ইমেইল মার্কেটিংয়ের অন্যতম সুবিধা হলো স্বল্প সময়ে অধিক পরিমাণে পণ্যের প্রচারণা সম্ভব হয়।এই
ইমেইল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন রকম সুবিধা থাকার কারণে দিন দিন তরুণরা ও এদিকে ক্যারিয়ার
গড়ার জন্য আগ্রহী হয়ে উঠছে। এটির অন্যতম সুবিধা হলো ইমেইল মার্কেটিংএর মাধ্যমে অল্প পরিশ্রমে
এবং অল্প সময়ে অর্থ উপার্জন করা যায়।আপনি ও চাইলে এটিকে পেশা হিসাবে বেচে নিতে পারেন।
ইমেইল মার্কেটিং এর সুবিধা:
১। বিক্রি করা পণ্যের উপর নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন লাভ করা যায়।
২। যে সমস্ত প্রতিষ্ঠানের পণ্য ইমেইল মার্কেটিং করা হবে তাঁদের সাথে ঘন্টায় নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমেইল
প্রেরণের চুক্তির মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
৩। ইমেইল এড্রেস সংগ্রহের মাধ্যমে। এই ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তি অর্থাৎ আপনি যার হয়ে কাজ করবেন তার
সাথে পূর্বেই চুক্তি করে রাখতে পারেন ইমেইল প্রতি আপনি কত টাকা করে পাবেন, এর ফলে আপনার
কাজ করার পথ মসৃণ হবে।এ সকল বিষয় জেনে নিয়ে কাজ শুরু করতে পারেন।
৪। কোন কোন কোম্পানীতে নির্দিষ্টভাবে মাসিক বেতনভূক্ত কর্মচারী হিসেবেও ইমেইল মার্কেটিংয়ের
লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে। যেখানে নিয়মিত অফিস করার মাধ্যমে প্রয়োজন অনুসারে ইমেইল মার্কেটিং
করতে হয়।আপনি এখানেও কাজ করে আয় করতে পারেন।
আমার দেখা মতে ফেসবুক , টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মাধ্যমে মার্কেটিং করার তুলনায় ইমেইল
মার্কেটিং অনেক বেশি গতিশীল ও সহজ পথ। তাই এক্ষেত্রে কাজ করতে হবে খুবই দক্ষতার সাথে যেন যার
কাছে মেইল যাচ্ছে তিনি যেন মেইলটি পড়তে আগ্রহী হন এবং এরপর সেই পণ্যটি দেখতে আগ্রহী হন।
এমন রস এর মধ্যে দিতে হবে।
অনলাইনে শিক্ষাগত যোগ্যতার চাইতে কর্মদক্ষতা অনেক বেশি কার্যকরী হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে
থাকে।এবং অনলাইন মার্কেটিংয়ে যারা ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক তাদের যদি ওয়েব ডিজাইনিং এর উপর
সাধারণ জ্ঞান থাকে তাহলে সেটি কর্মক্ষেত্রে আরো বেশি কাজে দিবে।সর্বোপরি বলা যায় ইন্টারনেট
মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে শীর্ষ পর্যায়ে অবস্থান করছে এখন ইমেইল মার্কেটিং ,তাই এই পেশায় ক্যারিয়ার গড়তে
হলে এখনি সুযোগ । কারণ দিন দিন এর প্রসারের ফলে প্রতিযোগিতার পরিমাণও বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই
আজি শুরু করে দেন ।
ইমেইল মার্কেটিংয়ের জন্য কিছু জরুরী টিপস যা জানা দরকার:
১। মেইল এড্রেস সংগ্রহের সময় এড্রেসের পাশে একটা করে ট্যাগ দিয়ে রাখতে পারেন যে এই এড্রেসের
অধিকারী আসলে কি ধরণের পণ্যের প্রতি বেশি আগ্রহী হতে পারেন। সে সর্ম্পকে আপনি জানতে
পারবেন।
২। নিয়মিত রিসার্চ করতে হবে যে ইমেইল এড্রেসে পাঠানো মেইলগুলো মানুষ দেখছে কিনা বা না দেখলে
সেটি কিভাবে আরো আকর্ষণীয় করে মানুষকে দেখার জন্য আগ্রহী করে তোলা যায়। সে দিকে খেয়াল
রাখতে হবে।
৩। অযথা হাজার হাজার ইমেইলে মেইল করে সময় এবং শ্রম উভয় নষ্ট না করে প্রথমে কিকবক্স, বাল্ক
মেইল চেকারের মতন ইত্যাদি ভ্যারিফাইং সফটওয়্যারের মাধ্যমে চেক করে নিতে পারেন সব গুলো
মেইল সঠিক কিনা, চেকিং শেষে নষ্ট ইমেইল ঠিকানাগুলো মুছে ফেলুন।
৪। যে কোম্পানী বা প্রতিষ্ঠানের হয়ে ইমেইল মার্কেটিংয়ের কাজ করবেন তাদের ওয়েবসাইটে সাইনআপের
সময় বাধ্যতামূলক ভাবে ইমেইল এড্রেস প্রদানের ব্যাবস্থা রাখা যেতে পারে যার ফলে সাইনআপকারীদের
থেকেই অনেক ইমেইল এড্রেস সংগ্রহ করা যায়।
৫। যে পণ্যগুলো বিক্রির জন্য ইমেইল মার্কেটিং করবেন সবসময় চেষ্টা করুন সেই মেইলগুলো দেখতে
যেন আকর্ষণীয় হয় এবং পণ্যের ক্যাটাগরি ভাগ করা থাকে, এর ফলে গ্রাহকেরা তাদের প্রয়োজন মতন
ক্যাটাগরির উপর ক্লিক করলেই পৌঁছে যাবেন ওয়েবসাইটের সেই ক্যাটাগরির পেজে।
এই লেখাটি যদি আপনাদের ভাল লেগে থাকলে শেয়ার করতে ভুলবেন না আপনার বন্ধুদের মাঝে।
আপনার এই শেয়ার আরো একজনের উপকার হতে পারে। কমেন্ট করে জানাতে পারেন আপনি কি
বিষয়ে লেখা পড়তে চান। আমরা আপনার পরামর্শকে সম্মানের সাথে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।
ভাল থাকবেন সবসময়।