কিভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করবেন তার ছোট গাইড লাইন।(How to Make Money With” Affiliate Marketing”)

আপনি যদি ডিরেক্ট মার্কেটিং করতে চান, যেটা সর্টকাট অথবা যদি এমন ভাবেন আগে একটু চেষ্টা করে দেখি যদি কিছু নগদ “নারায়ণ” আসে তাহলে ভালো ভাবে শুরু করবো, তাহলে কিভাবে শুরু করবেন বলার খুব একটা কিছু নাই। একটি প্রোডাক্ট সিলেক্ট করেন, আর এর পর ট্রাফিক সেন্ড করেন সেই প্রোডাক্ট পেইজ এ।

আর যদি সত্যিকার মার্কেটার এর মত কাজ করতে চান, ক্যারিয়ার করতে চান, তাহলে অবশ্যই সেলস ফানেল করে কাজ করেন। কিভাবে ও কোথা থেকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কাজ শুরু করবেন – এর জন্য আমি নিচে স্টেপ বাই স্টেপ নোট করে দিচ্ছি -আশা করি আমার আগের আর্টিকেল থেকে  তা ভালভাবে জানতে পেরেছেন। এই আর্টিকেলে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার স্টেপ বাই স্টেপ গাইডলাইন দেব।

প্রস্তুতি

যদি সফল হতে চান তাহলে প্রথমেই নিজের সাথে কমিটমেন্ট করতে হবে – “যে কোন মূল্যে সফল হবোই”। সাধারণ মানুষ এর চাইতে কমিটেড মানুষ দের সাফল্য অনেক গুন বেশি। আর এই কমিটমেন্ট টি করতে হবে একদম মন থেকে, আপনাকে আপনি বলবেন – যে কোন মূল্যে আমি সফল হবোই। কমিটমেন্ট করার পরএকটি প্লান করবেন – কবে থেকে কাজ শুরু করবেন, কত টাকা আপনার ইনভেস্টমেন্ট, দিনে কত ঘণ্টা কাজ করবেন, কত ঘণ্টা কাজ শিখার জন্য দিবেন, কি কি ওয়েবসাইট ফলো করবেন ইত্যাদি।

কাজ সম্পর্কিত সকল কিছু একটি প্লান এর মধ্যে নিয়ে আসবেন, তাই সব কিছু প্রথমেই প্লান আকারে নোট করে নিবেন।অনেকেই যেনতেনভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেন, ফলে কাঙ্খিত সাফল্য পাওয়া তাদের জন্য দুস্কর হয়ে যায়। তবে আপনি যদি সঠিক উপায়ে এটি শুরু করতে পারেন, তবে অনেক ভাল করতে পারবেন । 

যাই হোক, এখন আমি আপনাকে প্রতিটি স্টেপ একে একে দেখাব।

এফিলিয়েট মার্কেটিং নিশ বাছাই করুন

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে গেলে নিশ সিলেকশন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অনেকেই যেনতেন ভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করে দেন । কোন নিশ সিলেকশন ছাড়াই। সত্যি বলতে কি আমি নিজেও যখন প্রথম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করেছিলাম তখন নিশ কি জিনিস বা নিশ যে প্রয়োজনীয় কিছু সেটার দিকে একেবারেই খেয়াল করিনি।

ফলশ্রুতিতে কিছুদিনের মধ্যেই কি বিষয়ে কনটেন্ট বানাবো তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়ে যাই ।তো দেখলেন যে নিশ সিলেকশন না করলে আপনার এফিলিয়েট মার্কেটিং এ কত সমস্যা হতে পারে!তাই এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার প্রথমে আপনাকে নিশ সিলেকশন নিয়ে ভাবতে হবে।তো এখন আমরা নিশ সিলেকশন নিয়ে কিছু কথা বলব এবং এর বিস্তারিত আপনি পরবর্তী পোস্টসমূহে পাবেন।

নিশ আসলে কি জিনিস? অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে নিশ হলো আপনি যে বিষয়ের উপর আপনার কনটেন্টসমূহ তৈরি করবেন তাকে বোঝায়। ধরেন আপনি মোবাইল ফোন নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে রিভিউ করবেন তাহলে আপনার সাইটের নিশ হলো টেকনোলজি রিলেটেড এবং তা মোবাইলের উপর। এভাবে আপনি যে কোন একটা বিষয়ের দিকে চলে যেতে পারেন যেমন আমার এই ওয়েবসাইটের নিশ হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কারন আমি আমার এই সাইটে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে বিভিন্ন কন্টেন্ট তৈরি করছি।

