রাগ আপনার নিয়ন্ত্রক? নাকি আপনি রাগের? (Anger is your controller? Or are you angry? )

কেউ আপনার কথা না শুনলে কি আপনার সাথে সাথে রাগ উঠে যায়? তাকে বুঝিয়ে বলার চেয়ে ধমক দেয়াই কি তখন শ্রেয় মনে হয়?  কিংবা আপনি কি বন্ধুমহলে রগচটা ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত? বা আপনার ছোট ভাই-বোন আপনার সাথে কথা বলতে বা কোনো আবদার জানাতে কি ভয় পায়? 

তাহলে এখনই সময় আপনার রাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার। কারণ এখন আর আপনি রাগের নিয়ন্ত্রক নন, বরং রাগই আপনার নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে।

তাহলে আসুন জেনে নেই কীভাবে নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

রাগ দমিয়ে রাখবেন না

আমাদের মধ্যে অনেককেই দেখা যায় প্রচন্ড রাগ উঠলেও নিজেকে দমিয়ে রাখে। দাঁতে দাঁত চেপে নিজেকে মনে করিয়ে দেয় ‘আমি ঠিক আছি| রাগ চেপে রাখলে সেই রাগের কারণ মনের মধ্যে স্থায়ীভাবে থেকে যায়, তিক্ত অনুভূতি রয়ে যায় সেই ব্যক্তিকে নিয়ে।

কিন্তু আমরা যদি রাগ চেপে না রাখি, অপরজনকে জানাই যে তার কোন কাজটি আমাকে ক্রোধান্বিত করছে তাহলে মানসিক শান্তির পাশাপাশি পারস্পরিক বন্ধনও শক্তিশালী হয়।

শারীরিকভাবে রাগের প্রকাশ

মা-বাবা কিছু একটা বললো যা ভালো লাগলো না, রুমে এসে ধাম করে দরজা লাগিয়ে দিলাম। কিংবা টেবিলে রাখা গ্লাসটা ছুঁড়ে মারলাম। এই ধরণের কাজ আমরা অনেকেই করে থাকি।এমনকি রাগের মাথায় নিজের সাধের মোবাইল ছুঁড়ে মারার নজিরও আছে অনেক।  কিন্তু বাস্তবে হয় তার ঠিক উল্টো। কিন্তু তাও কেনো আমরা এমন করি?  

কারণ আমাদের মন বলে এমন করলে রাগ কমে যাবে, অর্থ্যাৎ সম্পুর্ণ বিষয়টি নির্ভর করছে আমাদের মানসিক সিদ্ধান্তের উপর। আমরা নিজেরা যদি মেনে নিতে পারি যে, গ্লাস ছুঁড়ে মারার কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজন নিজেকে একটু সময় দেবার, শান্ত হবার, তাহলেই দেখা যাবে কিছু না করেই আমরা খুব সুন্দর করে আমাদের রাগকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবো।

মন অন্যদিকে সরিয়ে নেয়া

 আমরা যদি আমাদের রাগের মুহূর্তে আমাদের চিন্তা অন্যদিকে সরিয়ে নেই, তাহলেই সেই রাগের বহিঃপ্রকাশ হবে অনেক কম। আমরা সেইক্ষেত্রে কোনো হাসির কথা টেনে আনতে পারি কিংবা অন্য কোনো টপিকে কথা বলতে পারি।

অথবা আমরা পারি কিছু সময়ের জন্য সেই তর্ক থেকে সরে যেতে। এতে করে আমরা নিজে এবং অপরজন পরস্পরের যুক্তিগুলো নিয়ে ভাবার সময় পাবো এবং   ফলশ্রুতিতে সমাধান হবে সহজ।

সম্ভাব্য সমাধান খোঁজা

দোষত্রুটি অনেকটা আমাদের কাঁধে ঝোলানো ব্যাগের মত। তাই আমাদের অন্যের বক্তব্যও শুনতে হবে, তার যুক্তিগুলো বুঝার চেষ্টা করতে হবে। সম্পূর্ণভাবে অন্যের উপর দোষ না চাপিয়ে আমাদের নিজের দোষত্রুটির দিকেও নজর দিতে হবে।

আমরা কেউই দোষত্রুটির উর্দ্ধে নই। একাধারে অন্যের ভুল না ধরে অন্যকেও আপনার ভুল দেখিয়ে দেয়ার সুযোগ দিন। কারণ এতে লাভ আমাদের নিজেদেরই। খানিকটা কষ্ট হলেও একজন ভালো মানুষ হওয়ার, নিজেকে শুধরানোর প্রথম পদক্ষেপ নিজের ভুল জানা ও তা মেনে নেয়া।  

বিষয়টি অন্যভাবে দেখা

 আপনার সাথে কারো তীব্র তর্কাতর্কি হচ্ছে। সে একটি কথা বলছে তো সাথে সাথে আপনি পাল্টা আরেকটি। ঠিক এই মুহুর্তে কেউ যদি এসে আপনাকে বলে যে গতকাল তার মায়ের এক্সিডেন্ট হয়েছে, তাহলে কি আপনি চুপ করে যাবেন?  তখন কি আপনি শানতভাবে কথা বলার চেষ্টা করবেন? মেজাজ ঠান্ডা রেখে যুক্তি দিয়ে আপনি তর্কটি জিততে চাইবেন? উত্তর যদি হয় হ্যাঁ, তাহলে একটু ভাবুন। আপনাদের তর্কের বিষয়ের কি পরিবর্তন হয়েছে? -নাকি। উনি কি আপনার কথাগুলো মেনে নিয়েছেন? -না।  উনি রাগের মাথায় যা বলেছেন তা কি উনি ফিরিয়ে নিয়েছেন? – না।

