অ্যাডসেন্স কি?
অ্যাডসেন্স হল বিশ্ব বিখ্যাত গুগলের একটি এডভারটাইজিং এজেন্সি। বিভিন্ন পন্যের/সেবার প্রচার ও বি্ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই্ অ্যাডসেন্স এর নিকট চুক্তিবদ্ধ। তারা তাদের পন্য/সেবার প্রচার ও বিক্রয়ের জন্য অ্যাডসেন্সকে অর্থ প্রদান করে। এডসেন্স তাদের পন্য/সেবার বিজ্ঞাপন বিভিন্ন সাইটে প্রচার করে।
এই প্রচার বাবদ অ্যাডসেন্স কর্তৃপক্ষ তার প্রাপ্য অর্থে একটি অংশ সাইটের মালিক গনকে প্রদান করে। তাহলে কথা হল এডসেন্স কেন? এডসেন্স এর মত আরও অনেক অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানী আছে ! হা আছে তবে-এডসেনস এর মত তাদের বিশ্ব ব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক নেই। অন্যান্য কম্পানীর থেকে তারা বেশি হারে সাইটে মালিকগনকে প্রদান করে।এডসেন্স এ রয়েছে মাল্টি ইনকামের ব্যবস্থা।
আপনি কি অ্যাডসেন্স পাবেন?
আপনিও পেতে পারেন অ্যাডসেন্স। পুর্বে অ্যাডসেন্স পাওয়া যতটা সহজ ছিল বাংলাদেশ থেকে এখন অ্যাডসেন্স পাওয়াটা ততটা কঠিন।
আপনাকে বেশ কতকগুলি শর্ত পালন করতে হবে। শর্ত গুলি নিম্ন রুপ-
1.আপনার একটি ব্লগ বা ও্য়েবসাইট থাকতে হবে(ফ্রি ব্লগ থেকে আবেদন করতে হলে আপনা অবশ্যই গুগলের ব্লগার.কম একটি ব্লগ খাকতে হবে।)
2.২০ থেকে ২৫ টি কন্টেন্ট থাকতে হবে।
3.আর্টিকেলগুলো বা কন্টেন্টগুলো ইউনিক হতে হবে অর্থাৎ কোন কাট, কপি, পেস্ট কন্টেন্ট গ্রহনযোগ্য নয়।
4.সাইট টি তে মেনু হিসাবে সমৃদ্ধ হোম পেইজ, অ্যাবাউট আস, কন্ট্যাক্ট আস, প্রাইভেসি/পলিসি ইত্যাদি থাকতে হবে।
5.সাইটের ল্যাংগুয়েজ অবশ্যই বাংলা হলে চলবে না। সাপরটেড ল্যাংগুয়েজ অর্থাৎ ইংলিশ হতে হবে। তবে এডসেন্স প্রাপ্তির পর কৌশলে বাংলা ব্লগে/সাইটে ও এটি ব্যবহার করা যাবে।
6.সাইটে যথেষ্ট ভিজিটর থাকতে হবে।
7.আপনার সাইটে বয়স কম্পক্ষে ৬ মাস হতে হবে।
8.সাইটে পেইজ র্যায়াংকিং ভাল থাকতে হবে।
মোটামুটি ভাবে উপরোক্ত নিয়ম বা শর্ত পালন করে আপনি এডসেন্স এর জন্য আবেদন করলে আশা করা যায় আপনি অ্যাডসেন্স নামক সোনার হরিণটি অবশ্যই পাবেন। আবেদন করার আগে আরও ভালভাবে
জেনে নিন অ্যাডসেন্স এর শর্তা বলীসমুহ
আমরা অনেকেই উপরোক্ত নিয়ম কানুন আংশিক মেনে আবেদন করি। ফলে আবেদন প্রত্যাখাত হয়। একবার আবেদন প্র্ত্যাখাত হলে পুনরায় অ্যাডসেন্স কোয়ালিফাই করা অ্ত্যন্ত দুরহ।
ব্লগ বা ওয়েবসাইট ছাড়া অ্যাডসেন্স পাওয়ার আর কোন সহজ উপায় আছে কি?