আমি আমার এই সাইটের নিশ এফিলিয়েট মার্কেটিং হিসেবে পছন্দ করেছি কারণ আমি আফিলিয়েট মার্কেটিংসম্পর্কে ইতোমধ্যে অনেক জ্ঞান অর্জন করেছি এবং একই সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং নিয়ে কথা বলতে আমার ভালো লাগে। তাই এখানে দেখুন যে একটি নিশ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনি দুটি জিনিস কে গুরুত্ব দিবেন। একটি হলো আপনার পছন্দ আর আরেকটি হলো আপনার সেই বিষয় সম্পর্কে জ্ঞান।

সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে নিস সিলেকশন। আপনি যদি আপনার জন্য পারফেক্ট নিস সিলেক্ট না করতেপারেন, তাহলে সফলতার হার কাজ শুরু করার আগেই কমে যাবে!আমরা অনেকেই নিস সিলেকশন এর জন্য সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দেই Keyword Research, Market Analysis ইত্যাদি কোন বিষয় নিয়ে যদি আপনার আলোচনা করতে ভালো না লাগে তাহলে

আপনি সেই বিষয়ে তেমন ভালো কিছু করতে পারবেন না কারণ কিছুদিনের মধ্যেই আপনি বোরিং ফিল করবেন। আর কোন বিষয় সম্পর্কে যদি আপনার পছন্দ থেকে থাকে তাহলে সেই বিষয় সম্পর্কে আপনার বেশি বেশি পড়াশোনার মাধ্যমে খুব দ্রুত আপনার জ্ঞান সমৃদ্ধ করতে পারবেন।

আপনার পছন্দের বিষয় সম্পর্কে যদি যথেষ্ট পরিমাণ জ্ঞান থেকেথাকে তবে আপনার সেই নিশ নিয়ে কাজ করলে অনেক সহজে আপনি কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন। তবে যে নিশ নিয়েই কাজ করেন না কেন সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিবেন আপনার পছন্দের ওপর।

নিশ সাইটের নাম ঠিক করুন

নিশ সিলেকশন হয়ে গেলে আপনার ওয়েবসাইটের একটি নাম ঠিক করতে হবে। এখন এ ক্ষেত্রে অনেকেই ভুলকরেন এবং আমিও একই ভুল করেছিলাম। আমি যখন আমার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রথম সাইটটি তৈরী করেছিলাম তখন আমার সাইটটির এমন একটি নাম দিয়েছিলাম সেটি আসলে নিশ স্পেসিফিক ছিল না।তার মানে হল ধরেন আপনার ওয়েবসাইটে কোন ভিজিটর ভিজিট করার সাথে সাথে সে যেন আপনার ওয়েবসাইটের নাম টি দেখেই বুঝে ফেলে যে এই ওয়েবসাইটটি এই নিশ এর ওপর তৈরি করা হয়েছে।

এতেআপনার ভিজিটরের আপনার কন্টেন্ট এর ওপর কনফিডেন্স অনেক বেড়ে যায়। গুগোল ও নিশ এর ওপরবেস করে তৈরি করা সাইটকে র‍্যাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেয়।এজন্য আপনি যদি কোন নিশ সিলেক্ট করেন যেমন ধরেন আপনি আপনার সাইটে মোবাইল ফোন নিয়ে আলোচনা করবেন  তাহলে এমন একটা নাম দেওয়া উচিত যেটা দেখেই বোঝা যায় যে এই সাইটটি আসলে মোবাইল নিয়ে কথা বলে।

যেমন দেখেন নামকরা ফোন রিভিউ ওয়েবসাইট ফোন এরিনা,  ফোন রাডার ইত্যাদি। আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং এর অজস্র রিভিউ সাইট সাইট আছে যেগুলো দেখলেই বোঝা যায় যেএই সাইটটি আসলে এই নিয়ে একটি স্পেসিফিক জিনিস নিয়ে আলোচনা করছেতাহলে আপনি আপনার সাইটের নামটি এমনভাবে রাখবেন যেন সেটি দেখেই আপনার নিশ সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়।

