কেমন আছেন বন্ধুরা ভাল নিশ্চয়ই।আজকের শিরোনাম দেখেই বুঝতে পারছেন আমরা আজকে কি
বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি। হ্যা বন্ধুরা ৫টি সহজ উপায়ে টাকা আয় করার বিষয়ে আলোচনা
করবো আজ।
অনলাইন এর মাধ্যমে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে যা হয়তো অনেকে জানেন না। বর্তমান
সময়ে অনলাইন এর উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে যে কাজ গুলি আপনি ঘরে বসে
করতে পারবেন এবং অন্যান্য অফিসে চাকুরী করলে আপনাকে যে সময় দিতে হতো সে তুলনায় এই
কাজগুলোতে অনেক কম সময় দিলেই ভাল টাকা উপার্জন করা সম্ভব। অনলাইনে ইনকামের কয়েকটি
উপায় তুলে ধরছি আশা করি আপনাদের কাজে আসবে।
১.ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করুন সহজ উপায়ে:
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে জানেন না এমন লোক খুবই কম আছেন। এখন আস্তে আস্তে মানুষ ফ্রিল্যান্সিং এর দিকে
ঝুঁকছে। ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে মানুষ নিজের মত কাজ করতে পারে বলে মানুষ আরো বেশি আকৃস্ট
হচ্ছে। অনেকে না যেনে এটিকে কঠিন বলেন আসলে আপনারা যতটা কঠিন ভাবেন কাজটা অতটাও
কঠিন না। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনলাইনে অনেক গুলি সাইট রয়েছে। এই সমস্ত সাইটে আপনাকে নিজের
রিয়েল ইনফরমেশন দিয়ে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর নিজের মত কাজ খুজে নিতে হবে।
আরো জানুন: কিভাবে ইন্সটাপেইজে অ্যাকাউন্ট খুলবেন
এই যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, কনটেন্ট রাইটিং,
অ্যানিমেশন ক্রিয়েটিং, ভিডিও মেকিং, গেম মেকিং, অ্যাপস বিল্ডিং ইত্যাদি।
আপনাকে কাজ পেতে হলে আগে আপনাকে এই সকল কাজের জন্য পারদর্শী হতে হবে। লক্ষ লক্ষ লোকের
ভিড়ে নিজেকে প্রমাণ করতে হবে যে, আপনিই কাজটা ভাল পাবেন। তাহলেই কাজ পাবেন।
২.ফেসবুক থেকে আয় করুন সহজ উপায়ে:
প্রথমে যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলবো সেটি হল ফেসবুক। অনেকে হয়তো শুনে হয়তো ভাবছেন কিভাবে
ফেসবুক থেকে কি ইনকাম করা যায়? আমি আপনাদেরকে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি। আপনারা হয়তো
সবাই ফেসবুকে ভিডিও দেখেন আপনারা লক্ষ্য করেছেন ফেসবুকে ভিডিও দেখার সময় অনেক এড সো
করেন এই এডের মাধ্যমেই আয় করা সম্ভব। এই ইনকাম করার মাধ্যম নতুন চালু করেছে আগে এই
মাধ্যম ছিলো না।
আরো জানুন: Facebook থেকে টাকা আয় করবেন যেভাবে (ভিডিও আপলোড কোরে)
এখন ফেসবুক থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে যা করতে হবে তা হল সর্বপ্রথম আপনাকে একটি
পেজ ক্রিয়েট করতে হবে এরপর আপনার পেজে মিনিমাম ১০ হাজার লাইক থাকতে হবে এবং লাস্ট ৩ টি
ভিডিওতে ৩ হাজার ওয়ান মিনিট ওয়াচ ভিউ থাকতে হবে। তো বুঝতেই পারছেন এরজন্য আপনাকে
প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে । এগুলো পূরণ হলে আপনি মানিটাইজিন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং
এপ্রুভ হলেই আপনার পেজ থেকে টাকা আসা শুরু হয়ে যাবে।
৩.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করুন সহজ উপায়ে:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হল অনলাইনের যেকোনো প্রোডাক্ট প্রোমোট করা এবং যদি কোনো ব্যাক্তি
আপনার এড দেখে প্রোডাক্টটি কিনে তাহলে আপনি কিছু টাকা কমিশন পাবেন এটিই হল অ্যাফিলিয়েট
মার্কেটিং। এর জন্য আপনাকে প্রথমে একটি অ্যাফিলিয়েট একাউন্ট ক্রিয়েট করতে হবে আপনি যে সাইট
থেকে পন্য গুলির এড দিতে চান সেই সাইট এবং এরপর আপনাকে একটি ওয়েবসাইটও ক্রিয়ট করতে
হবে যেটির মাধ্যমে আপনি এড দিবেন।
আরো জানুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার কারন কি ?
