ডিজিটাল মার্কেটিং (Digital Marketing) জনপ্রিয় হলেও এর বাস্তবিক পরিসর অনেক বড়। এ ফিল্ডে
ভালো করার জন্য তাই বহু মার্কেটার নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে নিজেদের দক্ষ করে তোলেন। ডিজিটাল
মার্কেটিং কত প্রকার হতে পারে ও এগুলো কেন গুরুত্বপূর্ণ, সে সম্পর্কে জেনে নিন এ লেখায়।
ডিজিটাল মার্কেটিং সাধারণত অনেক প্রকারের হয়ে থাকে তবে ছয়টি প্রকার অন্যতম। আজকে আমি এই
ছয় প্রকার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো।
1.কনটেন্ট মার্কেটিং Content marketing
2.সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন Search engine optimization (SEO)
3.সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং Search engine marketing (SEM)
4.সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং Social media marketing (SMM)
5.ইমেইল মার্কেটিং Email marketing
6.ওয়েব এনালাইটিক্স
এ বিষয়গুলো বেশি গুরুত্বর্পূণ ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য তাহলে আলোচনা করা যাক।
কনটেন্ট মার্কেটিং :
কনটেন্ট হলো কোন একটি বিষয় বা বস্ত কে কেন্দ্র করে ব্লগ ,ছবি বা ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে তার
আকর্ষণীয় বর্ণনা করে তা ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশ করা। বিভিন্ন পণ্যের ডিজিটাল বিজ্ঞাপনকেও
কনটেন্ট মার্কেটিং বলা যায়। ব্লগিং এর মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, অনলাইনে ছবি বা
পোষটারিং অথবা ভিডিও মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচারকে কনটেন্ট মার্কেটিং বলে।
বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিনে দ্রুত নিজের ওয়েবসাইটকে নিয়ে আসার জন্য সব থেকে সহজ আর জনপ্রিয়
মাধ্যম হল কন্টেন্ট তৈরি করা। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি
পার্টের নাম কন্টেন্ট সৃষ্টি। অনলাইনের যে কোন পোস্ট বা ফোরাম পোস্টে যদি আপনার সাইটের কি
ওয়ার্ড ব্যবহার করেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার সাইটকে র্যাঙ্গ করবে এবং আপনার গ্রাহক অতি সহজে
আপনাকে খুজে পাবে। আপনি আপনার কন্টেন্ট সমূহ যত বেশী আপডেট রাখবেন আপনার সাইট এর
র্যাঙ্গ তত বাড়তে থাকবে। আপনাকে আপনার সাইট এর উপর নির্ভর করে আপনার কি ওয়ার্ড রিসার্চ
করতে হবে এবং এ অনুযায়ী সঠিক কি ওয়ার্ড সিলেক্ট করতে হবে। আপনার কি ওয়ার্ড আপনি আপনার
কনটেন্টে যত ভালোভাবে ইউজ করবেন আপনার সাইট পপুলারিটি তত বাড়তে থাকবে। আপনার সুন্দর
কন্টেন্ট এর মাধ্যমেই আপনি অতি সহজে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার অবস্থান তৈরি করতে পারবেন।
আপনাকে সবসময় ইউনিক কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে মনোযোগ দিতে হবে। আপনার কন্টেন্ট যত বেশী
ইউনিক হবে আপনার কন্টেন্ট এর ভ্যালু তত বাড়বে। আর কপি কন্টেন্ট থেকে বিরত থাকবেন। একটি
কার্যকরি কৌশল আপনার পাঠকদের জন্য তৈরি করুন এবং তাদেরকে আপনার কাছ থেকে আরো তথ্য
জানতে আগ্রহী করে তুলুন। আপনার ব্যবসা ব্রান্ডিং এর জন্য একটি কন্টেন্ট তৈরি করুন ।
ইমেইল মার্কেটিং:
ডিজিটাল মাধ্যমে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায়ে আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর
কার্যকারি পদ্ধতি হল ইমেইল মার্কেটিং। আপনি কি বিক্রি করছেন সেটা কোন বিষয় না। এক ক্লিকেই
আপনার সার্ভিসটি সম্ভাব্য হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। বিভিন্ন পদ্ধতিতে ইমেইল
কালেকশন করে এক ক্লিকে আপনার পণ্যটির বিজ্ঞাপন পৌঁছে দিতে পারেন মুহূর্তের মাঝে। এতে আপনি
