বর্তমান বিশ্বে আউটসোর্সিং কাজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। আউটসোর্সিং মানে হচ্ছে নিজের
ব্যবসার কাজ অন্য কোন ব্যক্তি বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে করিয়ে নেয়া। এটি নতুন কিছু নয়, ১৯৯০
শতকের শুরু থেকে এটি হয়ে আসছে, কিন্তু এর পরিমান ২০০০ এর পর বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যায়।
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়েছে। লাখ লাখ বেকার লোকের কর্মসংস্থানের
মাধ্যম হিসেবে ইতি মধ্যে বাংলাদেশের শিক্ষিত যুবকদের একটি বিরাট অংশ আউটসোর্সিং এর দিকে ঝুকে
পড়েছে। কেউ বা আউটসোর্সিং কে কাজের ফাকে ফাকে বাড়তি উপার্জন হিসেবে নিচ্ছে আবার কেউ বা
পেশা হিসেবেই আউটসোর্সিং কে গ্রহণ করছে।
পড়ুন: এফিলিয়েট মার্কেটিং সর্ম্পকে বিশদ আলোচনা
আউটসোর্সিং কে আপনি কি হিসেবে নিতে চাইছেন, পেশা নাকি বাড়তি আয়? আপাতত ধরে নিচ্ছি,
বাড়তি আয় হিসেবেই বেছে নিচ্ছেন। তো চলুন জেনে নেয়া যাক, আউটসোর্সিং এর কাজ শুরু করবেন
যেভাবে এবং যাবতীয় সকল তথ্য।
আউটসোর্সিং কি:
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে স্বাধীন বা মুক্ত পেশা। অর্থাৎ স্বাধীন বা মুক্ত ভাবে বা কোন প্রতিষ্ঠানের
বা কোন কোম্পানির কাজের চাপ ছাড়া স্বাধীন ভাবে অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ করে আয় করার নাম
হচ্ছে আউটসোর্সিং।
আরো সহজ ভাবে বললে, যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কোন প্রতিষ্ঠানের কাজ ফ্রিল্যান্সার দের দ্বারা কাজ
করিয়ে নেয়ার নাম হচ্ছে আউটসোর্সিং। আর যারা এই আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকে তাদের কে বলা
হয় ফ্রিল্যান্সার।
পড়ুন: ফ্রিল্যান্সিং করতে চান ? যে বিষয় গুলো জেনে রাখা জরুরি।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যখন তাদের নিজেদের অনেক কাজ যেমন ওয়েবসাইট উন্নয়ন,
রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন, বিল প্রস্তুতকরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য যোগ করা, সফটওয়্যার তৈরি ইত্যাদি
কাজ অন্য কোনো একটি প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিগোষ্ঠী দ্বারা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে সম্পন্ন করিয়ে নেয় তখন
তাকে আউটসোর্সিং বলে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে বলতে হয় যে, আউটসোর্সিং হলো ইন্টারনেট সেবা
কাজে লাগিয়ে বাসায় বসে অন্যের কাজ করে দেওয়া কিংবা নিজের প্রোডাক্টগুলো ঘরে বসেই বিক্রি করে
দেওয়া।
আরো পড়ুন: অনলাইনে আয় করুন ৩ টি সহজ উপায়ে
মূলতঃ আউটসোর্সিং কথাটির অর্থ ব্যাপক। তারপরও একটু ছোট্ট করে বুঝিয়ে বলছি। বর্তমানে আপনি
ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে একজন আমেরিকান ব্যাক্তির অফিসের কিছু কাজ করে দিতে পারেন।
কাজের বিনিময়ে আমেরিকান ব্যাক্তিটি আপনাকে কিছু অর্থ পরিশোধ করবে যেটিকে আউটসোর্স ইনকাম
বলে ।
আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যেসব কাজ করা হয় তা সংক্ষিপ্তভাবে নিচে উল্লেখ করা হলো—
ওয়েবসাইট উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষণ, মাসিক বেতন-ভাতার বিল প্রস্তুতকরণ, ওয়েবসাইটে তথ্য যোগ করা,
সফটওয়্যার তৈরি, বিভিন্ন কাজের জন্য ডিজাইন তৈরী, লোগো ডিজাইন, আর্টিকেল লেখা, অনুবাদ, ডাটা
এন্ট্রি ইত্যাদি কাজ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে করা হয়।
আউটসোর্সিং করতে হলে যে বিষয় জানতে হবে:
আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে কিভাবে আয় করবো এ নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন থাকে। অনেকেই আউটসোর্সিং
করে ইনকাম করার জন্য সঠিক গাইডলাইন পান না ফলে আউটসোর্সিং নিয়ে অনেকের কৌতুহল
থাকলেও, আউটসোর্সিং করে কিভাবে ইনকাম করতে হয় তা অজানাই থেকে যায়। এই অজানা থেকে
বের হয়ে আউটসোর্সিং করে ইনকাম করতে চাইলে:
আরো জানুন: পড়াশোনা কালিন করতে পারেন যে ৫টি চাকুরি
১.আপনাকে যেকোন এক বা একাধিক বিষয়ে কাজ জানতে হবে।
২.নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে কাজের আবেদন করতে হবে।
