১২০ টাকা মানিব্যাগে নিয়ে ৪ বছর আগে আজকের দিনে আমি তাকে বিয়ে করি।
বিয়ে সম্পূর্ন হওয়ার পরে আমরা আগের মতো নিজ নিজ বাসায় থাকি। যখন সবাই জানতে পারে বেপারটা তখন কয়েক মাস পর আমরা দুই রুমের একটা বাসা নেই, প্রথমে ভেবেছিলাম ফ্লোরে ঘুমাবো কারন খাট কেনা তো দূরের কথা চকি কেনার টাকাও আমাদের ছিলো না,
কিন্তু কোন এক ভাবে টাকা ম্যানেজ হয়ে যায়, একটা খাট কিনি। একটা খাট, একটা রেক, আর রান্না করার জন্য কিছু হাড়ি পাতিল নিয়ে আমাদের সংসার শুরু করি।
আমার খুব ভালো মনে আছে, বাসা নেওয়ার পরের দিন আমার দুইটা ফ্রেন্ড এসেছিলো, প্লেট না থাকার কারনে স্টিলের পেয়ালায় খেতে দিয়েছিলাম আর গ্লাস ছিলো না এই জন্য বতলে পানি দিয়েছিলাম।
শহরের বাসায় ফ্রিজ না থাকার কষ্ট শুধু মাত্র তারাই জানে যাদের নেই। এক মাস যাওয়ার পর কষ্ট করে একটা ফ্রিজ কিনি। ৬ মাসের মধ্যে বাসার সব জিনিস পত্র কেনা হয়ে গেলো। বলতে গেলে কষ্ট করেই সব কেনা হয়েছে। তার পর দুজনেরই চাকরি হলো,
সংসার কেমন করে চলবে রাত জেগে এই দুশ্চিন্তা করার দিন শেষ হলো। আমরা এখন ভালো আছি, সুখে আছি আপনাদের ভালবাসায়।
চাকরি নেই, টাকা নেই, পরিবার মানবে না। এই বাঁধা গুলোর জন্য আমরা অনেকেই, প্রিয় মানুষটাকে হারাই, বিশ্বাস করেন এক দিন টাকা হবে, চাকরি হবে, তবে যা কে হারাইছেন সে আর আসবে না। অথচ আপনি একটু চেষ্টা করলেই তাকে ধরে রাখতে পারতেন।
তবে একটা কথা জানেন কি, পারিবারিক ঝামেলা, বেকারত্বের সমস্যা, এত সব কিছুর মথ্যেও কখনোই আমাদের ভালোবাসার মাঝে বিন্দু পরিমান ঘাটতি তৈরি হয় নাই। ভালোবাসা থাকলে টাকার দরকার হয় না। আমি নিজে তার প্রমান।
একটা মানুষ কিভাবে এত সহজে অন্য আরেকটা মানুষ কে সহ্য করতে পারে, তা তোমাকে না দেখলে জানতেই পারতাম না। একটা মানুষের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়ে আরেকটা মানুষকে কি করে এতটা ভালোবাসা যায় তোমাকে না দেখলে কখনো বুঝতেই পারতাম না
মানুষ বলে, পুরানো হলে ভালোবাসা কমে যায়। বিশ্বাস করেন যত দিন যাচ্ছে ঠিক ততোটাই সম্মান,ভালোবাসা একে অপরের প্রতি মায়া, এগুলো আমাদের মাঝে বাড়ছে।
আমি হয়তো অনেক ভাগ্যবান, ঈশ্বর তোমার মতো একটা মানুষকে আমার জীবন সঙ্গী করে পঠাইছেন। আমার সকল কাজের অনুপ্রেরনা তুমি, পাশে থেকে সাহস যোগানোর মানুষটা ও তুমি। অনেক বেশি ভালোবাসি তোমাকে। সারাজীবন এভাবেই পাশে থেকো। চার বছর না, তোমাকে সাথে নিয়ে চার হাজার বছর বাঁচার ইচ্ছা, তবে ঈশ্বর যতোদিন বাচাঁয়, তোমাকে সাথে নিয়েই যেনো বাঁচতে পারি।