প্রচুর গ্রাহক পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ইমেইলের মাধ্যমে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা:
এটি দীর্ঘমেয়াদি একটি প্রক্রিয়া। সাধারণত অনলাইন কোন ফর্মের মাধ্যমে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ইমেইল
অ্যাড্রেস সংগ্রহ করতে হয় এ কাজের জন্য। তবে আমাদের দেশে এর ব্যবহার এখনো সীমিত।
যখন কোন বার্তা গ্রাহকদের কাছে ইমেইলের মাধ্যমে পোঁছানো হয় তখন তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে।
ইমেইল মার্কেটিং সফটওয়্যার দিয়ে আপনি সহজেই ই-মেইল লিস্ট গ্রাহকদের পছন্দ এবং অপছন্দ এবং
খরচ অভ্যাস সহ বিভিন্ন কারণের উপর ভিত্তি করে আলাদা করে বজায় রাখতে পারেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি অনলাইনে গ্রাহকদের নিকট আপনার পন্যে বা সেবার প্রচার করতে পারবেন ।
আপনার নিজেস্ব সাইটেরও প্রচার করতে পারবেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই আপনি আপনার ক্রেতাদের কাছে আপনার পণ্যের তথ্য সহজে পৌছে দিতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর স্ট্যান্ডার্ড মাধ্যম হল ই-মেইল মার্কেটিং। এটি আমাদের দেশের থেকে বাইরে বেশী জনপ্রিয়।
ই মেইল মার্কেটিং এর জন্য দেশের বিভিন্ন বয়সের কিংবা বিভিন্ন ক্যাটাগরির মানুষের মেইল এড্রেস
জোগাড় করতে পারেন, যে পণ্যের মার্কেটিং করতে চান, সেটি নিয়ে ভালভাবে গবেষণা করুন, অন্য
কোম্পানীর একই পণ্যকে নিয়ে ও তাদের মার্কেটিং কৌশল নিয়ে গবেষণা করুন, আপনার মেইলে
সবচাইতে সহজভাবে আপনার পণ্যের গুণ বর্ণনা করুন । ইমেইল মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রয়োজন
একটি ওয়েবসাইট, মার্কেটিং টুলস। এর পর শুরু করুন ই মেইল মার্কেটিং।
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই মুহূর্তেই আপনি আপনার পণ্য বা সেবা কে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে তুলে ধরতে পরবেন।
ইমেইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অধিকাংশ ক্রেতা অনলাইন প্রচারণা ও বিজ্ঞাপনের ব্যাপারে সন্দিহান হয়ে থাকেন। তাই আপনার পণ্য বা
সার্ভিসের উপর তাদের আস্থা অর্জনে নিয়মিত ইমেইল ভূমিকা রাখতে পারে।
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান বা এসইও মূলত আপনার ওয়েবসাইটি গুগল, ইয়াহু অথবা অন্য কোন সার্চ
ইঞ্জিনে অনুসন্ধান ফলাফলগুলি পর্যালোচনা করে থাকে। আজকের ডিজিটাল প্রতিযোগিতার বাজারে
পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এসইওর মাধ্যমে আপনার
পণ্যকে গুগল সার্চের বা সার্চ ইঞ্জিনের সবচাইতে উপরে নিয়ে আসবে, এতে আপনার পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি
পাবে। কারন বর্তমানে মানুষ কোন পণ্য কেনার আগে গুগল থেকে বা সার্চ ইঞ্জিন থেকে সার্চ দিয়ে সিদ্ধান্ত
নিয়ে থাকে। গুগল তার তথ্য গুলো নিয়মিত আপডেট করে। আপনার সাইটি টি যদি এসইও করা থাকে
তবে গুগল সার্চে প্রথম পেজ এ দেখাবে ফলে আপনার গ্রাহক বৃদ্ধি পাবে।
বর্তমান সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং এ একটি অত্যান্ত জনপ্রিয় শব্দ হল এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন।সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন বলতে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি
ওয়েবসাইটকে তুলে ধরা বা সাইটে কি আছে তার গুরুত্ব সার্চ ইঞ্জিনকে বুঝানোকেই সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন বলে। এই এস ইওর উপর ই নির্ভর করে আপনার সাইটটি কত দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে আসবে
আরো জানুন : ডিজিটার মার্কেটিং কি ? এবং এর কাজ কি?