৩.আবেদনে সাড়া পেলে যথাসময়ে কাজ সম্পন্ন করে দিতে হবে।
৪.কাজ সম্পন্ন করলেই কেবল আপনি আপনার কাজের বিনিময়ে অর্থ পাবেন। আউটসোর্সিং করে আয়
করার এই তিনটি ধাপ অবশ্যই আপনাকে মানতে হবে। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, শুধু কাজ
জানলেই হবে না সেইসাথে আবেদন প্রক্রিয়াসহ আনুষঙ্গিক ব্যপারগুলোও খুটিনাটি জানতে হবে।
আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবেন :
আউটসোর্সিং কিভাবে শিখবেন এটি প্রায় সবার কাছে প্রশ্ন। এর উত্তর টা সহজ, আউটসোর্সিং শেখার
তিনটি উপায় আছে। আপনি তিনটি উপায়ের যেকোন একটি উপায় অবলম্বন করে আউটসোর্সিং এর
কাজ শিখতে পারেন। তিনটি উপায় হলো:
১.কোন প্রতিষ্ঠানে আউটসোর্সিং কোর্স সম্পন্ন করা
২.ব্যাক্তিগতভাবে কারও কাছে আউটসোর্সিং কাজ শেখা
৩.ইউটিউব ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে শেখা
প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির কাছে আউটসোর্সিং কাজ শেখার পুর্বে অবশ্যই প্রতিষ্ঠান বা ব্যাক্তির সম্পর্কে জেনে
নিবেন। অনেক ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান আছে যারা, কাজের চেয়ে চাপা বেশি ছুড়ে। এদের কে পরিহার করতে
হবে।
আরো জানুন:-
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
আউটসোর্সিং কি কি কোর্স আছে :
আউটসোর্সিং এর জন্য বিভিন্ন কোর্স আছে। আপনি চাইলে যেকোন কোর্স সম্পন্ন করে আউটসোর্সিং শুরু
করে দিতে পারেন।
কোর্সগুলো হলো:
- এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)
- ওয়েব ডিজাইন
- অটোক্যাড
- গ্রাফিক্স ডিজাইন
- ডিজিটাল মার্কেটিং
- এনিমেশন ডিজাইন
- ডাটা টাইপিং ইত্যাদি।
বাংলাদেশ থেকে মোটামুটি এসব আউটসোর্সিং এর কাজ ই করা হয়। তাছাড়া আপনি চাইলে ব্লগিং করেও
অর্থ উপার্জন করতে পারেন যদি আপনার লেখালেখির অভিজ্ঞতা থাকে। এর মাধ্যমেও আপনি আয়
করতে পারেন।
আউটসোর্সিং এর জন্য কোন কোর্সটি ভালো মনে হয়:
এক কথায় হলে আমি বলবো, সকল কোর্সই ভালো। আপনি যেকোন একটি কোর্স যদি ভালো করে আয়ত্ত্ব
করতে পারেন এবং তা যদি আপনি ভালোভাবে ডেভেলপ করতে পারেন তবে প্রত্যেক কোর্স থেকেই
ভালো কিছু করতে পারবেন। তবে তুলনামূলকভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা অনেক বেশি থাকে এবং
এই কোর্স থেকে ভালো পরিমাণ টাকাও আয় করা যায়।
আউটসোর্সিং কাজের নিয়োগ আছে কিনা:
আউটসোর্সিং কাজ শেখার পর কোন প্রতিষ্ঠান চাকরির জন্য নিয়োগ দেয় কিনা তা প্রায় অনেকেই
জানতে চান। তাদের জন্য একটি ভালো খবর যে, বর্তমান সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নানা ধরনের
কাজ অনলাইনে করিয়ে নেওয়ার জন্য আউটসোর্সিং নিয়োগ দিয়ে থাকে। অর্থাৎ এসকল প্রতিষ্ঠান একটি
নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে ফ্রীল্যান্সারদের কাজ দিয়ে থাকে। ফ্রীল্যান্সাররা সেসব প্রতিষ্ঠানের কাজ ঘরে
বসেই করে দেয়। আউটসোর্সিং অনলাইনের বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে করতে হয়। তাই অনলাইনে বিভিন্ন
নামে মার্কেট প্লেস রয়েছে। যেমন freelencer.com, upwork.com,
99designs.com ইত্যাদি। এই প্রতিষ্ঠান বা সাইট গুলো তে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি তাদের
প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন কাজ এই সব মার্কেট প্লেসে দিয়ে কাজ করিয়ে নেয়।
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
আউটসোর্সিং কাজের জন্য কিছু গুরুত্বর্পূণ ওয়েবসাইট:
আউটসোর্সিং কাজ করার বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে। এসব ওয়েবসাইটে প্রতিদিন হাজার হাজার
ফ্রীল্যান্সাররা কাজ করতে আসেন। আবার যারা প্রতিষ্ঠানের মালিক তারাও ফ্রীল্যান্সারদের খুজতে এসব
ওয়েবসাইটে আসেন। বর্তমান বিশ্বে আউটসোর্সিং এর কাজের জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইটগুলো হলো:
আরও বহুসংখ্যক ওয়েবসাইট আছে যেখানে আপনি আউটসোর্সিং এর কাজ করতে পারবেন তবে অবশ্যই
মনে রাখতে হবে, সকল ওয়েবসাইট পেমেন্টের গ্যারান্টি দেয় না। যেসকল ওয়েবসাইট অত্যন্ত
