এফিলিয়েট মার্কেটিং ( পর্যালোচনা-২০২১) Spandada

.

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

আমরা মার্কেটিং কি? যারা অনলাইনে কাজ করি তারা কম বেশি সবাই জানি। আসলে মার্কেটিং হচ্ছে , যে কোন পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করা, প্রচার করা ও ওই পণ্য এর ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইন এ করবেন সেটা হবে ডিজিটাল মার্কেটিং। আপনি যখন আপনার এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিল টা নিজের কোন প্রডাক্ট অথবা সার্ভিস এর বিক্রয় ও প্রমোশন এর জন্য ব্যাবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং

.

আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিল টা ব্যাবহার করে অন্য কারও প্রডাক্ট অথবা সার্ভিসকমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন সেটা হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। তাহলে এবার আমারা জানবো এফিলিয়েট মার্কেটিং কাকে বলে আর এর জন্য আমি প্রথমেই একটি ছোট্ট

.

উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি-

আপনি ঘরে বসেই আপনার ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ ব্যবহার করে বিভিন্ন কোম্পানির অসংখ্য প্রোডাক্ট প্রোমোট করতে পারেন। আর যখনই আপনি ওই কোম্পানিগুলোর জন্য সেলস নিয়ে আসতে পারবেন তখনই আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পেতে থাকবেন। যত সেল করতে পারবেন ততো কমিশন পাবেন।

.

সেল না করেও কমিশন পাওয়া যায় যেটি আমি সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে আলোচনা করার সময় বলবো।তবে এক্ষেত্রে সব থেকে মজার ব্যাপার হলো এই যে প্রোডাক্টগুলো আপনি প্রমোট করছেন সেগুলো কিন্তু আলটিমেটলি আপনার নিজের কাছে গচ্ছিত রাখতে হচ্ছে না কারণ অনলাইনে অনেক ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাবেন যেগুলো আপনি প্রমোট করতে পারেন।

.

আবার যদি কোন ফিজিক্যাল প্রোডাক্ট নিয়ে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করেন ( যেমন অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং) তবে শুধু তার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা, ভালো দিক, খারাপ দিক, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি দেখিয়ে আপনার অডিয়েন্সের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিংকরতে পারেন।

.

তাই আপনি এক দেশে বসে অন্য দেশের কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো অংকের অ্যাফিলিয়েট কমিশন পেতে পারেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এতটা জনপ্রিয় হওয়ার পেছনে কাজের এই ফ্লেক্সিবিলিটি একটি অন্যতম কারন।আপনি চাইলে আপনার ঘরে বসে বা আপনার অফিসে বসে অথবা কোন সী বিচে বসেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ করতে পারেন।

.

বিশ্বের এমন অনেক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার আছেন যারা সারা বছর দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন আর অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করেন। তাদের জীবনটা এতটাই রোমাঞ্চকর যে তাদের কোন ৯ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত বোরিং জব করতে হয় না। আবার তাদের অর্থ নিয়ে কোন চিন্তা করতে হয় না কারণ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এরমাধ্যমে অনেক আয় করা যায়।

.

একই সাথে তারা পেয়ে যান সময়ের স্বাধীনতা। তাই সময়, অর্থ ও ভ্রমণের স্বাধীনতা এই তিনটিকে একই সাথে পেতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জুড়ি নেই।আসুন এ বিষয়টাএকটি উদাহরণ দিয়ে বুঝার চেষ্টা করি।

.

ধরুন আমার একটি ঘড়ির দোকান আছে। কিন্তু সেটি একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হওয়ার কারণে ঘড়ি ভালো হওয়া সত্ত্বেও আমি ভালো মানের ক্রেতা পাইনা। আর আপনি আমার দোকানের ঘড়ির মান দেখে প্রায় সময়ই আমার দোকানে আসেন।তো আমি আপনাকে একদিন বললাম যে,

.

ভাই আপনি যদি আমার দোকানে বেশি লোকজন আনতে পারেন এবং আপনার আনা মানুষ জনের কাছে আমি ঘড়ি বিক্রি করতে পারি তাহলে আপনার চেনা মানুষের কাছে ঘড়ি বিক্রি করে আমার যা লাভ হবে তার নির্দিষ্ট একটি অংশ আমি আপনাকেদিয়ে দিব।এখন দেখা গেলো যে প্রস্তাবটি আপনি সহজে মেনে নিলেন।

.

এখন থেকে আপনি প্রায় সময়ই আমার দোকানে নানা প্রকার মানুষ আনেন। তারা আমার দোকান থেকে ঘড়ি কিনে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে এবং তার বিনিময়ে আপনারও কিছু বাড়তি আয় হয়ে যাচ্ছে। এদিকে আমার দোকানও আগের থেকে বেশি বেচাকেনা হতে লাগল। এতে করে আমার ব্যবসায়ও ভালো লাভ হতে লাগল।

.

এই যে একটি উদাহরণ পড়লেন, মূলত এটাই হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি যদি অনলাইনে কাউকে কোন বস্তু বিক্রি করার জন্যে ক্রেতা এনে যোগার করে দিতে পারেন তাহলে ঐ ব্যাক্তি আপনাকে আপনার ক্রেতার বিক্রি করে পাওয়া টাকার একটা নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে দিবে।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর ইতিহাস ?

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে এমন একটা ডিজিটাল পদ্ধতি যা দ্বারা একটি কোম্পানির যে কোন প্রোডাক্ট এর রিভিউ করে বা ওই প্রোডাক্টের ভালো মন্দ দিক সম্পর্কে লিখে অডিয়েন্সের কাছে ওই নিদৃষ্ট প্রোডাক্টটি বিক্রি  করিয়ে তার থেকে কিছু কমিশন নেওয়াকে এফিলিয়েট মার্কিটিং বলে |

.

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ কারন ডব্লিউ ডব্লিউ ডব্লিউ বা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের জন্মের মাত্র চার বছরের মাথায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কনসেপ্টের সূচনা হয়। উইলিয়াম জে টবিন (William J Tobin) সর্বপ্রথম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রবর্তন করেন।তিনি তার প্রতিষ্ঠান PC Flowers & Gifts কে প্রোডিজি নেটওয়ার্কের (Prodigy Network) আওতায় আনেন,

.

এবং১৯৯৮ সাল থেকে তাদেরকে সেলের জন্য কমিশন ব্যবস্থা চালু করেন। টবিন ১৯৯৪ সালে সর্বপ্রথম একটা বিটা ভার্সন চালু করেন এবং ২৬০০ এফিলিয়েট পার্টনার নিয়ে ১৯৯৫ সালে তার অ্যাফিলিয়েটপ্রোগ্রাম চালু করেন। ১৯৯৪ সালে CDNow ও ১৯৯৬ সালের জুলাই মাসে Amazon তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম চালু করেছিল।

.

একে একে এফিলিয়েট সিস্টেম অনলাইন প্লাটফর্মে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এবং অল্প কিছু দিনের মধ্যেইব্যবসায়ী ও ভোক্তা উভয়ই লাভবান হতে থাকেন।এই পদ্ধতি ব্যবহার করে তার কোম্পানি অনেক লাভবান হতে থাকেন কারণ সে তার কোম্পানির সেল বাড়াতে সক্ষম হয়েছিল | আবার তার কোম্পানির জন্য বেশি লোকের দরকার হতো না কারণ তার প্রোডাক্ট সেলের কাজটি এফিলিয়েট মার্কেটেররাই করতো |

.

অতপর, দেখা গেলো ওই পদ্ধতি অন্য অন্য কোম্পানি গুলোও ব্যবহার করতে আগ্রহী হতে লাগলো | তারাও দেখলো আসলেই তো এটি একটি ভালো এবং লাভজনক পদ্ধতি |একজন ব্যাবসায়ী তার কোম্পানির প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য শুধু তার কি কি প্রোডাক্ট আছে তাই তার সাইটে জানিয়ে দিলো তারপর ওই ব্যাবসায়ীর কাজ শেষ তারপর কাজ শুধু এফিলিয়েট মার্কেটারদের |

.

তখন প্রোডাক্ট বিক্রি হবে ব্যাবসায়ীর, আর কমিশন পাবে এফিলিয়েট মার্কেটারও তখন দুজনই  লাভবান হতে থাকবে |একটা সময় কিছু সংখক কোম্পানি তাদের সেল বাড়ানোর জন্য এই এফিলিয়েট মার্কেটিং চালু করে দেখলো তাদের অনেক সেল বাড়তেছে |তারপর থেকে আস্তে আস্তে অনলাইনে বিশ্বের বহু কোম্পানি গুলো তাদের এফিলিয়েট মার্কেটিং করিয়ে অনেক উপকার পেতে আগ্রহী হয়ে ওঠে |

.

দেশি বিদেশি কয়েকটি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে এমন কোম্পানির সম্পর্কে ইতি মধ্যে আপনারা হয়তো পরিচিত আছেন এই যেমন ধরেন আমাজান ডট কম, আলিবাবা ডট কম, দেশি ও কিছু কোম্পানি এফিলিয়েট করে তাদের মধ্যে বিক্রয় ডট কম, দারাজ ডট কম , ওয়েব হোস্টিং ইভেন্ট ডট কম ইত্যাদি |

.

একটি মজার ব্যাপার দেখুন ওই মালিক পক্ষ কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটারকে চাকরির জন্য কোন নিয়োগ দেয়নি | তারপরও ওই এফিলিয়েট মার্কেটার কিন্তু সেই মালিকের প্রোডাক্ট সেল করানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে কারণ, এতে  তার লাভ নিহিত আসে |এখানে কিন্তু দুই পক্ষই লাভবান হবে তাই কাজ করতে কোন অসুবিধা নাই |তো এই ছিল এফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে আমার প্রারম্ভিক আলোচনা।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে বেশি কোন জিনিসটা প্রয়োজন হয়?

.

ইন্টারনেটে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটার মার্কেটিং করতে যেসমস্ত জিনিস প্রয়োজন হয়। আপনি যদি অনলাইনে আয় করতে চান তাহলে প্রথমে আপনার যেসমস্ত জিনিস কাজে লাগে তা হলো:

.

1.একটি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ

2.ইন্টারনেট সংযোগ

3. কম্পিউটার সর্ম্পকে ভালো মাপের ধারনা

4.ইংরেজি লেখার ভালো দক্ষতা।

.

এ চারটি বিষয়ে ধারনা থাকলে আমি মনে করি সবই সম্ভব। এখন আসি ইন্টারনেটে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটার মার্কেটিং করতে যেসমস্ত জিনিস প্রয়োজন হয় সে সর্ম্পকে আলোচনা করবো। এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটার মার্কেটিং করতে প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত যে জিনিসগুলো প্রয়োজন সে বিষয়ে ধাপে ধাপে বলছি আশা করি আপনাদের উপকারে আসবে। এবং অনলাইনে এফিলিয়েট মার্কেটিং বা ডিজিটার মার্কেটিং যেকোন একটি করতে পারবেন।

.

