অনলাইন থেকে অনেকে টাকা আয় করতে চান তার মধ্যে কিছু মানুষ সাফল্য পেয়ে থাকে। আবার কেউ
সফল হতে পারে না। আমাদের দেশে অনেকেই আছে যারা ইউটিউবে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ
করছেন এবং অনেকে অনেক টাকা উপার্জন করছেন এবং কিছু লোক আছে যারা ইউটিউবে অনেকদিন
যাবৎ কাজ করছেন কিন্তু ইউটিউব এর চ্যানেল মনিটাইজেশন পারছেন না যার কারণে তারা প্রায় ধৈর্য
হারিয়ে বসেছেন এবং কাজ করা বন্ধ করেছেন। আবার এদিকে ফেসবুক নতুন একটি প্রোগ্রাম চালু করেছে
যেটা ফেসবুক ক্রিয়েটর। এবং সেই ফেসবুক ক্রিয়েটর এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক পেজে ভিডিও
আপলোড করার মাধ্যমে আপনি সেই ভিডিওগুলো মনিটাইজেশন করতে পারবেন এবং সেই ভিডিও
থেকে ইনকাম করতে পারবেন।এই প্রোগ্রামটি প্রথমত ভাবে আমেরিকা কানাডা অস্ট্রেলিয়া এই সমস্ত রাষ্ট্র
চালু ছিল বর্তমান সময়ে ফেসবুক মনিটাইজেশন এই প্রোগ্রামটি বাংলাদেশের চালু হয়েছে এবং
বাংলাদেশের অনেকেই ফেসবুকে মনিটাইজেশন পেয়ে গেছেন এবং অনেকে কাজ করছেন।আবার অনেকে
ইউটিউবে অনেকদিন যাবৎ কাজ করছেন কিন্তু মনিটাইজেশন পাচ্ছেন না। এখন তারা চাচ্ছেন ইউটিউব
থেকে ফেসবুকে চলে আসতে এবং ফেসবুকে কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে কাজ করতে। কন্টেন্ট ক্রিয়েটর
হিসেবে ইউটিউবর আমাদের কাজ দিচ্ছে এবং ফেসবুক ও এই কাজটি আমাদেরকে দিচ্ছে আপনি চাইলে
যেকোন একটি সেক্টরে ভালোভাবে কাজটি করতে পারেন এবং এই কাজটি করার মাধ্যমে আপনি একটা
ভাল মানের ইনকাম জেনারেট করতে পারেন। এখন আপনার জন্য কোনটি ভালো সেটা বিবেচনা করার
দায়িত্ব আপনার হাতে।
ইউটিউব থেকে আয় :
ইউটিউবে সাধারণত আগে একসময় কিছু ভিডিও আপলোড করার পরেই মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই
করলে ইউটিউব মনিটাইজেশন দিয়ে দিত।কিন্তু বর্তমান সময়ে ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে কন্টেন্ট
ক্রিয়েটর রয়েছে তাই ইউটিউব প্রচুর পরিমাণে রুলস জুড়ে দিয়েছেন।এবং ইউটিউবে প্রচুর পরিমাণে
কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে গেছে যার কারণে ইউটিউবে অনেকেই ভালো ভিডিও আজেবাজে ভিডিও আপলোড
শুরু করে দিয়েছে তার জন্য ইউটিউব বর্তমান সময়ে একটি রুলস তৈরি করেছে। যে রুলস হচ্ছে এক
বছরের মধ্যে আপনার চ্যানেলে 1 হাজার সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে এবং 4000 মিনিট ওয়াচ টাইম
থাকতে হবে তাহলে আপনি মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন এবং সেই এপ্লাই করা চ্যানেলটি
ইউটিউব এর গাইডলাইন রিভিউ করবে। রিভিউ করার পর যদি মনে হয় আপনার চ্যানেলটি
মনিটাইজেশন পাবার যোগ্য তাহলে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন অন করে দেওয়া হবে আর না হয়
আপনাকে রিজেক্ট করে দেওয়া হবে পরবর্তীতে আবার এপ্লাই করার জন্য আপনাকে এক মাস সময়
দেওয়া হবে। এটা হচ্ছে ইউটিউবের মনিটাইজেশন রুলস বর্তমান সময়ের জন্য এই রুলস যেকোনো সময়
আবার আপডেট হতে পারে।
ফেসবুক থেকে আয়:
ফেসবুকের নিয়মগুলো হলো আপনার একটি ফেসবুক পেজ থাকতে হবে এবং সেই পেজের মধ্যে আপনার
10 হাজার ফলোয়ার থাকতে হবে। এই 10 হাজার ফলোয়ার থাকার পরে আপনার ফেসবুক পেজে আপনি
যে ভিডিও গুলো আপলোড করবেন সেই ভিডিও গুলোর 3 মিনিটের বেশি সময়ের ভিডিও হতে হবে এবং
সেই ভিডিও গুলোতে 1 মিনিট ওয়াচ টাইম থাকতে হবে তাহলে ফেসবুক কমিউনিটি আপনার ভিডিওতে
একটি ভিউ ধরে নিবে। এভাবে আপনার ফেসবুক পেজে 60 দিনের মধ্যে 30 হাজার ভিউ হতে হবে
তাহলে আপনার ফেসবুক মনিটাইজেশন এর জন্য এপ্লাই করতে পারবেন।তারপরে ফেসবুক কমিউনিটি
গাইডলাইন আপনার পেজটি রিভিউ করে দেখবে যদি আপনার পেজের সবকিছু ঠিকঠাক থেকে থাকে
তাহলে আপনাকে মনিটাইজেশন দিয়ে দেওয়া হবে। বাংলাদেশ মনিটাইজেশন অনেকেই পেয়ে গেছেন এবং
অনেকেই ফেসবুক থেকে ভিডিও মনিটাইজেশন এর মধ্যে ইনকাম শুরু করে দিয়েছেন।
আরো জানুন: ইউটিউব এর কাজ ও এর মাধ্যমে কি কি করা যায় ?
