যে ধরনের গিগ তুলনামূলক বেশি সেল হয় ফাইভারে:
- অনলাইন মার্কেটিং
- ভিডিও এবং এনিমেশন ক্রিয়েটিং
- ভয়েস নেয়ারেশন
- প্রফেশনাল আর্টিকেল রাইটার
- ইমেজ স্ক্রেচ
- লোগো ডিজাইন
- বিজনেস কার্ড ডিজাইনিং
- প্রোগ্রামিং ইত্যাদি।
কিভাবে গিগ সাজালে অর্ডার পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকবে বলে মনে হয়:
টাইটেল লিখতে হবে : একজন বায়ার এর নজরে সর্ব প্রথম যে বিষয়টি আসে তাহলো গিগ এর টাইটেল। বায়ার যেহেতু টাইটেল এর উপর দৃষ্টি
রাখেন, তাই টাইটেল এ যথাসম্ভব গিগ এর কিওয়ার্ডগুলো লেখার চেষ্ট করা। তাহলে বায়ার সহজে গিগটি বুঝতে পারবেন।
ছবি দিতে হবে : গিগে অফার রিলেটেড সুন্দর একটি ছবি আপলোড করতে হবে যা গিগটিকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলবে ।
ড্রেস্ক্রিপশন ভালো হতে হবে: ড্রেস্ক্রিপশনটি সুন্দর করে লিখতে হবে। ডেস্ক্রিপশনটি শর্ট হবে কিন্তু তার মধ্যেই অফারটি সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে
তুলতে হবে। তাহলে বায়ার সার্ভিসটি কেনার ব্যপারে বেশি প্রাধান্য দিবেন।
Sign Up Now Fiverr
ফাইভারে আকর্ষণীয় গিগ তৈরির ক্ষেত্রে কিকি বিষয় অনুসারন করা দরকার:
একটি গিগ তৈরির সময় যে শর্ত দেয়া হয় সেই অনুসারে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। গিগ তৈরীর ক্ষেত্রে নিম্নোলিখিত বিষয় গুলি অনুসরন করতে
হয় তার বিষয়ে বলা হলো:
১) গিগ টাইটেল:
সুন্দর একটি গিগ টাইটেল থাকলেই অফারটি বায়ারদের নিকট বেশি গ্রহণযোগ্য হবে। কোনো ধরনের সার্ভিস দেয়া হবে তা গিগ টাইটেল উল্লেখ
করা হয়। গিগের টাইটেলটি আকর্ষণীয় করতে হবে যাতে যে কেউ টাইটেলটা দেখেই ভিতরে গিয়ে পড়তে আকর্ষণবোধ করে।
২) ক্যাটাগরি:
গিগের ওপর ভিত্তি করেই ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে হবে। ক্যাটাগরি অবশ্যই গিগের সঙ্গে মিল থাকতে হবে। ক্যাটাগরি দেয়া হলে সাব-ক্যাটাগরি
নির্বাচন করতে হবে।
৩) গিগ গ্যালারি:
গিগ গ্যালারিতে সার্ভিস সম্পর্কিত ছবি আপলোড করতে হবে। ছবি বা ইমেজ ব্যবহারের ক্ষেত্রে নতুন কাউকে হঠাৎ করে দৃষ্টি আকর্ষণ করানো যায়,
এরকম কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪)গিগ ডেসক্রিপশন:
গিগ ডেসক্রিপশন এ সার্ভিস সম্বন্ধে বিস্তারিত লিখতে হবে যাতে বায়ার এখান থেকে সার্ভিস সম্বন্ধে যথেষ্ট ধারণা পায় এবং আকৃষ্ট হয়।
৫) ট্যাগস:
সার্ভিস রিলেটেড কিওয়ার্ড ট্যাগে ব্যবহার করতে হবে। গিগটি যে ধরনের কাজের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে সে ধরনের কাজের
উপর ৫টি কিওয়ার্ড নির্ধারণ করতে হবে এবং সর্বোনিম্ন ৩টি কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ট্যাগ ব্যবহার করলে ভালো
হয়। এর ফলে ক্লাইন্ট গিগটি সহজে খুঁজে পাবে এবং অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে।
৬) ডিউরেশান:
যে সার্ভিসের উপর গিগ তৈরি করা হয়েছে প্রথমে তা চিন্তা করতে হবে যে এই সার্ভিসটি সম্পন্ন করতে কতটুকু সময় লাগবে বা অন্যরা একই সার্ভিস
কতটুকু সময়ের মধ্যে ডেলিভারি দিচ্ছে। ডিউরেশান ১ থেকে ২৯ দিন পর্যন্ত দেয়া যায়। ফাইভারে সাধারণত ডিউরেশান ১ থেকে ২ দিন দেয়া হয় ।
৭) ইন্সট্রাকশান ফর বায়ার:
বায়ার কতৃক সার্ভিসটি নিতে হলে কি কি শর্ত পূরণ করতে হবে এই অপশনে এগুলো উল্লেখ করতে হবে। এখানে কাজ করার জন্য বায়ারের কাছ
থেকে কি কি দরকার হবে তা উল্লেখ করতে হবে।
৮) গিগ ভিডিও:
গিগে ভিডিও যুক্ত করলে সেটি সেল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। ভিডিও অবশ্যই গিগের উপর ভিত্তি করতে হতে হবে। ভিডিও অবশ্যই
১ মিনিট বা তার কম হতে হবে। ভিডিও এর কোয়ালিটি ভাল হতে হবে এবং ভিডিও তে অবশ্যই সাউন্ড থাকতে হবে।
Sign Up Now Fiverr
