ডিজিটাল মার্কেটিং এর বর্তমানে গুরুত্ব কতটুকু

What is the importance of digital marketing?

আমাদের বিশ্ব যখন জিজিটাল মার্কেটিংয়ের আওতাভুক্ত তখন আমাদের বাংলাদেশও এর বাহিরে নয়।

আমাদের দেশও এগিয়ে চলেছে তার গতিতে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। আসলে এটা কি

এবং কিভাবে করতে হয় আর এর গুরুত্বই বা কি? মার্কেটিংয়ের কথা তো আমরা অনেক শুনেছি কিন্তু

এই মার্কেটিং-এর কথা হয়তো আজ প্রথম শুনলাম যা অনেকের কাছে মনে হতে পারে। তাই সব তর্কের

অবসান হবে মূল বিষয়টি ভালোভাবে বোঝার পর। ততক্ষন আমরা এই পাতায় থাকবো। এবং ‍ডিজিটার

র্মাকেটিং সর্ম্পকে ভালভাবে বোঝার চেষ্টা করবো ।

ডিজিটার মার্কেটিং কি?

আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন দিক এবং এর কৌশল সম্পর্কে। মার্কেটিং

বলতে আমরা কতটুকু বুঝি এটা আগে জেনে আসি তারপর ডিজিটাল মার্কেটিং। মার্কেটিং বলতে কোন

পণ্য বা সেবার প্রচার ও প্রসারের পদ্ধতিকে বোঝায়। অর্থাৎ, আমরা যদি সহজভাবে বলি তাহলে এই

ভাবে বলা যাই- যেকোন পণ্য বা সেবা যে পদ্ধতির মাধ্যমে মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়া হয় তাই হচ্ছে

মার্কেটিং। যুগের পরিবর্তনে আজ হয়তো ডিজিটাল মার্কেটিং– এর জন্ম হয়েছে। কিন্তু, আপনি যদি ২/৩

যুগের পূর্ব পর্যন্ত কল্পনা করেন তবে কি দেখতে পান। তখন মার্কেটিং সিস্টেমটা কেমন ছিল? তখন

আমরা দেখেছি কোন পণ্য প্রচারের ক্ষেত্রে টেলিভিশন এবং রেডিও ছিল মাধ্যম। এর পর  ছিল স্থানীয়

প্রচার প্রচারণা যেমনঃ মাইকিং, পোস্টার প্রভিতি। আজ অবশ্য এগুলো সবই আছে প্রচারের জন্য কিন্তু,

নতুন করে যোগ হয়েছে ডিজিটাল মার্কেটিং বলে একটি শব্দ যা খুবই ইফেক্টিভ ও যুগোপযোগী মাধ্যম

বলে মানুষ মনে করে। বিশ্ব এগিয়ে চলেছে তার সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন দেশ এগিয়ে চলেছে ।এবং তার

এগিয়ে চলেছে মানুষ, তারা ব্যবহারে জন্য বিভিন্ন ডিজিটার পণ্য ব্যবহার করছে । 

ডিজিটাল মার্কেটিং :

বর্তমানে আমরা  ডিজিটাল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলেছি। আপনি যে পৃথিবীতে বসবাস করছেন

ডিজিটাল প্রযুক্তির মধ্যে। যেহেতু আমাদের বসবাস ডিজিটাল প্রযুক্তির ভিতর ,তাই আমাদের নিত্য

প্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিস ডিজিটাল প্রযুক্তির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। আজ আপনি অনলাইনের

মাধ্যমে যে কোন পণ্যের  সেবা পাচ্ছেন এই ডিজিটাল প্রযুক্তির আশীর্বাদে। যেমন- আপনার দরকারী

কোন কিছু অর্ডার করছেন অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডার কোন কোম্পানীর কাছে এবং ওই কোম্পানী

তাদের প্রাইভেছি ও পলিসি অনুযায়ী আপনাকে সেবাটি প্রদান করছে। এখানে উক্ত কোম্পানী যে

পদ্ধতিতে মার্কেটিং করছে এটাই মূলতঃ ডিজিটাল মার্কেটিং।

এছাড়াও অন্যান্য মাধ্যম গুলো যেমনঃ তারবিহীন টেক্সট মেসেজ, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, মোবাইল

সরাসরি মেসেজিং, ইলেকট্রনিক বিলবোর্ড, অনলাইন টেলিভিশন ও রেডিও চ্যানেল ইত্যাদিও এতে

অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

কিভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং করে আয় করবেন?

