ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা সর্ম্পকে আলোচনা কর? পাট-২

ভূমিকা :

.

আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আমি প্রথমে যে কথাটি বলবো তা অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা । কারন ইন্টারনেটে ই-কমার্স ব্যবসা

একটি সহজ ও ভাল ব্যবসা। আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা প্রায় সকলেই জানেন ই-কমার্স  ব্যবসা কি এবং এর কাজ কি কি  

হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি ই-কমার্স এর সর্ম্পকে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।ই-কমার্স  ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা সর্ম্পকে আলোচনা  হলো আশা

করি আপনাদের ব্যবসায়িক জীবনে ভাল হবে। ই-কমার্স  ব্যবসা যারা জানেন না তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।

.

.

ই-কমার্সের সুবিধা গুলো হলো (Advantages of e-commerce) :

  1.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসা কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক  বাজারে  প্রকাশ করতে সাহায্য করে।

  2.দ্রুত ক্রয়/বিক্রয় পদ্ধতি করা যায় এবং সহজে পন্য খুজে পাওয়া যায়।ব্যবসা পরিচালনায় খরচ খুব কমিয়ে থাকে।

3.আর্থিক লেনদেনের খরচ কম হয়ে থাকে।

4.ই-কমার্সের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিভিন্ন খরচ যেমন- পণ্য তৈরি করা, বিতরণ করা, সংরক্ষণল করা ইত্যাদি কার্যক্রমের খরচ ব্যাপক

ভাবে কমিয়ে থাকে।

5. ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে খুব সহজেই ক্রেতার কাছে পৌছা যায়।

6. ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসার মাধ্যমে সহজে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করা যায়।

7.ই-কমার্স(e-commerce) কেনাকাটা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ওয়ার্কিং টাইম সেভ করে থাকে।

8.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় অতি দ্রুত পন্য ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়া হয়।

.

.
আরো জানুন : ই-কমার্স  বলতে কি বুঝ ? কত প্রকার ও এর বৈশিষ্ট্য সর্ম্পকে আলোচনা কর ? পাট-১

.

9.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়িক ব্যয় সংকোচনের পাশাপাশি ক্রেতার জন্য কেনাকাটার খরচ কমিয়ে দিয়েছে এবং কেনাকাটার

গতির সঞ্চার করেছে।

10.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় কাস্টমারকে উন্নত সার্ভিস প্রদানের সুবিধা দিয়ে থাকে।

11.ই-কমার্স (e-commerce) বাজারে নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করছে।

যেমন-মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপার, ডেটাবেস ডিজাইনার, প্রোগ্রামার ইত্যাদি

12.ই-কমার্সের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ পরস্পরের ব্যবসা পরিচালনা পদ্ধতি, সার্ভিস এবং মূল্য সম্বন্ধে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই জানতে

পারে। ফলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়ে থাকে।

12 ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়ে স্বল্প সময়ে বাজার যাচাইয়ের সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং তাৎক্ষণিক অর্ডার প্রদানের সুবিধা

প্রদান করে থাকে।

 ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় যেমন সুবিধা আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে। আসুন এবার আলোচনা করা যাক ই-কমার্স

(e-commerce) ব্যবসায়ের অসুবিধা সমূহ

.

Best Affiliate Marketing Site

Fiverr         Name cheap             Bluehost         Grammarly          Theme Forest.

formula desk.   SEMrush     Amazon Associatesithemes.

Hostgator.    Domain.com.

ই-কমার্স ব্যবসায়ের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of e-commerce):

.

ব্যবসায়ে দক্ষ লোকবলের অভাব দেখা দিয়ে থাকে।

ব্যবসায়ে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।

দূরবর্তী স্থানের অর্ডার ক্ষেত্রবিশেষ ব্যয়বহুল হয়ে থাকে ।

ব্যবসায়ে মাত্রাতিরিক্ত অর্ডার হলে সরবরাহের সমস্যা হয়।

ব্যবসায়ে আথিক লেনদেনের নিরাপত্তার অভাব আছে।

ক্রেতা বা বিক্রেতা অনেক সময় ই-কমার্সের কার্যক্রমের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না।

ব্যবসায়ে আইন প্রণয়নকারী এবং প্রয়োগকারী উভয়পক্ষের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল এবং কষ্টসাধ্য বিষয়।

ই-কমার্সের(e-commerce) জন্য অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক খরচাদি বেশি হয়ে থাকে এবং অভিজ্ঞতার অভাবে পন্য ও সেবা পেতে দেরী হয়ে থাকে।

তাহলে বন্ধুরা জানলেন তো ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়ে যেমন সুবিধা আছে তার চেয়ে একটু কম অসুবিধা আছে কিন্তু এটি ব্যবসায়ের

জন্য তেমন কোন সমস্যায় না। তাই আমি বলতে পারি যে অনলাইনে ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসা একটি সুন্দর ব্যবসা এখানে আপনি কাজ

শুরু করলে খুব শীঘ্রই সাফল্য হতে পারবেন।

Leave a Comment