স্যোসাল মিডিয়া থেকে খুব সহজে আয় করুন

আমরা অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করি শুধু মাত্র

যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে। কিন্তু আপনি হয়তো ধারনাও করতে পারবেন না যে কত মানুষ শুধু

তাদের সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করছেন শত শত ডলার। আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে

চান তাহলে কম পরিশ্রমে বেশি আয় করার সুযোগ আছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই ফ্রিল্যান্সিং

বা আউটসোর্সিং এ ক্যারিয়ার গড়তে মাধ্যম হিসাবে আপনিও বেছে নিতে পারেন ফেসবুক, টুইটার,

ইন্সটাগ্রাম, লিঙ্কডিন, পিন্টারেস্ট বা গুগল প্লাস। সাইটগুলোকে:

) অন্যের পণ্য এবং সেবা প্রচার করার মাধ্যমে আয়:

স্যোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে আয় করার একটি ভাল উপায় হল অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের পন্য বা সেবা

আপনার ফেসবুক গ্রুপে বা পেজে, টুইটারে বা ইন্সটাগ্রামে প্রচার করুন। এবং উক্ত প্রতিষ্ঠান থেকে

সরাসরি পেমেন্ট নেয়া। তবে এখানে আপনার ফেসবুক পেজে বা টুইটারে যত বেশি ফলোয়ার থাকবে

ততো বেশি আয় করতে পারবেন।

) নিজের কোন ডিজিটার প্রোডাক্ট বা যে কোন নিজস্ব পণ্য মার্কেটিং করে আয়:

যদি আপনার নিজস্ব কোন ব্লগ সাইট থাকে এবং কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনি এক্সপার্ট হয়ে থাকেন,

তাহলে উক্ত বিষয়ের উপর পিডিএফ, বই, অডিও সিডি, বা ভিডিও টিউটোরিয়াল তৈরি করুন। এরপর

আপনি উক্ত কনটেন্ট গুলো স্যোসাল মিডিয়ার শেয়ার করুন। আপনার নিজস্ব কনটেন্ট এর

মাধ্যমে স্যোসাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারবেন।

Gumroad, Sellfy and Amazon’s KDP এর মত প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে আপনার পিডিএফ,

এমপি 3 বা ভিডিও ফাইল প্রকাশ এবং বিক্রি করতে পারবেন।

 ) সোশ্যাল মিডিয়ায় এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:

আপনি যে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করুন না কেন, আপনি চাইলে www.clickbank.com এর মাধ্যমে

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আর আপনার যদি এই সাইটে কোন প্রোডাক্ট মনের মত না পান

তাহলে আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। আমাজন পৃথিবীর সবথেকে বড় ই- কমার্স

সাইট যারা তাদের এফিলিয়েট অ্যাসোসিয়েট প্রতি বিক্রয়ের উপর নির্দিষ্ট কমিশন দিয়ে থাকে। আর

আমাজন পণ্যের কোন ঘাটতি নেই। আপনি যে কোন পছন্দের প্রোডাক্ট প্রমোট করতে পারেন।

) শিক্ষণীয় বা পরামর্শ সেবা প্রচার করে আয়:

শিক্ষণীয় বিষয় বা পরামর্শ সেবা প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম

একটি আদর্শজনক জায়গা। আপনি যদি গিটার এর শিক্ষক হন বা যে কোন বিষয়ের কন্সাল্টান্ট বা যে

বিষয়ে আপনি দক্ষ, আপনি আপনার টার্গেট গ্রাহকের সাথে সংযোগ করে আপনার সেবা প্রচার করে আয়

করতে পারেন।

) কারুশিল্প পন্য নিয়ে কাজ করে আয়:

আপনি যদি হস্তশিল্পে পারদর্শী হন বা কারুশিল্প এমনকি পোশাক এবং বুনন নিয়ে কাজ করেন তাহলে

আপনার উৎপাদিত এই সকল পন্যের সামাজিক মাধ্যমে প্রদর্শন করে বিক্রি করতে পারেন। এক্ষেত্রে

Instagram এবং Pinterest পোস্ট করে শেয়ার করে ইন্সটাগ্রাম থেকে আয় বা পিন্টারেস্ট

থেকে আয় করতে পারেন তাছাড়া ফেসবুক, টুইটার এবং Google+ এর মাধ্যমেও মানুষের কাছে

প্রচার করে আয় করতে পারেন।

৬) ইউটিউব ভিডিও প্রমোট  করে আয়:

একটি জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করা সহজ কাজ না। কিন্তু আপনার যদি আগ্রহ থাকে এবং

উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফলোয়ার থাকে তাহলে আপনার দক্ষতার বিষয় নিয়ে আজই  YouTube

Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। নির্দিষ্ট বিষয়ে ইউটিউব চ্যানেল খুলুন এবং সেই চ্যানেল

আপনার সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রমোট করুন। আপনি যদি ইউটিউব

চ্যানেলে নিয়মিত কাজ করেন এবং ভিডিও আপলোড দেন তাহলে খুব শিগ্রই ইউটিউব থেকে আয় করতে

পারবেন।


সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আয় করতে চাইলে এখনই পরিকল্পনা করুন এবং কৌশল নির্ধারণ করুন।

আপনার আর্থিক লক্ষ্য পূরণ করতে হলে আপনাকে সঠিক পরিকল্পনা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় দিন।

সারা দিন শুধু লাইক কমেন্ট আর এন্টারটেইনমেন্ট শেয়ার না করে অনলাইন আয়ের উৎস খুঁজে বের

করুন। তাহলে কিছুদিন পরেই দেখবেন আপনার আসে পাশের বন্ধু বা পরিচিত জন সেই আগের জায়গায়

আছে আর আপনি এই সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে উঠে যাচ্ছেন

সফলতার সিঁড়িতে।

এছাড়া অনলাইনে আয় সম্পর্কে কোন প্রশ্ন থাকলে নিচের কমেন্ট বক্সে লিখে ফেলুন। পোস্টটি ভাল লাগলে

শেয়ার করতে ভুলবেন না।

ভালো থাকবেন।

Leave a Comment