শুরুতে কিছু কথা:-
প্রযুক্তি উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলছে আজকের সমগ্র বিশ্ব। এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বেও মানব
সকল। দিন যতই গত হচ্ছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শ মানুষের কাছে সহজ থেকে সহজতর হচ্ছে। এই
প্রযুক্তিগত উন্নয়নের অন্যতম নির্ধারক হিবেবে কাজ করছে ইন্টারনেট সেবা। দিন গত হবার সাথে সাথে
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ব্যাপক পরিমানে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এরই সাথে পরিবর্তন হচ্ছে মানুষের ধ্যান-
ধারণা, আলোচনা-সমালোচনা, লেখালেখি, মতামত, মুক্তচিন্তা শেয়ারিংয়ের কৌশল।
আরো জানুন:-
এক দশক আগে পর্যন্তও নিজের লেখা গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া ছিল বেশ কঠিন
এবং সেই লেখা বড় পত্রিকায় ছাপার সুযোগ ছিলো আরো কঠিন কাজ।আজ ঘরে ঘরে ইন্টারনেট আসার
হাত ধরেই এসেছে ব্লগিং। নিজের মতামত, লেখা, ছবি সবকিছুই মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সহজ
উপায় ব্লগ। নিয়মিত লিখতে লিখতে তৈরি হয়ে যায় পাঠককূলও।
আর হ্যাঁ এই ব্লগই হয়ে উঠতে পারে আপনার আয়ের উৎস। অনেকেই বলে থাকেন বাংলাদেশে এখনও
ব্লগ থেকে যথেষ্ট আয়ের সুযোগ নেই। কিন্তু এই দেশেই এমন ব্লগাররা রয়েছেন যারা তাঁদের ব্লগ থেকেই
আয় করছেন লাখ লাখ টাকা। উপায় আছে হাতের কাছেই। জানতে হবে কয়েকটি সহজ পদ্ধতি, আর
তাহলেই আপনার ব্লগটিই হবে আপনার ভবিষ্যতের আয়ের পথ।
ব্লগ আসলে কি:-
ব্লগ হলো একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি, নিজেকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরার মাধ্যম, নিজের ভাবাবেগ এবং
চিন্তাভাবনা প্রকাশের মাধ্যম। হ্যাঁ, আপনি চাইলে ব্লগে সকল কিছু করা সম্ভব। ব্লগ নিয়ে আমি বলব এটি
হলো চলমান বা ধারাবাহিক আপডেটেড ওয়েবসাইট। ব্লগ হলো “উইব্লগ” শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। আপনি
ব্লগকে “ব্লগ” বলুন বা “উইব্লগ” বলুন দুটো একই অর্থ বহন করে।
ব্লগের কিছু পরিভাষা:
ব্লগ পরিচালনায় যে ব্যক্তি প্রতিনিয়ত শ্রম দিয়ে যাচ্ছে তাকে বলা হয় ব্লগার । শ্রমটি হলো ব্লগিং । তাহলে
বলা যায়, ব্লগার ব্লগে ব্লগিং করে । কিন্তু আপনার উত্তরটি সন্তুষ্টি জনক হবে না। চলুন তাহলে নিচে দেখা
যাকঃ
Blog (Noun) | A journal or diary that is on the Internet |
Blogger (Noun) | A person who keeps a blog – Bloggers are revolutionizing the way news is shared. |
Blog (Verb) | To write a blog – I am going to blog before breakfast this morning. |
Blogging (verb) | The action of writing a blog – Blogging is my way of sharing my passions with the world. |
সাধারনত ব্লগ এমন জায়গা যেখানে ব্যক্তি তার নিত্য কাজগুলো লিখে রাখে।তাহলে আপনারা কিছুটা
হলেও বুঝতে পেরেছেন।
ব্লগের ইতিহাস কি?
আমরা কম বেশি সবাই ব্লগ বা ওয়েব ব্লগ শব্দটির সাথে পরিচিত। যারা ভাবছেন “ব্লগ” এটা আবার কি?