নির্ভরযোগ্য সেগুলোই উপরে দেওয়া আছে। এখানের যেকোন একটিতে কাজ করে আয় করতে পারেন।
১. গুরু ডটকম:
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটের তালিকা করলে প্রথমেই গুরু
ডটকমের নাম আসতে বাধ্য। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাড়ে তিনলক্ষাধিক ফ্রিল্যান্সার কাজ করছে এই
অনলাইনভিত্তিক আউটসোর্সিং প্রতিষ্ঠানের হয়ে। ১৯৯৮ সালে আমেরিকার পেনসিলভানিয়ায় প্রতিষ্ঠিত
এই আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং, প্রোগ্রামিং, ওয়েব ডেভলাপমেন্ট, লেখালেখি, সবই
করা যায়।
২. আপওয়ার্ক ডটকম:
কোনো প্রতিষ্ঠানের জন্য ফ্রিল্যান্সার ভাড়া করার সেরা ওয়েবসাইট হচ্ছে আপওয়ার্ক । বাস্তব জীবনে
ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে যেভাবে চাকরি দেয়া হয়, অনলাইনে সেভাবে সম্ভব হয় না। ফলে অনেক সময়ই
অযোগ্য প্রার্থীকে কাজ দেয়া হয়। আপওয়ার্কয়ে সেটা শূন্যের কাছাকাছি। প্রত্যেক ফ্রিল্যান্সারের
নাড়িনক্ষত্র উল্লেখ থাকে তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাদির ঘরে। আউটসোর্সিং এর জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে
জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস হল Upwork।এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করতে কোন প্রকার ফি দিতে হয় না।
যদিও বর্তমানে এই মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করা কঠিন হয়ে পরেছে।
আরো জানুন:- ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে যা জানতে হবে জেনে রাখুন
তবে আপনি যদি ভালো ভাবে আপনার কাজের অভিজ্ঞতার সকল তথ্য ও প্রমান দেখাতে পারেন তাহলে
একাউন্টের আনুমোদন পাওয়ার সম্ভবনা আছে।
এখানে আইটি সম্পর্কিত প্রায় সব রকম কাজ রয়েছে যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং,
প্রোগ্রামিং, ভিডিও প্রোডাকশন ,মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, রিসার্চ এর কাজ, অটো কেড এর কাজ ইত্যাদি।
৩. ফাইভার ডটকম:
আউটসোর্সিংয়ে নতুনদের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক ওয়েবসাইট হতে পারে ফাইভার। কিছুকাল আগেও
সবচেয়ে জনপ্রিয় আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটের তালিকায় আরো নিচের দিকেই ছিল এই ওয়েবসাইটটি।
কিন্তু সহজলভ্যতা এবং অনায়াসে কাজ করার সুবিধার জন্য এই ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা দ্রুত বৃদ্ধি
পাচ্ছে। আর এই ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তার মূল কারণ লুকিয়ে আছে এর নামের মধ্যেই। মাত্র ৫ ডলার
পারিশ্রমিকের ছোট ছোট প্রোজেক্টে কাজ করতে পারা যায় এই ওয়েবসাইটে। এবং অভিজ্ঞ হবার সাথে
সাথে কাজের মাত্রাও বৃদ্ধি পায় ৫ ডলার বেতন বৃদ্ধির অনুপাতে। অন্যান্য ওয়েবসাইটের মতো ফাইভারে
আরো জানুন: Fiverr কাজ করার কিছু বেসিক নিয়ম-কানুন জেনে নিন।
প্রথমেই কোনো একটি প্রোজেক্ট জমা দিতে হয় না। বরং শুরুতে কেবল নিজের যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং
কী কাজ করতে চান সে বিষয়গুলো উল্লেখ করলেই চলবে। ফাইভার সেগুলো যাচাই বাছাই করে
আপনার কাজের কিছু প্রস্তাব পেশ করবে। সেগুলো আপনার পছন্দ হলে আপনি তখন নিজের প্রোজেক্ট
সম্পর্কে ফাইভারকে জানাতে পারবেন এবং শুরু করতে পারবেন আপনার মূল কাজ।
এই মার্কেটপ্লেসে সকল ধরনের কাজ এর গিগ খোলা যায় যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন,
PowerPoint Presentation, ডিজিটাল মার্কেটিং(এসইও, এসএমএম, ইমেইল মার্কেটিং), ল্যান্ডিং
পেজ তৈরি, ডাটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
৪.ফিল্যান্সার ডটকম:
ফিল্যান্সার ডটকম বেশি মূল্যের কাজের বড় একটি মার্কেটপ্লেস। কাজের জন্য ক্লায়েন্টরা এখানে পোস্ট
করে থাকে। সেখান থেকে ফিল্যান্সারদের কাজের জন্য বিড করতে হয়।
এটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ২০০৯ সালে।অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে পুরাতন একটি মার্কেটপ্লেসের নাম
হল Freelancer। এই মার্কেট প্লেসে বিভিন্ন ধরণের অনেক জব রয়েছে। আপনি আইটির প্রায় সকল
