আপনি যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে এই প্রশ্ন আপনার মাথায় অবশ্যই ঘুরপাক খাচ্ছে, আসলে কি ঘরে
বসে অনলাইনে টাকা আয় করা যায় কি না? আপনার প্রশ্নের জবাবে আমি সরাসরি বলতে চাই, অবশ্যই
অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়। কেউ এ বিষয়ে না জেনে আপনাকে যেটাই বলুক না কেন আপনি
কারো কোন কথায় কান দিবেন না। আপনি এই বিষয়টি পরিষ্কারভাবে জেনে রাখুন বর্তমানে অনলাইন
হতে বিভিন্ন উপায়ে টাকা ইনকাম করা সম্ভব হয়। কিভাবে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করা যায় সেই
বিষয়ে আজ আলোচনা করবো । আশা আপনাদের উপকারে আসবে।
আরো জানুন:
মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়:-
বর্তমানে সবার হাতে হাতে স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট রয়েছে। একদিকে যেমন স্বল্পমূল্যে মোবাইল কিনতে
পাওয়া যায় অন্যদিকে খুব কমদামে ইন্টারনেট প্যাকেজ কেনা সম্ভব হয়। সেই জন্য বর্তমানে আরেকটি
প্রশ্ন কমন হয়ে উঠেছে, আমি অনলাইনে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করতে পারব কি না? কিংবা মোবাইল
দিয়ে টাকা ইনকাম করার সহজ কোন উপায় আছে কি না? আপনার এই ধরনের প্রশ্নের জবাবে আমি
বলব মোবাইল দিয়ে টাকা ইনকাম করার অনেক ভালোমানের উপায় রয়েছে। কিন্তু মোবাইল দিয়ে সহজে
আয় করার কোন ধরনের উপায় নেই।
আরো জানুন:
ওয়ার্ডপ্রেস কি? কিভাবে বেস্ট ওয়ার্ডপ্রেস ফ্রেন্ডলি হোস্টিং সার্ভিস নির্বাচন করবেন?
আপনি মোবাইল দিয়ে মাসে ২০০-৩০০ ডলার অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন। তবে মোবাইল দিয়ে
আয় করার জন্য আপনাকে শ্রম দিতে হবে এবং তুলনামূলকভাবে যাদের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ আছে
তাদের তুলনায় আপনাকে আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে। আপনি চেষ্টা করলে নিয়মিত কিছু সময় ব্যয়
করে আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে অনলাইন হতে টাকা আয় করতে পারবেন। তবে একটি বিষয়
জেনে রাখুন সে ক্ষেত্রে এক দিনে অথবা এক সপ্তাহ আপনার আয় শুরু হয়ে যাবে না। কাজ শুরু করে
কমপক্ষে ৩-৬ মাস কোন ধরনের লাভের আশা না করে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। তারপর ইনকাম
শুরু হয়ে গেলে নিয়মিত কাজ না করেও মাঝে মধ্যে কাজ করেও অনলাইন হতে মোবাইল দিয়ে টাকা
আয় করতে পারবেন।
YouTube হতে মোবাইল দিয়ে টাকা আয় করা যায়:-
আপনি যদি ভ্রমন প্রিয় লোক হন তাহলে বিভিন্ন সুন্দর সুন্দর প্রকৃতিক দৃশ্যগুলো আপনার মোবাইলের
ক্যামেরায় ফ্রেমবন্দী করেও এ কাজটি করতে পারেন। অথবা আপনি যে বিষয় ভালভাবে জানেন সে
বিষয়ে বিভিন্ন ভিডিও টেউটরিয়াল তৈরী করেও কাজটি করতে পারেন। যারা গৃহিনী রয়েছেন তারা
চাইলে বিভিন্ন রান্নার রেসিপি টিপস ও সাজগোজের করার ভিডিও তৈরি করে নিতে পারেন। এছাড়া
আরো নানা উপায় আছে আয় করার জন্য তা হলো-
অনলাইন মার্কেটের ২০টি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং কাজ যা আপনার জানা প্রয়োজন।
৭ টি শ্রেষ্ঠ অনলাইন আয়ের সাইট সর্ম্পকে জানুন।
গুগল থেকে আয় করার সেরা ৩টি উপায়।
ব্লগে আর্টিকেল লিখে মোবাইল দিয়ে আয় করা যায়:
আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার
সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ
হওয়ায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন।
গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করার বিষয়ে আমাদের ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনার নিজের