একটু চিন্তা করুন এবং আপনার সাইটের নিশের সাথে মিল রেখে একটি সুন্দর ওমানানসই নাম রাখুন।

 নিশ সাইট তৈরি করুন ও তা সাজিয়ে নিন

আপনার সাইটের নাম করন হয়ে গেলে এখন এই নামে আপনার একটি সাইট খুলতে হবে। তবে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই!আমি এ কথা বলছি কারন আপনাদের অনেকেই ওয়েবসাইট খোলার ক্ষেত্রে অনেক ভয় পান এই ভেবে যে আসলেই এটা খুবই কঠিন একটি কাজ বা এই কোডিং সেই কোডিং অনেক কিছু করতে হবে বা কাকে দিয়ে খুলবো ইত্যাদি ইত্যাদি।

তো আমি আপনাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য একটি নিশ ওয়েবসাইট কিভাবেখুলতে হয় তার এ টু জেড গাইড দিয়ে দিচ্ছি ফলে আপনি আমার গাইড অনুসরণ করেই আপনার নিজস্ব ওয়েবসাইট খুলতে পারবেন।তবে এখানে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে আর তা হল যে দেশীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে কিন্তুআপনার ওয়েবসাইট খোলানো যাবে না আর এর কারণ হলো যে আপনাকে সরাসরি আমেরিকান হোস্টিংকোম্পানি থেকে আপনার ওয়েবসাইটটি খুলতে হবে।

সরাসরি আমেরিকান কম্পানির কাছ থেকে কেন আপনার ডোমেইন ও হোস্টিং কিনবেন? এর আসল কারণ হলো যে সরাসরি আমেরিকান হোস্টিং কোম্পানি থেকে যদি আপনার সাইটটি খোলেন তাহলে আপনার সাইটের পারফরম্যান্স অনেক অনেক ভালো হবে আর আপনি সর্বোচ্চ নিরাপত্তাও পাবেন।

তবে সরাসরি আমেরিকান হোস্টিং কোম্পানির কাছ থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার জন্য যদি আপনার কোন ইন্টারন্যাশনাল মাস্টারকার্ড বা ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড না থেকে থাকে সে ক্ষেত্রেআপনি কোন বড় ভাই বা অন্য কেউ বা আমার (অর্থাৎ যাদের ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মেথড আছে) সাহায্য নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন, হোস্টিং কিনে নিতে পারেন।কিন্তু যাই করেন না কেন আপনি যেন আপনার নিজস্ব একাউন্টে আপনার ডোমেইন হোস্টিং কেনেন সেটি খেয়াল রাখবেন।

অনেকেই করে কি নিজের ডোমেইন ও হোস্টিং অন্য কারো অ্যাকাউন্ট থেকে কেনে ফলে আপনার নিরাপত্তাতো বিঘ্নিত হয়ই সাথে সাথে আপনার পূরনাঙ্গ কন্ট্রোলিং ও থাকে না।আপনার ওয়েবসাইট খোলা হয়ে গেলে তা সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিতে হবে কারণ একটি সুন্দর ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে সবারই ভাল লাগবে। এক্ষেত্রে কিন্তু আপনার আবার ওয়েব ডিজাইন জানতে হবে এমন না। ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটের বিভিন্ন প্লাগিন এর মাধ্যমে খুব সুন্দরভাবে একটি সাইট সাজানো যায়।

এ কাজটি কিভাবে করতে হয় তা আমি আপনাকে দেখিয়ে দেবো। তাই আপনার টেনশনের কোন কারণ নেই। আর একই সাথে আপনার সাইটে যদি একটি সুন্দর থিম ব্যবহার করেন তবে তার লুক হবে দারুন। এর সাথে আপনার সাইটের পারফরম্যান্স এবং এসইও কিছু সেটআপ আছে যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ আর তা আমি দেখিয়েদেব। তো আমার দেখানো পথ অনুসরণ করে আপনার সাইট টি খুলুন ও তা সুন্দরভাবে সাজিয়ে নিন।