সেটি । আর যদি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার সাইট না আসে সে ক্ষেত্রে আপনার মার্কেটিং করা বা আপনার
সাইট করাই বৃথা। কোন একজন কাস্টমার আপনার সাইট এ আসবে না পন্য বা সেবা নিতে সে সার্চ
ইঞ্জিনে এ আসবে যে সেবা বা পন্য প্রয়োজন সেটা নিতে এবং সার্চ ইঞ্জিনে ওই প্রোডাক্টের নামেই সার্চ দিবে
এবং ওই সার্চে যেন আপনার প্রডাক্টটি বা আপনার সাইট টি আসে তাই নিশ্চিত করাই সার্চ ইঞ্জিনের
কাজ।
এই প্রতিযোগিতার বাজারে পণ্যের মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এসইওর গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে। এসইওর
মাধ্যমেই আপনি আপনার পণ্যকে সহজে গুগলের সার্চের সবচাইতে উপরে নিয়ে আসতে পারছেন, যার
ফলে আপনার পণ্যের বিক্রিও বৃদ্ধি পাচ্ছে কারন বর্তমান সময়ে মানুষ কোন কিছু কেনার আগে সার্চ
ইঞ্জিনের সহায়তা নিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পন্যকে সার্চ ইঞ্জিনে ভালোভাবে চিনিয়ে
দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে আপনার পন্যর বিক্রয় অবশ্যই বেড়ে যাবে। এস ইওর ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ
বিষয়টি হল সঠিক কি ওয়ার্ড রিসার্চ করা। এই কি ওয়ার্ড এর উপর নির্ভর করে আপনার সার্চ ইঞ্জিন
মার্কেটিং এর সফলতা। এস ই ও সাধারণত ২ ভাবে হয়ে থাকে White Hat SEO এবং Black Hat
SEO. সার্চ ইঞ্জিনে আপনাকে আসতে হলে বা নিজের ওয়েব সাইটের প্রচারের জন্য এস ইওর বিকল্প নেই।
আপনাকে অবশ্যই একটি ভালো এস ই ও ফার্মে আপনাকে যোগাযোগ করতে হবে। ডিজিটাল মার্কেটিং এ
আপনাকে আসতে হলে সর্বপ্রথম আপনার এস ই ও করাটাই শ্রেয় হবে।
সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন?