১।প্রথমে যেটি সব চেয়ে দরকার হয় তা হলো একটি সুনাম ধণ্য Web Site। আমার দৃস্টিতে ভালো মানের Web Site টির নাম হলো: wordpress.com

.

২। ২য় টি হলো ওয়েব সাইটের জন্য ভালো মানের ডোমেন নাম সিলেক্ট করতে হবে। আপনি এ জন্য:-Namecheap.com, Bluehost.com, Go Daddy, Domain.com এর মাধ্যমে দেখতে পারেন।আশা করি ভালো মানে ডোমেন সিলেক্ট করতে পারবেন।

.

৩। ৩য় কাজটি হলো দেখে শুনে ভালো মানের হোষ্টিং কোম্পানির কাছ থেকে হোষ্টিং কিনতে হবে। আমার জানা মতে ভালো হোষ্টিং সাইট গুলো হলো: Name cheap.com, Blue host.com, GoDaddy,Domain.com

.

৪। আপনার ওয়েব সাইট সিকিউরিটির জন্য প্রয়োজন হয় SSL Certificate. যা সব সময় হ্যাকারদের হাত থেকে আপনার সাইট টিকে রক্ষা করে থাকে। আপনি এই SSL Certificate পাবেন।নিচে দেওয়া সাইটগুলোর মাধ্যমে: Namecheap.com, Bluehost.com, Go Daddy, Domain.com

.

৫. আপনার লেখা কন্টেন্ট ব্যাকারনগত ভাবে ঠিক হয়েছে কিনা তা চেক করে দেখার জন্য প্রয়োজন হয় Grammer Checker. যা আপনার লেখা সমস্ত ভূল সংশোধন করে সঠিক কন্টেন্ট লিখতে সাহায্য করে থাকে। এবং আপনার লেখা হয় সুন্দর। এ জন্য আপনার প্রয়োজন হবে নিচে দেওয়া টুল টি: Grammerly

.

৬. বড় বড় URL ব্যবহার করা আসলে অনেক সমস্যার ব্যাপার তাই আপনার বড় বড় URL ছোট করার জন্য নিচে দেওয়া সাইট টির টুল ব্যবহার করতে পারেন। shorte.st bindurl.com adf.ly

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে জড়িত ৪ শ্রেণি গুলো কি?

.

একটি উদাহরণ এর মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কোন কোন ক্ষেত্রে  ব্যবহার হয় তার বিষয়ে আলোচনা করবো।

ধরুন আপনি একটি কাপড়ের দোকনের মালিক । আপনি ঘোষনা দিলেন যে আপনার দোকনের পণ্য যেবিক্রি করে দিবে আপনি তাদের কমিশনের ঘোষণা দিলেন । আপনার কোম্পানির  নাম হলো Spandada।তাহলে আমরা এক কথায় খুব সোজা ভাষায় বলতে পারি যে যার প্রোডাক্ট তাকে মার্চেন্ট বা রিটেইলার বলে। আর যারা আপনার কাপড়ের দোকfনের নতুন নতুন কাস্টমার নিয়ে আসলো তাদেরকে অ্যাফিলিয়েট বলা যায়। তাহলে মার্চেন্ট এর প্রোডাক্ট যারা কমিশনের আশায় প্রমোট করছে তাদেরকে বলা হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট (affiliate) বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার।

.

এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যেহেতু অনলাইনেই করা হয়ে থাকে তাই অধিকাংশ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে থাকেন আর এজন্য তাদেরকে পাবলিশার (publisher) বলেও ডাকা হয়।

.

আর কাস্টমার কারা তাতো বুঝতেই পেরেছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার যাদেরকে মার্র্চেন্ট এর প্রোডাক্ট এর প্রতি আগ্রহী করে সেল নিয়ে আসে তাদেরকেই কাস্টমার (customer) বলা হয়ে থাকে।এই তো গেল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাথে জড়িত ৩ শ্রেণী। এখন আরও একটি শ্রেণী নিয়ে আমরা আলোচনা করতে পারি যার নাম হলো নেটওয়ার্ক (network) বা এফিলিয়েট নেটওয়ার্ক।এরা কারা?

.

হ্যাঁ, অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক হল তারা যারা বিভিন্ন মার্চেন্টের অ্যাফিলিয়েট অফারসমূহ বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটারের কাছে প্রকাশ করে যেমন আমরা বলতে পারি কমিশন জংশন, ক্লিকব্যাংক,রাকুটেন মার্কেটিং ইত্যাদি হল বিভিন্ন নেটওয়ার্ক।

.

 অনেক সময় মার্চেন্ট নিজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এরঝামেলা সমূহ এড়ানোর জন্য এরকম অনেক নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত হন ফলে তারা খুব সহজেই এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামটি চালাতে পারেন। এই হলো চারটি দিক আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ।আশা করি বুঝতে পেরেছেন ।

.

বিভিন্ন ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং সর্ম্পকে আলোচনা ।

.

আজ আমরা এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করব। একজন এফিলিয়েট মার্কেটার কে তার কমিশন কিসের ভিত্তিতে দেওয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়।

.

এর প্রথম ভাগ হলো রেভিনিউ শেয়ারিং (revenue sharing) যার

আরেকটি নাম হলো পে পার সেল (Pay Per Sale সংক্ষেপে PPS) এবং

দ্বিতীয় ভাগ হলো কস্ট পার একশন (cost per action) বা সি পি এ (CPA)।

.

রেভিনিউ শেয়ারিং (Revenue Sharing)

.

এখন রেভিনিউ শেয়ারিং মডেল টা কেমন সেটি নিয়ে একটু আলোচনা করি রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে একজন মার্চেন্ট এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিক্রির মাধ্যমে যে আয় করে তার একটি অংশ এফিলিয়েট মার্কেটিং বা পাব্লিশারের সাথে শেয়ার করে আর এ জন্যই একে বলে রেভিনিউ শেয়ারিং।

.

ধরেন একজন মার্চেন্ট এর একটি প্রোডাক্ট এর দাম হল 500 টাকা। সে একজন এফিলিয়েটের কাছ থেকে একটি সেল পেল এবং তখন সে এই 500 টাকা থেকে 100 টাকা ওই এফিলিয়েটকে দিয়ে দিল। তাহলে এখানে কি হল? মার্চেন্ট যে রেভিনিউ করছে তা থেকে তার এফিলিয়েটের সাথে শেয়ার করছে।

.

সি পি (CPA) মার্কেটিং

আর কস্ট পার একশন বা CPA মার্কেটিং এ সরাসরি কোন রেভিনিউ শেয়ার করা হয় না বরং মার্চেন্ট এর বলে দেয়া অ্যাকশন এর উপর নির্ভর করেই এফিলিয়েট  কে কমিশন দেওয়া হয়।

.

ধরুন কোনো মার্চেন্ট বলল যে আমার জন্য যারা লিড জেনারেট করতে পারবে বা আমার এই ফর্মটা যারা পূরণ করাবে তারা একটি নির্দিষ্ট অঙ্কের কমিশন পাবে তাহলে এটি হবে CPA মার্কেটিং। এখন CPA মার্কেটিং টা অনেকের কাছেই আকর্ষণীয় মনে হয় এ কারণে যে এই পদ্ধতিতে এফিলিয়েট কে কোন প্রোডাক্ট সেল করতে হয় না বরং যেকোনো একটি অ্যাকশনের কারণেই সে কমিশন পেতে পারে।

.

তবে রেভিনিউ শেয়ারিং মডেলে অনেক বেশি কমিশন পাওয়া যায়। অনেক মার্চেন্ট রেভিনিউ শেয়ারিং ও সিপিএ উভয় পদ্ধতিতে তাদের এফিলিয়েট প্রোগ্রাম পরিচালনা করে যেমন গ্রামারলির ফ্রি একাউন্ট কেউ যদি আমার লিঙ্ক থেকে ওপেন করে, তবে আমি পাই ২০ সেন্ট আর এটি হল একধরনের সিপিএ মার্কেটিং।

.

আবার এফিলিয়েট  কে কতবার কমিশন দেয়া হবে তার ওপর নির্ভর করে এফিলিয়েট মার্কেটিং কে দুই ভাগে ভাগ করা যায় আর তা হলো সিঙ্গেল টায়ার এবং টু টায়ার বা মাল্টি টায়ার।

.

সিঙ্গেল টায়ার (Single-Tier)

সিঙ্গেল টায়ার এফিলিয়েট মার্কেটিং এ মার্চেন্ট তার এফিলিয়েটকে প্রতিটি সেলের জন্য মাত্র একবারই কমিশন দেয়। যেমন গ্রামারলি এফিলিয়েট প্রতিটি সেল করতে পারলে ২০ ডলার দেয় আর এটি হল সিঙ্গেল টায়ার।

.

টু টায়ার (Two-Tier) বা মাল্টি টায়ার (Multi-Tier)

এ ধরনের মডেলে একজন এফিলিয়েট তার মাধ্যমে আনা গ্রাহকদের প্রত্যেকের সেল থেকেও কমিশন পান। ধরেন পাখি একজন এফিলিয়েট যিনি রনি ও বনি কে কোন এক মার্চেন্টের প্রোগ্রামে যুক্ত করল। এখন রনি ও বনি এর প্রতিটি সেলেও পাখি একটি কমিশন পেতে থাকবেন।

.

 এই মডেলটা অনেকটাই এম এল এম (MML) সিস্টেমের মত হলেও মার্চেন্টের মানসম্মত প্রোডাক্ট থাকার ফলে এখানে কোন প্রতারণা নেই। আমরা অনেক সাইটের সাথে এফিলিয়েট এ কাজ করবো । এর মধ্যে কোন আপনার উপকারে আসতে পারে তার সর্ম্পকে মোটামোটি ধারনা দিলাম । আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন ।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন:

নিচে আমি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার ১০ টি ধাপ একে একে দেখাচ্ছি। আপনাকে এই ১০ টি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে অতিক্রম করতে হবে যদি আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে চান। তাহলে ধাপ গুলো দেখে নেয়া যাক।

.

১: নিশ বাছাই করতে হবে:

.

অজস্র নিশ আছে যার মধ্যে থেকে আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের নিশ।এখানে কিছু নিশের আইডিয়া দেয়া হলো: কোনো প্রোডাক্ট, মোটিভেশনাল, ওয়েট লস, ডায়েট, ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইনিং, গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, হোম ডেকোরেশন, ক্যরিয়ার ডেভেলপমেন্ট, ইনফরমেশন, অনলাইনে আয় ,ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং, ভ্রমণ,লাইফ হ্যাক, হেলথ টিপস,বিউটি টিপস, রান্নাবান্না, ব্যবসায়িক আইডিয়াস, ব্যবসায়িক পরামর্শ,শেয়ার বাজার, নিউজ, জোকস,উক্তি,ডিজিটাল মার্কেটিং,এস ই ও,সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং,পড়াশুনা ইত্যাদি।

.

