এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য লক্ষ লক্ষ কোম্পানি রয়েছে। তার মধ্যে কিছু ভালোমানের কোম্পানি রয়েছে যেগুলোর প্রচুর পরিমানে প্রোডাক্ট

রয়েছে এবং তারা ভালোমানের হারে মার্কেটারদের কমিশন পরিশোধ করে। নিচে কয়েকটি ভালোমানের এফিলিয়েট কোম্পানির নাম তুলে

ধরছি যেগুলোতে কাজ করে দীর্ঘদিন টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনি যদি চান। তবে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি আয় করতে

পারবেন না। তার জন্য আপনাকে বেশ ‍কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবেই আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন।

.

1. ShareASale Affiliates.

2. Amazon Associates.

3. Rakuten Marketing Affiliates.

4. eBay Partners.

5. Shopify Affiliate Program.

6. Clickbank.

7. Leadpages Partner Program.

8. StudioPress Affiliate Website.

.

.

কিভাবে বেশী আয় করা যাবে?

.

আবারও একবার বলে রাখছি এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে আয় করার জন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য ধারন করে দীর্ঘ দিন পরিশ্রম করতে হবে।

তাহলে ধীরে ধীরে সফলতা আপনার হাতে ধরা দেবে। তবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় বড়ানোর জন্য অবশ্য কিছু টেকনিক অবলম্বন

করতে হয়। সাধারণত অনলাইন হতে মানুষ যে সকল পন্য বেশী কিনে থাকে সেগুলো নিয়ে কাজ করলে সহজে আয় বৃদ্ধি করা যায়।

আপনি যদি এমন জিনিস পছন্দ করেন যেগুলোর অফলাইনে চাহিদা রয়েছে কিন্তু অনলাইনে চাহিদা খুব কম তাহলে আপনি এফিলিয়েট

মার্কেটিং করে সফল বা লাভবান হতে পারবেন না। এ জন্য যে সকল পন্যের অনলাইনে প্রচুর পরিমানে চাহিদা রয়েছে সেই সকল পন্যের

রিভিউ করে লিংক শেয়ার করলে সহজে  বেশী টাকা ইনকাম করা যাবে।

.


তবে আরেকটি বিষয় ক্লিয়ার করে নিচ্ছি যে, আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটর এর কনটেন্ট ইংরেজী হলে আয় বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

কারণ বাংলাদেশের মানুষ এখানো পর্যন্ত অনলাইন হতে তেমন কোন প্রোডাক্ট কেনাকাঠা করে না। কাজেই আপনি বাংলা ভাষায় ব্লগিং করে

এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে সফল হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এ ক্ষেত্রে ইংরেজী ভাষায় আর্টিকেল শেয়ার করে চাহিদা সম্পন্ন প্রোডাক্ট

নিয়ে এ কাজ করতে পারলে খুব অল্প দিনে বেশী টাকা আয় করতে পারবেন।

.

আমার ব্যক্তিগত কিছু পরামর্শঃ

.

কাজ শুরু করার আগে আপনার একটি নিজেস্ব ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করে নিবেন। আপনি যদি ফ্রিতে ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে

অবশ্যই গুগল ব্লগার দিয়ে একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন। তবে ব্লগ ডিজাইন ও সাজানো শেষ হওয়ার পর একটি টপ লেভেলের ডট

কম কিংবা ডট নেট ডোমেইন সেট করে নিবেন। তারপর আপনি যে প্রোডাক্ট সম্পর্কে জ্ঞান রাখেন সেই প্রোডাক্ট এর রিভিউ তৈরি করতে

থাকবেন। ব্লগের যখন ২০/২৫ টি পোষ্ট হয়ে যাবে তখন ব্লগের এসইও সংক্রান্ত কাজ শুরু করবেন। কারণ এসইও ছাড়া কোনভাবে ব্লগের

প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক পাওয়া সম্ভব হবে না। আর আপনার পন্য ক্রেতাদের কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য ব্লগে অবশ্যই ভিজিটর প্রয়োজন হবে।

আপনার ব্লগে যত বেশী ভিজিটর আসবে আপনার পন্য তত বেশী বিক্রয় হবে।

.

তাছাড়াও আপনি যদি ফেইসবুক পেজ, ফেইসবুক গ্রুপ, ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জার গ্রুপ, টুইটার, ইউটিউব চ্যানেল, ওয়াটসআপ চ্যাট ম্যাসেঞ্জার

সহ আরো অন্যান্য সোসিয়াল মিডিয়াতে প্রচুর পরিমানে জনপ্রিয়তা সম্পন্ন হন তাহলে সেগুলোতেও আপনার ব্লগের লিংক ও সরাসরি

পন্যের লিংক শেয়ার করেও পন্য প্রমোট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন। তবে যেটাই করেন না কেন আপনাকে পরিশ্রমের মাধ্যমে

কাজ করে সফলতা ও ইনকাম বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে পরিশ্রম ব্যতীত কোনভাবে ইনকাম করা সম্ভব হবে না।

.

লেখাটি পড়ে ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভূলবেন না। আর দেরি না করে আজ থেকে শুরু করুন অনলাইনে

এফিলিয়েট র্মাকেটিং এর কাজ।

আজ এ পর্যন্ত ভালো থাকবেন।

Leave a Comment