আমরা যারা ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ব্যবহার করি । আমরা কখনো চাইনা আমাদের ওয়েবসাইট টি স্লো
থাকুক। তাছাড়া, গুগলের সার্চ র্যাঙ্কিং এর অনেক বড় একটা ফ্যাক্টর হলো এই সাইট স্পীড। কাজেই
আপনার ওয়ার্ডপ্রেসের সাইট স্পীড অপ্টিমাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা অনেক। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া
যাক কিভাবে আপনার সাইটের স্পিড বাড়ানো যায়:
1) ভালো মানের হোস্টিং বাছাই:
2) ইমেজ অপ্টিমাইজ:
3) যথাযথ থিম বাছাই:
4) ক্যাসিং প্লাগিন ও সিডিএন ব্যাবহার:
5) সঠিক ও কম সংখ্যক প্লাগিন ব্যবহার:
6) থিম, প্লাগিন এবং ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সন আপডেট:
7) ডাটাবেজ অপ্টিমাইজ:
তাহলে চলুন এবার নিচের আলোচনা থেকে জেনে নেওয়া যাক, কিভাবে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের
স্পিড বৃদ্ধি করা যায়? সে সম্পর্কে বেশকিছু কার্যকরী পদ্ধতি ফলো করে।
1) ভালো মানের হোস্টিং বাছাই:
আপনার ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কম হওয়ার অন্যতম কারণ হলো নিম্ন মানের হোস্টিং কোম্পানি
হতে কোন হোস্টিং প্যাকেজ কিনে নেওয়া। তাই, হোস্টিং প্যাকেজ কেনার আগে সেই হোস্টিং কোম্পানির
সার্ভিস সম্পর্কে ভালোভাবে যাচাই বাচায় করে তারপর ক্রয় করতে হবে। এখন বিদেশি হোস্টিং
কোম্পানির পাশাপাশি বাংলাদেশেও অনেক ভালো মানের হোস্টিং কোম্পানি রয়েছে। যেখান থেকে
আপনি সহজেই বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য পেমেন্ট মেথড দিয়ে আপনার সাইটের জন্য একটি সুন্দর
নির্ধারিত হোস্টিং প্যাকেজ কিনতে পারবেন।
2) ইমেজ অপ্টিমাইজ:
একটি ওয়ার্ডপ্রেস সাইট তৈরিতে থিম নির্বাচন খুবই গুরত্বপূর্ণ হয়ে থাকে। কেননা, ভিজিটররা এটাকে
গুরুত্ব দিয়ে থাকে অনেক বেশি। অনেক সময় থিম ডেভেলপাররা সাধারণত স্পিডের চেয়ে এসথেটিক্সের
উপর বেশি নজর দিয়ে থাকেন। তাই থিমগুলো হয়ে পরে ভারী। তাই এমন থিম বাছাই করুন যেটা কিনা
দেখতে স্টাইলিশ , একই সাথে হাল্কা এবং দ্রুত কাজ করে থাকে।
3) যথাযথ থিম বাছাই:
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে বেশি বড় আকৃতির ইমেজ দিলে সাইট ভারি হয় যা কিনা সাইটের লোডিং টাইমে একটা
বড় প্রভাব ফেলে থাকে। তাই সাইটে ইমেজ আপলোডের ক্ষেত্রে এমন ছবি (Image) আপলোড করুন
যার সাইজ তুলনামূলক ভাবে কম এবং সেই সাথে কোয়ালিটিও ভালো ।
4) ক্যাসিং প্লাগিন ও সিডিএন ব্যাবহার:
ওয়ার্ডপ্রেস সাইটে প্লাগিন ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তা অনেক । তার মানে এই নয়, যে আপনি
অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন ব্যবহার করবেন । তাই যথাসম্ভব, সঠিক ও কম প্লাগিন ব্যবহার করুন । এছাড়া
