আসুন আর আয় করুন সোস্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট থেকে

ইন্টারনেটের জগতে যোগ্যতা থাকলে যে কাজের অভাব নেই তা আমাদের সবারই কম-বেশি জানা। প্রচুর

মানুষ বর্তমান সময়ে নিজেদের যোগ্যতা ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে বিভিন্নভাবে আয়

করে যাচ্ছে। কিন্তু সমস্যায় পড়ে যাচ্ছেন তারা যাদের কোন কাজের তেমন দক্ষতা নেই কিন্তু অনলাইনে

আয় করতে ইচ্ছুক । আজকের পোষ্টে তাদের জন্য রয়েছে খুশির খবর যাদের টুইটার, ইন্সটাগ্রাম,

ইউটিউব, ভাইন ইত্যাদির মত সোস্যাল মিডিয়াতে অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা কিভাবে নিজেদের সোস্যাল

মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আয় করতে পারবেন তা আজকে আমাদের আলোচনার বিষয়। আশা করি

আপনারা শেষ পযর্ন্ত পড়বেন।

সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আয় করবেন যেভাবে :

আমরা যে ওয়েবসাইটটি নিয়ে কথা বলছি তার নাম ফেমবিট। আপনি আপনার টুইটার, ইন্সটাগ্রাম,

ইউটিউব, ভাইন ইত্যাদি সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টকে কাজে লাগিয়ে খুব সহজেই ফেমবিটের

মাধ্যমে সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আয় করতে পারবেন।

ফেমবিটের পরিচয়

ফেমবিট মূলত একটি সোস্যাল মিডিয়া মনিটাইজেশন প্লাটফর্ম যা একজন ব্যবহারকারীকে তার

ইউটিউব , টুইটার, ইন্সটাগ্রাম, ভাইনের মত সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মগুলিতে কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য

য পেমেন্ট দিয়ে থাকে। আপনার যা প্রয়োজন তা হলো উপরে বর্ণিত সোস্যাল মিডিয়াগুলোতে অ্যাকাউন্ট

থাকা।ফেমবিটে আপনার পরিচয় হবে একজন ক্রিয়েটর হিসেবে আর ফেমবিট বিভিন্ন ব্র্যান্ড এবং

কোম্পানীগুলোর সামনে আপনার আমার মত ক্রিয়েটরদের যোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে কাজ করে

থাকে। বর্তমানে ফেমবিটে ৫০ হাজারেরও বেশি ক্রিয়েটরদের মাধ্যমে ১ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে

তাদের ক্লায়েন্টদের বার্তাগুলি পৌছে দিচ্ছে।

ফেমবিট যেভাবে কাজ করে থাকে:

সজভাবে বোঝাতে গেলে বলতে হয় ফেমবিট হচ্ছে একটি মধ্যবর্তী মাধ্যম যা আপনার মত ক্রিয়েটরকে

একটি ব্র্যান্ড বা কোম্পানীর সামনে তুলে ধরে। অর্থাৎ ফেমবিট ক্রিয়েটর এবং ব্র্যান্ড উভয়ের জন্যই কাজ

করে থাকে। বিভিন্ন ব্র্যান্ড বা কোম্পানীগুলো প্রতিনিয়তই তাদের পণ্য ও সেবাকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে

সবার সামনে তুলে ধরতে চায়। এ জন্য তারা ফেমবিটের দ্বারস্থ্য হয়ে থাকে। আবার আমাদের মত

যাদের সোস্যাল মিডিয়াতে ফলোয়ার রয়েছে তারা ফেমবিটে অ্যাকাউন্ট করেন যাতে আমরা সেটি

ব্যবহার করে অর্থ উপার্জন করতে পারি। ক্রিয়েটররা কোম্পানী বা ব্র্যান্ডগুলির কাজ করার পরিবর্তে

সরাসরি তাদের কাছ থেকে পেমেন্ট পেয়ে থাকেন।

ইউটিউব, টুইটরা, ইন্সটাগ্রাম ভাইনের জন্য সাইনআপ প্রক্রিয়া

এবার ফেমবিট অ্যাকাউন্ট তৈরীর কাজটি শুরু করা যাক। ফেমবিটে অ্যাকাউন্ট করা অনেক বেশি

কঠিন কাজ নয়, তাই এ সম্পর্কে খুব লম্বা একটি বর্ণনা দিয়ে আমি আপনাদের সময় নষ্ট করবো না।

