কঠিন কাজটি সবার আগে করার অভ্যাস করুন।

নিজের কাজের তালিকায় সবচেয়ে কঠিন যেই কাজটি সেই কাজটি সকালে আগে করুন। সবচেয়ে

গুরুত্বপূর্ন এবং কঠিন কাজটি তালিকার শুরুতে লিখুন। পর্যায়ক্রমে সহজ এবং সহজতর। দিনের

শুরুতেই কঠিন কাজটি করে ফেললে আপনি থাকবেন টেনশন মুক্ত এবং পরের কাজগুলো করা সহজ

হবে। সহজ কাজগুলি আগে করে ফেললে আপনি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। কঠিন কাজ করা আরো কঠিন হবে।

তাই ধারা বাহিকতা বজায় রেখে কাজ করার চেষ্টা করুন

 সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার থেকে নিজেকে দূরে রাখুন:

একটা জরিপে দেখা গেছে, দিনের সবচেয়ে বেশি সময় নষ্ট হয়  বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। অনেকেই

দেখা যায় কাজ করতে করতে ৫ মিনিট পর পর ফোনে দিকে একটু তাকিয়ে দেখে আবার কাজ করে।

 ঘনঘন ফোনের নোটিফিকেশন দেখার অভ্যাস আপনার কাজে মন বসানোর ক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে

দেয়। আপনার সময় যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মোবাইল ফোন দূরে কোথাও রাখতে পারেন, মেসেঞ্জার,

হোয়াটস অ্যাপের নোটিফিকেশন অফ করে রাখবেন , অবসর সময়ে ব্যবহার করতে পারবেন এমনভাবে

ব্যবস্থা করবেন। এতে করে কাজের সময় মনোযোগ বিঘ্নিত হবে না।

নাবলতে শিখার অভ্যাস করুন:

ধরুন আগামীকাল আপনার একটা মিড আছে, একটা অ্যাসাইনমেন্ট ডেডলাইন আছে এর মধ্যেই

আপনার বন্ধু ফোন দিয়ে বলল, দোস্ত চল আজকে ঘুরে আসি? কি করবেন তখন? সব কিছু বাদ দিয়ে

বন্ধুর সাথে যাবেন নাকি আপনার কাজগুলো করবেন? অবশ্যই আপনার কাজগুলো আগে শেষ করবেন।

অনেক সময়  আমরা ভাবি বন্ধু কি মনে করবে না গেলে, সেক্ষেত্রে ভালোভাবে বন্ধুকে বুঝিয়ে বলুন।

আরো জানুন: ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা সর্ম্পকে আলোচনা কর? পাট-২

জীবনে না বলতে শেখাটা অনেক বেশি জরুরী, সবাইকে খুশি করে চলতে আপনি পারবেন না। আপনার

ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতি হবে সবাইকে খুশি করে চলতে গেলে। তাই কারো অনুরোধ রাখতে না পারলে

সরাসরি সুন্দর করে না বলে দিন।

 ট্রাফিক জ্যামকে কাজে লাগাতে শিখুন:

ঢাকার রাস্তায় বের হওয়া মানেই ১ থেকে ২ ঘণ্টা জ্যামে বসে থাকা । এই ট্রাফিক জ্যামকেই আপনি

দারুনভাবে  কাজে লাগাতে পারেন । জ্যামে বসেই আপনি শুনে নিতে পারেন মোবাইলে রেকর্ড করা

লেকচারগুলো অথবা কাজের চাপে সময় পান না জ্যামে বসেই দেখে নিতে পারেন কোন মোটিভিশনাল

ভিডিও অথবা আরও শুনতে পারেন AUDIO BOOK। কাজের প্লানিং করতে পারেন জ্যামে বসেই।

আরো জানুন: ছোট ব্যাবসা সফল করার উপায়

আপনি কোন  ডিজাইন করবেন, কোন কবিতা লিখবেন, কোন বিজনেস প্ল্যান করবেন, কোন ব্লগ

লিখবেন  – সব নোটপ্যাড এ লিখে রাখতে পারেন জ্যামে বসেই । আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করতে না

দিয়ে, ঐ সময়টাকেই আপনার কাজে ব্যবহার করুন।

 তাতে করে আপনার ভালোই হবে

মাল্টিটাস্কিং বন্ধ করুন:

মনে করুন আপনি একটি অ্যাসাইনমেন্ট করছেন আবার মোবাইলে টুকুর টুকুর করে চ্যাটিং করছেন ঐ

দিকে আবার টিভিটাও খুলে রেখেছেন, আপনি মনে করছেন আপনি একসাথে সবগুলো কাজই করছেন,

আসলে কি তাই? না। আমরা অনেকেই মনে করি একসাথে অনেক কাজ করতে পারা বড় কোনো গুন,

আরো জানুন: বাড়ি বসে পাকা চুল কালো করুন ৪ উপায়ে

আসলে মোটেও তা নয়। সত্যি বলতে আমাদের ব্রেন মাল্টিটাস্কিংয়ে অনুপযোগী। মানুষের ব্রেন একসাথে

অনেকগুলো কাজের কমান্ড নিতে পারে না। আপনি যদি সব কাজকেই সমানভাবে করতে চান কোন

কাজই করতে পারবেন না । তাই একটা সময়ে একটা কাজের প্রতি ফোকাস করুন, এতে করে আপনার

প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে আপনার কাজও ভালোভাবে শেষ হবে।

 কৃতজ্ঞ থাকুন

সব সময় নিজের জীবনের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকুন। সারাদিনে ঘটে যাওয়া ভালো জিনিসগুলো লিখে রাখুন,

এতে করে দিনশেষে মানসিক শান্তি আসবে এবং নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস গড়ে উঠবে। প্রতিটি সফলতার

জন্য সৃষ্টিকর্তার আনুগত্য প্রকাশ করুন। প্রতিদিন এই নিয়ম আপনাকে সবসময় পজিটিভ চিন্তা করতে

সহায়তা করবে। এমনকি আপনার রাগ এবং ভয়ও এই নিয়মের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। তাই

প্রতিদিন ৩০ মিনিটের জন্য হলেও আপনার সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করুন। 

আরো জানুন: সফল ক্যারিয়ার গড়তে জেনে নিন ৭টি মূলমন্ত্র

তাহলে দেখবেন এক সময় আমার জীবনের খারাপ সময় পার হয়ে ভাল দিন আসবে।লেখা গুলো পড়ে

ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত

আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে

কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার

চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Leave a Comment