এতক্ষন আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি ধারনা পেলাম। আর আমরা যদি এই মার্কেটিং করে

আয় করতে চাই তবে কিভাবে সম্ভব? আমরা যদি একটু ভেবে দেখি যারা এই সার্ভিস প্রোভাইড করে

তাঁরা আসলে কি মার্কেটিং করে? তারা কিন্তু, ডিজিটাল মার্কেটিং করে। এখন আপনি বলতে পারেন তারা

তো অনেক মূলধন বিনিয়োগ করে আজ এই অবস্থানে আসছে আমি কি তাদের মতো এভাবে পারবো

কারণ আমার তো আর এতো ক্যাপাসিটি নেই। কথাটা অবশ্য সত্য ,কিন্ত ডিজিটার মার্কেটিং এর কাজ

আমরা সবাই করতে পারবো।

অনলাইনে কোন সাইটে একজন কোন সার্ভিস বা সেবা প্রদান করে এবং অন্য জন সেটা গ্রহণ করে আর

এই সিস্টেম বা পদ্ধতিকে অনলাইনের ভাষায় ডিজিটাল মার্কেটিং বলে। এক্ষেত্রে আপনি যে কোন সেবা

প্রদান করে ডিজিটাল মার্কেটিং করতে পারেন সেটা যদিও হয় কোন ছোট পরিসরে তবুও তা ডিজিটাল

মার্কেটিং-এর আওতাভুক্ত।

এছাড়াও অনলাইন ভিত্তিক আমাদের অনেকেরই নানা রকম দক্ষতা আছে যেমন- ওয়েবসাইট

ডেভেলপার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, কন্টেন্ট রাইটার, এস.ই.ও সার্ভিস, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,

এফিলিয়েট মার্কেটিং, সিপিএ মার্কেটিং, বই লিখে সর্বোপরি অনলাইন আর্নিং জগতে যা কিছু আমাদের

প্রয়োজন হয়। সবই এই মার্কেটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা যাই। আর এটা যদি কেউ ঠিকঠাক করতে

পারে তবে এই মার্কেটিং থেকে খুব ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারবে বলে আমি মনে করি।

এখানে আপনার কোন পণ্য কোন পণ্য নাই, অন্যের পণ্য বিক্রি করে আপনি কমিশন হিসাবে টাকা আয়

করতে পারবেন।ডিজিটার র্মাকেটিং করে আপনি চাইলে অনেক টাকা আয় করতে পারেন।শুধু মাএ একটু

চেস্টা আপনার জীবনকে বদলে দিতে পারে।

ভবিষ্যৎ কি হতে পারে?

ডিজিটার র্মাকেটিং এ প্রভাবে ভবিষ্যৎ কেমন হবে আমাদের দেশে? এমন এক সময় ছিল যখন আমরা

এনালক পদ্ধতিতে মার্কেটিং পরিচালনা করতাম কিন্তু আজ কি দেখি পূর্বের গুলো  প্রায় বিলুপ্তির পথে।

বর্তমানে যুগের পরিবর্তন হয়েছে সেই সাথে ডিজিটাল নিয়ম-কানুন হচ্ছে। যেমন বর্তমানে ঢাকাতে

অনেকেই আছে কোন পণ্য বা সেবা নিতে চাইলে সে গুগল এর সাহায্য নিয়ে থাকে। অর্থাৎ, গুগলে সার্চ

করে। যে সব প্রতিষ্ঠানের পণ্য/সেবা লিখে সার্চ করে তখন ওই প্রতিষ্ঠান অনলাইনে তাদের ভার্চুয়াল

এড্রেস তৈরি করার প্রয়োজন মনে করে। আর তখনই ওই প্রতিষ্ঠানের একজন ওয়েব ডেভেলপার,

গ্রাফিক্স/লোগো ডিজাইনার, কন্টেন্ট রাইটার এবং সোশ্যাল মার্কেটারের প্রয়োজন হয়। সেদিন আর বেশি

দূরে না । যখন মানুষ তার প্রয়োজনীয় সকল কাজ অনলাইনের মাধ্যমে সম্পন্ন করবে । তার ফল আমরা

এখনই পেতে শুরু করেছি ।

ধন্যবাদ ভালো থাকবেন-

Leave a Comment