চাকুরীর পাশাপাশি আয় করুন অনলাইন থেকে ২৫ টি সহজ উপায়ে

আজকের প্রযুক্তি নির্ভর জীবনে আমরা সবাই কমবেশি অনলাইনে সময় কাটাই। কর্মহীন অনেকে কেবল

সময় পার করতেই সামাজিক মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় নানা ওয়েবসাইটে ঘোরাফেরা করি। এভাবে অর্থহীন

সময় না কাচিয়ে অনলাইনকেই আয়ের বিকল্প উৎস করার কথা ভাবা যেতে পারে।


অনলাইনে আয় এখন কোন স্বপ্ন নয়। আইটি সেক্টরে দেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বাড়ছে ফ্রি-

ল্যান্সারদের সংখ্যা। অনেকেই নতুনভাবে আগ্রহী হচ্ছেন ফ্রি-ল্যান্সিং বা আউটসোর্সিংয়ে। তবে সঠিক

তথ্যের অভাবে অনেকেই অনলাইনে আয় করতে পারেন না। যারা নতুনভাবে ফ্রি-ল্যান্সিং শুরু করতে

চাচ্ছেন তাদের জন্য কিছু কৌশল।

আবার অনেকে চাকুরীর পাশাপাশি বাড়তি আয় কিভাবে করা যায় তা নিয়ে ভেবে থাকেন তারা ও

এখানে কাজ করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন। তো বন্ধুরা আর দেরি না করে আসুন জেনে নেয়

কিভাবে সহজ উপায়ে অনলাইন থেকে আয় করা যায়।

১. নিজেই ইউটিউবে একটি চ্যানেল খুলুন এবং ইউটিউবের পার্টনার হয়ে যান। আপনি Oneload

সাইটটি ব্যবহার করে আপনার ভিডিওটি অনেক সাইটে ছড়িয়ে দিতে পারেন।কোন প্রকার সমস্যা

ছাড়াই।


২.মেইলচিম্পের মাধ্যমে ইমেইল নিউজলেটার সেল করে আয় করতে পারেন। স্পন্সর বা সাবস্ক্রাইবার

খুজে বের করতে হবে । যেখানে ভিজিটররা নিউজলেটার পাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে সাবস্ক্রাইব করবে।

HackerNewletter, NowIKnow এবং Launch.co এই ধরনের কাজের ভাল উদাহরণ হতে

পারে।

৩. টি-শার্টের ডিজাইন করুন এবং www.threadless.com এ রাখুন। আর বিক্রয় করুন।

৪. একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে নিন, এর মাধ্যমে অ্যাডভার্টাইজিং নেটওয়ার্ক যেমন গুগল

অ্যাডসেন্স বা ক্রয়বিক্রয় (buysell) অ্যাডের মাধ্যমে আয় করতে পারেন। আপনি চাইল গুগল

ডাবলক্লিক এর মাধ্যমেও সরাসরি আয় করতে পারেন।

৫. Udemy বা SkillShare এ শিক্ষক হিসাবে যোগদান করুন আপনার প্রিয় বিষয় নিয়ে

টিউটোরিয়াল তৈরী করুন। গিটার থেকে শুরু করে সাহিত্য ইয়োগা থেকে বিদেশী ভাষা যেকোন কিছু

আপনি আন্তর্জাতিকভাবে শেখাতে পারেন।

৬. Fiverr ও PeoplePerHour এ অ্যাকাউন্ট করুন । এখানে সারা বিশ্বের অনেক বায়াররা

বিভিন্ন ধরনের কাজ দিয়ে থাকে। এখানে অনুবাদের কাজ থেকে শুরু করে গ্রাফিক্স ডিজাইন এসইও এবং

অন্যান্য কাজ পাওয়া যায়।


৭. সৃজনশীল কিছু তৈরি করুন যেমন হ্যান্ডবেগ জুয়েলারি পেইন্টিং বা কুটিরশিল্প ইত্যাদি এবং তা

বিক্রয় করতে পারেন ইটসি, আর্টফায়ার বা ই-বে তে বিক্রয় করতে পারেন।

৮.নিজের অনলাইন স্টোর তৈরি করুন তা নিজস্ব ডোমেইন বা সপিফাই (shopify),

http://www.squarespace.com) স্পেস এ হতে পারে। যেকোন বস্তু খাবার থেকে শুরু করে

ডিজিটাল পণ্য সবই সেল করতে পারেন।


৯. স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসাবে যেমন কোন ব্রাউজারের এক্সটেনশন প্লাগিন,মোবাইল অ্যাপস (অ্যান্ড্রয়েড বা

আইফোন) তৈরি করে আয় করুন ।


১০. কোডিং শিখুন। Guru, eLance, বি-ল্যান্সার এর মত মার্কেট প্লেস এ সফট্‌ওয়ার ডেভেলপমেন্ট

প্রজেক্টে কাজ করুন।

১১. বিশেষ কোন বিষয়ের উপর লিখতে শুরু করুন। তা কিন্ডেল স্টোর , গুগল, বা আইবুক এ প্রকাশ

করুন। আপনি চাইলে ই বুক হিসাবে অন্য রিটেইলার দের কাছে ও বিক্রয় করতে পারেন। অন্য

রিটেইলার বিক্রয়ের জন্য স্মাশউড ( Smashwoods )বা বুকবেবি (BookBaby) ব্যবহার করতে

পারেন।


১২. ভার্চুয়াল অফিস অ্যাসিস্টেন্ট হিসাবে প্রশাসনিক বা টেকনিক্যাল কাজে দুরবর্তী সহায়তা করতে