Follow-up, Nudge & New Label কিভাবে গিগের সেল বাড়াতে পারেন
আজকে Follow-up, Nudge আর New Label ব্যবহার করে কিভাবে গিগের সেল বাড়াতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা করব।
Follow-up :
যে কোনো বায়ার এর কনভার্সেশনকে Follow up এ রেখে দিতে পারেন, বিশেষ করে সেসব বায়ার যাদের থেকে ভবিষ্যতে আবারো অর্ডার
পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্ডার কম্প্লিট হয়ে যাওযার অনেক পরে বায়ারকে আবার মেসেজ দিতে পারেন, যাকে বলে Follow Up মেসেজ,
এভাবে সেলস বাড়ানো যায়।
Nudge :
যখন কোনো বায়ার গিগ অর্ডারের পর ডিটেইলস দিতে ভুলে যায়, তখন তাকে nudge করলে তার কাছে একটা মেসেজ যায় যে আপনি তার
information এর জন্য অপেক্ষা করছেন।
New Label :
যে কোনো বায়ারের সাথে কনভার্সেশনকে একটা নতুন নাম দিয়ে সেইভ করে রাখতে পারেন, এটাই New Label. পরে এই লেবেল দেখে দেখে
বায়ারদেরকে মেসেজ করতে পারেন।
উপরের সবগুলো অপশন ব্যবহার করে গিগের সেল অনেক বৃদ্ধি করতে পারেন। আপনি যদি কাজটি চালিতে চান গিগকে সার্চের ফলাফলের
প্রথমে রাখতে করনীয়:
ফাইভারে কাজ পেতে হলে গিগকে সার্চের ফলাফলের প্রথমে রাখতে হবে। এক্ষেত্রে প্রথমেই গিগ অপ্টিমাইজ, গিগ পপুলারিটি অর্জন ও গিগ রিভিউ
বৃদ্ধির জন্য কাজ করতে হবে। কোন বায়ারের যখন কোন সার্ভিস দরকার হয়, তখন ফাইভারে গিয়ে সার্চ করে। তখন সার্চের প্রথম দিকে
গিগটিকে পাওয়া গেলে বিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
গিগ অপ্টিমাইজ:
গিগের টাইটেলটি আকর্ষণীয় হতে হবে এবং টাইটেলে অবশ্যই সার্চের সম্ভাব্য কীওয়ার্ড থাকতে হবে। ট্যাগের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য রিলেটেড
কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করতে হবে। নতুন কেউ দেখলে আকৃষ্ট হবে এমন ছবি ব্যবহার করতে হবে। আবার ফাইভারের নিয়ম মেনে
ভিডিও তৈরি করলে গিগ বিক্রির সম্ভাবনা ৬০% বেড়ে যায়।
গিগ পপুলারিটি অর্জন:
প্রচুর মানুষকে গিগটি পড়াতে পারলেই গিগের পপুলারিটি অর্জিত হয়। প্রচুর মানুষকে গিগটির লিংকে ক্লিক করানোর জন্য জনপ্রিয় সোশ্যাল
মিডিয়া সাইটগুলোতে যেমন: ফেসবুক, টুইটার, লিংকডিন, রেডিট ইত্যাদিতে শেয়ার করতে হবে।
গিগ রিভিউ বৃদ্ধি:
পপুলারিটি অর্জনের পর গিগ অনুযায়ী কাজ করে এবং সময়মত কাজ ডেলিভারি দিয়ে বায়ারের কাছ থেকে ভাল ফিডব্যাক সংগ্রহ করতে হবে।
যতবেশি ভাল ফিডব্যাক, ততবেশি গিগ সার্চের উপরে উঠতে থাকবে।
ফাইভার গিগ মার্কেটিং:
শুধু এসইও করে থেমে থাকলেই হবে না, গিগ এর জন্য আলাদা ভাবে মার্কেটিংও করতে হবে। এছাড়া প্রথম দিকে বিক্রয় করা অনেকটা কষ্টকর
হবে।তারপর আস্তে আস্তে দেখবেন আপনার সাইটের সুনাম বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার আয় হা্ওয়া শুরু হয়ে যাবে।
১) ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে মার্কেটিং:
প্রফেশনালভাবে গিগ মার্কেটিং করতে হলে একটি ওয়েবসাইট থাকা প্রয়োজন। কারণ একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নিজের সম্পর্কে সহজেই
সবকিছু তুলে ধরা যায়। এবং আপনার ভালো গিগগুলো এখানে উপস্থাপনা করে তা মার্কেটিং করতে পারেন।
২) সোস্যাল মিডিয়া এর মাধ্যমে মার্কেটিং:
গিগ মার্কেটিং এর জন্য একটি অন্যতম মাধ্যম সোস্যাল মিডিয়া। এখানে সকল ধরণের প্রোফেশনাল ব্যক্তিদের পাওয়া যায়। এই সোস্যাল মিডিয়ার
মাধ্যমে টার্গেটেড কানেকশন বৃদ্ধি করতে হবে। তারপর নিয়মিত সার্ভিস সম্পর্কিত বিভিন্ন পোষ্ট করতে হবে। এর মাধ্যমেও আপনি আপনার কাজ
সুন্দর করে করতে পারেন।
পরিশেষে:
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই
এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো
পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।