ইমেইল বলতে কি বুঝ ?
ইমেইলের কিছু মৌলিক তথ্যগুলো সর্ম্পকে আলোচনা?
ইমেইল এর ব্যবহার সর্ম্পকে আলোচনা কর?
ইমেইলের কিছু সীমাবদ্ধতা কি?
ইমেইলে সঠিকভাবে রিপোর্ট করবেন কিভাবে?
ইন্টারনেটের যুগে ইমেইল একটি আশীর্বাদ হিসেবে আগমণ করে। একটা সময় চিঠির মাধ্যমে বার্তা
আদান-প্রদান হতো। যা ছিলো সময় সাপেক্ষ এবং অনেক জরুরী চিঠিও সময় মতন কাঙ্ক্ষিত স্থানে
পৌঁছাতে পারতো না। কিন্তু ইমেইলের আগমণের ফলে এখন সেকেন্ডের মধ্যে পৃথিবীর এক স্থানে বসে
অন্য স্থানে বার্তা প্রেরণ করা সম্বব হয়ে উঠেছে। আগে ইমেইলকে শুধু যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ভাবা
হতো কিন্তু বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে এর ও অনেক উন্নয়ন ঘটেছে , অনলাইন
মার্কেটিংয়ের অনেকখানি অংশ এখন দখল করে নিয়েছে ইমেইল মার্কেটিং। বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন
আরো জানুন: এসএসডি হোস্টিং কি ? ওয়েবসাইটের জন্য এসএসডি হোস্টিং কেন থাকা প্রয়োজন?
দেশের ছোট বড় অসংখ্য প্রতিষ্ঠান তাদের পন্যের প্রচারের জন্য এবং তাদের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং
সেবা প্রচারের জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে থাকে। এটি একটি গুরুত্বর্পূণ দিক ব্যবসা ও যোগাযোগের দিক
থেকে, এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে বলা যায়, যোগাযোগের যতগুলো মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে
বেশি যে মাধ্যম ব্যবহার করা তা হল ইমেইল ।
আরো জানুন: ডোমেইন এবং হোস্টিং বলতে কি বুঝ? সে সর্ম্পকে আলোচনা কর?
আমরা অনেকেই এখনো জানিনা ইমেইল কি ? এর দ্বারা আমরা কি কি করতে পারি? তাই যারা এখনো
জানে না তাদের জন্য আমার এই পোস্ট। বেশি কথা না বলে অল্পতে আপনাদের বুঝানোর চেষ্টা করবো
ইমেইল কি এবং এর দ্বারা আপনি কি কি করতে পারবেন ? (এবং এই পোস্ট এর ধারাবাহিকতায় থাকবে
কিভাবে ইন্টারনেট ব্যাবহার করে নানা রকম কাজ করা যায়)
ইমেইল বলতে কি বুঝ ?
ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে নিজের সাইটের প্রচার, সেবা বিক্রি, অন্যের পণ্য বিক্রি এবং পন্যের
বিক্রয়কৃত কমিশন ইত্যাদি সহ অনেক ভাবে আয় করা সম্ভব। বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পণ্যসমূহ
ইমেইল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আরো দ্রুত প্রচার করা অত্যন্ত জনপ্রিয় রূপ ধারণ করেছে। বিভিন্ন
কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠান রয়েছে এসকল আনুসাঙ্গিক কাজগুলো নিজে না করে তৃতীয় ব্যাক্তির মাধ্যমে
সমাধান করে থাকে। এই তৃতীয় ব্যাক্তি কয়েকটি উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে পারে।
আরো জানুন: শুরু করুন ডিজিটাল মার্কেটিং ক্যারিয়ার।
ইমেইল হোল এক ধরনের Online free services যার মাদ্ধমে আপনি আপনার পরিচিত অন্য
আরেক জনের ইমেইলে আপনার লেখা বার্তা পেরন করতে পারবেন, যেমন আগের দিনে আমরা কারো
কাছে চিঠি পাঠাতাম কিন্তু এখন এই চিঠির কাজ করা হয় এই ইমেইলের মাধ্যমে তবে এর কার্যকারিতা
খুবি দ্রুত। আপনি যখন কারো কাছে ইমেইল করবেন তখন আপনি এর সাথে আপনার ছবি বা অন্য
কোন ফাইল এর সাথে পাঠিয়ে দিতে পারবেন বিশ্বের যে কোন প্রান্তরে, আর এটাই হোল ইমেইলে সবচাইতে
আরো জানুন: ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান তাহলে যেসব দক্ষতা থাকা প্রয়োজন।