সবাই ক্লিক পায় আর কিছু মানুষ সেল পায় – এর কারন টা এইটা আমরা বেশিরভাগ ই যে কোন একটা নিস সিলেক্ট করে “ক্লিক আনার” যুদ্ধে নেমে পরি! আপনার মার্কেট থেকে সেল নিতে হলে ওই মার্কেট এ আপনার অথরিটি থাকা লাগবে, আপনার ওই নিস সম্পর্কে দক্ষতা লাগবে, আর এই দক্ষতাই আপনাকে হেল্প করবে ভাল মানের কন্টেন্ট বানাতে, এড লিখতে, ল্যান্ডিং পেইজবানাতে, ফলোআপ করতে।

নিস সিলেক্ট করার পর অন্তত ১৪ দিন ( ২ সপ্তাহ ) সময় দিন নিস অথরিটি পাওয়ার জন্য। কিভাবে পাবেন বলছি – যদি আপনার নিস হয় “Weight Loss” – তাহলে আপনি প্রথমেই খুঁজেবের করবেন এর উপর ভাল মানের ৫ – ৬ টা ব্লগ, ভাল মানের আর্টিকেল গুল সব প্রিন্ট করে ফেলবেন এর পর পরীক্ষার সময় যেভাবে পড়ে নোট নিতেন ঠিক সেইভাবে আর্টিকেল গুল পরবেন, যা যা ভাল লাগবে নোট নিবেন।

মার্কেট এ ভাল মানের কি কি প্রোডাক্ট আছে সব গুলোর সম্পূর্ণ সেলস ভিডিও দেখবেন, রিভিও পরবেন, ব্লগ / ভিডিও তে কমেন্ট গুলো পরবেন। সব মিলিয়ে আপনার ভাল ধারনা হবে, মার্কেট এ কি রকম প্রোডাক্ট আছে, মানুষ কি রকম প্রোডাক্ট চায়, তাদের কি সমস্যা, আর কোন প্রোডাক্ট এর কোন গুণাবলি সেই সমস্যা সমাধান এ কাজে দিবে। এছাড়াও আপনি যখন আপনার নিস সম্পর্কে জানবেন –

আপনার নিজের মধ্যে ভাল কনফিডেন্স কাজ করবে, প্রত্যেকটি কাজ সাবলীল ভাবে করতে পারবেন। অন্তত ২ সপ্তাহ ভাল ভাবে নিস সম্পর্কে পড়াশোনা করার পড় আপনি এর পর এর ধাপ এ কাজ করবেন। আর কাজ শুরু করার পর প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট সময় দিবেন নিস এ নতুন কিছু শিখার  জন্য। ভাল হয় যখনি ভালো কোন ভালো আর্টিকেল দেখবেন সাথে সাথে প্রিন্ট করে রাখবেন, আর প্রতিদিন ৩০মিনিট করে পরবেন।

আপনি আমার এই কথাটি সিরিয়াস নেন আর না নেন, কিন্তু এইটাই সত্যি –আপনি যদি আপনার  নিস সম্পর্কে ভালো ভাবে না জানেন তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেন না, আর আপনি যদি প্রতিদিন আপনার নিস সম্পর্কে নতুন নতুন জিনিশ না শিখেন তাহলে আপনার আয় বাড়বে না। আর একটা কাজ করবেন – যখন ভালো আর্টিকেল দেখেবন, ভালো কোন এড দেখবেন – যা যা ভালো লাগে নোট করে রাখবেনপড়ে আপনার কাজে লাগবে। একটা বেপার মাথায় রাখেবন –

আপনি যত কম কম্পিটিশন এর ই নিস বের করেন না কেন – আপনি যদি না জানেন সেখানে ভালো করার সুযোগ নাই, আর আপনি যেই নিস ভালো জানেন সেখানে যতই কম্পিটিশন থাক আপনার ভালো করার সুযোগ আছে।

 কন্টেন্ট তৈরি করুন

আপনার সাইটটি রেডি হয়ে গেছে তাই তো? এখন আপনার কাজ হল আপনার সাইটের জন্য কনটেন্ট তৈরি করা। তো কন্টেন্ট জিনিসটি কি? কন্টেন্ট হল আপনি ওয়েব সাইটে যা পাবলিশ করেন তাই। এফিলিয়েট ওয়েবসাইটে মূলত আর্টিকেল বা ব্লগ পোষ্ট এই টাইপের কনটেন্ট পাবলিশ করা হয়, এছাড়াও আপনি ভিডিও বা অডিও ও বা অন্যান্য কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তবে মূল কন্টেন্ট হলো আর্টিকেল বাব্লগ পোষ্ট।

