কখনো কি আপনার ফেসবুক এ্যাকাউন্ট হ্যাকিংয়ের চেষ্টা করেছে? হ্যাকার যাতে আপনার
ফেসবুক এ্যাকাউন্ট হ্যাকিং করতে না পারে,সে বিষয়ে কিছু কথা বলবো আজ।
নিজের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখার উপায়:
১. ফেসবুকের পাসওয়ার্ড অন্য কোন ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয় বা এটি কারো সঙ্গে শেয়ার করা
ঠিক না।
২.পাসওয়ার্ড হতে হবে ছোটবড় অক্ষর ও নম্বর মিলিয়ে, অন্ততপক্ষে আট সংখ্যার, যা সহজে কেউ ধারণা
করতে না পারে।
৩. কখনোই ফেসবুকের লগইন তথ্য ফেসবুক ছাড়া আর কোথাও প্রবেশ করানো যাবে না।
৪.অনেক সময় স্ক্যামাররা ভুয়া ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেসবুকের আইডির লগইন ইমেইল বা পাসওয়ার্ড
চাইতে পারে। এরকম ক্ষেত্রে আগে সেই ওয়েবসাইটের ইউআরএল দেখে নিন। ফেসবুকের বাইরে আরো
কোন শব্দ সেখানে থাকলে বা কোন সন্দেহ হলেই www.facebook.com টাইপ করে একাউন্ট খুলুন।
৫.যেখানে অনেক ব্যক্তি একই কম্পিউটার ব্যবহার করেন, সেখানে অবশ্যই ফেসবুক ব্যবহার শেষে
লগআউট করুন।
আরো পড়ুন:
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
৬.যদি ভুলে যান, তাহলে ফোন বা অন্য কোন কম্পিউটারে ফেসবুকে লগইন করে সিকিউরিটি এন্ড
লগইন সেটিংয়ে গিয়ে দেখতে পাবেন, সর্বশেষ কোথায় আপনি লগইন করেছিলেন। সেখানে ডিভাইস
সনাক্ত করে লগআউট করে দিতে পারেন।
৭.ফেসবুকের পরামর্শ, কখনোই এমন কাউকে বন্ধু হিসাবে গ্রহণ না করা, যাকে আপনি চেনেন না।
৮.কম্পিউটার বা মোবাইল খুব আস্তে কাজ করছে, এমন সফটওয়্যার দেখতে পাচ্ছেন যা আপনি ইন্সটল
করেননি, আপনার সার্চ ইঞ্জিন পাল্টে গেছে কিন্তু আপনি তা করেননি,তখনো বুঝতে হবে হয়তো আপনি
আক্রান্ত হয়েছেন। এ ধরণের ক্ষেত্রে ESET বা TrendMicro সফটওয়্যার ব্যবহার করে কম্পিউটার বা
মোবাইল পরিষ্কার করার পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক। ক্রোম ক্লিন আপ টুল ব্যবহার করে ব্রাউজার দূষণ
মুক্ত করা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: ওয়ার্ডপ্রেস এবং কেন এটি সেরা ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম
আরো পড়ুন: SEO সর্ম্পকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা যা জানা দরকার(অধ্যায়-১১)
৯.যদি ঘনিষ্ঠ কোন বন্ধু বা ফেসবুক বন্ধুর কাছ থেকে কোন ইমেইল, মেসেঞ্জারে বার্তা, বা পোস্ট পান,
যা হয়তো তার স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে মেলে না, সবচেয়ে ভালো হবে সেটায় ক্লিক না করা বা সাড়া না
দেয়া। যেমন কেউ হয়তো লিখতে পারে যে, সে কোথাও বেড়াতে গিয়ে বিপদে পড়েছে অথবা আপনার
মেসেঞ্জারে এমন একটি লিংক পাঠিয়েছে, যার কোন কারণ নেই। এক্ষেত্রে তাকে আলাদাভাবে একাউন্টে
নক করে বা বার্তা পাঠিয়ে জিজ্ঞেস করতে পারেন। এ ধরণের সন্দেহজনক কিছু দেখলে রিপোর্ট করার
পরামর্শ দিয়েছে ফেসবুক।
আরো পড়ুন: অনলাইনে জব ২০২০: আয় করার সহজ উপায়।
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার
সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে
অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে
রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো। ভাল থাকবেন।