সেক্টরের জব পাবেন এই মার্কেটপ্লেসে। এবং সাথে সাথে আইটি এর বাইরেও জব পাওয়া যায়।
৫. এলেন্স সাইট:
আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে সমৃদ্ধ ওয়েবসাইটের নাম এলেন্স। এখানে
আপনি খুঁজে পাবেন এক ঝাঁক অভিজ্ঞ ডিজাইনার, প্রোগ্রামার আর লেখক, যারা আপনার যেকোনো
ধরনের অনলাইন ভিত্তিক কাজ করে দিতে সক্ষম। কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাজ আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে
করিয়ে নিতে যদি অভিজ্ঞতাই হয় আপনার প্রধান চাহিদা, তাহলে এলেন্সে ঢুঁ মারাটাই হবে বুদ্ধিমানের
আরো জানুন:-
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
কাজ। কাজের চাহিদা অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার পেতে এলেন্সে গিয়ে প্রথমেই কাজের বর্ণনা, আকাঙ্ক্ষিত প্রার্থীর
যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং পারিশ্রমিকের যাবতীয় তথ্য প্রদান করতে হবে। বাকি কাজটা বেশ দক্ষতার
সাথেই সম্পাদন করবে এলেন্স। নির্ধারিত সময়ে প্রতিটি কাজের নির্ধারিত অংশ সম্পন্ন করেই অর্থপ্রাপ্তি
হয় বলে বসে থাকার উপায় নেই। তাছাড়া এ পদ্ধতিটি ফ্রিল্যান্সারদেরও ব্যক্তিগতভাবে লাভবান করে।
এককালীন পারিশ্রমিক প্রাপ্তির চেয়ে অল্প অল্প করে পেলে তারা নিজেদের ব্যক্তিগত খরচেও অনেক
মিতব্যয়ী হতে পারেন।
৬. পিপল পার আওয়ার ডট কম:
পিপলস পার আওয়ার অন্য ওয়েবসাইটগুলোর তুলনায় সবচেয়ে সহজে ব্যবহার করা যাবে লন্ডনভিত্তিক
এই ওয়েবসাইটটি। ফাইভারের মতো এখানেও কাজ শুরুর জন্য প্রাথমিকভাবে কেবল নিজের কাজের
ক্ষেত্র ও পারিশ্রমিক উল্লেখ করলেই হয়। আবার খদ্দেরগণও নিজেদের কাজের বিবরণ এবং পারিশ্রমিক
উল্লেখ করে ফ্রিল্যান্সার নিয়োগ করার জন্য আবেদন করতে পারেন। পরবর্তী ধাপটা সহজ। কাজের
বিবরণ দেখে ফ্রিল্যান্সারগন খদ্দেরের নিকট নিজেদের কাজের পরিকল্পনা পেশ করেন।
পড়ুন: গুগল থেকে আয় করার সেরা ৩টি উপায়।
Google Ad Sense পেতে আপনার করনীয় কাজ ।
People Per Hour এ্যাকাউন্ট খুলুন আর ঘরে বসে আয় করুন।
এ বিষয়টি উভয়পক্ষের জন্যই সুবিধাজনক। একদিকে ফ্রিল্যান্সাররা সিভি জমা দেয়ার মতো করে
একাধিক কাজের জন্য আবেদন করে রাখতে পারেন। এতে করে একটি কাজ পাওয়া মোটামুটি নিশ্চিত
হয়ে যায়। অন্যদিকে খদ্দেরগণ একাধিক আবেদন ঘেঁটে নিজের চাহিদা অনুযায়ী একজন দক্ষ ফ্রিল্যান্সার
বেছে নিতে পারেন। পিপলপারআওয়ারের আরেকটি বিশেষত্ব হলো এর সেবাদানের বৈচিত্র্য। অধিকাংশ
প্রতিষ্ঠিত আউটসোর্সিং ওয়েবসাইটগুলোই ছোটখাটো অনেক কাজ, যেগুলোর চাহিদা কম, সে সেবাগুলো
প্রদান করে না। কিন্তু পিপলপারআওয়ারে পাওয়া যাবে না, এমন সেবা নেই বললেই চলে। হাজারে একজন
খদ্দেরের আগ্রহ আছে, এরকম সেবাও এই ওয়েবসাইটে পাওয়া সম্ভব। আর এ কারণে এই ওয়েবসাইটের
জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।
৭. সল্যুশনইন ডটকম:
আউটসোর্সিং এর প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সাম্প্রতিক সময়ে নতুন করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে
সল্যুশনইন ডটকম। অন্যান্য প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইটের চেয়ে তুলনামূলকভাবে নতুন হওয়ায় এই
ওয়েবসাইট সবকিছুতেই অন্যদের তুলনায় অতিরিক্ত সুবিধা প্রদান করার চেষ্টা করে। তবে এর প্রধান
বিশেষত্ব, যা একে অন্যদের চেয়ে আলাদা করেছে, তা হলো নতুনদের সুযোগ দেয়া। শিক্ষার্থী কিংবা সদ্য
শিক্ষাজীবন শেষ করা চাকরিপ্রার্থী তরুণদের জন্য সল্যুশনইনই সবচেয়ে বড় সমাধান।
৮.99 Design :
৯৯ ডিজাইন অন্যান্য মার্কেটপ্লেস থেকে ভিন্ন একটি মার্কেটপ্লেস। এটি মুলত ডিজাইনারদের জন্য একটি
জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস। যারা ডিজাইন করতে পারে যেমনঃ ওয়েব ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, ফেসবুক
কভার ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস থিম ডিজাইন ইত্যাদি তাদের জন্য এই মার্কেটপ্লেস।
এছাড়াও এ সাইটে YouTube চ্যানেল ডিজাইন করা হয় এ ইত্যাদি।
মোবাইলে আউটসোর্সিং:
একজন মোবাইল ফোন ব্যাবহারকারী তার ডিভাইস দিয়ে আউটসোর্সিং কাজ করতে পারবেন। তবে