আপনি এ জন্য:-Namecheap.com, Bluehost.com, Go Daddy, Domain.com এ সমস্ত সাইটের মাধ্যমে ভালো মানের ডোমেন কিনতে পারেন।

.

২: প্রোডাক্ট বাছাই করতে হবে:

.

নিশ সিলেক্ট হয়ে গেলে এরপর আপনার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রোডাক্টসমূহ সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যদি নিশ সিলেক্ট করে ফেলেন তখন আপনার প্রোডাক্ট সিলেকশন অনেক সহজ হয়ে যাবে।আপনি চাইলে ‍SEMrush Software এর সাহায্য নিতে পারেন।

.

৩: ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে:

.

নিশ ও প্রোডাকট সিলেকশন হয়ে গেলে এবার আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য একটি ওয়েবসাইট খুলতে হবে। এই ওয়েবসাইটটি আপনি নিজেই খুলবেন।ওয়েবসাইট খোলা খুবই সহজ একটি ব্যাপার যা আমি এই লিংকে দেখিয়েছি। আপনি দেখে নিতে পারেন।

.

একটি ওয়েব সাইট কিভাবে তৈরি করবেন?

আপনি এ জন্য:- Namecheap.com, Bluehost.com, Go Daddy, Domain.comএ সমস্ত সাইটের মাধ্যমে ভালোমানের হোষ্টিং কিনতে পারেন।

.

: ওয়েবসাইট সেটআপ করতে হবে:

শুধু ওয়েবসাইট খুলে বসে থাকলেই হবে না আপনাকে ওয়েবসাইটটি ঠিকঠাক মত সেটআপ করে নিতে হবে। এই সেটআপ করে নেয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি এই বিষয়ে একটি বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই লিংকে।

.

একটি ওয়েবসাইট কিভাবে সেটআপ করবেন?

আপনার ওয়েব সাইট সেটআপ করার জন্য ভালোমানের Theme and Plugin প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে এগুলো Themeforest থেকে নিতে পারেন। WordPress Site থেকে আপনি অবশ্য থিম ফ্রিতে পেতে পারেন। কিন্তু আমার মতে কিনে নেওয়া থিম ব্যবহার করা ভালো। তাতে করে আপনি আপনার মতো থিম ব্যবহার করতে পারেন।

.

: ওয়েবসাইট অপারেট করা শেখতে হবে:

আপনার ওয়েবসাইটটি সুন্দর মত সেটআপ হয়ে গেছে। এখন আপনাকে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট ব্যবহার করতে শিখতে হবে যদি আপনি ইতোমধ্যে এটি না শিখে থাকেন। এটি কিন্তু খুব কঠিন কিছু না। এ কাজটি খুবই সহজ। একটি ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইট অপারেট করা ফেসবুক চালানোর মত সহজ এবং আপনি তা এই গাইডে পাবেন।

.

: এস (SEO) শিখতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন আর এস ই ও জানবেন না এটি হবে না কারণ এসইও জানতে হবে এ কারণে যে আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন তথা গুগল, ইয়াহু এরকম সার্চ ইঞ্জিন থেকে ট্রাফিক বা ভিজিটর আপনার সাইটে নিয়ে আসতে হবে। আর এজন্য আপনাকে আপনার আর্টিকেল বা কনটেন্ট সমূহ rank করাতে হবে।

.

: কনটেন্ট তৈরী করা শিখতে হবে এবং লিখতে হবে:

এসইও শিখে গেলেন খুবই ভালো কথা। এবার আপনার যে কাজটি করতে হবে এটি হলো সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।আপনার সাইটের জন্য এখন কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। তো একটি ওয়েবসাইট এর জন্য মেইন কন্টেন্ট হল আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট। ভালো কনটেন্ট তৈরি করার জন্য এবং কন্টেন্টে যেন ব্যাকরন গত কোন ভূল না থাকে তা দেখার জন্য আপনি Grammerly Software ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যদি এটা ব্যবহার করেন। তবে আমার মনে হয় আপনি খুব সহজে এস ই ও (SEO)  rank করতে পারবেন।

.

: ওয়েবসাইট ভিজিটর নিয়ে আশার চেষ্টা করতে হবে:

ভালো কনটেন্ট তৈরি করার পরে আপনার কাজ শেষ না। এরপর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ নিয়ে আপনাকে ব্যস্ত থাকতে হবে। সেটি হল আপনার সাইটে বেশি বেশি ভিজিটর নিয়ে আসা।এই জিনিসটা অন্যের উপর ভরসা করে থাকলে হবে না। আপনার নিজেরও চেষ্টা করতে হবে যে কিভাবে আপনার সাইটে বেশি বেশি ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসা যায়।

.

: ইমেইল কালেক্ট করতে হবে:

আপনার যত বেশি ইমেইল সাবস্ক্রাইবার থাকবে, তত বেশি আপনি আফিলিয়েট কমিশন পাওয়ার আশা করতে পারেন। এর কারণ হলো যারা আপনাকে তাদের ইমেইল দিচ্ছে যে আপনি তাদেরকে আপনার কন্টেন্ট পাঠান তারা কিন্তু আপনাকে বিশ্বাস করে দিচ্ছে।

.

১০: এফিলিয়েট প্রোডাক্ট সাইন আপ করে তা প্রমোট করতে হবে:

এবার আপনার ইনকাম করার পালা। হ্যাঁ বন্ধু আপনার এখন যে কাজটি করতে হবে সেটি হল বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এ যুক্ত হতে হবে এবং এই কাজটি সম্পূর্ণ ফ্রিতে করা যায়।আপনি বিভিন্ন প্রোডাক্ট বা বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মার্কেটপ্লেসে যেয়ে সাইন আপ করুন ।

.

অ্যাফিলিয়েট মার্কেট এর সাথে অর্থ উপার্জন করবেন কিভাবে?

.

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটর হিসাবে আমার প্রথম দিনগুলি ছিল অভাবনীয় সুন্দর। আমার ফোকাস ছিল উচ্চতর বাজারে যোগদান এবং আশা ছিল  উচ্চতর কমিশন । আমি একটি প্রোগ্রাম এর সামগ্রিক কাঠামো সম্পর্কে কম উদ্বিগ্ন ছিলাম, কিন্তু আর্থিক ফলাফল যা এখনো ঘটেনি তাতে আরো আগ্রহী ছিলাম।

.

উদাহরণস্বরূপ, আমি  Impact এর অধিভুক্ত প্রোগ্রামে যোগদান করেছি, যা কমিশনের হার 3 শতাংশ প্রদান করেছে। কয়েক মাস পর, আমি Impact প্রোগ্রামটি আবার দেখি এবং কমিশনের গঠন সম্পর্কে আরও চিন্তা করি। 3,000 ডলার উপার্জন করতে আমাকে 100,000 ডলার বিক্রি করতে হবে। আমি অসাধারণ ব্যবসায়ীর সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এবং লাভজনক প্রোগ্রামগুলিতে যোগদান করে অধিভুক্ত মার্কেটিংয়ে অর্থ উপার্জন করে বুঝতে পেরেছি।

.

আমি আমার অনুমোদিত অংশীদারিত্বগুলি এবং কীভাবে প্রচার করার ধারনা সম্পর্কে আরো চিন্তা করেছিলাম, তাই আমি “Affiliate Program Guidelines” নামক একটি দস্তাবেজ তৈরি করেছি, যা আমি চাওয়া গুণাবলীগুলি উল্লেখ করেছি।

.

একটি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামেযুক্ত হতে গেলে আপনাকে সেই সাইটের যেসব বিষয় সর্ম্পকে জানতে হবে তা হলো :

.

How to Choose Affiliate Programs

  1. The company
  2. Commission
  3. Cookie length
  4. Payout threshold
  5. Deep linking
  6. Reporting and activity data
  7. Affiliate tracking software
  8. Affiliate manager
  9. Free trial and return policies
  10. Marketing material and creative assets
  11. Program terms and policies

.

The company

বর্তমানে অনলাইনে বড় কোম্পানির মধ্যে রয়েছে Amazon and Shopify আমি এ কোম্পানির প্রস্তাব করি এবং এটি অনলাইন ব্যবসায় অনেক খ্যাতি অর্জন করেছে । এটি অনলাইন বড় E- Commerce সাইট। Shopify  ও একটি বড় সাইট । তাই অবশ্যই কোম্পানির কমিশন দেখে এফিলিযেট মার্কেটিং করবেন। তাহলে ভাল কমিশন পাবেন।

.

Commission

সেরা বিজ্ঞাপনদাতাদের 30 শতাংশ বা তার বেশি কমিশন হার প্রদান করে থাকে। এখানে কমিশন ভাল দিয়ে থাকে এবং এ কোম্পানীর স্বচ্ছতা এবং ন্যায্যতা সম্পর্কে একটি ভাল খ্যাতি আছে।।তাই অবশ্যই কোম্পানির কমিশন দেখে এফিলিযেট মার্কেটিং করবেন। তাহলে ভাল কমিশন পাবেন।

.

Cookie length

বিজ্ঞাপন দেওয়ার সময়কাল 30 দিন হয়ে থাকে । আমি বিজ্ঞাপনদাতাদের পছন্দ করি যারা আমাকে আমার প্রচারমূলক প্রচেষ্টার জন্য ক্রেডিট পেতে সময় সাহায্য করে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, কেউ আমারঅধিভুক্ত লিঙ্কে ক্লিক করে 27 দিন পরে কেনাকাটা করে এবং আমি কমিশন উপার্জন করি।  

.

আমি এটা আরও পছন্দ করি, যখন আমার 60, 90, এবং 120 দিন রূপান্তরিত হয়। উদাহরণস্বরূপ,  Bluehost  100 দিনের বেশি উদার রেফারাল সময়কাল অফার করে থাকে।

.

Payout threshold

অ্যাফিলিয়েটদের পাওনা টাকা পেতে চান! আপনি আপনার আয় করা টাকা  Payoneer মাস্টারকার্ড , মানিবুকার্স স্ক্রিল ,AlertPay Payza এর মাধ্যমে পেতে পারেন।

.

Deep linking

গভীর লিঙ্কিং উপকারী এবং বিকল্প উৎপাদন করে থাকে। গভীর লিঙ্কিং এমন একটি অনুশীলনী যা একটিঅধিভুক্ত ব্যবসায়ীর সাইটে একটি নির্দিষ্ট পৃষ্ঠার লিঙ্ক তৈরি করে।

.

Reporting and activity data

তথ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রতিবেদন এবং কার্যকলাপের তথ্য যেমন ইমপ্রেশন, ক্লিক, রূপান্তর, এবং কমিশন । অতএব, আপনি নিম্নমানের  অনুমোদিত প্রোগ্রাম, সফটওয়্যার, বা নেটওয়ার্কগুলির সাথে যদি না থাকেন তবে আপনার সাথে কোন সমস্যা নেই।

.