একটি ব্লগ তৈরি করার জন্য নিচের লিংক থেকে আমাদের ব্লগে পোস্ট দেখে নিতে পারেন।
তবে একটি বিষয় মরে রাখবেন ব্লগ তৈরী করে থেমে থাকলে হবে না। আপনার যে বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান
আছে, আপনি সে বিষয় নিয়ে লিখে যাবেন। এ ক্ষেত্রে হয়তো আপনি প্রথম ২-৩ মাস একটু কষ্ট করতে
হবে। তাই বলে আপনি নিরাশ হয়ে থেমে থাকবেন না। আপনি প্রতিদিন নিত্য নতুন আর্টিকেল লিখতে
থাকেন। আপনার বিষয়টি যদি ইউনিক এবং জ্ঞানগর্ভপূর্ণ হয় তাহলে ভিজিটর অবশ্যই আপনার ব্লগে
আসবে। এ ক্ষেত্রে সফলতা পেতে আপনাকে বেশী দিন অপেক্ষা করতে হবে না। আপনি নিজে নিজেই টাকা
উপার্জনের পথ সুঘম করে নিতে পারবেন।
Android Apps দিয়ে টাকা আয় করা যায়:-
এন্ড্রয়েড এ্যাপ দিয়ে টাকা আয় যায়। তবে সেটা খুব সীমিত এবং অস্থায়ি। অনলাইনে কিছু কিছু এন্ড্রয়েড
এ্যাপ আছে যেগুলো থেকে আপনি কখনো কখনো দু-একশ টাকা আয় করতে পারবেন। তবে সেই ক্ষেত্রেও
আপনাকে অনেক ঝামেলা পোহাতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে কিছু এ্যাপ রয়েছে যারা শুধুমাত্র আপনাকে বিভিন্ন
বিজ্ঞাপনের উপরে ক্লিক করার জন্য বলবে। কোন কোন এন্ড্রয়েড এ্যাপ ১০০ টি বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার
পর ১০০ টাকা দিয়ে থাকে। সেই ১০০ বিজ্ঞাপন আবার এক সাথে আপনাকে দেবে না। সবগুলো বিজ্ঞাপন
পাওয়ার জন্য সারাদিন এটির পিছনে লেগে থাকতে হবে।
আপনি যদি এন্ড্রয়েড এ্যাপ দিয়ে টাকা আয় করতে চান তাহলে গুগল প্লে-স্টোরে “Earning App,
Online Income App, Recharge App লিখে সার্চ দিলে অনেক ধরনের অনলাইন আয়ের
এন্ড্রয়েড এ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন- অনলাইনে টাকা আয় করার বিশ্বস্ত কয়েকটি এ্যাপ হচ্ছে “MCent“,
“Amulyam“, “Pocket Money“, “TaskBucks”. এই ধরনের এ্যাপগুলো ডাউনলোড করে
ইনস্টল করার পর আপনাকে একেকটি এক এক ধরনের কাজ দেবে। এই এ্যাপগুলোর কাজের ধরন খুব
সহজ হয়ে থাকে।
অনলাইন আয়ের পরামর্শ হলো:-
বাস্তবক্ষেত্রে অনলাইন আয়ের বিষয়টি অনেক লম্বা এবং দীর্ঘ একটা প্রসেস। আপনি চাইলে আজকে কাজ
শুরু করে আগামী কাল হতে আয় শুরু করতে পারবেন না কিংবা আজ কাজ করে আগামীকাল থেকে
পেমেন্ট পাওয়া শুরু হবে না। আর মোবাইল এ্যাপস দিয়ে হয় তবা আপনি এক দুই দিন ২০০/৪০০ টাকা
ইনকাম করতে পারবেন কিন্তু দীর্ঘদিন আয় করে যেতে পারবেন না।
অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং, ব্লগিং কিংবা ইউটিউব যেটিই শুরু করুন না কেন কাজ করার জন্য আপনার
অবশ্যই অভীজ্ঞতা থাকতে হবে। অভীজ্ঞতা না থাকলে আপনি যেকোন প্রতিষ্ঠান বা অনলাইন হতে ৫/৬
মাস ভালো ভাবে স্টাডি করে কোন বিষয়ে অভীজ্ঞতা অর্জন করে নিবেন। তারপর ধৈর্য্যধারণ করে
আরো ৫/৬ মাস আয়ের কথা চিন্তা না করে আন্তরিকতার সহিত কাজ চালিয়ে যেতে থাকবেন। আমি
নিশ্চিতভাবে বলতে পারি কেউ ৫/৬ মাস আন্তরিকতার সাথে নিয়মিত কাজ করলে ছয় মাস পর প্রতি
মাসে ২০০-৩০০ ডলার অনলাইন হতে আয় করতে পারবে।
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার
সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে
অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে
রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।
ওয়েব সাইটি বানাতে চাইলে আপনি বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান Namecheap থেকে তৈরি করে নিতে পারেন।
এবং ভালো থিমের জন্য আপনি themeforest থেকে কিনতে পারেন।