ভূমিকা :
.
আপনি যদি ব্যবসা করতে চান তাহলে আমি প্রথমে যে কথাটি বলবো তা অনলাইনে ই-কমার্স ব্যবসা । কারন ইন্টারনেটে ই-কমার্স ব্যবসা
একটি সহজ ও ভাল ব্যবসা। আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি তারা প্রায় সকলেই জানেন ই-কমার্স ব্যবসা কি এবং এর কাজ কি কি
হ্যাঁ বন্ধুরা আজ আমি ই-কমার্স এর সর্ম্পকে আলোচনা করতে যাচ্ছি ।ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা ও অসুবিধা সর্ম্পকে আলোচনা হলো আশা
করি আপনাদের ব্যবসায়িক জীবনে ভাল হবে। ই-কমার্স ব্যবসা যারা জানেন না তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে বলে আমি মনে করি।
.
.
ই-কমার্সের সুবিধা গুলো হলো (Advantages of e-commerce) :
1.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসা কোনো প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে প্রকাশ করতে সাহায্য করে।
2.দ্রুত ক্রয়/বিক্রয় পদ্ধতি করা যায় এবং সহজে পন্য খুজে পাওয়া যায়।ব্যবসা পরিচালনায় খরচ খুব কমিয়ে থাকে।
3.আর্থিক লেনদেনের খরচ কম হয়ে থাকে।
4.ই-কমার্সের তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিভিন্ন খরচ যেমন- পণ্য তৈরি করা, বিতরণ করা, সংরক্ষণল করা ইত্যাদি কার্যক্রমের খরচ ব্যাপক
ভাবে কমিয়ে থাকে।
5. ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় ভৌগোলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে খুব সহজেই ক্রেতার কাছে পৌছা যায়।
6. ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসার মাধ্যমে সহজে ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে সুসম্পর্ক তৈরি করা যায়।
7.ই-কমার্স(e-commerce) কেনাকাটা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য ওয়ার্কিং টাইম সেভ করে থাকে।
8.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় অতি দ্রুত পন্য ভোক্তার কাছে পৌছে দেওয়া হয়।
.
.
আরো জানুন : ই-কমার্স বলতে কি বুঝ ? কত প্রকার ও এর বৈশিষ্ট্য সর্ম্পকে আলোচনা কর ? পাট-১
.
9.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়িক ব্যয় সংকোচনের পাশাপাশি ক্রেতার জন্য কেনাকাটার খরচ কমিয়ে দিয়েছে এবং কেনাকাটার
গতির সঞ্চার করেছে।
10.ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় কাস্টমারকে উন্নত সার্ভিস প্রদানের সুবিধা দিয়ে থাকে।
11.ই-কমার্স (e-commerce) বাজারে নতুন ধরনের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করছে।
যেমন-মাল্টিমিডিয়া ডেভেলপার, ডেটাবেস ডিজাইনার, প্রোগ্রামার ইত্যাদি
12.ই-কমার্সের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহ পরস্পরের ব্যবসা পরিচালনা পদ্ধতি, সার্ভিস এবং মূল্য সম্বন্ধে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সহজেই জানতে
পারে। ফলে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পায়ে থাকে।
12 ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়ে স্বল্প সময়ে বাজার যাচাইয়ের সুবিধা প্রদান করে থাকে এবং তাৎক্ষণিক অর্ডার প্রদানের সুবিধা
প্রদান করে থাকে।
ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায় যেমন সুবিধা আছে তেমনি কিছু অসুবিধাও আছে। আসুন এবার আলোচনা করা যাক ই-কমার্স
(e-commerce) ব্যবসায়ের অসুবিধা সমূহ
.
Best Affiliate Marketing Site
Fiverr Name cheap Bluehost Grammarly Theme Forest.
formula desk. SEMrush Amazon Associates. ithemes.
ই-কমার্স ব্যবসায়ের অসুবিধাসমূহ (Disadvantages of e-commerce):
.
ব্যবসায়ে দক্ষ লোকবলের অভাব দেখা দিয়ে থাকে।
ব্যবসায়ে উন্নত প্রযুক্তি প্রয়োগ ব্যয়বহুল হয়ে থাকে।
দূরবর্তী স্থানের অর্ডার ক্ষেত্রবিশেষ ব্যয়বহুল হয়ে থাকে ।
ব্যবসায়ে মাত্রাতিরিক্ত অর্ডার হলে সরবরাহের সমস্যা হয়।
ব্যবসায়ে আথিক লেনদেনের নিরাপত্তার অভাব আছে।
ক্রেতা বা বিক্রেতা অনেক সময় ই-কমার্সের কার্যক্রমের উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে পারে না।
ব্যবসায়ে আইন প্রণয়নকারী এবং প্রয়োগকারী উভয়পক্ষের জন্য আইন প্রণয়ন ও প্রয়োগ অত্যন্ত জটিল এবং কষ্টসাধ্য বিষয়।
ই-কমার্সের(e-commerce) জন্য অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক খরচাদি বেশি হয়ে থাকে এবং অভিজ্ঞতার অভাবে পন্য ও সেবা পেতে দেরী হয়ে থাকে।
তাহলে বন্ধুরা জানলেন তো ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসায়ে যেমন সুবিধা আছে তার চেয়ে একটু কম অসুবিধা আছে কিন্তু এটি ব্যবসায়ের
জন্য তেমন কোন সমস্যায় না। তাই আমি বলতে পারি যে অনলাইনে ই-কমার্স(e-commerce) ব্যবসা একটি সুন্দর ব্যবসা এখানে আপনি কাজ
শুরু করলে খুব শীঘ্রই সাফল্য হতে পারবেন।