Affiliate tracking software

অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম সফটওয়্যার লিঙ্ক জেনারেট এবং ট্র্যাক করতে সক্ষম হতে হবে, বিক্রয় গুণমান, এবং দক্ষতার বিনিময়ে বিনিময়। একটি অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে ট্র্যাকিং সফ্টওয়্যারটি সহজেই ব্যবসায়ীর বিভিন্ন ধরণের, বিভাগ এবং আইটেমগুলিতে পাওয়া যায়। স্ব হোস্টেড এবং হোস্টিং ট্র্যাকিং অ্যাপ্লিকেশন খুব প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারে। তবে, নিকৃষ্ট এবং তারিখযুক্ত অধিভুক্ত ট্র্যাকিং সমাধান বাজারে রয়েছে।

.

Affiliate manager

এফিলিয়েট ম্যানেজার হিসাবে কতগুলি কন্টেন্ট লিখতে পারেন এবং কত শব্দের মধ্যে তা পর্যালোচনা করে থাকে।  যারা কপি পেস্ট করে থাকে। সে ধরনের ব্যক্তিরা অর্থোপার্জন এবং অযোগ্যতা সৃষ্টি করে যা অর্থউপার্জনের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। ধীরে ধীরে খারাপের দিকে চলে যায়। বিপরীতে, যারা ভাল কন্টেন্ট লিখতে পারেন  তারা দক্ষ, প্রতিক্রিয়াশীল, শ্রদ্ধাশীল এবং উদ্যোক্তা ও কোম্পানির যত্ন নিয়ে কাজ করে থাকে। তাদের ফলাফল ভাল হয় এবং একজন সফল এফিলিয়েট মার্কেটর হিসেবে উঠতে পারে।

.

Free trial and return policies

বিজ্ঞাপন উপকরণ ব্র্যান্ড সচেতনতা এবং রূপান্তর হার বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে থাকে। আমি কেবল তাদের মার্কেটিং উপকরণ, সৃজনশীল সম্পদ এবং ব্যানার দ্বারা হতাশ হয়ে পড়ার প্রোগ্রামগুলি সম্পর্কে উত্তেজিত হয়েছি। Savvy অ্যাফিলিয়েট পরিচালকদের দরকারী এবং আকর্ষণীয় যে নকশা বিপণন উপকরণ আছে। তারা কোন সৃজনশীল সম্পদের উচ্চ রূপান্তর করে তা মূল্যায়নের জন্য A / B পরীক্ষা পরিচালনা করে। জেরি Maguire এর শব্দের মধ্যে, “আমাকে সাহায্য করুন, আপনাকে সাহায্য করবো।”

.

Marketing material and creative assets

একটি প্রোগ্রামের পদ এবং নীতিগুলি পড়ার পড় আপনি যখন Yes করেন। তখন তারা আপনার বিপণনের ধারনা, লক্ষ্য এবং ক্রিয়াকলাপগুলির সাথে সমন্বয় করে। এছাড়াও, আপনি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ এড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীর নিয়ম মেনে চলতে চান। এটি খুবি গুরুত্বপূর্ণ দিক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর জন্য।

.

Program terms and policies

অনলাইন বিশ্বের মধ্যে, অধিভুক্তদের সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে না। দুর্ভাগ্যবশত, প্রচলিত মানব পরীক্ষা অনেক অকার্যকর এবং সন্দেহজনক অনুশীলন করে। একজন প্রকাশক হিসাবে, আপনি দীর্ঘমেয়াদী এবং কঠোরভাবে ভাবতে চান যে কোন ব্যবসায়ীর সাথে আপনি অংশীদার হতে চান এবং প্রচার করতে চান। আপনি যদি না করেন তবে অনলাইনে অর্থ উপার্জন না করে আপনি অনলাইনে অর্থ হারানোর বিভাগে শেষ হয়ে যাবেন।

.

How to Apply for Affiliate Marketing Programs

.

আপনি অনুমোদিত মার্কেটিং বাজারে এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কাজ করতে চান, আপনি এক বা একাধিক অধিভুক্ত বিপণন প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে।চিন্তা করবেন না কারণ অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়াটি বেশ সহজ এবং আপনাকে এটির জন্য অর্থ প্রদান করতে হবে না। এই ব্লগ পোস্টে, আমি আপনাকে বিভিন্ন অনুমোদিত মার্কেটিং প্রোগ্রামগুলির অ্যাপ্লিকেশন প্রক্রিয়া দেখাব। আশা করি আপনারা যারা নতুন তারা সহজে বুঝতে পারবেন।

.

How to apply?

আপনি কোনও Approved marketing market এ সরাসরি বা কোনও অনুমোদিত বিপণন বাজারে যোগদান করতে পারবেন । তার জন্য আপনাকে তেমন কোন ঝামেলা পুহাতে হবে না ।অনেক সাইটে তাদের ‘অধিভুক্ত বিপণন প্রোগ্রাম তাদের ওয়েবসাইট রাখা হয়। বেশিরভাগ সময়, যদি আপনি কোনও পণ্য সাইটের নীচে যান তবে আপনি এফিলিয়েট প্রোগ্রামের মত একটি শব্দ খুঁজে পেতে পারেন।

.

শব্দ গুলো হতে পারে,Affiliates অথবা Become Affiliates এ রকম লেখা দেখতে পাবেন।আপনি যদি উপরের কোনও শব্দ দেখেন তবে এটিতে ক্লিক করুন এবং এটি আপনাকে একটি অনুমোদিত অ্যাকাউন্ট তৈরির প্রক্রিয়া দেখাবে।আপনি তখন ধীরে ধীরে কাজ করতে পারেন।

.

মনে করুন আপনি SEMrush  Affiliate Program   যোগদান বা নিবন্ধন করতে চান। যেহেতু SEMrush  এফিলিয়েট বিক্রয়গুলি ট্র্যাক করতে তাদের নিজস্ব সিস্টেম ব্যবহার করে, আপনি পৃথকভাবে SEMrush  এর জন্য একটি অনুমোদিত অ্যাকাউন্টের জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। এটি করার জন্য, SEMrush  এ যান এবং সাইটের নীচে যান।

.

আপনি নীচে সাবধানে তাকান, আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম বিভাগ দেখতে পাবেন।বিভাগে ক্লিক করুন এবং আপনি SEMrush এর অধিভুক্ত প্রোগ্রাম পরিচালিত হবে।

.

 SEMrush আপনাকে তাদের অনুমোদিত প্রোগ্রাম চালানোর জন্য BeRush .com নামক অন্য সাইটে নিয়ে যাবে।সুতরাং, একটি অনুমোদিত অ্যাকাউন্টের জন্য সাইন আপ করুন এবং আপনার সাইটে SEMrush  প্রচার শুরু করুন। আপনি তাদের মাধ্যমে আপনার লক্ষ্যবস্তু ট্র্যাফিক ড্রাইভ আপনার অনন্য অধিভুক্ত লিঙ্ক, ব্যানার ইত্যাদি পাবেন। আমি আর একটা প্রোগ্রাম সর্ম্পকে বলবো তা হলো cj.com সাইট সর্ম্পকে ।

.

1.প্রথমত, www.cj.com এ যান যা আপনাকে কমিশন জংশনের হোমপেজে নিয়ে যাবে।

2. হোম পেজে যাওয়ার পরে, আপনি বণিক বা প্রকাশক হিসাবে অ্যাপ্লিকেশনের জন্য দুটি বিকল্প দেখতে পাবেন।

3.আপনি প্ল্যাটফর্মের এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য নিবন্ধন করতে চাইলে প্রকাশক বিকল্প আপনার জন্য।

4 ফ্রি প্রকাশক সাইন আপ বোতামে ক্লিক করুন এবং এটি আপনাকে সাইন আপ আজকের বোতামটি নিয়ে একটি নতুন পৃষ্ঠায় নির্দেশ দেবে।

5.আপনার নিজের কিছু তথ্য পূরণের জন্য কিছু ফর্ম পর পর আসবে।

6 আপনি ফর্ম পূরণ করুন এবং জমা দিন।

7. তারা আপনার আবেদন পর্যালোচনা করে দেখবে।প্রতিটি কোম্পানি আপনার আবেদনটি পরীক্ষা করে দেখতে পারে এবং যদি আপনার কর্মক্ষমতা তাদের কোনও ঠিক না বলে মনে হয় তবে আপনাকেও প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে।

8.  একবার আপনি অনুমোদিত সংস্থাটির জন্য অনুমোদিত হলে, আপনি আপনার অনন্য অনুমোদিত লিঙ্ক ব্যবহার করে এটি প্রচার করতে শুরু করতে পারেন।

9.তখন আপনি সিজে কোম্পানির একটি অনুমোদিত অধিদফতরের  এফিলিয়েটস হিসাবে বিবেচিত হবেন।

10.সিজে তে আপনি হাজার হাজার পণ্য প্রচার করতে পারবেন। বাছাই করুন এবং আপনার পছন্দের পণ্যের প্রচার শুরু করতে পারেন ।

11.প্রথম ছয় মাসের মধ্যে কোনও বিক্রয় করতে না পারলে CJ স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার অনুমোদিত অ্যাকাউন্টটি নিষ্ক্রিয় বা বন্ধ করবে।

12.যদি এটি ঘটে তবে চিন্তা করবেন না কারণ আপনি সব সময় ছয় মাসের জন্য পুনরায় সক্রিয় করতে পারেন।

13.আপনি নিয়মিত কিছু বিক্রয় পেতে হলে, নিষ্ক্রিয় হওয়ার বিষয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

14. আপনি নিয়মিত কিছু বিক্রয় পেতে পারেন তার কাজ করার চেষ্টা করবেন ।

সুতরাং, এই অনুমোদিত মার্কেটিং জন্য আবেদন করার সহজ পদ্ধতি। আপনি উপরে দেখানো সহজপদক্ষেপ অনুসরণ করে শুধু কোন অনুমোদিত অধিবেশন প্রোগ্রামের জন্য নিবন্ধন করতে পারেন। এইকাজ করার জন্য আপনাকে কোন টাকা দিতে হবে না । তাই, বলছি এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি লাভজনক পেশা ।

.

আপনি চাইলে চেষ্টা করতে পারেন ।ভাগ্য কার কখন কিভাবে বদলে দেয়, কেও কি বলতে পারে । এগি্যে জান ভালো হবে ।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ গুলো কি?

.

আফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা গুলো :

এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো বিভিন্ন প্রোডাক্ট প্রমোট করে আয়ের এক অসাধারণ উপায়। এরপর ও অনেকেরই এই প্রশ্ন থাকতে পারে যে কেন আমি এটা করবো। তাদের জন্য আমার এই পোস্টটি।এফিলিয়েট মার্কেটিং এর পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করলে তার তালিকা এত লম্বা হবে যে তা গুনে শেষ করা যাবে না। তাই আমি শুধু উল্লেখযোগ্য কিছু কারণ উপস্থাপন করছি যার জন্য আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং করা উচিত।

.

