ভিজিটর হচ্ছে একটি ব্লগের হার্ট। শুধুমাত্র ভাল মানের আর্টিকেল থাকলেই হবে না, প্রচুর পরিমানে
টার্গেটেড ট্রাফিক সাইটে ড্রাইভ করাতে না পারলে আপনার সব প্রচেষ্টাই বৃথা। অনেকে ব্লগে ট্রাফিক
ড্রাইভের জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের উপর জোর দেয় তবে এটা কিছুটা সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
জেনে অবাক হবেন আপনার ব্লগের ফেসবুক ফ্যান পেইজটাকে ব্যবহার করেও খুব দ্রুত টার্গেটেড ট্রাফিক
ড্রাইভ করানো সম্ভব। বর্তমানে অনেক নামিদামি কোম্পানির ওয়েবসাইটগুলো ট্রাফিক ড্রাইভের জন্য
ফেসবুক মার্কেটিং এর উপর জোর দিয়েছে। ব্যাপারগুলো কঠিন নয় । আমি যে ট্রিকসগুলো শেয়ার
করবো সেগুলো ফলো করতে হবে। কথা আর না বাড়িয়ে চলুন জেনে কি সেই ট্রিকসগুলো –
১. পোস্ট ডেসক্রিপশন করে:
আপনি যে আর্টিকেলটি পেইজে প্রমোট করবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন পেইজের পোস্টে ডেসক্রিপশনটা
যাতে বেশি বড় না হয়। অনেকে পোস্টের ডেস্ক্রিপশন এতো বড় দেয় যে ফ্যানরা প্রথম দেখাতেই বোরিং
ফিল করে। যার কারনে পোস্টে এঙ্গেইজমেন্ট হয় না। পোস্টের ছোট ডেসক্রিপশন পেইজের এঙ্গেইজমেন্ট
বাড়ায়। সেই সাথে ক্লিক থ্রো রেট বাড়িয়ে দেয়। তবে পোস্টের ডেসক্রিপশন লিখার ক্ষেত্রে টুইটারের ১৪০
ক্যারেক্টার ফরমেটটা ফলো করলে ভাল কাজে দিবে।
২. ইমেজ পোস্ট করতে পারেন:
প্রথমত আসি ফেসবুক পেইজের ইমেজ পোস্ট নিয়ে। এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ফেসবুক পেইজে ইমেজ
টাইপ পোস্ট করলে ১২০% বেশি এঙ্গেইজমেন্ট হয়। তাই চেষ্টা করুন আপনার ব্লগের আর্টিকেলের সাথে
মিলিয়ে বড় সাইজের প্রাসঙ্গিক ইমেজ দিতে। আর অবশ্যই খেয়াল রাখবেন ইমেজ কোয়ালিটি যাতে ভাল
মানের হয়।
৩. লিঙ্ক প্রিভি করতে পারেন :
যদি আপনি পোস্টে ইমেজ ব্যবহার না করেন তবে টেক্সটের সাথে লিঙ্ক প্রিভিউটা ব্যবহার করতে পারেন
যা আপনার পোস্টটি ক্লিকেবল করে তুলবে আপনার পেইজের ফ্যানদের নিকট। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখবেন
লিঙ্ক প্রিভিউটি দেখানোর পর পোস্টের টেক্স থেকে লিঙ্কটা মুছে দিবেন নতুবা ক্লিন লাগবে না পোস্টটি।
৪. উক্তি করতে পারেন:
ব্লগের আর্টিকেলের কোন বিশেষ উক্তি পিক করে সেটা পোস্টের ডেসক্রিপশনে দিয়ে যার উক্তি তার ছবি
পোস্টের সাথে এটাচ করে করেও আপনি ব্লগের আর্টিকেলের ক্লিক থ্রো রেট বাড়াতে পারেন। আমার বাস্তব
অভিজ্ঞতায় দেখেছি উক্তি সম্বলিত পোস্টগুলো ফেসবুকে সবার কাছে এতো গ্রহনযোগ্যতা পায় যে
