বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং ।
এনালগ মার্কেটিং ছেড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকে জানুন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল মার্কেটিং ।
ইন্টারনেট হল বর্তমান সময়ের মার্কেটিং এর প্রধান কার্যকারী মাধ্যম। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার
কারণে দিন দিন এনালগ মার্কেটিং এর চেয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং বেশি কার্যকরী হয়ে উঠছে। মানুষ দিন
দিন যত বেশি প্রযুক্তির দিকে ঝুকে পড়ছে, ইন্টারনেট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রও তত বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
ব্যাপারটা আরও সহজ ভাবে বোঝা যায় কেন এর চাহিদা বাড়ছে। তাঁর আগে আমরা বাংলাদেশের
প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু ধারণা লাভ করি। বিশ্বে যেখানে বর্তমানে ৩২০ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার
করে সেখানে বাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগনের প্রায় ৮ কোটির বেশী মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যাবহার
করছে। জনপ্রিয় যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারী ৩ কোটি। এর থেকে সহজে অনুমান
করা যায় কেন দিন দিন ডিজিটাল মার্কেটিং এত জনপ্রিয় হচ্ছে। কারন খুব সহজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে
মানুষের কাছে খবর পেীছানো যায়।
আরও সহজ করে বলি ব্যাপারটি – ধরুন আপনি একটি পণ্যর টেলিভিশন বিজ্ঞাপন দিবেন, এর জন্য
আপনার খরজ পড়বে বড় ধরণের একটা এমাউন্ট কিন্তু আপনি এই খরচ করেও বুঝতে পারছেন না
আপনার কতজন কাস্টমার এই বিজ্ঞাপনটি দেখল। অন্যদিকে এই এমাউন্টের ১ % ব্যাবহার করে আপনি
এর থেকে ভালো বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন অনলাইনে এবং এই বিজ্ঞাপনে আপনার কতজন কাস্টমার
বিজ্ঞাপনটি দেখলও সে তালিকাও ও আপনি পেয়ে যাবেন সহজে।
আরও সুবিধা আছে, ধ্রুন টেলিভিশনে আপনি যে পণ্যটির বিজ্ঞাপন দিবেন সেটি হল পুরুষের স্মার্ট
ওয়াচ। এ ক্ষেত্রে প্রায় ৮০% পুরুষ ই আপনার কাস্টমার আর বাকি ২০% আপনার কাস্টমারের ওয়াইফ,
বাবা , মা বা বোন হতে পারে আপনার কাস্টমার। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন প্রচার
করেন তাহলে আপনার বিজ্ঞাপনটি কতজন পুরুষ মানুষ দেখবে সেটা চিন্তার বিষয় কারণ আমরা
বর্তমান সময়ে টেলিভিশনে সবথেকে যে বিষয়টি অপছন্দ করি তা হল বিজ্ঞাপন, ফলে আপনার
বিজ্ঞাপনটির প্রচারণাই কোন ফলাফল আসছে না আর আস্লেও ও সেটা অর্থের তুলনাই অনেক কম।
আপনার চাহিদা অনুযায়ী আপনি ফলাফল পাচ্ছেন না এদিকে আপনার বিজ্ঞাপন খরচ বেড়েই চলেছে।
এনালগ মার্কেটিং ছেড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং সর্ম্পকে জানুন।
এবার আসুন কাজটি এনালগ মার্কেটিং ছেড়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ করলে আপনার কি পরিমান লাভ হত
দেখা যাক। আমরা ফেসবুক মাধ্যমটাই ধরি। কারন এখন যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম।এখানে আপনি
আপনার টার্গেটেড কাস্টমার কে আপনার বিজ্ঞাপনটি অতি সহজে একজন ডিজিটাল মার্কেটারের
সাহায্য তাঁর নিকট পৌঁছে দিতে পারবেন। ঘড়ির ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনার টার্গেটেড কাস্টমার হল ১৮
থেকে ৪৫ বছর বয়স্ক পুরুষেরা, আবার যারা শুধুমাত্র স্মার্ট ওয়াচ ব্যবহার করে তারা, তারপর যারা
শুধুমাত্র ঢাকাতে থাকে তারা অথবা যারা শুধুমাত্র ব্যাংকে চাকরি করে বা ইউনিভার্সিটিতে পড়াশুনা
করে তাদের কাছে বিজ্ঞাপনটি প্রচার করতে পারবেন। আর এটি একজন ডিজিটাল মার্কেটারের সাহায্য
ডিজিটাল মার্কেটিং এই সম্ভব। আজ এ পর্যন্ত, ভাল থাকরব