বড় পাওয়া। আপনার প্রবাসে থেকে তোলা ছবি মাত্র কয়েক মিনিটে পৌঁছে যাবে আপনার নিজের দেশে
প্রিয় জনের কাছে। এবং এই ইমেইল ID বা ইমেইল Address দিয়ে আপনি আপনার বন্ধুদের সাথে
ইন্টারনেটের মাধ্যমে একদম ফ্রিতে ভিডিও দেখে কথা বলতে পারবেন ইমেইল কত প্রকার? – বাজারে
আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্য অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা একদম ফ্রীতে আপনাদের এই সেবা প্রদান
করে থাকে ।কাজেই আমি আপনাদের শুধু ইমেইল কোম্পানি গুলোর নাম এবং কি ভাবে আপনি
আপনার নিজের জন্য একটি ইমেইল এড্রেস খুলতে পারবেন তা শেখাবো। ইমেইল কোম্পানি গুলোর মধ্যে
সব চাইতে নাম করা বহুল প্রচলিত হচ্ছে Outlook ,Yahoo-mail & Gmail. আপনি এখান থেকে
যে কোন একটি এ্যাকাউন্ট খুলে আপনার র্কাযক্রম পরিচালনা করতে পারবেন।
বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কাছে মেসেজ পাঠাতে সবচেয়ে বেশি আমরা যা ব্যবহার করি সেটি আর কিছুই
নয় কিন্তু ইমেইল। বেশিরভাগ মানুষ কিন্তু তাই করে থাকে। তারা বারবার তাদের ইমেইল চেক করতে
আরো জানুন: কম দামে হোস্টিং কিনার আগে যে বিষয়সমূহ জেনে নেওয়া জরুরী !
থাকে, অফিসের কাজে ইমেইল ব্যবহার করে এমনকি বিভিন্ন ওয়েবসাইটে একাউন্ট খুলতেও ইমেইল
ব্যবহার করে থাকে। ইমেইল হলো ডিজাটাল বার্তা। যেখানে কাগজ কলম ব্যবহার করার পরিবর্তে
আপনি ব্যবহার করছেন কিবোর্ড এবং ফোন বা কম্পিউটার।
ইমেইল এড্রেস লেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে কাস্টম ইউজার নেইম লেখা হয় এবং @ এর পরে
ডোমেইন নেইম লেখা হয়। যেমনঃ simonpanbd@gmail.com
ইমেইলের কিছু মৌলিক তথ্যগুলো হলো:
ইমেইল পাঠানোঃ
সঠিক ভাবে যখন আপনি ইমেইল লিখে ফেলবেন অর্থ্যাৎ, ইমেইল এবং ইমেইল এড্রেস ঠিক ভাবে প্রদান
করবেন, তখন ইমেইল পাঠানো মানে হলো সেই ইমেইলটি তার নির্ধারিত এড্রেসে পৌঁছে যাবে।
ইমেইলের মাধ্যমঃ
প্রেরকের ইমেইল প্রাপকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটি করে থাকে ইমেইল সার্ভার।
মেসেজ পাঠানোর প্রোটকলটির নাম হল এসএমটিপি(SMTP), এবং ইমেইল ক্লায়েন্টের কাছে কিভাবে
ইমেইলটি গ্রহিত হবে তা বুঝতে প্রয়োজন হয় পিওপি(POP) এবং আইমএপি(IMAP) সার্ভার।
ইমেইল গ্রহনঃ
নতুন মেসেজ পেলে,শুধুমাত্র প্রাপ্ত মেসেজটিতে ট্যাপ করলেই মেসেজটি স্ক্রিনে ফুটে উঠবে। এভাবে
ইমেইলের কাজ পরিচালনা করা হয়। বিষয়টি খুব সহজ মনে হচ্ছে না । হ্যা খুবি সহজ ইমেইলের
র্কাযক্রম।
ইমেইল এর ব্যবহার :
প্রতিদিন ইমেইল ব্যবহারের পিছনে যথেষ্ট কারন রয়েছে তা সংক্ষেপে আলোচনা করছি।
দ্রুত গতি সম্পন্ন :
ইমেইল পাঠানোর ক্ষেত্রে খুব কম সময় লাগে তার কারনে ইমেইল অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । এখন
সেকেন্ডেই কিন্তু বাসার পাশের মানুষ বা পৃথিবীর অপর প্রান্তের মানুষের সাথে খুব সহজেই যোগাযোগ
করা যায়। কোন রকম সমস্যা ছাড়াই।
সুযোগ সুবিধা :
আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন , কিছু ক্ষেত্রে ফোন কলের থেকেও ইমেইল বেশি কাজে দেয়। যেমনঃ একজন
ব্যক্তিকে আপনি ফোন নাম্বার দিবেন, এক্ষেত্রে ফোন কলের মাধ্যমে দিতে হলে
আগে নাম্বার কাগজে লিখে এরপর ফোনে বলতে হবে। কিন্তু আপনি একটা ইমেইলের মাধ্যমেই কাজটি
সহজেই সেড়ে ফেলতে পারেন। এটা খুব সহজে হয়ে থাকে।
সংযুক্তি পাঠানো সহজ:
ইমেইলে কোন সংযুক্তি পাঠানো খুবই সহজ এবং সিম্পল। চাকরির আবেদনে সিভি পাঠাতে হবে?
