২০টি বিজনেস আইডিয়া, শুরু করুন যে কোনটি।

অনলাইনে কাজের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং অনলাইন বিজনেসের লাভের হার দিন দিন দ্বিগুণ

হচ্ছে।মানুষ এখন অনলাইন কাজের দিকে বেশি এগিয়ে চলেছে। আনন্দের খবর এই যে, আমাদের অনেক

অনলাইন ব্যবসা উদ্যোক্তাই দারুণ সফলতা পেয়েছে। সেই সাথে, দ্রুত প্রসারিত হচ্ছে এই ধরণের ব্যবসা

। মানুষ এখন দোকানে দোকানে গিয়ে জিনিস-পত্র কেনার থেকে ঘরে বসে পেতেই বেশি পছন্দ করছে।

আরো জানুন: Google Ad Sense পেতে আপনার করনীয় কাজ ।

তাছাড়া, জীবনযাত্রায় যে পরিবর্তণ আসছে, তাতে এখন আর ট্র্যাডিশনাল বিজনেসে নতুন করে

সফলতা পাওয়া অনেকের জন্যেই কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

যাইহোক, দ্রুত পরিবর্তিত আমাদের জীবনযাপনের সাথে সম্পৃক্ত এই অনলাইন ব্যবসার প্রতি যদি

আপনারও আগ্রহ থেকে থাকে, তবে আসুন অনলাইন ব্যবসা কি ও কিভাবে করবেন তার কয়েকটি

বিজনেস আইডিয়া জেনে নেই।

অনলাইন ব্যবসা:

অনলাইন ভিক্তিক কাজই হলো অনলাইন ব্যবসা।অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে খুব বেশী মূলধন

বিনিয়োগ করতে হবে না। এছাড়া এসব ব্যবসায় আপনি পার্ট-টাইম এবং ফুল টাইম কাজ করতে পারেন।

তা বিশ্বের যে কোন প্রান্ত থেকে পরিচালনা করতে পারবেন। এবং আয়র পরিমান ও অনেক বেশি হয়।

অনলাইন ব্যবসাকে সাধারণত ২টি ভাগে ভাগ করা যায়-

১. পণ্য ভিত্তিক ব্যবসা
২. সেবা ভিত্তিক ব্যবসা

অনলাইনে কাজের জন্য প্রতিনিয়ত অসংখ্য লোক অনলাইনে আসছে। কিন্তু তারা কোন ধরনের কাজ

শুরু করবে তা নিয়ে বেশ চিন্তায় পড়ে থাকে। তাদের জন্য আমার এ লেখা আমি অনলাইনে কাজের 20

আইডিয়া সর্ম্পকে আপনাদের কে আজ বলবো ।আশা করি এর মধ্যে আপনি আপনার কাজটি খুজে নিতে

পারবেন। তাহলে শুরু করা যাক:

. ব্লগিং করে:

আপনি অনলাইনে আয় করতে চান তবে আমি প্রথমে যে কথাটি বলবো তা হলো ব্লগ খুলেও আপনি খুব

সহজে অর্থ ইনকাম করতে পারেন। বর্তমান সময়ে অনেকেই ব্লগিংকে তাদের প্রফেশন হিসাবে নিচ্ছে।

আপনি  যদি করতে চান তাহলে বাংলা অথবা ইংরেজি ভাষায় ব্লগিং করতে পারেন। তবে ইংরেজি ভাষার

ব্লগের চাহিদা এবং ভিজিটর অনেক বেশি থাক।

আরো জানুন: Google Ad Sense খুলবেন কিভাবে তার সহজ ও সুন্দর পথ

ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি  অনেক উপায়ে আয় করতে পারেন। যেমন: গুগল এডসেন্স, দেশীয় বিজ্ঞাপন

সংস্থার বিজ্ঞাপন কিংবা কোন কোম্পানির বিজ্ঞাপন। আবার অনেক সময় পেইড রিভিউ বা স্পনসরড

