বিষণ্ণতা দূরে রাখার জন্য প্রতিদিন যেই ১০টি জিনিস করতে পারেন

বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশন’ বর্তমান সময়ে নবজাতক শিশুটি ব্যতীত প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে এটি

বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। এই যান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থায় প্রায় অধিকাংশ মানুষই কম-বেশি ডিপ্রেশনে ভুগে

থাকে। বিশেষ করে মধ্যবয়সী ও বৃদ্ধ বয়সী মানুষের মাঝে এ ব্যাধিটি বেশি প্রকাশ পায়।

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন হলো ইমোশনাল ইলনেস বা আবেগজনিত মানসিক ব্যাধি। যেকোনো উদ্বিগ্নতা যখন

কোনো ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে ব্যক্তির স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, কর্মতৎপরতা ও পারষ্পারিক সম্পর্কসমূহের

মধ্যে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় তখন মস্তিষ্কের ‘সেরোটনিন’ জাতীয় রাসায়নিক পদার্থের গুণগত ও পরিমাণগত

তারতম্য ঘটে যা ব্যক্তিকে প্রচন্ড রকমভাবে ডিপ্রেশনে ভুগিয়ে থাকে। তবে, যেহেতু এটি একটি মানসিক

ব্যাধি; তাই এর থেকে দূরে থাকতে হলে আপনার ইচ্ছাশক্তি ও পজিটিভ মানসিকতাই যথেষ্ট।

দেখে নিন যে ১০টি জিনিস আপনাকে ডিপ্রেশন হতে দূরে রাখবে-

নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে পারেন:

জীবন মানেই সংগ্রাম। জীবনের প্রতিটি পদে পদে সংগ্রাম করেই বেঁচে থাকতে হয়। একজন ব্যক্তি তার স্বপ্ন

পূরণে বা লক্ষ্যে পোঁছাতেই সংগ্রাম করে থাকে। বিশাল জলসমুদ্রে একটি পালহীন নৌকার যেমন দিশেহারা

হয়ে যায় ঠিক তেমনি লক্ষ্যহীন মানুষ তার জীবনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না। লক্ষ্যহীন

জীবন যখন পালহীন নৌকার মতো দিশেহারা হয়ে যায় তখনই একজন ব্যক্তি প্রচন্ড রকমভাবে বিষণ্ণতা

বা ডিপ্রেশনে ভুগতে থাকে।

তাই জীবনটাকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করুন এবং প্রতিদিন সেই

লক্ষ্যে পোঁছাতে কাজ করুন। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য আপনার প্রতিটা দিন সুন্দরভাবে পরিচালনা করার

শক্তি সঞ্চয় করবে, ফলে বিষণ্ণতাও আপনাকে ঘিরে ধরতে পারবে না কখনোই।

নিয়মিত মেডিটেশন করতে পারেন:

নিজেদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে থাকি।

যেমন- খেলা-খুলা, শারীরিক ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করা। তবে  এসবের পাশাপাশি

‘মেডিটেশন’ শারীরিক ও মানসিক সুস্থ্যতা বজায় রেখে বিষণ্ণতা হতে দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা

পালন করে থাকে। মেডিটেশন হলো এমন একটি ব্যায়াম যা আমাদের মস্তিষ্কের ক্ষতিকর ও অপ্রয়োজনীয়

বিষয়াদি দূর করে বিষণ্ণতা হতে মুক্তি ও নিঁখুতভাবে মস্তিষ্কের কার্যসাধন করে থাকে।

বিষণ্ণতাকে দূরে রাখার অন্যতম একটি উপায় হলো ‘মেডিটেশন’। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির প্রোফেসর

Willem Kuyken এর মতে, বিষণ্ণতায় আক্রান্ত মানুষেরক্ষেত্রে মেডিটেশন ‘Anti-Depression’

ঔষধের মতো কাজ করে থাকে। এবং নিয়মিত মেডিটেশন করা একজন ব্যক্তির বিষণ্ণতায় আক্রান্ত

হবার ঝুঁকি ৩১% কমে যায়। অতএব, ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা হতে নিজেকে মুক্ত রাখতে আপনার

প্রতিদিনের ১৫-২০ মিনিটের মেডিটেশন হতে পারে অন্যতম সেরা একটি মাধ্যম।

ঘুম নিয়ন্ত্রন করতে পারেন:

‘ঘুম’ আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অপরিহার্য একটি অংশ। ঘুম ব্যতীত একটি মানুষের স্বাভাবিক

জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। তবে শুধু কম ঘুমালেই নয়, প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত ঘুমালেও একজন

ব্যক্তি শারীরিক ও মানসিক ব্যাধির সম্মুখীন হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের পরামর্শপত্র

অনুযায়ী একজন প্রাপ্তবয়স্ক (১৮ থেকে ৬৫ বছর) মানুষের ৭ ঘন্টার কম অথবা ৯ ঘন্টার বেশি ঘুমানো

উচিত নয়।

কম অথবা বেশি, দুটোই একজন মানুষের শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ক্ষতিসাধন করে থাকে। যা

বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশনে ভোগাতে ভূমিকা পালন করে। মূলত ‘নিয়ন্ত্রিত ঘুম’ হলো সকল শারীরিক ও

মানসিক সমস্যা সমাধানের প্রথম শর্ত। তাই বিষণ্ণতা বা ডিপ্রেশন হতে দূরে থাকতে সর্বপ্রথম আপনার

ঘুমকে নিয়ন্ত্রন করুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করতে হবে:

‘খাদ্য গ্রহন’ আমাদের জীবনের অপরিহার্য ও গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। বেঁচে থাকার সর্বপ্রথম শর্ত হলো-

খাবার গ্রহন করতে হবে। তবে খাবার গ্রহন যদি হয় অনিয়মিত ও অস্বাস্থ্যকর তাহলে তা আমাদের

শারীরিক ও মানসিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে যা আমাদেরকে বিষণ্ণতায় ভুগিয়ে থাকে।

আপনজন বন্ধুদের সময় দিতে শিখুন:

নিঃসঙ্গ ব্যক্তিদেরই বিষণ্ণতা সবচেয়ে বেশি আকঁড়ে ধরে। সাধারণত আমরা যখন একা থাকি ঠিক

তখনই আমাদের অতীতের যত কষ্ট-বেদনা ও ব্যর্থতাসমূহ মনে পড়ে যায়। নিজেকে তখন মূল্যহীন মনে

হয়। জীবনের প্রতি কোনো ভালোবাসা থাকে না। তখন একজন মানুষ আত্মহত্যার মতো জঘন্য সিদ্ধান্ত

নিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। যা জীবনের সবচেয়ের বড় ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে। 

আপনাকে ভালোবাসার মতো অনেক মানুষ রয়েছে। বিশেষ করে আপনার পরিবারের মানুষগুলো।

নিজের খারাপ সময়গুলোতে তাদের সাথে সঙ্গ দিন। তাদের মতো করে আর কেউ বুঝবেনা আপনাকে।

এমনকি মন খারাপের সময়গুলোতে আপনার ভালো বন্ধুগুলোর সাথেও সময় কাটাতে পারেন। কিছু বন্ধু

থাকে, যাদের সাথে সময় কাটালে মনটা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তাদেরকে ভালোবাসুন, দেখবেন

তারাও আপনাকে বড্ড বেশি ভালোবেসে কাছে টেনে নিবে। আর ভালোবাসার মাঝে বিষণ্ণতা কখনোই

ভাগ বসাতে পারে না।

সুস্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল

তাই বিষণ্ণতা হতে দূরে থাকতে আমাদেরকে প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকর ও রুচিসম্মত খাবার গ্রহন করা উচিত।

বিশেষত তরল ‘ভিটামিন ডি’ ও ‘ভিটামিন বি12’ গ্রহন করুন। সেইসাথে ভিটামিন কে 2, ভিটামিন সি,

ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এবং বি-কমপ্লেক্স ভিটামিনগুলো আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত

গুরুত্বপূর্ণ। এবং ক্যাফেইন জাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল হতে যথাসম্ভব দূরে থাকুন।

সবসময় হাসিখুশি উৎফুল্ল থাকার চেস্টা করুন:

অল্প কিছুতেই কারো প্রতি মন খারাপ করে থাকা বর্তমানে আমাদের একটি ফ্যাশনে পরিনত হয়ে গেছে।

মূলত ‘ইগোর’ কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। এছাড়াও হতাশা, ব্যর্থতা ও মনোমালিন্য অথবা অন্য কোনো

কারণেও অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে রাখে। হাসতে ভুলে যায়, মনের উৎফুল্লতা হারিয়ে যায় অজানায়।

