যে ১০টি কাজ করলে নিজের সম্মান বেড়ে যাবে

আপনার নিজেকে সম্মান করা – খুব অদ্ভুত লাগে না শুনতে?  আদর্শলিপিতে একটি  কথা ছিল, ‘অপরকে

সম্মান করিবে’ নিজেকে সম্মান করার কোনো বিষয় সেখানে ছিল না। অথচ আজকের দিনে দাঁড়িয়ে

নিজেকে নিজের সম্মান করাটাই অনেক বড় একটা ব্যাপার। সবাই সেটা পারে না, অনেকে হয়তো জানেও

না এ বিষয়ে। নিজের আত্মউন্নয়নের জন্য, নিজেকে জানার জন্য, নিজের ব্যক্তিসত্ত্বা গড়ে তোলার জন্য

নিজেকে সম্মান করাটা খুব জরুরী হয়ে পড়ে । প্রত্যেক মানুষ আলাদা , প্রত্যেক মানুষের জীবন পরিবেশ

পরিস্থিতি আলাদা , নিজেকে সম্মান করার কায়দা ও আলাদা । তবু কিছু কিছু কাজ আছে যার মাধ্যমে

আরো বেশি করে নিজেকে সম্মান করা যায়।

এবার তাহলে সেই কাজগুলি সম্পর্কে একটু  ভাল ভাবে জেনে নেয়া যাক :

নিজেকে সম্মান করার ১০টি গুরুত্বর্পূণ উপায়:
১.ডায়েরি লেখার অভ্যাস করুন:

নিজের জীবনে চলার পথের সকল দিক বা বিষয়ের সর্ম্পকে ডায়রিতে লিপি বদ্ধ করুন। এবং সেখানে

লেখা নিজের জীবনে ঘটা খারাপ দিক গুলো প্রত্যাহার করুন। নিয়মিত ডায়েরি লেখার অভ্যাস চালিয়ে

জান।

২. নিজের ছোট ছোট প্রাপ্তি গুলোকে নিজের মধ্যে উপলব্ধি করুন:

নিজের জীবনের ছোট ছোট প্রাপ্তি গুলোকে নিজের মধ্যে উপলব্ধি  করতে শিখুন। এটা ভালো হতে পারে

আবার খারাপ হতে পারে। এখান থেকে আপনি শিক্ষা নিয়ে নতুন করে কাজ শুরু করতে পারেন।

দেখবেন আপনার ভালো হচ্ছে।

৩. নিজের শখ গুরুত্ব দিন :

নিজের শখ আহ্লাদ জীবনের অক্সিজেনের মতোন। নাগরিক জীবনের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলার জন্য এর চেয়ে

ভাল উপায় আর হয় না। নিজের শখের পিছনে সময় দিলে তা আপনাকে টাকা পয়সা না দিক, মরুভূমির

মাঝের মরুদ্যানের মত শান্তি দেবে, স্বস্তি দেবে। তাই  দিনের ব্যস্ত শিডিউলের ফাঁকেও চেষ্টা করুন অল্প

একটু সময় খুঁজে নিতে। শখ আপনার ব্যক্তিত্ব বহন করে, আপনার নিজস্বতা তুলে ধরতে সাহায্য করে,

সকলের কাছে নিজের দৃঢ় পরিচিতি তুলে ধরার মাধ্যম এটি।

৪. নিজের লক্ষ্যকে সুনির্দিষ্ট করতে চেষ্টা করুন:

নিজের লক্ষ্য নিজেই নির্ধারণ করুন। লক্ষ্যহীন জীবন কারো কোনো কাজে আসে না। না নিজের, না

সমাজের। আর আপনি নিজেকে যতটা ভাল চেনেন, অন্য কেউ ততোটা চেনে না। তাই এই সিদ্ধান্ত নেয়ার

অধিকার ও দায়িত্ব একমাত্র আপনারই আছে।  

৫. চ্যালেঞ্জ হাসিমুখে গ্রহণ করুন:

 চ্যালেঞ্জ শব্দটা আমাদের জীবনে সবচেয়ে বেশিবার শোনা শব্দগুলোর মধ্যে একটা,  যে চ্যালেঞ্জই আসুক

তার মোকাবেলা হাসিমুখে করুন। আপনি পারবেন কি না, এর ফলাফল কি হবে সেটা না হয় পরে ভাবা

যাবে। নিজেকে সম্মান করার জন্য নিজের উপর বিশ্বাস থাকা জরুরি। আর নিজের উপর বিশ্বাস থাকলে