কিন্তু তারপরেও আপনি শান্তভাবে এগুতে চাচ্ছেন, রাগহীনভাবে কথা বলতে চাচ্ছেন? কেন! কারণ আপনি আপনার রাগের কারণের উর্দ্ধে ভাবতে পারছেন। অধিকাংশক্ষেত্রেই আমরা একজনের রাগ অন্যের উপর ঝেড়ে থাকি। বাবা অফিসের রাগ মার উপর ঝাড়লো, মা সেটা সন্তানের উপর, সন্তান স্কুলে গিয়ে ঝগড়া করে বসলো তার বন্ধুর সাথে, এগুলো কিন্তু নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনা।আর তাই আমরা যদি একটু অন্যের প্রতি সহানুভূতির দৃষ্টি রেখে ভাবতে শিখি, তাহলে রাগের বিস্ফোরন তো অবশ্যই, রাগ নিয়ন্ত্রণও অনেক সহজ হয়ে যাবে।

প্রয়োজনে সাহায্যের দ্বারস্থ হওয়া

অনেকক্ষেত্রেই উপরের সকল প্রচেষ্টার ফল হয়ে থাকে শূণ্য। দেখা যায় দিন দিন রাগের পরিমাণ বেড়েই চলেছে আর নিয়ন্ত্রণ কমছে। এতে করে যেকোনো সময়ে হয়ে যেতে পারে বিভিন্ন দূর্ঘটনা কিংবা অনাকাঙ্খিত ঘটনা। তাই সচেতন হতে হবে আমাদেরকেই। নিজেকে প্রথমে স্বীকার করে নিতে হবে যে হ্যাঁ, আমার রাগ নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।

নিজেকে খুঁজে বের করতে হবে কোন কোন কাজ আমাদের ক্রোধের কারণ। পরিবার পরিজন বা বন্ধুমহলের কাছের কারো সাথে খোলামেলা আলাপ করা যেতে পারে। প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শও গ্রহণ করা উচিত। ডাক্তারের পরামর্শমত বিভিন্ন থেরাপি এক্ষেত্রে দারুণ সহায়ক। তাছাড়া মেডিটেশনও এক্ষেত্রে উপকারী ফল দেখায়।

আপনাকে আপনার কাছের কেউ ভয় পাক, তা নিশ্চয়ই আপনি চাইবেন না? আপনার রাগের কারনে আপনাকে কেউ এড়িয়ে চলুক তা নিশ্চয়ই কাম্য নয়? রাগের মাথায় নিজের কাজেই ভুল হোক তা নিশ্চয়ই আপনি আশা করেন না?

সেক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে আপনাকেই। রাগ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু তা যখন মাত্রা ছাড়িয়ে যায় তখনই তা ক্ষতির কারন হয়ে দাঁড়ায়। সেই ক্ষতির প্রভাব দেখা যায় ঘনিষ্ঠদের সাথে সম্পর্কেও নিজের কর্মক্ষেত্রেও। তাই আর অবহেলা নয়। রাগ নিয়ন্ত্রণে এখনই হোন সচেষ্ট,  নিজের জীবনকে গড়ে তুলুন সকলের শুভকামনা ও ভালোবাসায়।

লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

আমরা যারা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ব্যবহার করি । আমরা কখনো চাইনা আমাদের ওয়েবসাইট টি স্লো থাকুক। তাছাড়া, গুগলের সার্চ র‍্যাঙ্কিং এর অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর হলো এই সাইট স্পীড। কাজেই আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের সাইট স্পীড অপ্টিমাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা অনেক। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার সাইটের স্পিড বাড়ানো যায়:

Best Affiliate Marketing Site

ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য বিখ্যাত সাইটটি হলো ‘‘Fiverr’’ আপনি এখানে সকল ধরনের কাজ পাবেন।। নতুন ওয়েব সাইট খুলতে আপনার প্রয়োজন হবে ভালো ডোমেন এবং হোষ্টিং সাইট ।

আমার জানা মতে অনলাইনে বেষ্ট ডোমেন সাইটটি হলো ‘‘Namecheap, Domain.com’’এবং বেষ্ট হোষ্টিং সাইটটি হলো‘‘ Bluehost, iPage’ ওয়েব সাইট আরো ভালো ভাবে সাজানোর জন্য প্রয়োজন হয় ভালো ‘‘theme and plugin’’ আমার জানা মতে বেষ্ট সাইটটি হলো ‘‘Theme Forest’’ আপনাদের সুবিধার জন্য বেষ্ট ৫ টি থিমের নাম উল্লেখ করলাম। ‘‘Avada, The7FlatsomeBeTheme, Bridge’’ অনলাইনে সকল কাজ  ইংরেজিতে হয়ে থাকে।

আর আপনার ইংরেজি লেখা সঠিক হচ্ছে কিনা তার যাচাই করার জন্য আপনি বেষ্ট Grammar checker সাইট ‘‘Grammarly’’ ব্যবহার করতে পারেন। অনলাইনে এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনি ‘‘Amazon, CJ, Impact’’ সাইটটি ব্যবহার করতে পারেন। 

আপনার মূল্যবান সাইটটি SEO করে  অনলাইনে ভালো পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি ‘‘SEMrush, Yoast SEO, ConvertKit’’ ব্যবহার করতে পারেন। এবং সর্বপরি অনলাইনে কাজের টাকা উত্তোলনের জন্য আপনি বেষ্ট Dollar transaction Site ‘‘Payoneer’’ সাইটে এ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন এবং এখান থেকে Dollar  উত্তোলন করতে পারেন।

 আমি বিশ্বাস করি আপনি অনলাইনে এ সমস্ত সাইট ব্যবহার করলে আপনার অনেক উপকার হবে।।

Leave a Comment