পোস্ট লিখেও ইনকাম করতে পারেন। যেসব বিষয়ে আপনি ব্লগিং করতে পারেন : খবর বিশ্লেষণ,খাবার

রেসিপি,বিজ্ঞান বা প্রযুক্তি,ধর্মীয়,স্বাস্থ্য বা লাইফ স্টাইল,টিউটোরিয়াল,ইতিহাস,খেলাধুলা,রহস্য ভিত্তিক

ইত্যাদি লেখা আপনি লিখতে পারেন।

. কর্মাস ব্যবসা:

অনলাইন ব্যবসা করার কথা হলে আমি বলবো প্রথমেই ই-কমার্সের কথা । অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে

প্রথম মাথায় আছে এই ই-কমার্স। আপনি করতে চাইলে ই-কমার্স দিয়ে আপনার অনলাইন বিজনেস শুরু

করতে পারেন।

করতে পারেন।

. বই বিক্রিয় করে:

 আপনি অনলাইনে নতুন বই এবং পুরাতন বইয়ের  বিক্রয়ের একটি ওয়েবসাইট খুলে তা বিক্রি করতে

পারেন।তাছাড়াও প্রথম অবস্থায় আপনি একটি ফেসবুকের পেইজ কিংবা গ্রুপ দিয়ে শুরু করতে পারেন।

পরবর্তীতে মূলধনের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, আপনি একটি ওয়েব সাইট খুলে আপনার ব্যবসাকে আরও

সম্প্রসারণ করতে পারেন।

. মৌসুমি পণ্য বিক্রয়:

আপনি অনলাইন ব্যবসাকে একটি লোকাল ব্যবসা হিসাবে ধরে কাজ করতে পারেন। বর্তমানের লোকাল

বিজনেস থেকে অনলাইন বিজনেসে মানুষের আস্থা-বিশ্বাস অনেক বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। আপনি চাইলে

মৌসুমি পণ্য অনলাইনে বিক্রয় করতে পারেন।বিষয়টা আরেকটু পরিষ্কার করলে বুঝতে পারবেন। যেমন

ধরুন আপনি গ্রীষ্ম কালে আমের ব্যবসা করতে পারেন। সরাসরি রাজশাহী থেকে ফরমালিন মুক্ত আম

এনে আপনি তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন।

. ঘরে বানানো খাবার :

শহুর জীবনের কর্মব্যস্ততায় হাতে তৈরি খাবারের চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই অনেক বেশি থাকবে। তাই এ

ধরনের অনলাইন বিজনেস আপনার সাফল্যের পথের সিঁড়ি হতে পারে।আপনি ঘরে আচার, পিঠা কিংবা

অন্যান্য সুস্বাদু খাবার তৈরি করে অনলাইনে, ফেসবুকে কিংবা ওয়েবসাইটে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেন

। এবং তা বিক্রি করে ভাল টাকা আয় করতে পারেন।

৬. ওষুধ বা চিকিৎসা সামগ্রী:

এমন কিছু সময় আসে যখন মানুষ ফার্মেসীতে গিয়ে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ পায় না,

সেক্ষেত্রে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয়। আবার অনেক এলাকা আছে যার আশেপাশে কোন ফার্মেসি

থাকে না, জরুরী প্রয়োজনে তখন ওষুধ পাওয়া যায় না।আর এসব ক্ষেত্রে অনলাইন সাইট, ফার্মেসির

থেকে বেশী ভূমিকা রাখে। কারণ মানুষ জরুরী প্রয়োজনে অনলাইনে ওষুধের অর্ডার করে, ঘরে বসে

ওষুধ পেতে পারে। আর তাই আপনি চাইলে অনলাইনে এ ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

. হস্তশিল্প ব্যবসা:

যারা হস্তশিল্পের কারিগর তাদের নিকট থেকে আপনি সরাসরি পণ্য ক্রয় করে তা অনলাইনে বিক্রয়

করতে পারেন তাতে লাভের পরিমাণ অনেক বেশী হবে। আপনি অনলাইনে এ ব্যবসাটি করতে পারেন।

কারন এখনো সবায় হস্তশিল্পের পণ্য পছন্দ করে থাকে।

. পুরাতন জিনিস বিক্রি:

আপনি অনলাইনে পুরাতন জিনিস বিক্রি করে আয় করতে পারেন । একটি ওয়েবসাইট খুলে কিংবা

প্রাথমিকভাবে আপনি ফেসবুকে পুরাতন জিনিস ক্রয় বিক্রয় করতে পারেন।

৯. লন্ড্রি:

শহুরে জীবনে ব্যস্ততা ছাড়া অবসর সময় কল্পনা করা যায় না।এ কারনে মানুষ কাপড় ধোয়া কিংবা ইস্ত্রি

করার সময়ও পায় না। আবার অনেক সময় দেখা যায় যে, অলসতার কারণে দোকানেও দিয়ে আসে না।

তাই আপনি চাইলে এই সুবর্ণ সুযোগ ব্যবহার করতে পারেন। প্রথম অবস্থায় আপনি মহল্লা বা এলাকা

ভিত্তিক এই সার্ভিস চালু করতে পারেন এবং আপনি অনলাইনের অর্ডারগুলো মহল্লায় থাকা লন্ড্রি

দোকানের সাথে চুক্তি করে কাজ করতে পারেন।

১০. পাইকারি পণ্য বিক্রয়:

পাইকারি মূল্যে পণ্য বিক্রয় করতে পারলে অনলাইনে গ্রাহক চাহিদা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। যেমন :

আপনি গ্রাম থেকে চাল ক্রয় করে ঢাকায় অনলাইনে চাল বিক্রি করতে পারেন।তাই এই ধরনের ব্যবসা

আপনার জন্য উপযোগী হতে পারে।

১১. অনলাইন ক্লাস:

“অনলাইনে ক্লাস” কথাটা শুনে আপনার হাসি আসতে পারে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আপনি চাইলে, এটা

আপনার অনলাইন বিজনেসের সবচাইতে বড় মাধ্যম হতে পারে। আপনি যে বিষয়টি বেশি ভাল জানেন

যে বিষয়ে ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে ইউটিউবে ছেড়ে দিতে পারেন। সেখান থেকে মানুষ শিখে নিতে

পারবে আর পাশাপাশি আপনার আয়ও হবে।

১২. ইউটিউব:

ইউটিউব সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে অনেক নামীদামী ইউটিউবার আছে,

যাদের সম্পর্কে আপনারা পত্র-পত্রিকায় পড়েন। চাইলে আপনিও ইউটিউবে অনলাইন ব্যবসা করতে

পারেন । এখানে নিত্য নতুন ভিডিও দিয়ে আয় করতে পারেন অনেক টাকা।

১৩. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট:

আপনি যদি ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপার হয়ে থাকেন, তবে আপনি ওয়েবসাইট ডিজাইনের উপর

অনলাইনে ব্যবসা করতে পারেন। কারণ তথ্য প্রযুক্তির এই যুগে প্রতিনিয়ত মানুষ তার নিজের অথবা

প্রতিষ্ঠানের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে। আবার কেউ তাদের ওয়েবসাইটকে পুনরায় নতুন করে

আপডেট করে, তার জন্য প্রয়োজন হয় ওয়েব ডিজাইনার এবং ডেভেলপারের। আপনি এ কাজ শিখে

তারপর করতে পারেন।

১৪. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট:

সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট অনেক চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা। আপনি বিভিন্ন সফটওয়্যার তৈরি করে অর্থ

ইনকাম করতে পারেন। অনেক সময় দেখা যায় একটি সফটওয়্যার বিক্রি করেও কোটি টাকা ইনকাম

