যতই দিন যাচ্ছে ততই ইন্টারনেটের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার ফলে সাধারন ব্যাবসা-বাণিজ্য ব্যবস্থার
পাশাপাশি অনলাইন ভিত্তিক ই-বাণিজ্য বেড়েই চলেছে। বিখ্যাত ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজন ও আলি
এক্সপ্রেসের কথা আমরা সবাই জানি। বর্তমানে তারা একচেটিয়ে কিভাবে অনলাইন ভিত্তিক বিভিন্ন পণ্য
সামগ্রী বিক্রি করছে। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশেও এখন অনেক ই-কমার্স সাইট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় Daraz, Ajker Deal ইত্যাদি।
ই-কমার্স বলতে কি বুঝ:
ই-কমার্স এর ফুল ফর্ম হলো ইলেক্ট্রনিক কমার্স । সাধারনত, ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য হলো এমন একটি
বাণিজ্য ক্ষেত্র যেখানে কোন ইলেকট্রনিক সিস্টেম এর মাধ্যমে পণ্য বা সেবা ক্রয়/ বিক্রয় হয়ে থাকে।
আধুনিক ইলেকট্রনিক কমার্স সাধারণত ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর মাধ্যমে বাণিজ্য কাজ পরিচালনা
করে।
যেমন- অনলাইন শপিং, নিলাম, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ইলেক্ট্রনিক পেমেন্ট, ইন্টারনেট ব্যাংকিং ইত্যাদি
পদ্ধতি হলো ই-কমার্স বা ই-বাণিজ্য।
আরো জানুন:
ই–কমার্সের সুবিধা:
আধুনিক জীবন ব্যবস্থা এখন ইলেকট্রনিক কমার্স আমাদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখল করে
নিয়েছে।ই কমার্স বিভিন্ন ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে উদাহরণস্বরূপ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, ইন্টারনেট
বিপণন, অনলাইন ডাটা ইন্টারচেঞ্জ, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট ছাড়াও অনলাইন লেনদেন প্রক্রিয়া প্রায়
সম্পূর্ণরূপে ই-কমার্স দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। 2000 সালের পর থেকে ই কমার্স ব্যাপকভাবে
পৃথিবীব্যাপী অনলাইন ট্রানজেকশনের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। 2013 সালে ই-কমার্স
এর মাধ্যমে পৃথিবীব্যাপী 1.2 বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য বেচাকেনা হয়। দিন দিন ই-কমার্সের গুরুত্ব
আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।পাশাপাশি আমাদের দেশেও ই কমার্স এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় Daraz, Ajker Deal ইত্যাদি।
আরো জানুন:
আরো জানুন:
ই–কমার্স প্রকারভেদ:
প্রাথমিকভাবে ই-কমার্সকে মূলত চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১.ব্যবসা থেকে ভোক্তা (Business to Consumer: B2C);
২.ব্যবসা থেকে ব্যবসা (Business to Business: B2B);
৩.ভোক্তা থেকে ব্যবসা (Consumer to Business: C2B);
৪.ভোক্তা থেকে ভোক্তা (Consumer to Consumer: C2C);
১.Business to consumer ই কমার্স
বিজনেস টু কনজ্যুমার ই কমার্স হচ্ছে অনলাইনে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে বক্তার ব্যবসায়িক সম্পর্ক।
মানে ই কমার্স এর যে পদ্ধতিতে ভোক্তা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে পণ্য ক্রয় করে তাকে বিজনেস টু
কনজ্যুমার ই কমার্স বলে।
২.Business to Business ই কমার্স :
বিজনেস টু বিজনেস হচ্ছে এমন এক ধরনের ই-কমার্স সেবা মাধ্যমিক যার মাধ্যমে পাইকারি ব্যবসায়ী
অন্য অথবা সেবা খুচরা পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের প্রতিষ্ঠানের কাছে বেচাকেনা করা হয়। ই কমার্স ব্যবসা
কি তার অন্যতম প্রধান উৎস হচ্ছে ই-কমার্স এর বিজনেস টু বিজনেস সুবিধা ।
আরো জানুন:
৩.Consumer to Business ই কমার্স :
ভোক্তা থেকে ব্যবসা সংক্রান্ত ই-কমার্স । যে ই-কমার্সে পণ্য সরাসরি ভোক্তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীরা
গ্রহণ করে তাকে ভোক্তা থেকে ব্যবসা বলা হয়। উদাহরণ: www.priceline.com এমন একটি
ওয়েবসাইট।
৪.Consumer to Consumer ই কমার্স :
কনজিউমার টু কনজিউমার ই কমার্স হচ্ছে দুইজন বক্তা যখন ই-কমার্সের সেবার মাধ্যমে নিজেদের পণ্য
বা সেবা বেচাকেনা করে। বাংলাদেশে কনজ্যুমার টু কনজ্যুমার ই কমার্স এর অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে
bikroy.com । এখানে বক্তা তার নিজের পণ্য বা সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিসপত্র অন্য ভোক্তা বা কনজ্যুমার
এর কাছে বিক্রি করতে পারে।