি অফার বা গিগ এর মূল্য মাত্র ৫ ডলার হওয়ায় গিগগুলো দ্রুত সেল হয়ে থাকে। এজন্য দেখা যায়, অনেকেই যারা আপওয়ার্ক,

ফ্রিল্যান্সার এ সুবিধা করতে পারছেন না, কিন্তু ফাইভার থেকে ভাল আয় করছেন।

Fiverr সাইটে কি কি ধরনের কাজ পাওয়া যায়?

Fiverr রে সাধারনত অনেক ধরণের কাজ  থাকে।তার মধ্যে যে কাজ গুলো বেশী থাকে সেগুলো তুলে ধরলাম। আপনি এগুলোর মধ্যে যেকোন

একটি নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন। আপনি এগুলো আয় করছি। তাই আপনাদের সুবিধার জন্য এ কাজ গুলো উল্লেখ করলাম।

1।Video Editing

2।Virtual Assistant

3।Article/content writing

4।SEO optimization

5।Transcription

6।Editing and Proofreading

7।Advertising

8।Palm reading

9।Marketing

10।Programming

11।Web design

12।Song writing

13।Poetry

Fiverr এ কাজ করার পদক্ষেপসমূহ আলোচনা কর?

1.প্রথমে আপনাকে একটি ফাইভারে এ্যাকাউন্ট করতে হবে।

2.ফাইভারে কখনো ব্যক্তিগত কোনো তথ্য দেয়া যাবেনা।

3.কোনো ওয়ার্কার সরাসরি বায়ারের সাথে যোগাযোগ করুক Fiverr তা কখনই চায়না।

4. Fiverr রের সকল নিয়ম মেনে যেসব কাজে দক্ষ সেসব কাজের উপর আকর্ষনীয় গিগ তৈরী করতে হবে। সঠিক নিয়মে গিগ তৈরী করা থাকলে

ফাইভার নিজেই গিগ মার্কটিং করবে।

5. তারপর আপনার ক্যাটাগরি অনুযায়ী বায়ারের কাছ থেকে রিকুয়েষ্ট আসবে এবং তার সঠিক রিপ্লাই দিতে হবে। গিগ পছন্দ হলে বায়ার কাজ দিবে।

6. কাজ এর বিষয় সবকিছু বায়ারের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে।

7. কাজ সম্পূর্ন করে বায়ারের কাছে জমা দিতে হবে। তাহলেই কাঙ্খিত মূল্য পাওয়া যাবে। তারপর আয়ের টাকা ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে হবে।

Fiverr বিক্রির এ্যাকাউন্ট সাধারনত ৩ টি লেভেলে হয়ে থাকে:

লেভেল 1 সেলার:

যেসব সেলার কমপক্ষে ১০ বার বা তার বেশি সার্ভিসটির অর্ডার পেয়ে কাজ শেষ করে বায়ারকে দিতে পারবে এবং বায়ার এর নিকট থেকে

১০ বার ভালো রেটিং পাবে তাহলে ঐ সার্ভিসটির সেলার অটোমেটিক্যালি Level 1 এ চলে আসবে এবং Advanced services অফার করার

সুযোগ পাবে এবং আয়ও বৃদ্ধি পাবে।

লেভেল 2 সেলার:

যেসব সেলার পূর্ববর্তী ২ মাসে ৫০ বারের বেশি ভাল রেটিং এবং ট্রাক সহকারে বায়ারকে সার্ভিস দিতে পারবে, সেসব সেলার স্বয়ংক্রিয়ভাবে

Level 2 পদ অর্জন করবে। এ লেভেলে অনেক বেশি ফিচার যুক্ত হবে ও প্রায়োরিটি সাপোর্ট পাবে এবং আয়ও বেড়ে যাবে।

টপ রেটেড সেলার:

টপ রেটেড লেভেলের ‍সেলার নির্ধারিত হয় ফাইভার সাইট কতৃপক্ষের বাছাইয়ের মাধ্যমে। ফাইভার সাইট কতৃপক্ষ লেভেল ২ সেলারদের মাঝে

থেকে বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে টপ রেটেড সেলার নির্ধারণ করে থাকে। এভাবে সেলারের কাজ র্নিধারন করা হয়ে থাকে। Fiverr রে আপনি

এ সমস্ত লেভেল পার করতে পারলে আপনার আয় যেমন বৃদ্ধি পাবে পাশাপাশি বায়ারের কাছ থেকে অনেক কাজ পেতে থাকবেন।

Fiverr এ কি কি সার্ভিস বিক্রি করা যায়?

Fiverr আপনি যেমন বিভিন্ন ধরনের কাজ পাবেন।তেমনি আপনার তৈরি করা বিভিন্ন সার্ভিস বিক্রি করতে পারবেন। Fiverr সাধারনত

5 ডলারে প্রোডাক বিক্রি করে থাকে। তাই আপনি চাইলে মাসে এখান থেকে 1000 ডলার আয় করতে পারবেন।

Fiverr সাধারনত যে সার্ভিস বিক্রি করে থাকে তা হলো:-

  • আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্ট লিখে বিক্রি
  • প্রোডাক্ট ডেসক্রিপশন লিখে বিক্রি
  • আর্টিকেল বা ব্লগ পোস্টগুলি এডিট করে বিক্রি
  • রিসুম এবং কভার লেটার লিখে
  • হেডিং লিখে
  • এসইও রিলেটেড সার্ভিস লিখে বিক্রি
  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট করে
  • ওয়েব ডিজাইনিং করে
  • লোগো এবং ব্যানার ডিজাইনিং করে বিক্রি
  • ইমেইল লিখে আয়
  • বিজনেস কার্ড ডিজাইনিং করে বিক্রি
  • ক্রিয়েট পিডিএফ ফাইল তৈরি করে বিক্রি
  • কিওয়ার্ড রিসার্চ ইত্যাদি বিক্রি করে আপনারা আয় করতে পারবেন।

লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই

এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো

পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Leave a Comment