প্রত্যেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে কোন না কোন বিষয়ের উপর তথ্য খোঁজেন। সে তথ্য যদি
আপনার পণ্য বা সার্ভিসের সাথে সম্পর্কিত হয়, তাহলে আপনি নিশ্চয় চান যে ব্যবহারকারী আপনার
পণ্য বা সার্ভিসের ব্যাপারে জানুক। কিন্তু আপনার মতো আরো অনেকে হয়তো একই পণ্য বা সার্ভিস দিয়ে
থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য হবে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে সবচেয়ে উপরের দিকে থাকা। এর জন্য সার্চ
ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দরকার হবে আপনার। এই জন্য সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান এতো গুরুত্বপূর্ণ
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং :
একজন অনলাইন মার্কেটারের অবশই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং(এসইএম) সম্পর্কে সুষ্পষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে।
এ জন্য কিছু সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং ফ্যাক্টর সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। এতে করে আপনি পাবেন
সম্পূর্ণ সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বেনিফিটস । শুধুমাত্র সার্চ ইঞ্জিনই যেকোন ব্রান্ডের অনলাইনে উপস্থিতি ও
উন্নতির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। কয়েকটি উপাদান লক্ষ রেখে আপনি সহজেই কোন ব্যাক্তি অথবা
দলের সমন্বয়ে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিযোগীদের পিছনো ফেলে আপনার সাইটটিকে রাঙ্কিং করতে
পারবেন । আমাদের অবশ্যই মনে রাখা উচিৎ যে সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর কাজটি বলা অপেক্ষা করা
অনেক বেশি সহজ। সকল অনলাইন মার্কেটিং প্রক্রিয়াই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর আওতাভূক্ত।
সহজ অর্থে সার্চ ইঞ্জিনে পেইড মার্কেটিং কেই সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং বলে।এটাকে ডিজিটাল মার্কেটিং এর
পেইড মাধ্যম বলা যেতে পারে। এখানে আপনি পে করে নিজের সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের উপরে নিয়ে
আসতে পারেন। এটি ৩ ভাবে হয়ে থাকে পে পার ক্লিক, কস্ট পার ক্লিক, কস্ট পার ইমপ্রেশন। এর
যে কোন একটি আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে দিতে পারেন। এসইএম বিভিন্ন
প্ল্যাটফর্মের হয়ে থাকে তার মধ্যে Google AdWords, Bing, Yahoo নেটওয়ার্ক সবচেয়ে বেশি
জনপ্রিয়। এছাড়াও এসইএম বিজ্ঞাপন অনুসন্ধান, মোবাইল মার্কেটিং, পুনঃবাজারজাতকরণের এর ক্ষেত্রে
ব্যবহৃত হয়। সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং অনলাইন মার্কেটিং এর সব চেয়ে সাশ্রয়ী অনলাইন মার্কেটিং যা কিনা
আপনার রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়াতে সক্ষম।
সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া হবার কারণে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও সতর্কতার সাথে এটি
বাস্তবায়ন করতে হয়। কিন্তু আপনার পণ্য বা সার্ভিসের বিক্রি বাড়ানোর জন্য হয়তো ততটা সময়
আপনার নাও থাকতে পারে। এক্ষেত্রে টাকা খরচ করে সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে বিজ্ঞাপন দিলে তুলনামূলকভাবে
কম সময়ে আপনার প্রচারণার ফলাফল পেতে পারেন।
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং :
Social Media Marketing আসলে কি? সাধারনভাবে বলতে গেলে আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেট
ব্রাউজিং এর মাধ্যমে social communication এর জন্য যে সাইট গুলো ব্যবহার করে থাকি
সেগুলেো হল সোসাল মিডিয়া, আর এ সব মাধ্যমে যদি কোনে প্রোডাক্ট প্রমোট করি তা্হলে তা হবে
সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং। যেমন, টুইটার, পিন্টারেস্ট, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব, ফেইসবুক, রেডিট,
লিংকডিন সহ ইত্যাদি Social Media Site।
ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুইটারসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো হলো
Social Media Marketing.আপনার ব্যাবসা প্রচার প্রচারণার জন্য এর থেকে আর ভাল কোন
মাধ্যম পাবেন না । আপনি অতি সহজে কোন খরচ ছাড়াই এই মাধ্যম গুলোতে প্রাথমিক প্রচার প্রচারনা