করতে পারেন।

পাশাপাশি আপনি অ্যান্ড্রয়েডের প্লে স্টোর কিংবা আইফোনের অ্যাপ স্টোরের জন্য অ্যাপ তৈরি করেও

অর্থ ইনকাম করতে পারেন। এখানেও আপনি কাজ করে আয় করতে পারেন।

১৫. ভিডিও এডিটর:

ভিডিও এডিটিং এর অনলাইন ব্যবসা করতে পারেন। এখন অধিকাংশ কোম্পানির তাদের বিজ্ঞাপন

থেকে শুরু করে ইউটিউবের ভিডিও তৈরিতেও ভিডিও এডিটরের প্রয়োজন পরে। এসব প্রয়োজন পূরণ

করতে পারে আপনার ভিডিও এডিটিং এর অনলাইন ব্যবসা। আপনি এ কাজটি করেও অনেক টাকা আয়

করতে পারেন।

১৬. ডোমেইন হোস্টিং বিজনেস:

ডোমেইন হোস্টিং এর ব্যবসা বর্তমানে যথেষ্ট চাহিদা সম্পন্ন। কারণ যেহেতু প্রতিনিয়ত ওয়েবসাইট

তৈরির চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে, আর ওয়েবসাইট তৈরি করলে অবশ্যই তার জন্য হোস্টিং এবং ডোমেইনের

প্রয়োজন। আপনি এ কাজটি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।

১৭. স্যোশাল মিডিয়া মার্কেটিং:

বর্তমানে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য আলাদা বিভাগ রাখে। আবার কেউ

কেউ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কাজ করিয়ে নেয়। এখন আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর

উপর অনলাইনে ব্যবসা করেন। তবে আপনার যথেষ্ট চাহিদা সম্পন্ন ব্যবসা হবে এটি।

১৮. এসইও:

সবার শেষে এসইও দেখে অনেকে হয়তো এটাকে কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন। কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ

ভিন্ন।গুগলের সার্চ রেজাল্টে প্রথম হওয়া সকল ওয়েবসাইট মালিকদের স্বপ্ন। আর এ স্বপ্ন পূরণ করতে

পারে এসইও আপনি এ কাজটি করে দিতে পারেন অন্যদেরকে এবং এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন

অনেক টাকা।

১৯. ছবি বিক্রি করে:

আপনি চাইলে বিভিন্ন ধরনের ছবি তুলে তা অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। কারন বিভিন্ন সময়

ব্যবসার জন্য অনেক ছবির প্রয়োজন হয় তখন ব্যবসায়িরা এ ধরনের ছবি তখন ক্রয় করে থাকে।

এর মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।।

২০.এফিলিয়েট মার্কেটিং:

খুবিই ভাল এবং একবার শুরু করলে সারা জীবন আয় করার মতো ব্যবসা হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং

।এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি অনলাইনে বিভিন্ন পণ্য বা সেবার লিংক শেয়ার করে অর্থ

ইনকাম করতে পারেন। আরও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করে এফিলিয়েট মার্কেটিং সর্ম্পকে

জানুন। আমি ভাল ভাবে বলেছি আপনি কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন।

উপসংহার:

আজ এ পযর্ন্ত ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের কে শেয়ার করতে ভূলবেন না। এর মধ্যে কোন ব্যবসায়ে

টাকা বেশি এই ধরনের চিন্তা না করে বরং চিন্তা করুন কোনটা আপনার জন্য উপযোগী এবং আপনি

করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। সেই কাজটা দিয়ে প্রথমে অনলাইনে বিজনেস শুরু করতে পারেন। দেখবেন

এক সময় আপনার জীবন বদলে যাবে। এগিয়ে চলুন আমি আপনাদের সঙ্গে আছি।

ভাল থাকবেন।।

Leave a Comment