মোবাইল ফোন ব্যাবহারকারী গ্রাফিক্স ডিজাইন কিংবা ওয়েব ডিজাইনের মত কাজগুলো করতে পারবেন
না। মোবাইল ডিভাইস দিয়ে ছোটখাটো আউটসোর্সিং এর কাজ যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মত কাজগুলো করা যায়। তবে একজন সফল ফ্রীল্যান্সার হতে চাইলে আপনার
অবশ্যই একটি কম্পিউটার থাকতে হবে। কিছু বিনিয়োগ (কম্পিউটার ক্রয়) যদি না থাকে তবে কিভাবে
লাভের আশা করবেন বলেন? সুতরাং আউটসোর্সিং এর কাজ করতে চাইলে একটি কম্পিউটার কিনে
ফেলুন অথবা বন্ধু বা আত্মীয়ের কম্পিউটার নিয়ে আপাতত শুরু করুন।
আউটসোর্সিং বিষয়ে নতুনদের যে ৮ দক্ষতা থাকতেই হবে:
ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং করে টাকা ইনকাম করতে চাইলে কি কি দক্ষতা থাকা দরকার ,তা জানা খুবই
জরুরী। আউটসোর্সিং এর কাজগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরির হয়ে থাকে। যেমন- ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব
ডেভেলপমেন্ট, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট, ডাটা এন্ট্রি, নেটওয়ার্কিং এর
কাজ, ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়া, সেলস এন্ড মার্কেটিং, পার্সোনাল হেল্প, আর্টিকেল লেখা ও অনুবাদ
ইত্যাদি। এ কাজগুলোর যে কোন একটি বা একাধিক সেক্টরে আপনি নিজেকে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে
পারেন।
তাহলে চলুন জেনে নিই এই ধরনের কাজগুলো করতে হলে আপনাকে কি কি জানতে হবে-
আরো জানুন:- ২০টি বিজনেস আইডিয়া, শুরু করুন যে কোনটি।
২. SEO অথবা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনঃ
যারা ফ্রীল্যান্সিং এর জগতে আছেন কিন্তু এসইও এর নাম শোনেন নি এমন লোক পাওয়া দুর্লভ। কারন
এসইও হচ্ছে খুবই কমন একটি কাজ। আপনার বানানো ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন যেমন- গুগল,
ইয়াহু, বিং ইত্যাদিতে প্রমোট করার মাধ্যমে তাদের সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসাকেই সহজ কথায় এসইও
বলা হয়। নতুনদের জন্য ফ্রীল্যান্সিং শুরু করার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে এসইও। সময়ের সাথে তাল
মিলিয়ে বেড়েই চলেছে এসইও এর কাজের সংখ্যা।
আরো পড়ুন:-সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যম সমূহ আলোচনা করো? পর্ব-২
১. ওয়েবডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্টঃ
এটি হচ্ছে ওয়েবসাইট তৈরি করে দেয়ার কাজ। আপনাকে আপনার ক্লাইন্ট কে তার প্রতিষ্ঠানের জন্য বা
কোন সার্ভিস এর জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করে দিতে হবে। এর জন্য আপনাকে ওয়েব প্রোগ্রামিং যেমন-
HTML, CSS জানতে হবে। ইচটিএমএল এর লেটেস্ট ভার্শন এইচটিএমএল ৫ জানা থাকলে আরও ভাল।
এর পাশাপাশি আপনাকে পিএইচপি, অল্প মাত্রায় জাভা জানা থাকতে হবে। তাছাড়াও ওয়ার্ডরপ্রেস, জুমলা
ইত্যাদি শিখতে পারেন।
আরো পড়ুন:-ডোমেইন কিনবেন যেভাবে তার গাইড লাইন
৪. ডিজাইন এন্ড মাল্টিমিডিয়াঃ
এর মধ্যে আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন, লোগো ডিজাইন, বিজনেস কার্ড ডিজাইন, বিভিন্ন এনিমেশন তৈরি,
অডিও ভিডিও এডিট এবং তৈরি, প্রেজেন্টেশন তৈরি করা, প্রিন্ট ডিজাইন ইত্যাদি। ভালভাবে কাজ শিখে
দক্ষতার পরিচয় রাখতে পারলে এই সেক্টর থেকেও আপনি সম্মানজনক অর্থ আয় করতে পারবেন।
৩. সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এর কাজ:
অনলাইন জগতের একটি বড় অংশ হচ্ছে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট। এই সেক্টরে আমাদের জন্য রয়েছে
ব্যাপক সম্ভাবনা। তবে এর কাজ শেখাটা অন্যান্য কাজের তুলনায় একটি জটিল। এর মধ্যে রয়েছে-
ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশন তৈরি, গেম তরি, বিভিন্ন প্লাগ ইন তৈরি, মোবাইল অ্যাপ তৈরি, সফটওয়্যার প্রজেক্ট
ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। একটি কষ্ট করে কাজ শিখতে পারলে আপনিও এই সেক্টরে কাজ করতে পারেন।
আরো পড়ুন:- নেমচিপ কোম্পানির সেরা সব হোস্টিং প্যাকের দাম সর্ম্পকে আলোচনা
৬. রাইটিং এন্ড ট্রান্সলেশন এর কাজ:
এই বিষয়ে কাজ করতে গেলে আপনাকে ইংরেজীতে বেশ দক্ষ হতে হবে। ইংরেজিতে দক্ষ হলে আপনি
আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারবেন। আর যদি আপনি বিভিন্ন দেশের ভাষা জেনে থাকেন তাহলে
ট্রান্সলেশনের কাজও করতে পারেন। তবে শুধু কাজ করার জন্য আবার বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখতে
যাবেন না।
৫. সেলস এন্ড মার্কেটিং কাজঃ
এটি একটি অনেক বড় সেক্টর। এর মধ্যে রয়েছে এসইও, বিজ্ঞাপন, ইমেইল-মার্কেটিং, এসএমএম বা
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, এসইএম বা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং, মার্কেট রিসার্চ এন্ড এ্যনালাইসিস, সেলস
জেনারেশন, বিজনেস প্ল্যানিং ইত্যাদি। এই ধরনের কাজের জন্য প্রথমে আপনাকে দক্ষ হতে হবে।এই
ধরনের পেশায় আপনি বেশ ভাল পরিমান অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
আরো পড়ুন:-প্রতিটি ব্যাবসা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন ওয়েবসাইট ।
৭. অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সাপোর্ট এর কাজ:
এখানে বিভিন্ন ধরনের ডাটা এন্ট্রি এর কাজ, পার্সোনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ওয়েব রিসার্চ, ইমেইল হ্যান্ডলিং
ইত্যাদি। কম্পিউটারের উপর ভাল দক্ষতা থাকলে আপনি এই কাজ করতে পারেন।কোন রকম ঝামেলা
ছাড়াই।
৮. বিজনেজ সার্ভিসঃ
এছাড়াও এই সকল মার্কেটপ্লেসে অ্যাকাউন্টিং, বিজনেস প্লানিং, বিজনেস কন্সাল্টেশন এর কিছু কাজ
পাওয়া যায়। ভাল মার্কেট অ্যানালাইজার হতে পারলে আপনিও এই কাজ করতে পারবেন। এই গুলোই
মূলত অনলাইন মার্কেট গুলোর সবচেয়ে কমন কাজ। আপনি যদি ভালভাবে কাজ শিখতে পারেন তাহলে
আপনিও বেশ ভাল মানের কাজ করতে পারবেন।
আরো পড়ুন:-আমি খুশি নিজের প্রথম ওয়েবসাইট টি হাতে পেয়ে ।
আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশ:
আউটসোর্সিং এ বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রচুর। বিশ্বে আউটসোর্সিং এর শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে
বাংলাদেশের অবস্থান উপরের দিকে। প্রতি বছর হাজার হাজার বেকার তরুণ তরুণী আউটসোর্সিং করে
তাদের বেকারত্ব দূর করছে। এতে যেমন একদিকে বাংলাদেশের বেকারত্ব দূর হচ্ছে তেমনি দেশের একটি
বিশাল অংশ বাংলাদেশের রেমিট্যান্স বা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে। আগে বৈদেশিক মুদ্রা
আরো পড়ুন:-
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
অর্জনে প্রবাসীদের ভূমিকা মুখ্য ছিল এখন সেটি অনেকটাই কমে এসেছে। অন্যান্য দেশে আউটসোর্সিং এর
উপর ভ্যাট বা কর আরোপ করা হলেও বাংলাদেশে সেটি করা হয়নি ফলে একজন ফ্রীল্যান্সার (যিনি
আউটসোর্সিং এর কাজ করেন) সহজেই বিনা ভ্যাটে আউটসোর্সিং করতে পারেন। তবে বাংলাদেশ থেকে
প্রধান যে সমস্যাটি পরিলক্ষিত হয় সেটি হলো, বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা না থাকায় একজন ফ্রীল্যান্সার
পেমেন্ট পেতে গিয়ে ভোগান্তি পোহান। তবে আগের তুলনায় ব্যাংকিং পদ্ধতি উন্নত হওয়ায়, ব্যাংকের
মাধ্যমেই এখন ফ্রীল্যান্সাররা পেমেন্ট পেয়ে থাকেন।
আউটসোর্সিং এর আসল উদ্দেশ্য:
আউটসোর্সিং এর আসল উদ্দেশ্য ব্যবসার কাজে যেখানে যেখানে সম্ভব, সেখানেই টাকা ও সময় সাশ্রয়
করা। এই নীতি অনুসরণ করে যেসব কাজ আউটসোর্স করা যায়, সেইসব কাজগুলো হলঃ
- অ্যাকাউন্টিং এবং বুককিপিং
- সেলস এবং মার্কেটিং
- কপিরাইটিং
- ডিজাইন ও ম্যানুফ্যাকচারিং
- অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ব্যাক অফিস অ্যাসিস্টেন্স
- কাস্টমার সার্ভিস
- ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট
- ওয়েবসাইট মেইনটেইনেন্স
- গ্রাফিক ডিজাইন
- এবং আরও অনেক কিছু
অনেক ক্ষেত্রে এমন কিছু ফ্রিল্যান্সার বা কোম্পানি খুঁজে পাওয়া যায় যারা বিশেষ একটি কাজে পারদর্শী,
যেমন ওয়েব ডেভেলাপমেন্ট। অন্যান্য সময়, দেখা যায় যে বা তারা অনেক রকম কাজে একসাথে
পারদর্শী, যেমন গ্রাফিক ও ওয়েব ডিজাইন অথবা কোডিং ও ডেভেলাপমেন্ট।
আরো পড়ুন:-ব্যাকরণগত প্রিমিয়াম পর্যালোচনা ২019
আউটসোর্সিং এর ৭টি সুবিধা:
আউটসোর্সিং দিয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের বিজনেসের যে সুবিধা হয় সেগুলা আলোচনা করা হলো