চালাতে পারবেন। এখানে কিছু একটিভ একাউন্ট থেকে শুরু করে একটিভ পেজ, গ্রুপ, কমিউনিটি তৈরি
করতে পারেন। যেখানে আপনি আপনার পন্যর বিস্তারিত বিজ্ঞাপন প্রচার করতে পারবেন। আপনার
টার্গেটেড কাস্টমারদের কমিউনিটিতে যুক্ত করুন এবং আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন, উত্তর, সুবিধা,
প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয় গুলো নিয়ে নিয়মিত পোস্ট বা কমেন্টস করুন। কমিউনিটিতে একটিভ
থেকে কমিউনিটি একটিভ রাখার চেষ্টা করুন। ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে আপনার Social Media
Page কিংবা Group লিংকগুলো সিগনেচার হিসেবে ব্যবহার করুন। আপনার নিজের ওয়েবসাইটে
কিংবা কোন ব্লগ সাইটে পোস্ট করার ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার লাইক বাটন যুক্ত করুন। সকল সোশ্যাল
মিডিয়াতে সক্রিয়ভাবে নিয়মিত অংশগ্রহণের জন্য ম্যানেজমেন্টটুলস ইউজ করুন । প্রতিটি সোশ্যাল
মিডিয়াতে নিজেদের কমিনিটি তৈরি করে ফেলুন। নিজেদের পণ্যের প্রচারের পাশাপাশি উপকারী পোস্ট
করুন। এতে করে আপনার গ্রুপটির জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে। এবং অনেকের উপকার ও হবে ।কারন
আপনি অন্যের উপকার করলেই তার ভালো ফল পাবেন।
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সোশ্যাল মিডিয়া প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে জনপ্রিয়। এতে অল্প খরচে ও স্বল্প সময়ে বহু সংখ্যক
গ্রাহকের কাছে সহজে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানো সম্ভব। এবং তাদের কাছে পণ্যের সর্ম্পকে সহজে
বলা যায়।কারন এখন অধিকাংশ মানুষ সোশ্যাল মিডিয়া র্নিভরশীল ।
ওয়েব এনালাইটিক্সঃ
ওয়েব এনালিটিক্স হল আপনার ওয়েব সাইট টি কতজন ভিজিট করছে কোন অঞ্চল থেকে কেমন বয়সীরা
ভিজিট করছে তা বিভিন্ন সাইট বা সফটয়্যারের মাধ্যমে বিশ্লেষণ করা। এক কথায় বলা যায় একটি
ওয়েব সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইসিস করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে।আমরা
অনেকেই গুগুল ওয়েব এনালাইটিক্স, বিং ওয়েব এনালাইটিক্স এবং ইয়াহু এর ওয়েব এনালাইটিক্স এর সাথে
পরিচিত। এগুলো দিয়ে কোন একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটরের তথ্য সহ অন্যান্য তথ্য গুলো পাওয়া যায়।
এ ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অসংখ্য পদ্ধতি রয়েছে।
ওয়েব এনালিটিক্স সর্ম্পকে আরো ভাল জানতে ও টুল কিনতে ভিজিট করুন SEMruch সাইটে ।
এই ছয়টি বিষয় ছিলো গুরুত্বপূর্ণ ।এছাড়াও ডিজিটার মার্কেটিং এর জন্য আরো বেশ কিছু গুরুত্বর্পূণ মার্কেটিং আছে সেগুলো হলো:
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং Affiliate marketing
- মোবাইল মার্কেটিং Smartphone marketing
- রি – মার্কেটিং Landing page marketing
- ভাইরাল মার্কেটিং Viral marketing
- .ভিডিও মার্কেটিং
এগুলো সর্ম্পকে আলোচনা করা হলো
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং :
কোন পণ্য বা সার্ভিসের সরাসরি বিক্রয়ে সাহায্য করে অর্থ উপার্জনের জন্য যে প্রচারণা চালানো হয়,
তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) বলে। সাধারণত আমাজন বা দারাজের মতো
ইকমার্স সাইটগুলোর পণ্য ও সার্ভিসের ক্ষেত্রে এ মার্কেটিংয়ের বহুল ব্যবহার রয়েছে। তবে সরাসরি বিক্রি
হওয়া অন্য যেকোন পণ্য বা সার্ভিসের বেলায় এটি প্রযোজ্য হতে পারে।
আপনি যখন নিজে আপনার নিজের সাইটে এ বা অন্যখানে অন্য কোন কোম্পানির সার্ভিস বা পন্য
কমিশনের বিনিময় সেল করিয়ে দিবেন তখন তাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বুঝায়। সহজে কমিশনের
বিনিময়ে অন্যর মার্কেটিং কেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ প্রয়োজন ধৈর্য
কারন এখানে আপনি রাতারাতি খুব বেশি কিছু করে ফেলতে পারবেন না। এখানে তারাই সফল হতে
পারবে যারা ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে পারবেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিং এর
একটি আধুনিক মার্কেটিং সিস্টেম যেখানে কোম্পানি গুলো খুব চাতুরতার সাথে নিজেদের প্রমোশন
করিয়ে নিচ্ছে অনেকটা ফ্রিতেই।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং গুরুত্বপূর্ণ কেন?