কারণগুলো নিম্মে তুলে ধরা হলঃ

১. এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কোনো টাকার ইনভেস্ট করার দরকার হয় না।

২. কোনো নিজস্ব প্রোডাক্ট থাকার প্রয়োজন হয় না।

৩. পছন্দমতো প্রোডাক্ট প্রমোট করা যায়।

৪. ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করা যায়।

৫. প্রোডাক্টের সেলস করার পর সার্ভিস নিয়ে কোনো চিন্তা করতে হয় না।

৬. ফুলটাইম ক্যারিয়ার গড়া যায়।

৭. নিজেই নিজের বস হিসাবে কাজ করা যায়।

৮. সময়ের স্বাধীনতা থাকে।

৯. তাই যেকোনো সময় ভ্রমণে যাওয়া যায়।

১০. বিভিন্ন কোম্পানির কাছে যথেষ্ট সম্মান পাওয়া যায়।

11.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোনো বিড করার প্রয়োজন পড়ে না।

12.অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ থাকে।

13.কটি ওয়েবসাইট দিয়ে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব হয়।

14.একটি অ্যাফিলিয়েট সাইট দিয়ে একাধিক ওয়েতে ইনকাম করা সম্ভব হয়।

15.আনলিমিটেড ইনকাম করা সম্ভব।

16.ঘুমিয়ে থাকলেও ইনকাম করা সম্ভব।

.

বাস্তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে কোনো খরচ করতে হয় না। বিভিন্ন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সম্পূর্ণ বিনাপয়সায় অংশগ্রহণ করা যায়।তবে পূর্ণাঙ্গরূপে এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ভালো আয় করতে চাইলে নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট থাকা জরুরি, আর এটিই আপনার মূল খরচ।

.

উল্লেখ্য যে আপনার ওয়েবসাইট থেকে যে শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন তা কিন্তু নয়। চাইলেই আপনি আপনার ওয়েবসাইট থেকে নানাভাবে আয় করতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং হলো নিজেই নিজের বস হবার এক অনন্য উপায়। স্বাধীনচেতা যেকোনো কেউই এর সাহায্যে এক অনাবিল সুন্দর ক্যারিয়ারের দিকে এগোতে পারেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং একটি স্মার্ট এবং আধুনিক পেশা। এই পেশার কিছু স্বাতন্ত্রতা রয়েছে যা এটিকে অনলাইনের অন্যান্য কাজ থেকে পৃথক করেছে ।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অসুবিধাঃ

.

অনেক সুবিধার পাশাপাশি এই পেশার কিছু অসুবিধাও রয়েছে। যেমন,

১।ফ্রিল্যান্সিংয়ে শুরুর দিকেই সবাই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না।

২।জীবনে গার্লফ্রেন্ড কিংবা বয়ফ্রেন্ড-এর জন্য অনেক রিস্ক নিলেও এই ইন্ডাস্ট্রির রিস্কটা অনেকে নিতে চায় না।

৩।আয়ের জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করা বিরক্তিকর মনে হয়।

৪।ধৈর্য্য ধরতে হয় বেশ কিছু ‍দিন । আয় পাওয়ার জন্য ।

মানুষের  চাহিদা সম্পর্কে জানার সীমাহীন আগ্রহ কিংবা সেই চাহিদার বস্তুটাকে তার চোখের সামনে মেলে ধরতে পারার যোগ্যতা থাকলে আপনার পক্ষেই সম্ভব একজন সফল অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হওয়া। ধৈর্য্যের সাথে একনিষ্ঠতা থাকলে অসাধ্যকে সাধন করা সময়ের ব্যাপার মাত্র ।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন?

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং

কেন করবেন তা করার পেছনে অজস্র কারন আছে, তবে আমি এখানে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রধান কিছু সুবিধা নিয়ে আলোচনা করবো। কারন এগুলো খুবিই জানা দরকার । তাহলে আপনারা পরিষ্কার হয়ে যাবেন । এফিলিয়েট মার্কেটিং করার পেছনে প্রথম কারন হল এটি সম্পূর্ণই প্যাসিভ আয় মডেল আরপ্যাসিভ আয় মানে হল যে আয় করতে গেলে আপনাকে সরাসরি প্রতিটি মুহূর্ত আপনার ব্যবসার সাথে লেগে থাকতে হবে না।

.

যেহেতু এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে সবসময় একটি ধরাবাঁধা রুটিন মেনে কাজ করতে হয়না, তাই একজন এফিলিয়েট মার্কেটার সময়ের সর্ম্পুণ স্বাধীনতা পেতে পারেন।

.

1. এফিলিয়েট মার্কেটিং এ অর্থের ও স্বাধীনতা পাওয়া যায় কারন এ ব্যবসাটি একবার ভালমত দাঁড়িয়ে গেলে আপনাকে আর আয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, দেখবেন যে বিভিন্ন সময়ে এফিলিয়েট কমিশন আপনার একাউন্টে জমা হচ্ছে।

2.এফিলিয়েট মার্কেটিং এ সময় ও অর্থের স্বাধীনতা পাওয়া যায়, তাই এ থেকে ভ্রমণেরও ব্যাপক সুবিধা আছে। এফিলিয়েট মার্কেটিং ছাড়া অন্য কোন পেশাতে এতটা স্বাধীনতা পাওয়া যায় না।

3.নিজেই নিজের বস হওয়া যায় ফলে কখন কোন কাজ করবেন না করবেন তার ডিসিশন আপনি নিজেই নিতে পারবেন।তো বন্ধুরা উপরোক্ত সুবিধাগুলো খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন যে এফিলিয়েট মার্কেটিং আসলে কতটা আনন্দময় একটি পেশা।তবে আবারো সতর্ক করে দেই কারন এর শুরুতে প্রচন্ড খাটাখাটনি করতে হবে, তা না হলে সুখের দেখা কখনই পাবেন না।

.

আমার চেনা এমন অনেকে আছেন যারা এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে ছিল, কিন্তু এমন সময়ে তারা এ কাজটি ছেড়ে দেন যে আর মাত্র কয়েকটা দিন কস্ট করলেই কিন্তু তারা রেজাল্ট পেয়ে যেতেন। এমন অনেককে অনেক বুঝিয়ে বললেও তাদের সেদিকে কোন খেয়াল দেখিনা।আসলে আমাদের দেশের অধিকাংশের মানসিকতা হল এক টাকা পেলে আজই পেতে হবে, ১০০ টাকা পাওয়ার জন্য ১০ দিন অপেক্ষা করতে পারবো না।

তাই বলছি কোন কাজ শুরু করলে তা শেষ করার অভ্যাস করুন । ফল পাবেন আর যদি অর্ধেক পথে আপনি কাজটি ছেড়ে দেন তবে কি হতে পারে আর বলার অপেক্ষা রাখে না ।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কিছু ভুল যা সাফল্য অজর্নে বাধা তৈরি করতে পারে।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মূল বিষয় কারো পণ্য প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করে কমিশন পাওয়া কে বুঝায়। অনলাইনে পণ্য প্রচারের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, সেগুলো মেনে না চললে বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণ ভুল গুলো আলোচনা করা হলো যা আপনার কাজে লাগবে।

.

সাধারণ ভাবে দেখলে এফিলিয়েট মার্কেটিং বিষয়টি খুবই সহজ একটি বিষয়। যার কারণে অনেকে বিভিন্ন এফিলিয়েট মার্কেটপ্লেসে যোগদান করছেন ও কাজ করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ মার্কেটার কিছু ছোট খাটো ভুলের জন্য তাদের কাঙ্খিত সফলতা পাচ্ছেন না। কারণ আমরা জানি, কোনো কিছু সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য কিছু নিয়মের প্রয়োজন হয়।

.

এক্ষেত্রেও কিছু নিয়ম প্রয়োজন,তাহলেই সফলতা পাওয়া সম্ভব। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাধারণ ভুলগুলো বা নতুন মার্কেটাররা যে-সব ভুল করে থাকে সেগুলো এড়িয়ে চললে সফলতা পাওয়া যাবে। ফ্রিল্যান্সারদের কাছে এফিলিয়েট মার্কেটিংসবচেয়ে জনপ্রিয়।

.

এর দ্বারা ঘরে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে পারেন অতি সহজে, যদি এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের পদ্ধতিতে কোন ভুল না করেন। কিন্তু এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণ ভুলগুলো বুঝে উঠতেই মার্কেটারদের অনেক সময় চলে যায়। যার কারণে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোঁছাতে পারে না যার ফলে অনেকে কাজ ছেড়ে দেন। এমন পরিস্থিতি যেন আর সৃষ্টি না হয় তাই আজকের এই আলোচনা।

.

অল্প জ্ঞান থাকলে হবে না:

পণ্য সম্পর্কে জ্ঞান বৃ্দ্ধি করতে হবে। আপনার অল্প জ্ঞান দিয়ে আপনি সফল হতে পারবেন না। এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি হচ্ছে পণ্য নির্বাচন হয়ে গেলে পণ্য সর্ম্পকে অনলাইনে যা পাওয়া তা screenshot দিয়ে রাখতে হবে এবং বার বার পড়তে হবে। পণ্য সর্ম্পকে সম্ভাব্য প্রশ্ন চিন্তা করা এবং উত্তর বের করতেহবে। পণ্য সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করে তারপরে তা প্রচার করতে হবে।

.

ট্রাফিক ট্র্যাকিং না করা:

ট্রাফিক হচ্ছে ভিজিটর। আপনার ওয়েবসাইটে ট্র্যাকিং পদ্ধতি রাখতে হবে। এটা আপনাকে যে-সব তথ্য দিবে তা হলো ট্রাফিক কেন আপনার ওয়েবসাইট ত্যাগ করছে, ট্রাফিক কোনটি ক্লিক করছে, কত সময়কি করছে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এতে করে ওয়েবসাইটের দুর্বল দিকগুলো বুঝতে পারবেন এবংযত দ্রুত সম্ভব সে-গুলো সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে Google Analytics ব্যবহার করতে পারেন যাফ্রী এবং জনপ্রিয়।

.

কিওয়ার্ড রিসার্চ না করার কারনে:

এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সাধারণ ভুলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিকর ভুল কিওয়ার্ড রিসার্চ না করা।কিওয়ার্ড হচ্ছে আমরা যা লিখে সার্চ দেই তাই, অর্থাৎ অনলাইনে আমরা কোনো জিনিস খোঁজার জন্যযেটা লিখে সার্চ দেই, সেটাই কি-ওয়ার্ড। আর কিওয়ার্ড রিসার্চ হচ্ছে কোনো জিনিস কত বার খোঁজাহচ্ছে, কোন দেশ থেকে খোঁজা হচ্ছে, জিনিসটি নিয়ে মার্কেটাররা কাজ করছে কি না, জিনিসটি নিয়ে কাজ করলে কতটুকু সফলতা পাওয়া যাবে, ইত্যাদি রিসার্চ করা।

.