১। আউটসোর্সিং সস্তা:
দেশে বিদেশে যেখানেই আপনি কাজ আউটসোর্স করেন না কেন, পাকা ভাবে কাউকে চাকুরিতে রেখে
কাজ করানোর চেয়ে সেটা অনেক সস্তায় করানো যাবে। যে কয়দিন কাজ করা লাগবে সেই কয়দিনের
জন্য কাউকে কাজটি আউটসোর্সিং করে করিয়ে নিলে খরচ কমে আসে। আর গরিব কোন দেশ থেকে
মানুষকে কম টাকায় খাটিয়ে নিলে অনেক টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।
২। ব্যবসার প্রসেস করে নেয়া:
সব ব্যবসায়ীর একটি বিজনেস ডকুমেন্ট দরকার হলেও ছোট মাত্রার ব্যবসায়ীরা এটা করার সময় করে
উঠতে পারেন না। কিন্তু আউটসোর্সিং করা শুরু করলে সব কাজের ডকুমেন্টেশন মেইনটেইন শুরু করা
লাগে, তাই এটি আলাদা করে করা লাগে না।
আরো পড়ুন:-ব্যাকরণগত কি? সে সর্ম্পকে আলোচনা ।
৩। বৃহত্তর ট্যালেন্ট পুল:
পৃথিবীর যে কোন যায়গা থেকে আপনি ট্যালেন্ট খুঁজে পাবেন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার কাজের জন্য
বেষ্ট ক্যান্ডিডেট আপনি নিয়োগ দিতে পারবেন। এখন কেউ লোকাল চাকুরিতে সীমাবদ্ধ নেই।
ব্যবসায়ীরা পৃথিবীর অপর প্রান্তে থাকা কাউকেও নিয়োগ দিতে পারেন। নিজের দেশের বাইরে কাউকে
আউটসোর্স করে কাজ দেয়া অনেক সুবিধার। যেমন দিন রাত চব্বিশ ঘন্টার কাস্টমার সাপোর্ট এর মত
কোন কাজ অন্য টাইমজোনের মানুষকে দিয়ে করানো সহজ।
৪। দিনরাত ২৪ ঘন্টা কাস্টমার সাপোর্ট:
যদি আপনার বিজনেসের মূল কাজ কাস্টমার সাপোর্ট দেয়া হয়, তাহলে সেটা রাত দিন করতে হয়
সাধারণত। এই কাজ আউটসোর্সিং এর চেয়ে ভালো উপায়ে করার আর কোন পথ নেই। অন্য
টাইমজোনের কাউকে দিয়ে এই কাজ করালে যখন আপনি থাকবেন না, তখনও কাস্টমারকে সাপোর্ট দেয়া
সম্ভব।
আরো পড়ুন:-Google Ad Sense পেতে আপনার করনীয় কাজ ।
৫। আউটসোর্সিং এ অনেক সময় বাঁচে:
আপনি যে কাজ করতে পারেন না, সেটা অন্য কাউকে দিয়ে করালে নিজের সময় বাঁচে। নিজের সময়
বাঁচলে সে ফ্রি টাইম দিয়ে আপনি নিজের কাজে মনোনিবেশ করতে পারবেন।
৬। বিশেষ কাজে দক্ষ ট্যালেন্ট ও উন্নত সরঞ্জাম:
আপনি সবচেয়ে ভালো ফুল বিক্রেতা হতে পারেন, কিন্তু আপনি গ্রাফিক্সের কাজে দক্ষ নন। তাই গ্রাফিক
ডিজাইনের কাজ আউটসোর্স করে দেয়াই ভালো। এমন কাউকে আউটসোর্স করা উচিৎ যে এই কাজে
দক্ষ। এভাবে কাজ আরও ভালো মানে ও দক্ষ হয়।
আরো পড়ুন:-৩টি কারণে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং শেখা দরকার।
৭। আউটসোর্সিং করে বিজনেস স্কেলিং করা:
আরেকটি উপকারিতা হচ্ছে বিজনেস স্কেল করা। কর্মচারিদের দায়িত্বের বোঝা একটু কমিয়ে দিয়ে সেই
ফ্রি সময় তারা আপনার বিজনেস স্কেল করার জন্য সহায়ক কাজ করে কাটাতে পারবে। ব্যবসার সময়
ব্যবসার কাজে লাগিয়ে শেষ করে ফেললে ব্যবসা আর বাড়ানো যায় না। এই জন্য অন্যদের দিয়ে কাজ
করিয়ে নিজে ব্যবসার বড় করার কাজে আউটসোর্সিং ভাইটাল।
আউটসোর্সিং এর অসুবিধা সমূহ:
এত উপকারের সাথে সাথে আউটসোর্সিং এর অনেক অসুবিধাও আছে। এই ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ
আউটসোর্স করতে চায় না। আমরা এখন আউটসোর্সিং এর অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
১। কোয়ালিটি কন্ট্রোল এ সমস্যা:
দেশের বাইরে কাজ আউটসোর্স করে দিলে, সেটার কোয়ালিটি কন্ট্রোল করা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এই
বিপদ থেকে বাচার জন্য কাজের ডিটেইলড ডকুমেন্টেশন থাকা জরুরী। তাহলে সার্ভিস প্রসেস থেকে
বিচ্যুত হওয়া কম লাগে। কাউকে কাজ দেয়ার আগে তার রেফারেন্স ও টেস্টিমোনিয়াল চভেক করে নেয়া
দরকার। তাহলে এই বিপদ সামান্য এড়ানো যায়।
২। কিছু কন্ট্রোল ছেড়ে দিতে হয়:
অনেকে নিজের বিজনেসের পুরো কন্ট্রোল নিজের হাতে রাখতে পছন্দ করেন। আউটসোর্স করলে সেটা
সম্ভব না। আবার খরচ স্কেলিং করতে চাইলে এটা খরচ কমানোর জন্য খুবই খারাপ একটি উপায়।
আপনার একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি না থাকলে নিজের ব্যবসার সকল কাজ সামলানো সম্ভব না। কিন্তু
অন্যদের সাহায্যে সেগুলো করতে গেলে যথেষ্ট টাকাও খরচ হয়।
আরো পড়ুন:-ইউটিউব থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন ? এবং সেই টাকা কিভাবে উঠাবেন?