এখন আমার দৃষ্টিতে দুটি দিক থেকে আপনি ভাল কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন।তাহলে আপনি
কোন সেক্টরে কাজ শুরু করতে চান। ইউটিউব এবং ফেসবুক দুটি হচ্ছে একটি সোশ্যাল মিডিয়া আর
দুটি কোম্পানি এডভার্টাইসমেন্ট এর মধ্য দিয়ে তাদের পাবলিশারদের কে একটা এমাউন্ট দিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে যেকোন একটা প্লাটফর্মে কাজ করতে পারেন ।
আরো পড়ুন: ১০টি সেরা ইউটিউব চ্যানেল আইডিয়া
আপনি যদি ইউটিউবে অলরেডি ইউটিউবে কাজ করে থাকেন তাহলে আমি বলব আপনি ইউটিউবে কাজ
করে যান আপনার দুটো নিয়ে খুব বেশি দূর আগাতে পারবেন না তাই আপনি যেকোন একটা নিয়ে ব্যস্ত
থাকেন এবং খুব দ্রুত সফল হতে পারবেন। আর আপনি যদি একজন নতুন কন্টেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে
অনলাইনে আসতে চান তাহলে আমি বলব আপনি চাইলে ফেসবুকে আসতে পারেন যেহেতু ফেসবুক এ
প্রোগ্রামটির নতুন চালু করেছে তাই আপনি খুব দ্রুতই ফেসবুকে এখান থেকে মনিটাইজেশন পেয়ে যেতে
পারেন। এবং এই ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেকটাই বেশি যার মাধ্যমে আপনি এখান থেকে
ভাল কিছু করতে পারবেন খুব দ্রুত।
ফেসবুকের ভিজিটরের সংখ্যা অনেক বেশি। এবং ফেসবুকের যে নিয়ম গুলো আছে এই দিক থেকে
আপনি খুব তাড়াতাড়ি ফেইসবুক মনেটিজেশন টি অন করতে পারবেন ফেসবুকে বর্তমান সময়ে
ইউটিউব এর মতো খুব কঠিন কোন রুলস নেই যেখানে আপনাকে প্রচুর পরিমাণে ধৈর্য ধরতে হবে
না।এবং আপনি যদি ইউটিউব এ কাজ করে ব্যর্থ হয়ে থাকেন তাহলে চাইলে আপনি ফেসবুক পেজে চলে
আসতে পারেন এবং ফেসবুক পেজটিকে আপনার মানুষের কাছে প্রচার করতে হবে আপনাকে প্রথমে 10
হাজার ফলোয়ার জোগাড় করে নিতে হবে। তবে আপনি এই মনিটাইজ সার্ভিসটি পেতে পারেন।
আরো জানুন: ইউটিউব চ্যানেলে কি কি ভিডিও দেওয়া যায় ?
ফেসবুকে ফলোয়ার এবং বিউ বাড়ানোর খুবই সহজ আপনি চাইলে ফেসবুক পেজটি পেইড ক্যাম্পেন
করতে পারেন পেইড ক্যাম্পেইন করার মধ্যমে বুস্ট করার মাধ্যমে আপনি ফেসবুক পেজে ফলোয়ার
আনতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি মনিটাইজেশন পারবেন। কোন সমস্যা নাই এবং ফেসবুক ভিডিও গুলো
তো আপনি বুষ্টিং এর মাধ্যমে বিউ বাড়াতে পারেন সেক্ষেত্রে কোন সমস্যা নাই আপনার ভিডিওগুলো
অবশ্যই ফেসবুকের কমিউনিটি গাইডলাইন এর ভিতর থাকতে হবে তাহলেই শুধু হবে। তাহলে বুঝতে
পারছেন দুটি সেক্টরে আপনি কাজ করে টাকা আয় করতে পারবেন। তাই বলছি আজিই আপনার
পছন্দের চ্যানেল নির্বাচন করে কাজ শুরু করে দিন।। আজ এ পযর্ন্ত ভাল লাগলে আপনার বন্ধুদের কে
শেয়ার করতে ভূলবেন না।
ভাল থাকবেন।