আর্টিকেলেটির টাইটেল দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এখানে কি বুঝানো হয়েছে! এখানে মূলত বুঝানো হয়েছে সামনে আসছে আমাদের পবিত্র উৎসব আর এই উৎসব কে সামনে রেখে আমরা সবাই কম বেশি ধনী থেকে গরিব মার্কেটিং করে থাকি! আমাদের যাদের অবস্থা ভালো তারা কম বেশি প্রত্যেকে ১০-১৫ হাজার টাকার শপিং করে থাকি!
এখানে জামা- প্যান্ট কে উল্লেখকরার একটিই কারণ তাহলো একটি ভালো ব্র্যান্ড এর জামা- প্যান্ট এর দাম ৪০০০-৫০০০ হাজার টাকা আর একটি ওয়েবসাইট করতে ও আপনার খরচ পরবে চার হাজার টাকা । কিন্ত আপনি যে জামা- প্যান্ট পড়বেন হয়তো সর্বোচ্চ ১ বছর আর আপনার ওয়েবসাইট টি থাকবে আজীবন আর শুধু আজীবন থাকবে তা কিন্ত না বরং এখন থেকে আপনি উপার্জন করতে পারবেন বিপুল পরিমানে অর্থ যা হয়তো আপনার আগামী উৎসব এ অনেক গুলো জিন্স কেনার উৎস হতে পারে!
এছাড়াও নিজের উপার্জনের টাকায় কেনাকাটা করার মজাই অন্যরকম যেটা বলে বোঝানো যাবেনা!একটি বাস্তব উদাহরণ আপনাদের মাঝে পেশ করবো আমার এক কাছের বন্ধুর একটি উৎসব শপিং এর ঘটনা যেটা আপনাকে নিজের উপার্জন করার আগ্রহ অনেকগুণে বাড়িয়ে দিবে! আজ থেকে প্রায় ১০ বছর আগের কথা তখন আমরা ৯ম শ্রেণীতে পড়ি!
ওই বছর আমার বন্ধু প্রথম উৎসবে শপিং নিজেই করা শুরু করে এবং তার শপিং সঙ্গী হিসাবে আমি ছিলাম! তো যাহোক আমার গেলাম শপিং এর উদ্দেশ্যে এবং প্রথমে প্যান্ট তারপর শার্ট কিনলাম এবং সর্বশেষে কিনলাম তার জুতা! জুতাটি ছিল অনেকটা ফুটবল খেলার বুট স্টাইলের এবং বেশ চোখ ধাঁধানো রঙের অনেকটা কমলা আর উজ্জ্বল সবুজ রঙের মিশ্রণ!যাহোক আমার বন্ধুর পছন্দ হওয়ার কারণে আমি আর বাধা দেইনি!
আজ থেকে ১০ বছর আগে দাম নিয়েছিল ১৫০০ টাকা যা বর্তমানের ৪০০০ টাকার সমানই বলা যায়! মজার ঘটনা ঘটলো যখন কিনে নিয়ে বাসায় আসা হলো তারপর! প্রথমত দামটি আমাদের কাছ থেকে বেশি নিয়েছিল দোকানদার তারপর আবার চক্রাবক্রা কালার!জুতা বাসায় দেখানোর সাথে সাথেই আমার বন্ধুর বাবা হেসে উঠে বলে ফেললেন এটাতো ফুটবল খেলার বুট!তারপর জিজ্ঞাসা করলো দাম,
আর দাম শুনে তার চোখ সানাবড়া হয়ে গেলো! তারপর বেশ বকুনি শুনতে হয় বেচারার এবং সেই দুঃখে একপ্রকার ক্ষোভে ঈদ এ উপভোগ করা হয়নি আমার বন্ধুর!ওর একটাই আফসোস ছিল আজ বাবার টাকায় কিনছিলাম বলে এতো বেশি কথা শুনতে হলো অথচ আজ যদি নিজে উপার্জন করে কিনতাম হাজার বাজে হলেও হয়তো এতো বেশি কথা শোনা লাগতো না!
আসলেই কে না চায় যে নিজের স্বাধীনতা আর সেটা যদি হয় আর্থিক স্বাধীনতা তাহলে তো কথাই নেই!আর এই আর্থিক স্বাধীনতা এবং সময়ের স্বাধীনতা দুটোই একসাথে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন একটি প্যাসিভ ইনকাম সোর্স আর সেটার উৎস হতে পারে আপনার একটি ওয়েবসাইট! আপনি যদি আমার মতো নিজের ওয়েবসাইট করতে
চান তাহলে :
একটি সাইট তৈরী করতে নিম্নোক্ত জিনিসগুলো প্রয়োজন –
১. একটি ডোমেইন (৮০০ টাকা থেকে শুরু)
২. একটি হোস্টিং প্যাক (সরাসরি আমেরিকান হোস্টিং ১৩০০ টাকা থেকে শুরু)
৩. একটি SSL সার্টিফিকেট (১৫০ টাকা থেকে শুরু)
৪. একটি কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ফ্রি)
৫. একটি থিম (ফ্রি অথবা প্রিমিয়াম আপনার পছন্দ অনুযায়ী কিনতে পারেন) ও
৬. কিছু প্লাগিনস (ফ্রি প্লাগিন্সই যথেষ্ট আপনি নিজেই করে নিতে পারেন)
এখানে ক্লিক করে Namecheapএর সাইটে প্রবেশ করুন।
আপনাকে আমি এতটুকু গ্যারান্টি দিতে পারি এবারের উৎসবে শপিং থেকে একটি জামা- প্যান্ট কম কিনুন আর তার বিনিময়ে করে ফেলুন একটি ওয়েবসাইট যা আপনাকে অনেক কিছু উপহারস্বরূপ দিবে যা নিজেও ভাবতে পারছেন না!