এক কথায় পণ্য বিক্রি হবে কি না সেটার পূর্বাভাস জানা যাবে। মনে করেন, চামচ নিয়ে মার্কেটিং করছেন। কিন্তু চামচ যদি কেউ না খোঁজে, তাহলে তো চামচ বিক্রি হবে না।তাহলে বুঝতে পারছেন কি-ওয়ার্ড রিসার্চ কতটা জরুরী এবংকি-ওয়ার্ড রিসার্চ না করা এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে একটা বড় ধরণের ভুল।কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য ব্যবহার করতে পারেন জনপ্রিয় টুলস Long Tail Pro যা পেইড এবং Google Adwords Keyword Planner যা সম্পূর্ণ ফ্রি।

.

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে একসাথে কাজ না করায় ভাল:

আপনি একসাথে অনেক মার্কেটপ্লেসে কাজ করবেন না। কারণ প্রতিটা মার্কেটপ্লেসের বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। যার ফলে বিভিন্ন নিয়ম পালন করতে পারা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে এবং কাজ করতে বেশী সময় ও শ্রম দিতে হবে। ফলে সফলতায় বাধা আসবে।তাই ভেবে চিন্তে কাজ করবেন।তাতেই আপনার সাইটের জন্য ভাল হবে।

.

নিম্নমানের পণ্য নিয়ে মার্কেটিং করবেন না:

আপনি যে পণ্যটি নিয়ে মার্কেটিং করছেন সেটার গুণগত মান ভাল হতে হবে। পণ্যের মান ভাল না হলে বিক্রির সম্ভাবনা থাকে না।যেহেতু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং মানে অন্যের পণ্য প্রচার।

.

ট্রাফিক লিস্ট তৈরি করতে হবে:

ট্রাফিক বা ভিজিটর লিস্টের সংখ্যা যত বাড়বে সফলতা তত বেশী আসবে। এজন্য একটি Subscription form তৈরি করতে হবে। ট্রাফিক যখন আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে, তৈরি কৃত form টি automatic চলে আসবে। সেখানে ট্রাফিক চাইলে email দিতে পারে আবার নাও পারে।

.

যদি দেয় তাহলে বুঝতে হবে সে আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি আগ্রহী এবং লিস্টের অন্তভুক্ত করে পরে email দিতে পারবেন। ফলে পণ্যের বিক্রয় বেড়ে যাবে কারণ আপনার ওয়েবসাইটের পণ্যের প্রতি তার আগ্রহ আছে বলেই email দিয়েছে। এক্ষেত্রে Mailchimp আপনাকে শতভাগ সাহায্য করবে।

.

সোসাল মিডিয়াতে প্রচার করতে হবে:

শুধু search engine এর উপর নির্ভর থাকলে চলবে না। বিভিন্ন সোসাল মিডিয়ায় পণ্যের প্রচারণা করতে হবে। পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ সোসাল মিডিয়া ব্যবহার করে। ফলে পণ্য বিক্রির সম্ভাবনা বেড়ে যায়। সোসাল মিডিয়ার ভাল দিক হচ্ছে ফ্রি, অল্প সময় দিতে হয়, সহজ ব্যবহার এবং অধিক ট্রাফিক পাওয়া যায়। এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য পৃথিবীর জনপ্রিয় সোসাল মিডিয়াগুলো Facebook, Youtube, Twitter, Reddit, Pinterest, Tumblr, Google+, Linkedln, VK, Flicker ।

.

কিওয়ার্ড রিসার্চের জন্য ব্যবহার করতে পারেন জনপ্রিয় টুলস Long Tail Pro যা পেইড এবং Google Adwords Keyword Planner যা সম্পূর্ণ ফ্রি।

.

নিম্নমানের আর্টিকেল লিখলে চলবে না:

পণ্যের বিবরণ লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন পণ্যের সব তথ্য সঠিকভাবে থাকে। কাঙ্খিত লক্ষ্যে পোঁছাতে এ বিষয়টি খুবই প্রয়োজন। নিম্নমানের আর্টিকেল বা সব তথ্য না থাকলে বিক্রি হবার সম্ভাবনা থাকে না। যদি পণ্য সর্ম্পকে সব তথ্য না দেন, তবে ক্রেতারা সেটা কিনতে আগ্রহী হবে না।

.

এক্ষেত্রে প্রচারের জন্য নির্বাচিত পণ্যটি নিয়ে চিন্তা করতে হবে, এটা সর্ম্পকে ভিজিটর কি জানতে চাইতে পারে তা ভাবতে হবে। তবেই সমাধান পাওয়া যাবে। ভালোমানের লেখা লিখে আপনি তা Grammerly Software দ্বারা ব্যাকরন চেক করে নিতে পারেন।

.

মিথ্যা তথ্য দেবেন না:

পণ্য সর্ম্পকে মিথ্যা তথ্য দেওয়া যাবে না। তাতে আপনার ওয়েবসাইট বা যার মাধ্যম প্রচার করবেন সেখানে ট্রাফিক কমে যাবে। আবার, আকৃষ্ট করার জন্য টাইটেল পরিবর্তন করা যাবে না। বিষয়টি হচ্ছে টাইটেলে দিলেন beautiful pen, কিন্তু পণ্যটি book, এমন করা যাবে না। তাতে যেমন ট্রাফিক হারাবেন,  তেমনি ওয়েবসাইটের গুনগত মানও কমে যাবে।

.

পেইড প্রচার করতে হবে:

পেইড প্রচার আপনার লক্ষ্যে অতি দ্রুত পোঁছাতে সাহায্য করবে।মনে করেন, আপনি facebook মার্কেটিং করছেন। Facebook এর একটি পদ্ধতি হচ্ছে কিছু টাকা দিলে তারা আপনার post কে মানুষের কাছে অল্প সময়ে পোঁছে দিবে। তা আবার আপনি যে পেশার মানুষের কাছে বলবেন।

.

উপরেরপদ্ধতির মত আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে এবং বিভিন্ন সোসাল মিডিয়াকে অতি সহজে মানুষের কাছে পোঁছে দিতে পারবেন। যার ফলে অল্প সময়ে সফলতা পাবেন। উপরের প্রতিটি বিষয় এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য আবশ্যকীয়। নিয়মগুলো মেনে কাজ করলে অল্পসময়ে সাফল্য অর্জন করবেন।

.

তবে মনে রাখবেন প্রতিটি বিষয় নিয়ে কাজ করতে হবে। আশা করি এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলবেন এবং শ্রীঘ্রই আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাবেন।

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার কারন কি ?

.

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এতটা জনপ্রিয় হওয়ার অন্যতম কারণ হলো যে উপরে উল্লেখিত চারটি শ্রেণী এর মাধ্যমে ব্যাপক উপকৃত হচ্ছেন।একটু ভাল করে বলি-

.

প্রথম যিনি উপকৃত হচ্ছেন তিনি হল মার্চেন্ট কারণ অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে তিনি অধিক পরিমাণ সেল পাচ্ছেন আর এর জন্য তার কোন টেনশন করতে হচ্ছে না কারণ তাকে মাসিক বা ঘন্টা ভিত্তিক কাউকে নিয়োগ দিতে হচ্ছে না। যখনই কেউ তার প্রোডাক্ট সেল করতে পারছে তখন তাকে তার প্রফিট থেকে কমিশন দিতে হচ্ছে।

.

দ্বিতীয় উপকার পাচ্ছেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কারণ তিনি মার্চেন্ট এর প্রোডাক্ট প্রোমোট করে তা বিক্রির মাধ্যমে কমিশন পাচ্ছেন। তার নিজস্ব কোন প্রোডাক্ট তৈরি করতে হচ্ছে ।  কোন গ্যারান্টি বা ওয়ারেন্টি দিতে হচ্ছে না । তাকে শুধু প্রোডাক্টের গুনগত মান সম্পর্কে ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে বিক্রি করতে হচ্ছে।

.

তৃতীয় লাভবান হচ্ছেন কাস্টমার কারণ বর্তমানে অধিকাংশ ক্রেতাই কোন পণ্য কেনার আগে অনলাইনে সার্চ করে তা সম্পর্কে বিভিন্ন জনের মন্তব্য এবং এর খুটিনাটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেন আর তারা এই ইনফরমেশন সমূহ বিভিন্ন অ্যাফিলিয়েট সাইটে পাচ্ছেন।

.

চতুর্থ শ্রেণি তারমানে অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক কিন্তু মার্চেন্ট ও অ্যাফিলিয়েট এর মাঝে একটি সেতুবন্ধন করে তিনি ও মুনাফা অর্জন করতে পারছেন। সুতরাং আমরা দেখতে পাচ্ছি যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে চারটি শ্রেণি ব্যাপকভাবে লাভবান হচ্ছেন আর এভাবেই দিনে দিনে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

.

সর্তক থাকতে আমার পরামর্শ :

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তার সাথে সাথে এর কিছু খারাপ দিক ও উঠে এসেছে যেমন অনেক অসৎ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার শুধুমাত্র বেশি বেশি কমিশন লাভের আশায় খারাপ মানের প্রোডাক্ট বিভিন্নভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তার অডিয়েন্সের কাছে বিক্রি করছেন। এছাড়াও অনেক সময় নিম্নমানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররা বিভিন্ন স্প্যামিং এর আশ্রয় নিচ্ছেন যাতে তারা বেশি বেশি গ্রাহককে তাদের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে পারেন এর মধ্যে আছে সোশ্যাল মিডিয়া স্প্যামিং, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও,ইমেইল স্প্যামিং ইত্যাদি ।

.

তবে যারা ভালো এফিলিয়েট মার্কেটার এবং ভাল কাজ করেন তাদের কাছ থেকে সবসময় উপকার আশা করা যায় আর যে কোন ব্যবসাতেই ভালো খারাপ দুটোই থাকবে তাই নিম্নমানের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের কথা বিবেচনায় না রেখে ভালোদের দিকেই তাকানো উচিত এবং একই সাথে আপনি যদি আফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন তবে অবশ্যই আপনি ইথিক্যালি এফিলিয়েট মার্কেটিং করবেন কারণ ইল্লিগ্যাল কাজ করে কখনোই ভালো কিছু করা যাবে না এটা সব সময় মনে রাখবেন।

.

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে চান জেনে রাখুন ৩টি গুরুত্বর্পূণ কৌশল।

.

যারা অনলাইনে চাকরি কিংবা ফ্রি-ল্যান্সিং করে আয় করতে চান তাদের জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অন্যতম মাধ্যম। এখানে একজন অ্যাফিলিয়েটর হিসেবে আপনার কাজ হচ্ছে কোন একটা নির্দিষ্ট পণ্য বা ওয়েবসাইট লিংক প্রমোট করা। আপনার দেয়া লিংকে যখন কেউ ক্লিক করবে বা ঐ পণ্যটি কিনবে তখন প্রত্যেকটি ক্লিক এবং ক্রয়ের জন্য একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে আপনি নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন পাবেন।

.