ব্লগ/ওয়েব সাইট ছাড়াও আপনি উপরোক্ত নিয়মের তোয়াক্কা না করেও অ্যাডসেন্স পেতে পারেন অতি সহজে। অনেক উপায় থাকতে পারে। তবে আমার জানা মতে দুটি পদ্ধতি উত্তম ও সহজ।
ইউটিউবের(Youtube) মাধ্যমে।
হাবপেজের(Hubpage) মাধ্যমে।
দ্বিতীয়টি কোন এক ক্ষনে আলোচনা করা যাবে, কথা দিচ্ছি। আজ আলোচনা করব কিভাবে ইউটিউবের মাধ্যমে অতি সহজে আপনার কাঙ্খিত সোনার হরিণটি হাতের নাগালে পাবেন। উল্লেখ্য যে ইউটিউবের মাধ্যমে প্রাপ্ত অ্যাডসেনস্ একাউন্ট আপনি আপনার ব্লগে ও ব্যবহার করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে শুধু মাত্র আপনার ব্লগের বযস ছয়মাস বা তদুর্ধ হলেই হল।
ইউটিউবিং কি: সবথেকে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট সম্পর্কে কিছু কথা
ঠিক একই রকম ভাবে ইউটিউবে ইনকাম হয়। আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে, আপনি যখন ইউটিউবে কোন ভিডিও দেখেন তখন ইউটিউবের নিচে একটা ছোট বিজ্ঞাপন বা অ্যাডের একটা ছবি আসে। আবার আপনার ভিডিও এর বাইরে ডান পাশেও মাঝে মাঝে একটা ছবি আকারে বিজ্ঞাপন বা অ্যাড আসে।
আবার মাঝে মাঝে দেখবেন ভিডিও দেখার সময় ভিডিও এর মাঝ খানে অথবা ভিডিওটি শুরুর সাথে সাথে মাত্র কয়েক সেকেন্টের একটা বিজ্ঞাপন দেখায়। আপনি যখন যে চ্যানেলের ভিডিও দেখেন, আর ওই ভিডিওতে যখন আপনি এই অ্যাডগুলো দেখতে পান তখন ঐ চ্যানেলের বা ভিডিও এর মালিক টাকা পায়। এভাবে ভিডিও যত মানুষ দেখবে ততই মানুষ ঐ বিজ্ঞাপন গুলো দেখবে আর ততই টাকা ইনকাম হবে।
আসলে টাকা ইনকামটা ঠিক আপনার ভিডিওর ভিউ এবং বিজ্ঞাপনের উপর ডিপেন্ড করে। আপনার যতবেশি ভিউ হবে ততই ইনকাম হবে। তবে বিজ্ঞাপন হিসাবে টাকা আসে। যেমন আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতারা ইউটিউবে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য খুব কম টাকা গ্রাহকদের দেয়। কিন্তু অন্যান্য দেশেরবিজ্ঞাপন দাতারা আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতাদের থেকে অনেক গুণ বেশি টাকা দেয়।
এটা বোঝা যায় সি পি সি থেকে। আপনি আপনার অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন যে কোন অ্যাডের সি পি সি কেমন। সচারচর আমাদের দেশের বিজ্ঞাপন দাতারা কয়েক সেন্ট করে পেমেন্ট করে এক একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য। তবে বাইরের দেশের কিছু বিজ্ঞাপন দাতা আছে যারা কয়েক ডলার পর্যন্ত পেমেন্ট করে এক একটা বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য।
আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ চ্যানেলের ভিডিওতে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপনই বেশি প্রচারিত হয়। কারণ আমাদের ভিডিও গুলো বেশির ভাগ বাঙালিদের জন্যই তৈরি করা হয়ে থাকে। তবে আপনার চ্যানেলের ভিডিও যদি ইন্টারন্যাশনালি হয়ে থাকে। মানে আপনার ভিডিও যদি হয় ইংলিশে অথবা ইংলিশ সাবটাইটেলে তাহলে বাইরের দেশের লোক সেই ভিডিও গুলো যখন দেখবে,
তখন বাইরের বিজ্ঞাপন গুলো আপনার ভিডিওতে প্রচার করা হবে। তখন আপনার ইনকাম বেশি হবে। তবে বাংলাদেশে একটা চ্যানেল খুলে আপনি মিনিমাম মাসে ৫০০০ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারবেন। আমাদের দেশে অনেক ইউটিউব চ্যানেল আছে যেগুলা শুধু বাঙালি কন্টেন্ট দিয়ে তৈরি করা। তারা মাসে প্রায় ৮ লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করছে। সব কিছু ডিপেন্ড করবে আপনার ভিডিওর ভিউ এর উপর।
যত ভিউ ততই ইনকাম। আর চিন্তা না করে আজিই কাজে লেগে পড়ুন আর আয় করুন ডলার । মিথ্যা বলছি না । আপনি কস্ট করলে তার ফল অবশ্যই পাবেন ।
আপনার কোন প্রশ্ন থাকলে কমেন্টে জানান আর ভাল লাগলে অবশ্যই শেয়ার করুন