এভাবে ধীরে ধীরে একজন ব্যক্তি বিষণ্ণতায় নিমজ্জিত হতে থাকে।

মন হচ্ছে মানুষের প্রধান চালিকা শক্তি। তাই মনকে সবসময় উৎফুল্লা রাখবেন। কেননা মনের উৎফুল্লতা

আপনাকে সবসময় চাঙ্গা রাখবে। হাসি-খুশি ও উৎফুল্লতা ধীরে ধীরে আপনার জীবন হতে হতাশা ও

একঘেয়ামী হতে মুক্ত দিবে। আর হ্যাঁ, শুধুই মুচকি হাসি নয়! অনুকূল অথবা প্রতিকূল, প্রতিনিয়ত প্রাণ

ভরে হাসার চেষ্টা করবেন যদিও তা সব মানুষের পক্ষে সম্ভব হয় না। তারপরও বিষণ্নতাকে দূরে সরাতে

প্রাণ ভরে হাসবেন, যা আপনার স্ট্রেস হরমোনের রিলিজ কমে গিয়ে এন্ড্রোফিন রিলিজ বৃদ্ধি পায় এবং

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

ব্যর্থতা সফলতা সমূহ নোট করতে শিখুন:

জীবন যুদ্ধের পথচলায় ‘ব্যর্থতা-সফলতা’ একটি চক্রাকার বৃত্ত যা বারবার প্রতিটি মানুষের কাছে ফিরে

আসে। তাই কোনো কাজে ব্যর্থ হলে হতাশ হওয়া যাবে না। ব্যর্থতার পর সফলতা আসবেই। ব্যর্থতাগুলো

সমাধান না করে সেগুলো নিয়ে যতো ভাববেন আপনি সফলতা হতে ততই পিছিয়ে পরবেন। একটা সময়

পিঠ দেওয়ালে গিয়ে ঠেকবে। আর তখনই বিষণ্ণতা ঘিরে ধরবে চারপাশ হতে।

ব্যর্থতা অথবা সফলতা, মনের কথাগুলো প্রতিদিন লেখার অভ্যাস করুন। প্রতিদিনের ব্যর্থতাসমূহের

লিস্ট করুন, ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠা বা কীভাবে মোকাবিলা করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে  সেটাও লিখে

রাখুন। এতে করে তাৎক্ষনিক সমাধান পেয়ে যাবেন এবং পরবর্তীতে একই সমস্যার সম্মুখীন হলে সেই

সমস্যার সমাধানও করতে পারবেন খুব সহজে। এবং প্রতিদিনর সফলতাগুলোও আপনার মনে প্রশান্তি

জোগাবে আর আত্মবিশ্বাস বাড়বে। ব্যর্থতাসমূহের দ্রুত ও সঠিক সমাধান এবং সফলতার অনন্য মিশেলে

বিষণ্ণতা রবে ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে।

সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিন:

আমরা সাধারণত আমাদের অঙ্গীয় সমস্যাবলী সম্পর্কে যতটা সচেতন ঠিক ততটাই অসচেতন আমাদের

মানসিক সমস্যাসমূহের প্রতি। মানসিক সমস্যা সমাধানে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়ার নূন্যতম

গুরুত্বটুকুও দেই না। এমনকি আমরা আমাদের মানসিক সমস্যাসমূহ কারোও কাছে প্রকাশ করার ইচ্ছা

পোষণ করি না। কারণ আমাদের সমাজে মানসিক রোগী বলতে আমরা শুধু ‘পাগল’ই বুঝে থাকি। অথচ

বর্তমান সময়ে আত্মহননের প্রধান কারণই এই ‘মানসিক ব্যাধি’, বিশেষত ডিপ্রেশন বা বিষণ্ণতা।

‘ডিপ্রেশন’ বা ‘বিষণ্নতা’ মানসিক ব্যাধিসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন

সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আমরা বিষণ্ণতায় ভুগে থাকি। সমস্যার সমাধানের চেষ্টা না করে আরো হতাশাগ্রস্ত

হয়ে পড়ি। ধীরে ধীরে ‘বিষণ্ণতা’ আমাদের ভেতর মারাত্মক ব্যাধী হিসেবে ধারণ করে যা ব্যক্তিকে একটা

সময় আত্মহনের দিকে ধাবিত করে। সম্প্রতি ‘বিষণ্ণতা’ ব্যাধিটি এদেশের তরুন-তরুনীদের মাঝে অতি