যেকোনো সমস্যা হাসিমুখে গ্রহণ করা যায়।

 ৬. সব সময়পজিটিভ চিন্তা করতে শিখুন:

 প্রতিদিন নিজের ব্যাপারে পজিটিভ চিন্তা করুন। সব কাজে, সব রকম চিন্তা ভাবনায় পজিটিভিটি  নিয়ে

আসুন। নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না, ‘আমি পারবই, আমাকে পারতেই হবে’ এই মূলমন্ত্র নিয়ে এগিয়ে

যান। কারো সম্পর্কে অথবা কোনো বিষয় নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন। পজিটিভ

চিন্তা ভাবনা আপনাকে বিভ্রান্ত হতে দেবে না, মানসিকভাবেও এগিয়ে নিয়ে যাবে বহুগুণ, বাড়িয়ে দেবে

কাজকর্মের গতি। তাই সে দিকে খেয়াল রাখুন।

৭. অতীতকে বিদায় দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন:

অতীতের ঘটে যাওয়া ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে নিয়ে বাঁচতে শিখুন। যা গেছে তা তো গেছেই, যা

সামনে আছে তাই নিয়ে এগিয়ে যান। অতীতের সব আফসোসকে বিদায় দিয়ে নিজের বর্তমানকে যখন

স্বীকার করে আপন করে নিবেন, নিজের অজান্তেই নিজের চোখে নিজের অবস্থানকে আর দৃঢ় পাবেন।

৮. নিজের কাজের বাইরেও নতুন কিছু শিখুন:

 রোজকার রুটিনে কিছুটা সময় বরাদ্দ রাখুন নতুন কিছু করার জন্য, নতুন কিছু শেখার জন্য। নতুন

কিছু জানার আগ্রহটা ধরে রাখুন। জীবনের একঘেয়েমি দূর করার জন্য প্রতিদিন নতুন কিছু শেখার চর্চা

বজায় রাখুন। নতুন কিছু জানার আনন্দ জীবনে নতুন উৎসাহ সৃষ্টি করে। 

৯. নিজের অনিয়মিত জীবনাচরণ থেকে বিরত থাকুন:

 আপনার নিজের কাজ, আপনার দৈনন্দিন কর্মের ব্যবস্থাপনা আপনি যতটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসতে

পারবেন, আপনার কাজ, দৈনন্দিন জীবন ততো তাই গোছালো হবে। নিজের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গিটাও

বদলে যাবে। নিজেকে সম্মান করাটাও তখন কঠিন কিংবা অযাচিত বলেও কিন্তু মনে হবে না।

 ১০.  অন্যকে অনুপ্রেরণা যোগায় এমন ভাবে নিজেকে তৈরি করুন:

 আপনার ভবিষ্যৎ আপনার হাতে। ভাগ্যের হাতে সবকিছু ছেড়ে দেয়ার সময় শেষ। পাশের বাসার

ছেলেটার সাথে নিজের তুলনা দেয়া এবার বন্ধ করুন। এমনভাবে কাজ করুন যেন সবাই আপনাকে দেখে

অনুপ্রাণিত হয়। অন্যের গল্প শুনে শুনে অনুপ্রাণিত হওয়ার বদলে নিজের জীবনের গল্প দিয়ে সবাইকে

অনুপ্রাণিত করুন। কাউকে আদর্শ মেনে কাজ করা ভাল, কিন্তু আদর্শকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য থাকা

আরো ভাল। নিজের ভাল ভাল কাজের সম্পর্কে অন্যদের জানান; নিজের দাম বাড়ানোর জন্য না,

আপনার অভিজ্ঞতা জেনে তারাও যেন ভাল কাজে উদ্বুদ্ধ হয় তার জন্য

আরো জানুন: এসএসডি হোস্টিং কি ? ওয়েবসাইটের জন্য এসএসডি হোস্টিং কেন থাকা প্রয়োজন?

তাহলে বুঝতে পারছেন নিজেকে সম্মান দেয়ার অর্থ  কি হতে পারে। নিজের সম্বন্ধে বড় বড় কথা বলে

নিজেকে জাহির করাও নয়। নিজেকে ভালোবাসা, নিজের ইচ্ছা অনিচ্ছাগুলোকে গুরুত্ব দেয়া, নিজেকে

সঠিকভাবে সবার কাছে তুলে ধরা ।তাহলে আপনি নিজেকে নিজে সম্মান করতে পারবেন।।

Leave a Comment