বেশ কিছু প্লাগিন আছে যা কিনা আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের লোডিং স্পিড কমিয়ে দিতে পারে। তাই
প্লাগিন ইন্সটল করার পূর্বে সেসব প্লাগিনের রিভিউ ও রেটিং গুলো দেখে নিন।
আরো জানুন:
5) সঠিক ও কম সংখ্যক প্লাগিন ব্যবহার:
সাধারনত, Caching Plugin ব্যাবহারের ফলে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটকে আরও দ্রুত লোড
হওয়ার সুবিধা দিবে। নিচে দুটি জনপ্রিয় ওয়ার্ডপ্রেস ক্যাসিং প্লাগিন এর নাম দেওয়া হলো-
W3 Total Cache
WP Super Cache
পাশাপাশি সিডিএন বা কনটেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (CDN – Content Delivery Network)
ব্যাবহারের ফলে আপনার সাইটের যাবতীয় কনটেন্ট ( যেমন- Text, Images, Html প্রভৃতি)
হোস্টিং সার্ভার থেকে নিয়ে দ্রুততর উপায়ে ব্যবহারকারীর নিকট পৌঁছে দেয়। এতে আপনার মেইন
সার্ভারে চাপ কম পড়ে এবং সাইট ফাস্ট হয়। স্পিড বাড়ানোর জন্য দুটি জনপ্রিয় সিডিএন হলো-
Cloudflare
Incapsula
6) ডাটাবেজ অপ্টিমাইজ:
ওয়ার্ডপ্রেসের ডিফল্ট অপশন হিসেবে আপনি যতবার পোস্ট এডিট বা আপডেট করবেন ততবার একটা
রিভিশন ফাইল ডাটাবেইজে সেইভ হয়ে যাবে। এর সুবিধা হলো যাতে আপনি যদি কোন ভুল করেন
তাহলে সেটা রিভিশন কপি থেকে আবার কনটেন্ট পুনরুদ্ধার করতে পারেন। আর অসুবিধা হলো
ডাটাবেইজে অহেতুক ডাটা জমে যাবার কারনে কোয়েরি করতে সময় বেশী লাগে এবং সাইট স্লো হয়ে
যায়। যার জন্য অনেক ওয়ার্ডপ্রেস প্লাগইন (WP-Optimize, WP DBManger) আছে যেগুলো
আপনার ডাটাবেজকে এই সব অপ্রয়োজনীয় ডাটা হতে মুক্ত রাখবে। সেই সাথে ট্রাই করতে পারেন পোস্ট
রিভিসন প্লাগইন (Revision Control Plugin).
7) থিম, প্লাগিন এবং ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সন আপডেট:
আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইট স্পিড এর জন্য ব্যাবহৃত থিম, প্লাগিন এবং ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সন সর্বদা আপডেট
রাখুন। সাধারণত, অনেক সময় ওয়ার্ডপ্রেস ভার্সন আপডেট এর ফলে ব্যাবহৃত থিম ও প্লাগিন এই
আপডেটে কাজ নাও করতে পারে । এক্ষেত্রে যতদিন পুরোপুরি একটা ভার্সন পরিবর্তন না হয় ততদিন
দেরি করে সেই ওয়ার্ডপ্রেসের ভার্সনটি আপডেট করুন । এতে করে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটটি স্লো এবং
হ্যাক হওয়া থেকে বেঁচে যাবে। তবে প্রতিটি আপডেটের আগে অবশ্যই সাইটের ব্যাকাপ নিতে ভুলবেন
না।
আশা করি উল্লেখিত টিপসগুলো মেনে চললে আপনার ওয়ার্ডপ্রেস সাইটের লোডিং স্পিডের উপর কোন
প্রভাব পরবে না। লেখাটি পড়ে আপনার ভালো লাগলে অবশ্যই শেয়ার করতে ভুলবেন না। আজ এ পযর্ন্ত
ভালো থাকবেন।।