কোন পণ্য বা সার্ভিস কেনার আগে ক্রেতারা এর মান সম্পর্কে জানতে চান। এর ভালো-মন্দ দিক নিয়ে
তাদেরকে জানানো সম্ভব রিভিউর মাধ্যমে। কেউ আপনার রিভিউ পড়ার পর যদি অ্যাফিলিয়েট লিংকে
ক্লিক করে ঐ পণ্য বা সার্ভিস কিনে থাকেন, তাহলে লাভের একটা অংশ পাবেন আপনি। কম সময়ে
ক্রেতাদের আস্থা অর্জনে তাই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ভূমিকা রাখতে পারে।
মোবাইল মার্কেটিং
মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা চালানোকে মোবাইল মার্কেটিং বলে। উল্লেখ্য যে,
উপরের সব ধরনের মার্কেটিং মোবাইলের বেলাতেও প্রযোজ্য। এছাড়া, এসএমএস পাঠিয়েও মোবাইল
মার্কেটিং চালানো সম্ভব।
ডিজিটাল মার্কেটিং এ, এসএমএস মার্কেটিং, এমএমএস মার্কেটিং, ব্লুটুথ মার্কেটিং, ইনফ্রারেড মার্কেটিং এর
মাধ্যমে যে মার্কেটিং করা হয়ে থাকে তাকেই আমরা মোবাইল মার্কেটিং বলে থাকি। আর এগুলোর মধ্যে
“SMS FOR MOBILE” মার্কেটিং পদ্ধতিটি সব থেকে গুরুতুপূর্ণ। আপনি আপনার পন্যর কোন
ইনফরমেশন, ডিস্কাউন্ট, ইত্যাদি সম্পর্কে ছোট আকারের এস এম এস তৈরি করে গ্রাহকদের পাঠাতে
পারেন, এটি আপনার নতুন গ্রাহক সৃষ্টিতে সহায়তা করে থাকে । কাষ্টমারদের কাছে নতুন পণ্যের সর্ম্পকে
জানানোর খুবিই সহজ উপায় মোবাইল র্মাকেটিং।
মোবাইল মার্কেটিং কেন গুরুত্বপূর্ণ?