অর্থাৎ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে পারবেন।অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে আপনাকে হতে হবে কৌশলী। কারণ আপনার প্রত্যেকটা পোস্টেই যদি আপনি বারবার লিংক দিয়ে যান, তবে আপনার বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যারা অবশ্যই বিরক্ত হবে। সুতরাং, আপনাকে সবকিছুর মধ্যে একটা ব্যালেন্স রেখে কাজ করতে হবে।ওয়েবসাইট থেকে আয় এর ক্ষেত্রে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জনপ্রিয়তা দিন দিনই বাড়ছে।

.

একজন অ্যাফিলিয়েট হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সহজ বিধায় অনেকেই এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর বিষয়ে আগ্রহী। কীভাবে সহজে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা যায় তার উপায়গুলো নিয়ে নিচে আলোচনা করা হলো :-

.

১। শুরুতে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে প্রবেশ করতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য প্রথমেই আপনাকে এই মার্কেটে প্রবেশ করতে হবে। এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-

.

) বিজনেস মডেল নির্বাচন করতে হবে:

দুই ধরনের বিজনেস মডেল আছে। প্রথমটি হলো রিসোর্স সাইট এবং দ্বিতীয়টি রিভিউ সাইট। যে পণ্য বা সার্ভিস নিয়ে আপনি কাজ করবেন সেটার সাথে আপনি কতটা পরিচিত তার ওপর নির্ভর করেই আপনাকে মডেল নির্বাচন করতে হবে।

• রিসোর্স সাইটের অ্যাফিলিয়েট লিংকে সাধারণত ব্যবসায়ীর ওয়েবসাইট, ব্যানার অ্যাডভার টাইজ মেন্ট দেয়া থাকে। কাস্টমারদেরকে ওয়েবসাইটমুখী করার জন্য এই বিজনেস মডেলটিকে সবসময় আপডেট রাখতে হয় এবং ফ্রেশ কনটেন্ট পোস্ট করতে হয়।

• রিভিউ সাইটে বিভিন্ন পণ্য বা সার্ভিসের রিভিউ দেয়া থাকে। প্রত্যেকটা পণ্য বা সার্ভিস রিভিউর লিংক বা ব্যানার অন্তর্ভুক্ত থাকে। যেখান থেকে কাস্টমার সহজেই ওয়েবসাইটে আসতে পারে। এই মডেলটার সুবিধা হচ্ছে এটাকে সচরাচর আপডেটের প্রয়োজন পড়ে না।

.

) ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে:

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করার জন্য আপনার নিজস্ব একটা প্ল্যাটফর্ম প্রয়োজন (নিজস্ব ওয়েবসাইট বা ব্লগ) যেখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ করা পণ্য বা সার্ভিসের লিংক পোস্ট এবং অ্যাডভারটাইজ করতে পারবেন।

 আপনার যদি ইতোমধ্যেই একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ থেকে থাকে তাহলে সেই প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করে একজন অ্যফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অতিরিক্ত আয় শুরু করতে পারেন। আর যদি না থাকে তাহলে তৈরি করতে হবে।

ব্লগ এর সুবিধা হচ্ছে এটা ফ্রি অপারেট করা যায়। যেখানে কিছু ওয়েবসাইট ফি চেয়ে থাকে। যাই হোক, Namecheap এবং Hostgator জাতীয় সাইটগুলো তুলনামূলক ভাবে স্বল্প মূল্য রাখে।

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কোন কোম্পানিতে যোগদান করতে চাইলে সেই কোম্পানি নির্বাচন করা উচিত যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ে বিশেষজ্ঞ। MoreNiche এর মতো কোম্পানিগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে নিজের পণ্য বা সার্ভিসের অ্যাডভারটাইজ করার প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে সহায়তা করে।

নিজের ওয়েবসাইট না থাকলেও এমন কিছু ওয়েবসাইট আপনি পাবেন যেগুলো আপনাকে পে-পার- ক্লিক হিসেবে কমিশন দিবে। এক্ষেত্রে আপনি পণ্যের বিজ্ঞাপন লিংক নিজের ওয়েবসাইটে পোস্ট না করে ফেসবুকে পোস্ট করলে কেউ যদি সেটা ক্লিক করে তার ওপর আপনাকে পার্সেন্টেজ দেয়া হবে। Associate Programs, Affiliates Directory, E-commerce Guide এবং Link Share অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলো এ ধরনের সুযোগ দিয়ে থাকে।

.

) লিংক অ্যাডের জন্য যথাযথ জায়গা নির্বাচন করতে হবে:

বেশির ভাগ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটাররাই একটা নির্দিষ্ট জায়গা বা বিশেষ সীমানা নির্বাচন করে নেয়। যেখানে পণ্য বা সার্ভিসের বিজ্ঞপন দিয়ে আয় করা যায়।

• জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমন কোনোটা নির্বাচন করার প্রয়োজন নেই যেখানে আপনি যথেষ্ট অভিজ্ঞ বলে নিজেকে মনে না করেন। বরং এমন জায়গা নির্বাচন করা ভালো যেটাতে আপনার যথেষ্ট আগ্রহ আছে।

• শুরুতে যত্নবান হওয়াটা জরুরি। তাই জায়গা নির্বাচনের ক্ষেত্রে এমনটা নির্বাচন করা প্রয়োজন যেখানে স্বাচ্ছন্দ্যে দীর্ঘক্ষণ কাজ করা যায়।

.

) পণ্য বা সার্ভিস পছন্দ করে নিতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য জায়গা নির্বাচনের পরেই আপনাকে আপনার পছন্দের পণ্য বা সার্ভিস নির্বাচন করে নিতে হবে।

নতুনদের জন্য Commission Junction কোম্পানি একটা আদর্শ প্ল্যাটফর্ম হতে পারে। কারণ এটা ঐতিহ্যবাহী পণ্য বা সার্বিসের অ্যাডভারটাইজমেন্টে আগ্রহী।

মার্কেটাররা যদি ই-বুক এবং সফটওয়্যার এর মতো ডিজিটাল কনটেন্টে আগ্রহী হয় তবে তাদের উচিত Amazon, Clickbank, এবং PayDotCom এর মতো কোম্পানিগুলো নির্বাচন করা।

Google, Adsense পে-পার- ক্লিক মার্কেটিংয়ের জন্য উপযোগী। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর ক্ষেত্রে পে-পার-ক্লিকে কম কমিশন পাওয়া যায়। তবে এক্ষেত্রে সুবিধা এই যে, এখানে খুব একটা অ্যাকটিভ অ্যাফিলিয়েট হবার প্রয়োজন নেই।

.

) এফিলিয়েটর খুঁজে নিতে হবে এবং তাদের সাথে কাজ করতে হবে:

অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যোগাযোগ করলে আপনি আরো অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হবেন। নিজের ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে এটি ভূমিকা রাখে। অ্যাফিলিয়েটদের সাথে নিম্নোক্ত যে কোন এক ভাবে যোগাযোগ করতে পারেন :-

• ইমেইলের মাধ্যমে বা অন্যান্য ব্লগার অথবা অনলাইন মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করে একে অন্যের পণ্যের অ্যাডভারটাইজ দিতে পারেন।

• বিভিন্ন ফোরাম বা যৌথ যোগাযোগ অথবা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্ক ( যেমন : Clickbank অথবা Commission Junction)  এর মাধ্যমে সফল অনলাইন অ্যাফিলিয়েটদের সাথে যেগাযোগ করতে পারেন।

.

) আপনার এফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করাতে হবে:

যখন আপনি একটি জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করাবেন এবং নিরাপদ অ্যাফিলিয়েটদের সাথে কাজ করবেন তখন আপনাকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ট্রাফিক ড্রাইভ করানোর প্রয়োজন পড়বে।অনেকগুলো পদ্ধতির মাঝে সহজ ও সফল একটি হচ্ছে, একটা ব্লগ পোস্ট বা ওয়েব আর্টিকেল লিখে সাবসক্রাইবারদেরকে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে ইনভাইট করা। এছাড়াও আছে:-

*অন্যান্য ওয়েবসাইটে ফ্রি কনটেস্টের আয়োজন করা

*ভাইরাল মার্কেটিং ব্যবহার করা

*ইতোমধ্যেই অনেক ট্রাফিক ড্রাইভ করা কোন ফ্রি লিংক ওয়েবসাইটে সিকিউর করা

.

২। আপনার ব্যাবসাকে উন্নতির দিকে নিয়ে যেতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধীরে ধীরে আপনার বিজনেস ডেভলপ করতে  হবে। আপনার অ্যাফিলিয়েট বিজনেসকে ভালভাবে ডেভেলপ করার জন্য যা যা করতে পারেন-

.

) নিজে স্টাডি করুন এবং অন্যান্যে এফিলিয়েটদের থেকে শিখে নিন:

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতি অর্জনের দ্রুত এবং সহজ একটা পদ্ধতি হচ্ছে যে কোন অনলাইন কমিউনিটি বা ফোরামে যোগদান করা। এই অনলাইন রিসোর্সগুলোতে ফ্রি জয়েন করা যায়। Digital Point, aBestWeb এবং Warrior Forum ফ্রি রিসোর্সগুলোর মধ্যে অন্যতম।

.

) সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে যথেষ্ট কাজ করতে হয় এবং তা ধৈর্যের সাথে। মার্কেটারকে অন্যান্য অ্যাফিলিয়েটদের সাথে অবশ্যই একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে হয়।

• অ্যাফিলিয়েট পার্টনার কোন ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা পছন্দ করে তা জানুন।

. একেকজনের কাজের ধরন একেক রকম থাকে এবং প্রত্যেকের যোগাযোগ রাখার পদ্ধতিও ভিন্ন ভিন্ন পছন্দের। প্রত্যেকের পছন্দের প্রাধান্য দেয়া আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

•অ্যাফিলিয়েটের কী প্রয়োজন এবং আপনার কাছ থেকে তাঁরা কী আশা করে তা জানুন।

• অ্যাফিলিয়েটরা কীভাবে তাদের ওয়েবসাইট এবং সার্ভিসের উন্নতি করছে তা নিয়ে রিসার্চ করুন।

•আপনি আপনার প্ল্যাটফর্মটার কীভাবে উন্নতি করতে পারেন তা তাদের কাছে পরামর্শ চান।

.

) আপনার টার্গেটেড ট্রাফিক আকর্ষণ করতে চেষ্টা করুন:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর জন্য অন্যদের কেবল নিজের ওয়েবসাইট ভিজিট করানোই যথেষ্ট নয়। আয় তখনি হবে যখন কেউ আপনার অ্যাফিলিয়েট লিংকে ক্লিক করবে। এর জন্য চারটা পদ্ধতি রয়েছে :-

.

1.পেইড অ্যাডভারটাইজিং :

এখানে অ্যাড কপি, গ্রাফিক্স এবং উচ্চমানের ক্লিকযোগ্য লিংকের মিশ্রণ প্রয়োজন। Google’s AdSense এক্ষেত্রে কার্যকর।

.