পারেন। এক্ষেত্রে ই-ল্যান্স,  TaskRabbit বা আপওয়ার্কে প্রচুর কাজ পাবেন।


১৩. সাধারণ কম্পিউটার জব যেমন ডাটা এন্ট্রি জব, ট্রান্সক্রাবিং কিংবা ভিজিটিং কার্ড তৈরি করে আয়

করতে পারেন। এজন্য Mechanical Turk ব্যবহার করতে পারেন।


১৪.আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুন বিক্রয় করেও আয় করতে পারেন। Flippa , GoDaddy

Auctions , Sedo ইত্যাদি সাইটে আপনি আপনার ওয়েবসাইট পুনরায় বিক্রয় করতে পারেন ।


১৫. আপনার কি ভাল কন্ঠ আছে। আপনার যদি ইংরেজীতে জড়তা না থেকে থাকে তবে উমানো,

VoiceBunny , Voice123 ভয়েস আর্টিষ্ট হিসাবে কাজ করে আয় করতে পারেন।


১৬. অনেকেই আছেন যারা ভাল গান করেন। আপনি যদি ভাল গান করে থাকেন অ্যামাজন এমপিথ্রি,

আইটিউন , প্যান্ডোরা,স্পটিফাই এর গান গুলো বিক্রয় করতে পারেন।

১৭. সৃজনশীল কাজ যেমন লোগো ডিজাইন,ব্যানার ডিজাইন,ওয়েব ডিজাইন অন্যান্য মার্কেটিং এর

উপাদানগুলো তৈরী করে অনলাইনে আয় করা সম্ভব। এক্ষেত্রে  99Designs , CrowdSpring ,

DesignCrowd মত সাইটগুলো থেকে আয় করা যায়।


১৮.  Amazon বা অন্যান্য অনলাইন স্টোরের অ্যাফিলিয়েটর হিসাবে অনেক ভাল আয় করা সম্ভব।

এক্ষেত্রে  Vigilink,  ShareASale, CJ বা  LinkShare এর মত সাইটগুলো অনেকভাল কাজ করে।


১৯.আপনি হয়ত বিভিন্ন সময় আপনার বন্ধু বান্ধবদের টেকনোলজির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সাহায্য

করেছেন। তাহলে অনলাইনে কেন নয় ? স্কাইপে স্ক্রিন শেয়ার, বা গুগল ক্রোমের দুরবর্তী স্ক্রিন শেয়ারের

মাধ্যমে টেকনোলোজি সাপোর্ট দিয়ে খুব সহজে আয় করতে পারেন।


২০.আপনি কি ফটোগ্রাফি করেন,আপনার ফটোগ্রাফি যদি ভাল হয় তবে  Creative Market ,

PhotoDune, iStockPhoto ,  ImgEmbed এ আপনার তোলা ছবি গুলো বিক্রয় করতে পারেন।


২১. পুরোনো অব্যবহৃত জিনিসপত্র,শিশুদের খেলনা, দুর্লভ বই বা অতি প্রাচীন বা শখের বস্তুগুলো খুব

সহজে বিক্রয় করতে পারেন ইবে, ক্রেগলিষ্ট,বিক্রয় ডট কম, কিংবা সেলবাজার এর মত সাইটে

বিক্রয় করতে পারেন।


২২. আপনি একজন ওয়েবসাইট ব্যবহারকারী হিসাবেও আয় করতে পারেন। যে কোন ওয়েবসাইট টেষ্ট

করুন, সুন্দর রিভিউ লিখুন একজন ব্যবহারকারী হিসাবে সাইটের সুবিধা অসুবিধাগুলো লিখে আয়

করুন। ইউজারটেস্টার UserTesting সাহটের সাহায্যে আয করুন।

২৩. বিদেশীদের জন্য বাসা ভাড়া দিয়েও আয় করা যায়। আপনার ঘরে যদি খালি জায়গা থাকে তাহলে

আপনার কি কি জিনিসপত্র আছে আজই লিষ্ট তৈরি করে ফেলুন। Airbnb, Couchsurfing আপনাকে

সাহায্য্ করবে।

২৪. অনলাইনে টিউশনির মাধ্যমেও আয় করা সম্ভব। যেখানে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া,ছাত্রছাত্রীদের

সাহায্য করার কাজ পাওয়া যায়। Tutor.com, InstaEdu, TutorVista এর মত সাইটে খুব

সহজেই অনলাইন শিক্ষক হওয়ার আবেদন করে অনলাইনে টিউশন করতে পারেন।

২৫. বিশ্ব এখন এগিয়ে যাচ্ছে অনেক দ্রুত। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখন ২৪ ঘণ্টা সেবা দেওয়ার প্রত্যয় নিয়ে

কাজ করে। সবসময় যেন কাস্টমার তাদের সাথে রিলেটেড থাকতে পারে সেজন্য এখন অনলাইন নির্ভর

অনেক সেবা রাখে প্রতিষ্ঠানগুলো। তাঁর মধ্যে কাস্টমার সাপোর্ট, ই-মেইল প্রেরন বা অন্য অনেক সেবা।

যা আপনি অনলাইনে বাড়ি বসে করতে পারেন। যা আপনাকে দিতে পারে ভালো এমাউন্ট।


পরিশেষে: লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না ।

আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে

থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো

পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Leave a Comment