তাদের জন্য ব্লগ হচ্ছে বিশেষ ধরনের ওয়েব সাইট্, অনেকে একে ব্যাক্তিগত ডায়রীও বলে থাকে। তবে
সময়ের সাথে ব্লগিং এর ধারাতে অনেক পরিবর্তন এসেছে। এখন ব্যাক্তিগত ডায়রীর পরিবর্তে ব্লগ একটি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হয়ে উঠেছে। ওয়েব সাইট থেকে ব্লগের মূল পার্থক্য হল ওয়েব সাইট আপডেট
করা হয় অনিয়মিত ভাবে অপরদিকে ব্লগ আপডেট করা হয় নিয়মিত ভাবে। এমনকি কিছু কিছু ব্লগ প্রতি
মিনিটে আপডেট করা হয়।
আরো পড়ুন:-
ইন্টারনেট জগতে “ব্লগ” এর বয়স দশ পার হয়েছে। Blog শব্দটির আবির্ভাব Weblog থেকে।
Weblog শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয় দশ বছর আগে ১৯৯৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর। শব্দটির স্রষ্ট্রা
মার্কিন নাগরিক জন বার্জার। এর ঠিক দু’বছর পর ১৯৯৯ সালের এপ্রিল এবং মে মাসের মাঝামাঝি
সময়ে পিটার মহোলজ নামে একব্যাক্তি Weblog শব্দটিকে ভেঙ্গে দুই ভাগ করেন- We Blog এর পরই
সারা বিশ্বব্যাপী ব্লগ জনপ্রিয় হতে শুরু করে। তবে মাঝামাঝি সময়ে আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটে।
তা হল অনলাইনে দিনলিপি লেখার সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘ওপেন ডায়েরি’ যা ছিল অনেকটা
এখনকার ব্লগের মতোই। যারা ব্লগে পোস্ট দেয় তাদেরকে ব্লগার বলা হয়। ইংরেজী Blog শব্দের অর্থে
Oxford Dictionary তে বলা হয়েছে- Blog is a personal record that somebody puts
on their website giving an account of their activities and opinions and
discussing places on the Internet they have visited.
কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোন বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং
বলে। মত প্রকাশের একটি শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে এই দীর্ঘ দশ বছরে ব্লগ আমাদের জীবন যাত্রায়
এনেছে নতুন মাত্রা।
ব্লগ কি?
আপনি জানতে চান ব্লগ আসলে কি জিনিস? এটি কি খাওয়া যায়? নাকি এটা গায়ে চড়াবার জিনিস? মনে
যদি এসব প্রশ্ন এসে থাকে তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই আর্টিকেল আপনাকে ব্লগ নিয়ে
সকল তথ্য জানাবো ।
কোন একটি নির্দিষ্ট ওয়েব সাইটে কোন বিষয়কে পাঠকদের মতামত প্রদানের জন্য তুলে ধরাকে ব্লগিং
বলে। ব্লগিং জিনিসটা যদি সংক্ষেপে বলি তাহলে বলব বিভিন্ন ব্লগে বা ওয়েভ সাইটে যা লেখা লেখি হয়
তাই হল ব্লগিং । এই ব্লগিং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে, যেমন সাহিত্য, রাজনীতি, টেকনোলজি, ভ্রমণ
কাহিনী, আপনার জীবনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখা একটি ডায়েরির মত সব কিছু গুছিয়ে রাখা, এবং
তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান সম্বন্ধে লিখা ইত্যাদি।
আপনার যদি একটি ব্লগ থাকে তাহলে আপনি হাজারো পাঠকের মাঝে আপনার চিন্তা-ভাবনা, গবেষণা
এবং বিভিন্ন বিষয়ে অবহিত করতে পারবেন। এছাড়া ব্লগের মাধ্যমে আপনার জনপ্রিয়তার সাথে সাথে
হয়ে যেতে পারে আপনার অর্থ উপার্জন-র একটি বিকল্প উপায়।
ব্লগ কেন করবেন?
আপনি যদি কোন কিছু লিখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে ঐ বিষয়ের উপর অনেক লেখা পাবেন যা পড়ে
আপনি উপকৃত হবেন বা অনেক কিছু জানতে পারবেন। এমন ভাবেই ধরুন আপনি কোন বিষয়ে ভাল
জানেন আবার তা অন্য মানুষ জানলে তাদের উপকার হবে তাহলে আপনি ব্লগিং-এর মাধ্যমে পৃথিবীর
মানুষদের জানাতে পারেন আপনার সেই বিষয়ে। এতে করে তারা উপকৃত হবে। আবার অনেক ব্লগার
আছে যারা শুধু তাদের শখের বশে ব্লগিং করে থাকে। তাদের নিজেদের জীবন কাহিনী অন্যের সাথে
শেয়ার করে মজা পায়। যেমন আমি ব্লগিং করতেছি যারা ব্লগিং-এ নতুন তাদের সাহায্য করার জন্য বা
আরও অন্য বিষয়ে জানানোর জন্য। তাই আপনিও শখের বশেই হোক বা অন্যদের কোন কিছু জানানোর