ইমেইলেই সংযক্ত করে দিন! ব্যাস, কাজ শেষ। তারপর পাঠিয়ে দিন।
নিরাপত্তা দিয়ে থাকে:
ইমেইল পাঠানোর বিষয়ে এমন কিছু ইমেইল সার্ভিস প্রোভাইডার রয়েছে যারা আপনার পাঠানো
মেসেজকে ৫/৬ লেয়ারের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। যাতে সেগুলো প্রেরক এবং প্রাপক ছাড়া অন্য কেউ
দেখতে না পারে।
তথ্য ভান্ডারঃ
ইমেইলে কিন্তু আপনার পাঠানো প্রতিটি কনভারসেশনের ইমেইলের তথ্য সংরক্ষন করে থাকে। এ কারনে
ইমেইল প্রিন্ট করা খুবই সহজ হয়। উপরন্তু, ইমেইল প্রোভাইডারদের বিশাল স্টোরেজে আপনি অনায়াসে
তথ্য রেখে দিতে পারেন।
অফুরন্ত জায়গা এবং সময় :
আপনি ফোনে এসএমস পাঠাতে কিন্তু একটা নির্দিষ্ট ক্যারেক্টারের মধ্যে
দিতে হয়। ইমেইলে সেই বাধা ধরা নেই, মানে যত ইচ্ছা লিখে যান, বলার কেউ নেই। যত সময় নিয়েই
আপনি লিখুন এবং রিভাইজ করুন কোন সমস্যা নেই।
সকল কিছু ফ্রি :
অন্যান্য যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে চিঠি পাঠাতে আপনাকে ব্যয় করতে হয় । কিন্তু এখন ফ্রি ইমেইল
প্রোভাইডার এসে পড়ায় ইমেইল পাঠাতে কোনরূপ অর্থ দিতে হয় না বরং আপনি আনলমিটেড স্টোরেজ
পেয়ে থাকেন।
ইমেইলের কিছু সীমাবদ্ধতা:
আপনার পাঠানো ইমেইলের বিষয়ে কিছু সীমাবদ্ধতা দেখা যায় ।ইমেইলের সবচেয়ে বড় যে সমস্যা
রয়েছে তা হলো, অযাচিত বার্তা বা স্প্যাম মেইল।এধরনের প্রচুর অযাচিত মেইলের ভিতরে আপনার
কাংখিত ইমেইল খুঁজে পেতে এক ধরনের বেগ পেতে হয়। অবশ্য বর্তমানে অনেক প্রোভাইডার ফিল্টারিং
এর মাধ্যমে স্প্যাম মেইলগুলোকে আলাদা করে রাখেকিন্তু তার পরেও এটি খুবই বিরক্তিকর। এক্ষেত্রে
সঠিকভাবে রিপোর্ট করলেই স্প্যাম থেকে মুক্তি পাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে।তাই মেইলটি ভাল ভাবে
দেখে তারপর পাঠাবেন যেন স্প্যাম না হয় ।সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
ইমেইলে সঠিকভাবে রিপোর্ট করবেন কিভাবে?
1.মেসেজেটি কোন এড্রেস থেকে এসেছে তা শনাক্ত করতে হবে ।
2.প্রেরকের আইএসপি(ISP) কে খুঁজে বের করতে হবে।
3.ISP -র সাথে যোগাযোগ করতে করে সঠিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে হবে।
এগুলো সঠিকভাবে খেয়াল রাখলে আপনি ইমেইলে জন্য সঠিকভাবে রিপোর্ট তৈরি করতে করবেন।
ভালো থাকবেন।।