এরপর আপনার সাইটে প্রচুর ভিউয়ার আনতে হবে এবং তারপর আপনার এফিলিয়েট লিংকে ঢুকে যদি
কেউ আপনার প্রমোট করা পণ্যটি ক্রয় করে তাহলে আপনি ঐ সাইট থেকে কমিশন পাবেন। এভাবে
আপনি যতবেশি লিংক শেয়ার করে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন তত বেশিই ইনকাম হবে। এটা একটা খুব
সহজ ইনকাম সাইট আপনি একটু চেষ্টা করলে পারবেন আশা করি।আমি ও এফিলিয়েট মার্কেটিং করে
আয় করছি তাই আপনাদের কে জানালাম।
৪.ইউটিউবিং করে আয় করুন সহজ উপায়ে:
বর্তমানে মানুষ ইউটিউব এর উপর বেশ ঝুঁকে পড়েছে। ইউটিউবে ভিডিও দেখে না এমন মানুষ এখন
খুজে পাওয়া যাবেনা । আপনি চাইলে এই ইউটিউব থেকেও ইনকাম করতে পারবেন। এরপর সর্বপ্রথম
প্রয়োজন ভালো কনটেন্ট বানানোতে এক্সপার্ট হওয়া। কিন্তু কথা গুলি শুনে অনেক সহজ মনে হলেও
আসলে কাজটা একটু কঠিন আছে কারন ইউটিউব রয়েছে কিছু রুলস এন্ড রেগুলেশন যেটি আপনাকে
মানতে হবে তা না হলে আপনার চ্যানেলটি ব্যান হয়ে যেতে পারে। উদাহরণ সরুপ বলা যায় আপনি
কোন এডাল্ট ভিডিও বা সুইসাইডাল টাইপের কোন ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না।
আরো জানুন: ইউটিউব এর কাজ ও এর মাধ্যমে কি কি করা যায় ?
আপনাকে শিক্ষামূলক বা কমেডিয়ান বা টিউটোরিয়াল বা মিউজিক ভিডিও বা নাটক বা কোনো
জিনিসের রিভিউ ইত্যাদি নিজের মত করে বানিয়ে আপলোড করতে পারেন। তবে অন্য কারোর ভিডিও
নিজের চ্যানেলে আপলোড করা যাবে না। এরপর আসি আপনি কিভাবে টাকা ইনকাম করতে পারবেন?
এর জন্য আপনার চ্যানেল মাইটাইজ করতে হবে এবং অ্যাডসেন্স অ্যাড করতে হবে। অ্যাডসেন্স অ্যাড
করতে হলে মিনিমাম ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে। আর আপনার চ্যানেলের সমস্ত ভিডিও মিলে
লাস্ট ১ বছরে ৪০০০ ঘন্টা ওয়াচ ভিউ থাকতে হবে। তবেই আপনি কাজ করতে পারবেন এবং আয়
করতে পারবেন ইউটিউব থেকে।
৫.ওয়েবসাইট ফ্লিপিং করে আয় করুন সহজ উপায়ে:
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং বেশ জনপ্রিয় একটি আয়ের মাধ্যম। কিন্তু এটি থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে
অনেক ভালো এবং এক্সপার্ট ওয়েভ ডিজাইনার হতে হবে। যখনই আপনি একজন এক্সপার্ট ওয়েভ
ডিজাইনার হয়ে উঠবেন তখনই আপনি এটিতে হিউজ পরিমান টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট ফ্লিপিং হল, আপনার নিজের কোন বানানো বা স্বল্প খরচের ওয়েবসাইট অনেক বেশি মূল্যে
বিক্রি করে দেওয়া। কিন্তু আপনার সাইটটি বিক্রি করার পুর্বে আগে সুন্দর করে সাজাতে হবে।
আরো জানুন: ওয়েবসাইট: সারা জীবনের স্থায়ী উপার্জনের ক্ষেত্র হতে পারে একটি ওয়েবসাইট।
তারপর আপনার সাইটে অনেক বেশি ভিউয়ার আনতে হবে। যাতে করে আপনার সাইটটি বায়ারদের
চোখে পরে। এরপর কাজ শুরু করলে যেন অনেক বেশি লোকজনের কাছে পৌছাতে পারে। এক কথায়
আপনার সাইটটি জনপ্রিয় করে তুলতে হবে এবং কাজের জন্য উপযোগী করে তুলতে হবে। এরপর এই সব
কাজ করা হলে আপনি আপনার সাইট অনেক টাকাতে বিক্রি করতে পারবেন।
আরো জানুন: কীভাবে অতিথি পোস্ট অন্যান্য ব্লগগুলিতে পোষ্ট করবেন।
আজ এই পর্যন্ত লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।
আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে
থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো
পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।