আপনার ব্লগ বা সাইটকে জনপ্রিয় করার ধাপগুলো সত্যিই সহজ নয়, কিন্তু আমি আজ যে ৫টি ধাপ নিয়ে
আলোচনা করেছি সেগুলো অনুসরণ করলে পথ চলা কিছুটা সহজ হবে বলে আমি মনে করি।
তাহলে আসুন জেনে নেয় ইউটিউব ভিডিও জনপ্রিয় করতে ৫টি পদ্ধতি সর্ম্পকে:
১.SEO (Search Engine Optimization) করতে হবে:
ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসার সবচেয়ে ভাল এবং গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হল এসইও। এটি দুই
ধরনের হয়ে থাকে। অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইও। এসইও করতে হলে আপনাকে কিছু জটিল
প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে কাজ করতে হবে। এটি অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার। কিন্তু একবার যদি আপনার
এসইও একটি ভাল লেভেলে পৌঁছে যায় তাহলে পরিশ্রম অনেকটা কমে আসে। শুধুমাত্র আপনার যথেষ্ট
ধৈর্য পারে আপনাকে সফল করে তুলতে। এক্ষেত্রে প্রচুর সময় লাগে বিধায় অনেকে শুরুতেই হাল ছেড়ে
দেন। কিন্তু এটি করা ঠিক হবে না। এসইও তে কাজের অনেক ভাগ রয়েছে, লিংক বিল্ডিং, ব্যাকলিংক,
কীওয়ার্ড সার্চিং, গেস্ট টিউনিং ইত্যাদি।
২.উন্নত কন্টেন্ট লিখুন:
একটি ব্লগের সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ার হল উন্নতমানের কন্টেন্ট লেখা। আপনি যা পছন্দ করেন তাই
দিয়ে ব্লগ বা ওয়েবসাইট শুরু করুন। দেখুন ভিজিটর নিয়ে আসার অনেক মাধ্যম আছে, কিন্তু তাদের
ধরে রাখার বা পুনরায় আপনার সাইটটি ভিজিট করানোর উপায় শুধু একটি। আর তা হল আপনার
সাইটের কন্টেন্ট বা তথ্য। একটি তথ্যবহুল সাইট খুব তাড়াতাড়ি সফল হয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই ইউনিক
কন্টেন্ট থাকতে হবে। আপনার সাইটে যদি একজন ভিজিটর এসে বুঝতে পারে যে আপনি যা লিখেছেন তা
অন্য কোন সাইট থেকে কপি করা হয়েছে তাহলে মনে হয় না সেই ব্যক্তি দ্বিতীয়বার আপনার সাইটে
আসবে। তাই এ ব্যপারে সতর্কতা অবলম্বন করবেন।
৩.সামাজিক মাধ্যমগুলোতে যোগাযোগ :
বর্তমান সময়ে প্রচারের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম হল ইন্টার্নেটের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগের
সাইটগুলি। আপনার নিজেকেই দেখুন! আপনি নিশ্চই ফেসবুক ইউজ করেন, একটু বেশি সামাজিক হলে
ইন্সটাগ্রামও থাকতে পারে। আবার আমাদের অনেকেই ইমো, হোয়াটস এপ, টিকটকে প্রচুর সময় ব্যয়
করে। আপনি আজ থেকে আপনার সাইটের লিংক বা ব্লগের লিংক এই মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে দিতে
পারেন। প্রথমদিকে হয়তো সাড়া কম পড়বে, কিন্তু কন্টেন্ট ভাল হলে জনপ্রিয় হতে সময় লাগবে না।
আপনার বন্ধুদের বলুন আপনার লিংকটি তাদের মিউচুয়াল বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে। এভাবে সবাই
মিলে লেগে থাকলে টার্গেটেড ভিজিটর আপনি পাবেনই। পাশাপাশি আপনার ব্লগ বা সাইটের নামে গ্রুপ
খুলতে পারেন, যে গ্রুপে আপনি নিজের ফ্রেন্ডদের এড করে অন্যদেরকেও উৎসাহিত করতে পারেন
তাদের ফ্রেন্ডদের এড করানোর জন্য।
৪.বিজ্ঞাপণ দিতে হবে:
বিজ্ঞাপণের কোন বিকল্প নেই। আপনার সাইটের প্রচারের জন্য কিছু টাকা তো খরচ করতেই হবে। আর
জানেন তো প্রচারেই প্রসার। বিজ্ঞাপণ খুবই শক্তিশালী মাধ্যম হতে পারে ভিজিটর বাড়ানোর জন্য।
বিভিন্ন দেশি এড কোম্পানি আছে যারা খুব কম মূল্যে বিজ্ঞাপণ সুবিধা দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনি
অনলাইন বিজ্ঞাপণের দিকেই বেশি খরচ করবেন। কারণ আপনার ভিজিটর হতে হবে অনলাইন ভিত্তিক।
আপনি চাইলে ফেসবুকে এড দিতে পারেন। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র এড দিয়েই সুখ্যাতি
পেয়েছে। তাই নিজের কষ্টের পাশাপাশি প্রোফেশনাল এড এজেন্সির দারা বিজ্ঞাপণ প্রচারের মাধ্যমে প্রচুর
পরিমাণ ভিজিটর নিয়ে আসতে পারেন।
৫.এক্সেঞ্জার ব্যবহার করতে হবে:
এক্সেঞ্জার অন্যসব মাধ্যমের চেয়ে সহজ! ভিজিটর এক্সেঞ্জারগুলো দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। কিন্তু
সবগুলোই যে রিয়াল এবং ইউনিক ভিজিটর প্রদান করে তা কিন্তু নয়। ইন্টার্নেটে অনেক ভুয়া এক্সেঞ্জার
রয়েছে যেগুলো ভুয়া ভিজিটর সাইটে প্রদান করে। এগুলো থেকে দূরে থাকুন। আসল এক্সেঞ্জার বুঝে
আপনার সাইটের লিংক প্রদান করুন। এখানে আমি কিছু জনপ্রিয় ফ্রি এক্সেঞ্জারের লিংক দিয়ে দিচ্ছি
আপনার সাহায্যের জন্য। EasyRankUp, Hitleap, StartExchange ইত্যাদি। তবে আমার মতে
EasyRankUp সেরা। কারণ আমি নিজের ব্লগের জন্য এটি ব্যবহার করে উপকার পেয়েছি।
পরিশেষে বলতে চাই পরিশ্রমের কোন বিকল্প নাই। আপনি নিজের পরিশ্রমের মাধ্যমে সাইটকে জনপ্রিয়
করে তুলতে পারেন, সাথে একটু ধৈয্যের দরকার।কারন র্ধৈয্য ছাড়া কোন কিছু আয় করা সম্বব না।
ধন্যবাদ