2. ফ্রি অ্যাডভারটাইজিং :

Craigslist অথবা US Free Ads ইত্যাদি ফ্রি ওয়েবসাইটে লিংক এবং অ্যাডভারটাইজমেন্টে ফ্রি আয় করা যায়। এখানে কেউ আপনার লিংকে ক্লিক করলে আপনি এবং আপনার ওয়েবসাইট ( যেমন :Craigslist) উভয় ক্ষেত্রেই কমিশন যোগ হবে।

.

3. আর্টিকেল মার্কেটিং :

অনেক মার্কেটারই Ezine Articles এর মতো ওয়েবসাই ব্যবহার করে আর্টিকেল প্রকাশের জন্য। এখানে একটা আলাদা ‘resource box’ থাকে। অন্যান্য ব্লগার বা ওয়েবসাইট এই আর্টিকেল পুনরায় প্রকাশ করলে যে মার্কেটার প্রথম এটি প্রকাশ করেছিল সার্চ ইঞ্জিনে তার র্যাঙ্কিং হবে ওপরে।

.

4. ইমেইল মার্কেটিং :

এক্ষেত্রে মার্কেটার ওয়েবসাইট ভিজিটরদের জন্য একটা ইমেইল সাবসক্রিপশন অপশন রাখে। এখান থেকে মার্কেটার ভিজিটরদের নাম এবং ইমেইল অ্যাড্রেস পায় যা মার্কেটার এবং ভিজিটরের মধ্যে একটা ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

.

) একটা পেপারক্লিক অ্যাড লিখতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় এর ক্ষেত্রে পে-পার-ক্লিক সবচেয়ে সহজ উপায়। একটা ভালো পে-পার- ক্লিক অ্যাডে যা রাখবেন :-

•এমন কোন সমস্যার কথা সংযুক্ত করুন যার সম্মুখীন ভোক্তারা সচরাচর হয় এবং সেটার সমাধানের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করুন অথবা আপনার পণ্যের লাভজনক দিক উল্লেখ করুন।

•এমন কোন নির্দিষ্ট কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করুন যা ট্রাফিক ড্রাইভ করতে সাহায্য করে।

• প্রচারণা এমন ভাবে করুন ভোক্তা যেন নিজ থেকেই লিংকে ক্লিক করে।

.

) সংখ্যার চেয়ে গুণগত মানের দিকে লক্ষ্য রাখুন বেশি:

বেশি সংখ্যক অ্যাফিলিয়েট থাকার মানেই এই নয় যে আপনি বেশি আয় করবেন। বিশেষজ্ঞদের মতে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে সফল হওয়ার মূলমন্ত্র হচ্ছে সঠিক অ্যাফিলিয়েটদেরকে দিয়ে প্ল্যাটফর্ম দাঁড় করানো। ছোট বা বড় যেকোন সাইট হোক না কেন, অ্যাফিলিয়েটদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখাটাই হচ্ছে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

.

৩। আপনি কী স্বপ্ন আছে সেটা সর্ম্পকে জানতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করার জন্য আপনাকে আপনার টার্গেট সেট করতে হবে। অর্থাৎ আপনি কী কী আশা করেন তা ঠিক করে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি কী কী করতে পারেন তা নিয়ে নিচে আলোচনা করা হল-

.

) বেশি বেশি পরিশ্রমী হতে আশা করতে হবে:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে এসে অনেকেই খুব দ্রুত ধনী হবার আশা করে। কিন্তু এখানে অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন, বিশেষ করে প্রথম দিকে। কিছু মার্কেটার আছে যারা দৈনিক ১২ ঘণ্টা পরিশ্রম করে এবং সেটা সপ্তাহের সাত দিনই।

→ মনে রাখবেন, এই ক্ষেত্রটা অনেক বেশি প্রতিযোগিতামূলক এবং অনেক মার্কেটিং কোম্পানি নিজস্ব মার্কেটার দিয়েই নিজেদের কোম্পানি পরিচালনা করে।

.

) এটা কোন ধরনের কাজ সে সর্ম্পকে জানুন:

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারের নিজস্ব আলাদা অ্যাফিলিয়েট লিংক থাকে। এটা কাস্টমারের ওপর কোন প্রভাব ফেলে না এবং এতে নির্ধারিত পণ্যের মূল্যও পরিবর্তন হয় না। কেউ যখন ওই লিংক ক্লিক করে নির্দিষ্ট সময় সীমার মধ্যে কোন পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যাফিলিয়েট সেই ক্রয়ের কমিশন পাবে। অ্যাফিলিয়েট হিসেবে আপনি কতটা আয় করবেন তা ওই পণ্যের দাম এবং কমিশন পার্সেন্টেজের ওপরনির্ভর করবে। আপনি SEMruch. Grammerly. Fiverr, Impact দেখে শিখে নিতে পারেন।

.

) আপনার ডেমোগ্রাফি সর্ম্পকে বুঝতে চেষ্টা করুন:

একজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে অবশ্যই আপনার একটা টার্গেট ডেমোগ্রাফি থাকবে। আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন এমন ভাবে দিতে হবে যেন টার্গেট ডেমোগ্রাফি সংখ্যক ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে।প্রথমেই বলা হয়েছে যে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করতে আপনাকে হতে হবে পরিশ্রমী এবং ধৈর্যশীল। এখানে একটা ভালো প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে হলে সময়ের প্রয়োজন। যথাযথ পরিশ্রম এবং কৌশল অনুযায়ী কাজ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে আয় করা অত্যন্ত সহজ।

.

আমার সেরা কমিশন প্রদান কারী এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সমূহ

.

এফিলিয়েট মার্কেটিং খুব ভাল কমিশন প্রদান করে এমন সেরা অনুমোদিত অধিভুক্ত প্রোগ্রামগুলির একটি তালিকা এখানে রয়েছে। সেরা কমিশন প্রদান কারী  এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামের তালিকা নীচে শীর্ষ অর্থ প্রদানকারী এবং সেরা এফিলিয়েট মার্কেটিং ওয়েবসাইটগুলির একটি তালিকা  দেওয়া হলো:-

.

১।ফাইবার (Fiverr):-

Fiverr  ফ্রিল্যান্সিং পরিষেবাদির জন্য একটি বৃহত্তম ওয়েবসাইট। আপনি হয় আপনার কাজটি শেষ করতে পারেন বা অন্যের পক্ষে অর্থোপার্জনের জন্য কাজ করতে পারেন। ফাইভারের একটি খুব বেশি অর্থপ্রদানকারী অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম রয়েছে যা ফাইভারে আপনার রেফারারের দ্বারা ক্রয় করা পরিষেবার ধরণের ভিত্তিতে $ 15 থেকে 150 ডলার পর্যন্ত প্রদান করে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Fiverr

.

২. ব্লুহোস্ট (Bluehost)

ব্লুহোস্ট আজ প্রায় অনলাইন বিশ্বে এক বৃহৎ ওয়েব হোস্টিং পরিষেবা। তারা শীর্ষস্থানীয় বিশ্বস্ত হোস্টিং সরবরাহকারীদের মধ্যে একটি । বর্তমানে তারা বিশ্বব্যাপী দুই মিলিয়ন ওয়েবসাইটের ওপরে ক্ষমতা রাখে। এটি একটি হোস্টিং সংস্থা। শেয়ার্ড হোস্টিং, রিসেলার হোস্টিং, ভিপিএস হোস্টিং, ডেডিকেটেড হোস্টিং, ক্লাউড হোস্টিং এবং আরও অনেক কিছু ওয়েব হোস্টিং পরিষেবার জন্য জনপ্রিয়।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Bluehost

.

৩।নেমচিপ (Namecheap)

নেমচিপ হলো একটি ডোমেন ও হোষ্টিং সাইট। এখান থেকেও আপনি ভালো এফিলিয়েট কমিশন পেতেপারেন।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Namecheap

.

৪।থিম ফরেষ্ট (ThemeForest)

ওয়েব সাইটের জন্য ভালো ও গুনগতমানে থিম বা প্লাগিন চাইলে আপনি ThemeForest থেকে নিতে পারেন। এবং ডিজিটার মার্কেটিং এর জন্য এটি একটি বেষ্ট সাইট। এখান থেকে তারা বিক্রি উপর 30% এফিলিয়েট কমিশন দিয়ে থাকে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ThemeForest

.

৫। শেয়ারএসেল (ShareASale)

শেয়ারএসেল হ’ল প্রাচীনতম অনুমোদিত এফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি এবং ক্লিকব্যাঙ্কের মতো।  শেয়ারএসেল খুব নমনীয় এবং সময় দেয়। এটি অর্থোপার্জন শুরু করার জন্য নতুনদের জন্য সেরা বিকল্পগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসায় নতুন হয়ে থাকেন। তবে আপনি এখানে কাজ শুরু করতে পারেন।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ShareASale

.

৬। ক্লিকব্যাঙ্ক (ClickBank)

ক্লিকব্যাঙ্কটি প্রাচীনতম এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় এফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম সাইট।আপনি বিশ্বজুড়ে ক্লিকব্যাঙ্ক পণ্য বিক্রয় করতে পারেন। এবং এটি বিক্রয় প্রতি 75% পর্যন্ত কমিশন দিয়ে থাকে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: ClickBank)

.

৭।অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েটস (Amazon Associates)

অ্যামাজনের এফিলিয়েট প্রোগ্রামকে অ্যামাজন সহযোগীও বলা হয়। এটি বিশ্বের বৃহত্তম এফিলিয়েট নেটওয়ার্কগুলির মধ্যে একটি । এই প্রোগ্রামটি ব্লগার, প্রকাশক ইত্যাদিকে অ্যামাজন কর্তৃক বিক্রয় সম্পর্কিত পণ্যগুলির সাথে তাদের সামগ্রীর নগদীকরণ করতে সহায়তা করে। যখন কেউ আপনার অনুমোদিত লিঙ্কগুলি ব্যবহার করে পণ্য ক্রয় করে তখন অ্যামাজন আপনাকে পণ্যের বিভাগের ভিত্তিতে একটি 4 – 10% কমিশন প্রদান করবে। আপনি এখান খেকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর কাজ শুরু করতে পারেন।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Amazon Associates

.

৮। ম্যাক্সবাউন্টি (Maxbounty)

ম্যাক্সবাউন্টি হ’ল বৃহত্তম সিপিএ (ক্রমান্বিত / অধিগ্রহণের জন্য ব্যয়) অনুমোদিত বিপণন প্রোগ্রাম।  এটিরমধ্যে 2000 টিরও বেশি সক্রিয় প্রচার রয়েছে যা বেছে নিতে সাপ্তাহিক অর্থ প্রদান করে। ম্যাক্সবাউন্টির প্রত্যেক ব্যবহারকারী অ্যাকাউন্টে ব্যক্তিগত অনুমোদিত ম্যানেজার রয়েছে যাতে তারা ম্যাক্সবাউন্টিকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং আরও উপার্জন করতে সহায়তা করে।

আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন: Maxbounty

.

আমি আশা করি আপনার এই পোস্টটি পড়তে ভাল লেগেছে। লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যইআপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।