আপনি যদি ইউটিউব অ্যাকাউন্টধারী হয়ে থাকেন তাহলে এখানে ক্লিক করে প্রথমে ফেমবিটের

ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। তারপর আপনার ইউটিউব অ্যাকাউন্টে ব্যবহৃত জিমেইল অ্যাকাউন্টটি

ফেমবিটের সাথে সংযুক্ত করুন।

টুইটার, ইন্সটাগ্রাম ও ভাইনের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ফেমবিটের ওয়েবসাইট ভিজিট করে সেখানে

বর্ণিত নির্দেশনা অনুসরণ করে অ্যাকাউন্টটি তৈরী করে ফেলুন। এখানে মনে রাখার মত দুইটি ব্যাপার

রয়েছে। প্রথমত, আপনার সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টটিতে যেন অবশ্যই ৫ হাজার বা তার বেশি

ফলোয়ার থাকে, আর দ্বিতীয়ত আপনি প্রতিটি সোস্যাল মিডিয়া চ্যানেলের বিপরীতে একটি মাত্র

অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারবেন।

একজন ক্রিয়েটর নির্বাচনের ক্ষেত্রে ফেমবিট যে বিষয়গুলির দিকে খেয়াল করে সেগুলো হল-

  • আপনার ইউটিউব চ্যানেল বা সোস্যাল প্রোফাইলে কতজন সাবস্ক্রাইবা এবং ফলোয়ার আছে।
  • যদি আপনি ইউটিউবার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার প্রতি ভিডিওর গড় ভিউ।
  • সর্বমোট আপনার আপলোডকৃত ভিডিওর সংখ্যা এবং আপনার চ্যানেলের মোট ভিউ।
  • আপনার ফলোয়ারদের জাতীয়তা, বর্তমান লোকেশন, বয়স, লিঙ্গ, পেশা ইত্যাদি।
  • আপনার সবচেয়ে জনপ্রিয় ভিডিও ।

ব্র্যান্ড নির্বাচন  করা:

আপনার অ্যাকাউন্টটি সঠিকভাবে সাইনআপ করা হয়ে গেলে আপনার পরবর্তী কাজটি হবে প্রচারণার

জন্য সঠিক ব্র্যান্ডটিকে বেছে নেয়া। ব্র্যান্ড নির্বাচনের ক্ষেত্রে একজন ক্রিয়েটর যে ভুলটি সবচেয়ে বেশি

করে থাকেন, তা হলো এমন একটি ব্র্যান্ডকে বেছে নেয়া যা তার পেজের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ত

না।সাধারণত ক্রিয়েটররা ব্র্যান্ডগুলো যে পেমেন্ট অফার করে থাকে তার উপর ভিত্তি করেই ক্রিয়েটররা

তাদের বেছে নয়। কিন্তু এটি করলে আপনি খুব বেশি দিন টিকে থাকতে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই

এমন একটি ব্র্যান্ডকে বেছে নিতে হবে যাদের পণ্য ও সেবা আপনার পেজের বিষয়ের সাথে সম্পৃক্ততা

রাখে। এছাড়া আপনি যে ব্র্যান্ডটির হয়ে কাজ করবেন সেটি অবশ্যই ভালো এবং স্বনামধন্য হতে হবে।

ফেমবিটে এর পেমেন্ট প্রক্রিয়া:

ফেমবিট বর্তমানে গুগলের অধীন হয়ে কাজ করছে। আর আমরা সবাই এটি খুব ভালো করে জানি যে

পেমেন্ট দেওয়ার ব্যাপারে গুগল সব সময় অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে। আপনি অ্যাডমিন প্যানেলে

গিয়ে আপনার পেমেন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পূরণ করে রাখুন। আপনার অ্যাকাউন্টে ১০০ ডলার হলেই

গুগল আপনাকে চেক অথবা পেপালের মাধ্যমে পেমেন্ট দেবে।

অনলাইনে আয়ের যে সব অসংখ্য উপায় আছে, সোস্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে আয় তার মধ্যে

একটি। আমরা অনেকেই অনলাইন থেকে আয় করতে আগ্রহী কিন্তু যথাযথ দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা না

থাকায় অনেক ক্ষেত্রেই আমরা হতাশায় ভুগি। তাদের জন্য আমি বলবো আপনারা হতাশ হবেন না।

কারণ অনলাইনে আয়ের জন্য কয়েক হাজার পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে যে কোন একটিতে আপনি অবশ্যই

আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন।

Leave a Comment