Facebook Fake Account চিনবেন যেভাবে

সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। ফেসবুক মানুষের মধ্যে দৃঢ় বন্ধন সৃষ্টি করেছে। যে মানুষের সঙ্গে মাসে বা বছরে একবার

ও দেখা হয় না ফেসবুকের সৌজন্যে প্রতিদিনই তাদের দেখা যায়।তবে ফেসবুকের কারনে আবার বিড়ম্বনারও শিকার হতে হয় অনেককেই।

বিশেষ করে সেলিব্রেটিরা এ ধরনের বিড়ম্বনার শিকার বেশি হন। সেলিব্রেটিদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে অনেকে প্রতারণাও করেন।

.

আরো পড়ুন: জি-মেইলের গুরুত্বর্পূণ ১০টি ব্যবহার সর্ম্পকে জানুন ।

.

নিজের ফ্রেন্ডলিস্টে এমন অ্যাকাউন্ট থাকাটাও ক্ষতির। তাই এসব অ্যাকাউন্ট থেকে দূরে থাকাই ভালো। কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়, কীভাবে ফেক

বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট চিনবেন? আজ আমি আপনাদের সুবিধার জন্য এ সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো। যাতে করে আপনারা খুব সহজে

এটিকে চিনতে পারেন। তাহলে আর দেরি কেন জেনে নিন কিভাবে Facebook Fake Account চিনবেন।

.

Facebook Fake Account চেনার উপায়:

.

১. ডিপি-টি ভুয়া কিনা, তা জানার জন্য ছবিটি ডাউনলোড করে নিয়ে Google Image Search (images.google.com) গিয়ে

ছবিটি দিয়ে সার্চ করলেই বের হয়ে আসবে ছবিটি আসলে কার। কারন ভুয়া অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ফটো কখনও আসল হয় না।

.

২. সন্দেহজনক এ্যাকাউন্টের ফ্রেন্ডলিস্টে মিউচুয়াল ফ্রেন্ড আছে কিনা। বা ওই অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যদের অনিয়মিতভাবে অ্যাড করছে

কিনা এগুলো খেয়াল করলেই বের করা যাবে অ্যাকাউন্টটি ফেক নাকি আসল।

.

আরো জানুন: সুন্দর সমাধান “Gmail Account“ যেভাবে খুলবেন ।

.

৩. প্রোফাইলে দেয়া ছবিগুলো চেক করলেই বুঝতে পারবেন এ্যাকাউন্টটি আসল নাকি ভুয়া। যদি প্রোফাইলে একটি বা দুইটি ছবি থাকে

তাহলে সেটা ভুয়া অ্যাকাউন্ট হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

.

৪. এ্যাকাউন্টটির অ্যাক্টিভিটি কেমন? স্টেটাস আপডেট কিংবা পোস্ট খুব কম বা অনিয়মিত কিনা প্রভৃতি বিষয়গুলো খেয়াল করলেই

বোঝা যাবে অ্যাকাউন্টটা আসল নাকি ভুয়া। যে এ্যাকাউন্টটির অ্যাক্টিভিটি বেশি, পোস্ট বেশি সেটি আসল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

.

৫. এ্যাকাউন্টটির ‘About’ অংশটিতে যদি স্কুল, কলেজ, বা কর্মস্থল সম্পর্কে দেয়া তথ্যের গড়মিল থাকে বা কোনো তথ্য না থাকে তাহলে

বোঝা যাবে যে অ্যাকাউন্টটি ভুয়া।

.

৬. ফ্রেন্ডলিস্টে যদি সকলেই পুরুষ, কিংবা সকলেই নারী থাকে তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট ফেক হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

.

আরো পড়ুন:

.

৭. এ্যাকাউন্টটিতে কোনো মেয়ের ছবি রয়েছে এবং সেই সঙ্গে দেয়া রয়েছে নিজের মোবাইল নম্বরও? তাহলে বুঝে নেবেন এটি ভুয়া

অ্যাকাউন্ট।

.

৮. এ্যাকাউন্টটিতে থাকা জন্ম তারিখ যদি ১ জানুয়ারি, ৩১ ডিসেম্বর, কিংবা ১৫ আগস্টের মতো কোনো তারিখে হয় তাহলে সেই অ্যাকাউন্ট

ভুয়া হতে পারে।

.

৯. সন্দেহজনক এ্যাকাউন্টটির ফেসবুক ওয়ালে যদি ‘থ্যাঙ্কস ফর অ্যাডিং মি, ডু আই নো ইউ’ এই জাতীয় পোস্ট অনেকগুলি রয়েছে কিন্তু

একটিরও কোনো উত্তর সে দেয়নি, তাহলে সেই অ্যাকাউন্টটি ভুয়া হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।

.

এগুলো ফলো করে দেখলে, আশা করি আপনি ফেসবুক ফেক এ্যাকাউন্ট খুজে পাবেন।তাই আপনি যখন আপনার বণ্ধু হিসাবে কাওকে গ্রহন

করবেন।তার আগে সেই মানুষটির বিভিন্ন তথ্য জেনে তারপর তাকে বন্ধু হিসাবে গ্রহন করবেন।

.

আজ এ পযর্ন্ত, লেখাটি পড়ে যদি আপনার ভাল লেগে থাকে । তাহলে আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

.

ভালে থাকবেন।।

Leave a Comment