পোস্টটি বেশি ভাইরাল হয়ে পেইজের এঙ্গেইজমেন্ট কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়।
৫. লাইফ স্টাইল/টিপসঃ
সর্বদা আপনার প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস রিলেটেড পোস্ট করলে পেইজের ফ্যানরা বোরিং হয়। তাই লাইফ
স্টাইল অথবা টিপস রিলেটেড আর্টিকেল যখনই লিখবেন সেটি আপনার ফেসবুক পেইজে শেয়ার করুন।
৬. কোয়েশ্চেন টাইপ পোস্টঃ
পোস্টের ডেস্ক্রিপশনটা যদি কোয়েশ্চেন টাইপ হয় তবে সেটা ফ্যানদেরকে বেশি এঙ্গেইজ করে সেই সাথে
বাড়িয়ে দেয় ক্লিক থ্রো রেট।
৭. সপ্তাহের সেরা আর্টিকেলগুলো নিয়ে পোস্ট করে:
সপ্তাহের কোন একটি নির্দিষ্ট দিনে আপনার ব্লগের সপ্তাহের বেস্ট আর্টিকেলগুলো নিয়ে পেইজে পোস্ট
করতে পারেন। এতে আপনার পেইজের ফ্যানরা এক পলক আর্টিকেলগুলো দেখার সুযোগ পাচ্ছে এবং
পাশাপাশি এ ধরনের অপশনের কারনে নির্দিষ্ট আর্টিকেলে ফ্যানদের ক্লিক থ্রো রেট বাড়িয়ে দিচ্ছে।
৮. ব্লগ কন্টেস্টঃ
মাঝে মাঝে ব্লগে কন্টেস্টের আয়োজন করে সেটি ফেসবুক ফ্যান পেইজে প্রমোট করেও ট্রাফিক ড্রাইভ
করাতে পারেন। কারন আপনি যখন কন্টেস্টটি ফেসবুকে প্রমোট করবেন তখন আপনার পেইজের
ফ্যানরা এতে এঙ্গেইজমেন্ট করতে চাইবে সেক্ষেত্রে ব্লগের কন্টেস্টে এঙ্গেইজমেন্টের পাশাপাশি টোটাল ব্লগে
ট্রাফিক ড্রাইভ করাতে পারছেন।
৯. ফেসবুক পেইড এডভার্টাইজমেন্টঃ
আপনার ফেসবুক ফ্যান পেইজের পোস্ট ফেসবুক পেইড এডভার্টাইজমেন্ট করিয়েও ব্লগের জন্য কাঙ্খিত
ট্রাফিক ড্রাইভ করাতে পারেন। ফেসবুক পেইড ক্যাম্পেইনের দুটো সুবিধা আছে- একটি হল আপনার
ফ্যান পেইজের টোটাল ফ্যানদের নিকট পোস্টটি রিচ করাতে পারছেন। দ্বিতীয়ত পেইজের অলরেডি
ফ্যান যারা আছে তাদের বাইরেও আপনার ব্লগটি যে ধরনের ইন্ড্রাস্টি নিয়ে লেখালেখি করে সেই
ইন্ড্রাস্টির প্রতি ইন্টারেস্টেড রিডার আপনি পেইড কাম্পেইন করে পাচ্ছেন।
১০ শর্ট ভিডিওঃ
মাঝে মাঝে পেইজে আপনার ব্লগ আর্টিকেলের বিষয়বস্তু নিয়ে একটা শর্ট ভিডিও সংযুক্ত করে পোস্ট
করুন। কারন ভিডিও টাইপের পোস্টগুলো পেইজের ফ্যানদের বেশি এঙ্গেইজ করে। আর ভিডিওটি এমন
হওয়া দরকার যাতে ওই ভিডিও থেকে ফ্যানরা নির্দিষ্ট আর্টিকেলের ব্যাপারে ভালভাবে জানতে পারে
যাতে তাদের জানার তৃষ্ণাটা আরো বেড়ে যায় এবং আর্টিকেলের লিঙ্কে ক্লিক করে বাকিটুকু জানতে আগ্রহ
প্রকাশ করে।
অতএব উপরের এই ১০ টি ট্রিকস আপনি যদি ক্রিয়েটিভলি ফলো করতে পারেন, দেখবেন আগের থেকে
আপনার ব্লগ সাইটে কয়েকগুন হারে ট্রাফিক বেড়ে গিয়েছে। আমি এই ১০টি ট্রিকস শেয়ার করলাম তবে
এর বাইরেও কারো যদি কোন ট্রিকস জানা থাকে অবশ্যই কমেন্টে শেয়ার করবেন।
ভালো থাকবেন।।