জন্য বা শিখানোর জন্য ব্লগিং করতে পারেন। ব্লগিং অনেকে আছে যারা সামাজিক সম্মানের জন্য বা
যোগাযোগের জন্য ব্লগিং করে।
আরো পড়ুন:- কিভাবে ইন্সটাপেইজে অ্যাকাউন্ট খুলবেন
তবে বর্তমানে গুগল আডসেন্সের কারনে ৫০% ব্লগার তাদের ব্লগ ইনকামের জন্য তৈরি করে। বর্তমানে
ব্লগিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয় করা সম্ভব, বিশেষ করে গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে ব্লগিং করে বিভিন্ন
বিষয়ে আর্টিকেল লিখে ইনকাম করছে কিন্তু এই আয় এর পিছনে তাদের রয়েছে মহান ইচ্ছাশক্তি এবং
পরিশ্রম।
এখানে আপনি বিভিন্ন বিষয় এর উপর কাজ করতে পারেন। মানে আপনি আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা
আছে এবং যাকে ইংলিশে niche বলে সেই পছন্দের বিষয় এর উপর কাজ করার সুযোগ পাবেন।
উদাহণস্বরূপ : আপনি ভ্রমন, রান্না বান্না, খেলা ধুলা, বিনোনমূলক, ফাইন্যান্সের মতো দৈনন্দিন
জীবনের বিষয় গুলির উপর ব্লগিং শুরু করতে পারেন। যেহেতু এখন আমরা দৈনন্দিন জীবনে প্রচন্ড
রকম ভাবে ভার্চুয়াল জগতের উপর নির্ভর শীল হয়ে পরছি, তাই এই মুহূর্তে ব্লগিং সত্যিই খুবই
উপযোগী। আমাদের আর খবরের কাগজ পড়ার অভ্যাস নেই, আমরা বিভিন্ন ব্লগিং সাইটে গিয়ে সেই
বিষয় সম্পর্কে নানা রকম খবরা খবর নিতে পারি।
আরো পড়ুন:- ওয়েব সাইটে এডসেন্স অনুমতি পাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন।
এবার দেখা যাক কি ভাবে এই ব্লগিং করতে করতে আমরা টাকা আয় করতে পারি। ব্লগিং এর মাধ্যমে
আপনি গুগল অ্যাডসেন্স, অন্যান্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথেও যুক্ত হতে পারেন।যেখান থেকে
আপনি তাদের পলিসি অনু্যায়ী কাজ করলে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। তবে এটা যতটা সহজ উপায়
বলে মনে হয় আসলে ততটা সহজ নয়। এখানে আপনার প্রয়োজন প্রচন্ড রকম মানসিক দৃঢ়তা, একাগ্রতা,
অনুশাসন, চাপ নেবার ক্ষমতা। দিনের পর দিন মাসের পর মাস এরকম হবে যেদিন আপনি খুব ভালো
কাজ করলেন কিন্তু কোনো কারনে আপনার ব্লগ সাইটের তেমন কোনও ভিউ বা ক্লিক হয়নি। সুতরাং
আপনার কাছে সেই দিন টা ব্যর্থ হলেও হাল ছাড়লে চলবে না। আবার এমন দিন আসবে যেদিন আপনি
কোনো কিছু পোষ্ট লিখলেন না বা পাবলিশ করলেন না, তবুও আপনার অনেক পেজ ভিউ বা বিজ্ঞাপন
বিভিন্ন পাঠক দেখার জন্য আপনার অনেক অর্থ উপার্জন হল।
আরো পড়ুন:- প্রতিটি ব্যাবসা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন ওয়েবসাইট ।
সেদিন সত্যিই খু্ব ভালো লাগে। অবশ্য আপনাদের জানিয়ে রাখি যে ব্লগিং এর মাধ্যমে আয় কিন্তু টাকায়
নয় ডলার $ এ হয়। সত্যিই ভাবতে খুব আবাক লাগে তাই না। কিন্তু এটা একেবারে সত্যি। এর মধ্যে
আরো অনেক টেকনিক্যাল ব্যাপার আছে, যেগুলো আপনার ব্লগের লেখা গুলিকে একদম গুগল এর প্রথম
সারিতে নিয়ে গিয়ে দেখায়। এটিকে আসলে বলে রাঙ্কিং। আমি সত্যিই খুব আশাবাদী যে আগামী দিনে যত
জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাবে, এবং বেকারত্ব ও বাড়বে, ততই ইয়ং জেনারেশন ব্লগিং এ তাদের ভাগ্য নির্ধারণ
করার চেষ্টা করবে। যে হারে ইলেকট্রনিক মিডিয়ার বৃদ্ধির হার বেরেই চলেছে, এটা বলা যেতেই পারে যে
আগামী দিনে আমরা পুরো পুরি ভাবে directly অথবা পরোক্ষ ভাবে ব্লগ রিডিং এর উপড় নির্ভর হ য়ে
পড়বো। তাই আমার মতে আপনাকে এখন থেকে একটি ব্লগ সাইট খুলে কাজ শুরু করে দেওয়া উচিত।
তাহলে হবে কি একটি নিদিস্ট সময় পর আপনি ভালো আয় করতে পারবেন। তখন আপনাকে আর কোন
কাজের চিন্তা করতে হবে না।
আরো জানুন:
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার
সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে
অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে
রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।