তো আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো ভালো কন্টেন্ট লিখতে হবে। আপনি যদি ইংলিশে কিছুটা দক্ষ হন তবে আপনার ওয়েবসাইটে আপনি নিজেই কন্টেন্ট লিখতে পারবেন। আর যদি আপনি ইংলিশে খুব কাঁচা থাকেন তবে ইংলিশে ভাল কাউকে দিয়ে বা কোন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম থেকে কন্টেন্ট রাইটার ভাড়া করেআপনার সাইটের কন্টেন্ট লেখাতে পারেন।

এস ই ও কন্টেন্ট তৈরি করুন

নিয়মিতভাবে আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন এসইও কন্টেন্ট পাব্লিশ করতে হবে। এখন SEO  জিনিসটি কি হয়তো আপনি তা প্রশ্ন করতে পারেন! SEO  হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যেটি নিয়ে আমি আরেকটি আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা করব। সেখান থেকে আপনি বিষয়টি সম্পর্কে জেনে নেবেন ও এসইও কিভাবে করতে হয় তাও আমি দেখাবো তাই এ নিয়েও টেনশন করার কোন কারণ নেই।

নিয়মিত আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটে ভালো ভালো এস ই ওকন্টেন্ট তৈরি করতে হবে ও তা প্রমোট করতে হবে।এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ভালো করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করা। অনেকেই এফিলিয়েট মার্কেটিং এ ফেইল করে কারণ হলো যে তারা কিছুদিন কনটেন্ট তৈরি করে তার পরে আর করে না। এটি করা যাবে না।

যেহেতু এফিলিয়েট মার্কেটিং এর রিটার্ন অনেক অনেক বেশি তাই আপনাকে খুব গুরুত্ব সহকারে কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে।অনেকেই কন্টেন্ট তৈরি করা বন্ধ করে দেন এই কারণে যে তারা কোন রেজাল্ট পান না। একটু চিন্তা করেদেখেন যে আপনি ভালো কিছু পেতে গেলে আপনাকে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কষ্ট করে যেতেই হবে। তারপরে রিটার্ন পাবেন।

তাই আপনি যদি এক-দুই মাস কাজ করে হাল ছেড়ে দেন তাহলে কিন্তু আপনি আলটিমেটলি হেরে যাবেন।এজন্য আপনাকে নিয়মিত এটলিস্ট তিন মাস ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে যেতে হবে। ধৈর্যচ্যুতি ঘটানো যাবেনা এবং আপনার যে নিয়মানুবর্তিতা তা নষ্ট করা যাবে না। একটি সুন্দর রুটিন করে ফেলুন এবং সেঅনুযায়ী প্রতিদিন কিছু না কিছু কনটেন্ট লিখুন ও পাবলিশ করতে থাকুন।

আপনি নিশ রিলেটেড বিভিন্ন কিওয়ারড এর উপর যত বেশি এসইও কনটেন্ট পাবলিশ করতে থাকবেন ততবেশি আপনার কিওয়ার্ড সমূহ র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। আর যত বেশি কিওয়ার্ড রাঙ্ক করবে তত বেশি ওয়েব ট্রাফিক বা ওয়েব ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে। আর যত বেশি ওয়েব ভিজিটর আপনার সাইটে আসবে তত বেশি আফিলিয়েট সেল হওয়ার সম্ভাবনা। তাই নিয়মিত ওয়েবসাইটে ভালো ভালোকন্টেন্ট পাব্লিশ করতে থাকুন।আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টসমূহের সঙ্গে থাকুন ।

আমার সাইটের অন্যান্য পোস্টসমূহের সঙ্গে থাকুন । আর পোস্টটি ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করে তা অন্যান্যদেরকেও জানিয়ে দিন।ছোট্ট একটি অনুরোধ! ভাল লাগলে দয়া করে কন্টেন্টটি আপনার বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন

ভালো থাকবেন।।

Leave a Comment