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, বাড়ছে আত্মহননের সংখ্যাও। তাই বিষণ্নতায় ভুগলে এটাকে অবহেলা না করে

একজন সাইক্রাটিস্টের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়া উচিত। একজন সাইক্রাটিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী

জীবন পরিচালনা করলে সহজেই এই মারাত্মক ব্যাধী হতে রক্ষা পাওয়া যায়। এবং নিজেদের মাঝেও

সচেতনতা বাড়াতে হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন:

বর্তমানে সময়ের এই যান্ত্রিক জীবন পরিচালানায় আমরা নিজেরাও যেন একটি যন্ত্রে পরিণত হতে চলছি।

আধুনিকতার ছোঁয়ায় হাতের কাছেই পেয়ে যাচ্ছি সব, অলসতা আকঁড়ে ধরে বসেছে আমাদের। শুধু তাই

নয়, অলসভাবে কাটানো সময়টুকুও যেন আমরা বিভিন্ন অহেতুক কাজে নিজেদের ব্যস্ত রাখছি। যা

আমাদের সামান্য ব্যর্থতাতেই প্রচন্ডরকমভাবে বিষণ্ণতায় ভুগিয়ে থাকে। তখন জীবনটা আমাদের কাছে

হয়ে পরে দুর্বিষহ সাথে একঘেয়ামিতা আকঁড়ে ধরে ভীষণভাবে। 

ব্যস্ততম শহরের জীবনযাত্রায় হতাশা, অলসতা ও ব্যর্থতার আদলে আকঁড়ে ধরা বিষণ্ণতা হতে দূরে

থাকতে কিছু সময়ের জন্য ইট-পাথরের এই যান্ত্রিক শহর হতে কিছুটা দূরে কোথায় প্রাকৃতির সান্নিধ্যে চলে

যান। প্রকৃতিকে ভালোবাসুন, প্রকৃতিও আপনাকে ভালোবেসে তার অপরূপ মহিমায় সাজিয়ে তুলবে

আপনাকে।

নিয়মিত প্রার্থনা করুন:

‘ধর্ম’ আমাদের জীবনে সর্বোৎকৃষ্ট একটি জিনিস। প্রায় প্রত্যেকটি মানুষই তার নিজ নিজ ধর্মীয়

মূল্যবোধের সহিত জীবন পরিচালনা করার চেষ্টা করে থাকে। প্রত্যেকটি মানুষই তার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ

থেকে দৃঢ় বিশ্বাস করে থাকে যে, সকল বিপদ-আপদ হতে রক্ষা করার মালিক একমাত্র আমাদের সৃষ্টিকর্তা

এবং এই বিশ্বাসটুকু প্রতিটি মানুষের মাঝে থাকা উচিত, যা হতাশাগ্রস্ত একজন মানুষকে হতাশামুক্ত হতে

সাহায্য করে। যেহেতু আমরা এটাও বিশ্বাস করে থাকি যে, ‘সৃষ্টি যা করেন তা আমাদের ভালোর জন্যই

করেন’।

মূলত প্রার্থনা হলো সৃষ্টিকর্তার সাথে যোগাযোগ করার অন্যতম মাধ্যম। শত প্রতিকূল পরিবেশেও

সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া আদায় করলে হতাশা হতে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। University of

Mannmeim এর জার্মান মনোবিজ্ঞানীরা গবেষণা করে বের করেছেন যে, ‘প্রার্থনা মানুষকে

আত্মনিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে থাকে’। এমনি প্রার্থনা আপনার মনের স্থিরতা, মানব মনের সতেজতা ও শক্তি

বহাল রাখে। তাই, আপনি যে ধর্মালম্বীর অনুসারীই হোন না কেন; নিয়মিত প্রার্থনা আপনাকে বিষণ্ণতা

হতে দূরে রাখবে।

মোটকথা, বিষণ্নতাকে দূরে সরিয়ে জীবনকে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে হলে আপনাকে

প্রতিনিয়ত নিজের কাজগুলোর ধারাবাহিকতা বজায় রেখে অভ্যাসে পরিণত করতে হবে। তবেই আপনি

সব বাঁধা-বিপত্তিসমূহকে দূরে সরিয়ে একজন সুখী মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকতে পারবেন জীবনাবসান

অবধি।

পরিশেষে: লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে

থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো

পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Leave a Comment