মোবাইল ফোন বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ডিজিটাল ডিভাইস। দিন দিন মোবাইল ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বেড়ে চলেছে। এর মাধ্যমে প্রচারণা চালালে তাই লাভবান হবার সম্ভাবনা বেশি
থাকে।
বাংলাদেশে এর সংখ্যা অনেক।আপনি অল্প খরচে আপনার পণ্যের সর্ম্পকে কাষ্টমারের কাছে জানাতে
পারবেন। এবং তারা খুব সহজে আপনার পন্যে সর্ম্পকে জানতে পারে। এজন্য মোবাইল মার্কেটিং খুব
গুরুত্বর্পূণ
রি – মার্কেটিং
ডিজিটাল মার্কেটিং এর সর্বশেষ ডেভোলপ মার্কেটিং স্টার্টেজি হল রি মার্কেটিং। রি – মার্কেটিং একটি
কৌশল যেখানে গ্রাহকরা ইতিমধ্যে আপনার ব্যবসা আগ্রহ দেখিয়েছে এবং আপনার লিস্টে তারা টার্গেট
হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আপনি এ পর্যায়ে তাদের নিকট মার্কেটিং করতে পারেন। সামাজিক নেটওয়ার্কে
বা মোবাইলেও আপনার সাইটে রি – মার্কেটিং ব্যবহার করতে পারবেন। রি মার্কেটিং একটি অ্যাডভান্স
প্রযুক্তি যার মাধমে আপনি আপনার মুল টার্গেটেড কাস্টমারের নিকট আপনার সেবা বা পন্যর মার্কেটিং
করতে পারেন এবং এটি সবথেকে ফলপ্রসূ মার্কেটিং পদ্ধতি।
ভাইরাল মার্কেটিং
আপনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অনেকাংশে নির্ভর করে ভাইরাল মার্কেটিং ও কনটেন্টের
উপর।আপনার সুন্দর কন্টেন্ট ই আপনাকে ভাইরাল মার্কেটিং করতে সহায়তা করবে।বর্তমান সময়ে
ডিজিটাল মার্কেটাররা ডিজিটাল মার্কেটিং এ সবথেকে বেশী ব্যবহার করছে ভাইরাল মার্কেটিং স্টার্টেজি।
আপনি যদি কোনভাবে একটি পোস্ট বা কন্টেন্ট কে ভাইরাল করতে পারেন তবে সেই কন্টেন্ট আর
আপনাকে প্রমোট করার প্রয়োজন হবে না। মানুষই ভাইরাসের মত কনটেন্টটি ছড়িয়ে দেবে সবখানে।
তাই সবসময় চেষ্টা করুন ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করতে তাহলে অতি সহজে আপনার মার্কেটিং হয়ে
যাবে। এই ধরণের কনটেন্ট তৈরী ও প্রকাশ করার পরে আপনার কাজ ফেসবুক, ইউটিউব সহ সকল
সোশাল মিডিয়াতেই ইনসাইট বা এ্যানালিটিকস এ নজর রাখা ফলে আপনি জানতে পারবেন একটি
কনটেন্ট কতোটা ভালো পারফর্ম করছে বা না করলে কি সমস্যার কারণে করছে না ইত্যাদি। একটি
ভাইরাল কন্টেন্ট তৈরি করতে ক্যাপশন, পোস্ট করার সময়, প্রিভিউ ইমেজ ইত্যাদির দিকে নজর রাখতে
হবে।
ভিডিও মার্কেটিং
বর্তমান সময়ের অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং মাধ্যম হল ভিডিও মার্কেটিং বা ইউটিউব মার্কেটিং।
বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এ সবথেকে বেশী কার্যকারী মাধ্যম হল ভিডিও মার্কেটিং। ইন্টারনেট এর
সহজলভ্যতা যত বেশী হবে ভিডিও মার্কেটিং এর কার্যকারিতা তত বাড়তে থাকবে। আপনি খুব সহজে
একটি ভিডিও ভাইরাল করার মাধ্যমে আপনি আপনার কোম্পানির বা ওয়েবসাইটের প্রচার বাড়াতে
পারবেন।
আপনি একটা ভিডিও তৈরি করে সেটা বিভিন্ন ভিডিও সাইটে দিতে পারেন যেমন ইউটিউব,
ডেইলিমোশন, ভিমিও, রেভের ইত্যাদি। সবখানে আপনার ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়বে এবং ওয়েবসাইটে
ভিজিটর ও বাড়বে। এবং সেখানে আপনি আপনার পন্যের বিঙ্গাপন দিতে পারবেন । ইউটিউব মার্কেটিং
এর গুরুত্ব অনেক বেশি কারন এখন মানুষ তার প্রয়োজনীয় জিনিসটা দেখতে চাইলে সহজে ইউটিউব
র্সাচ দিয়ে দেখে থাকে।