৩। আউটসোর্সিং এর সিকিউরিটি রিস্ক:
অন্য কম্পানিকে দিয়ে সেন্সেটিভ কাজ করানো অনেক রিস্কি ব্যাপার। এই কাজ করার আগে NDA সাইন
করে নেয়া দরকার। নাহলে তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয় থাকে। বা এমন কোন সেন্সেটিভ কাজ বাইরে কাউকে
না দেয়াই ভালো। রেগুলার বেসিসে কাজ আউটসোর্স করলে, যাকে কাজ দিচ্ছেন তার ব্যাকগ্রাউন্ড চেক
করে নেয়া ভালো।
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
অর্থ উত্তোলনের উপায়সমূহ:
কাজ সম্পন্ন হবার পর আপনার পাওনা টাকা ফ্রিল্যান্সিং সাইটে [upwork.com, freelancer.com
peopleperhour.com, guru.com, 99designs.com, graphicriver.net,
themeforest.net] আপনার একাউন্টে জমা থাকে। মাসের শেষে বা মাসের মাঝামাঝি বা যেকোন
সময়ে আপনি সর্বমোট টাকা বিভিন্ন উপায়ে দেশে নিয়ে আসতে পারেন। এখানে টাকা উত্তোলনের
কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
১) পেওনার ডেবিট মাস্টারকার্ড (Payoneer Debit Card)
সবচাইতে দ্রুত পদ্ধতি হচ্ছে Payoneer Debit Card । সম্প্রতি প্রায় সকল ফ্রিল্যান্সিং সাইটগুলো এই
MasterCard সার্ভিসটি চালু করেছে। এই পদ্ধতিতে মাস শেষে আপনি টাকা খুবই দ্রুত পৃথিবীর
যেকোন স্থান থেকে ATM এর মাধ্যমে উত্তোলন করতে পারেন। এজন্য এককালীন খরচ পড়বে ২৯
ডলার আর মাসিক খরচ পড়বে ৩ ডলারের মত। ATM থেকে প্রতিবার টাকা উত্তোলনের জন্য খরচ
পড়বে ২ থেকে ৩ ডলার। এজন্য প্রথমে ফ্রিল্যান্সিং ওই সাইটের মাধ্যমে Payoneer সাইটে একটি
একাউন্ট করতে হবে।
আরো পড়ুন:- ২০টি বিজনেস আইডিয়া, শুরু করুন যে কোনটি।
তারপর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আপনার ঠিকানায় একটি MasterCard পৌছে যাবে।
কার্ডটি হাতে পাবার পর নির্দেশনা অনুযায়ী কার্ডটি সচল করতে হবে এবং ৪ সংখ্যার একটি
গোপন পিন নাম্বার দিতে হবে। পরবর্তীতে এই নাম্বারের মাধ্যমে যেকোন ATM থেকে টাকা উত্তোলন
করতে পারবেন। এখানে বলে রাখা ভাল বাংলাদেশে অনেকগুলো ব্যাংক এর ATM এই কার্ড সাপোর্ট করে
না। তবে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক এর ATM থেকে আপনি সহজেই টাকা উত্তোলন করতে পারেন।
১) সরাসরি ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসা :
টাকা উত্তোলনের একটি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ উপায় হচ্ছে ওয়্যার ট্রান্সফার। এই পদ্ধতিতে ৩ থেকে ৫
দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ টাকা বাংলাদেশে আপনার ব্যাংক একাউন্টে সরাসরি এসে জমা হয়ে যাবে। প্রতিবার
টাকা উত্তোলনে ৪ থেকে ৮ ডলার খরচ পড়বে। এই পদ্ধতিতে টাকা উত্তোলন করতে হলে আপনাকে নিম্নে
উল্লেখিত তথ্যগুলো ফ্রিল্যান্সিং সাইটে প্রদান করতে হবে:
1.আপনার ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার, ব্যাংক এর ঠিকানা, ব্যাংক এর SWIFT Code
(https://www.swift-code.com/bangladesh/ http://www.theswiftcodes.com
/bangladesh/ http://www.theswiftcodes.com/bangladesh/page/2/ )
আরো পড়ুন:-এই কাজগুলি করলে ঘুমিয়ে থাকলেও আপনি আয় করবেন।
2.আপনার ব্যাংকটিত ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর সুবিধা থাকতে হবে। বাংলাদেশে বর্তমানে বেশিরভাগ
ব্যাংকই [Bank Asia, DBBL, Brac Bank, Isami Bank etc.] ইন্টারনেট ব্যাংকিং সুবিধা
আছে।
3. ফ্রিল্যান্সিং সাইটি যে দেশে অবস্থিত সেই দেশের একটি ব্যাংক এর নাম যা মধ্যবর্তী হিসেবে কাজ
করবে। এজন্য আপনি আপনার ব্যাংক এ গিয়ে জেনে নিন তারা ওই দেশের কোন কোন ব্যাংক এর
মাধ্যমে টাকা আদান-প্রদান করে থাকে।
আরো পড়ুন:-ক্যাপচা এন্ট্রি কাজ করে আয় করুন সহজ উপায়ে ১০টি সাইট থেকে।
4. এরপর মধ্যবর্তী ওই ব্যংক এর Routing নাম্বার আপনাকে সংগ্রহ করতে হবে যা আপনি ব্যাংকটির
ওয়েবসাইট এ পেয়ে যেতে পারেন। ব্যাংক এর সাইটে না পেলে Google এ সার্চ করে দেখতে পারেন
অথবা আপনার ব্যাংক থেকেও সংগ্রহ করতে পারেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে এই নাম্বারকে বলা হয় ABA
Routing Number ।
৩) স্ক্রিল – অর্থ লেনদেনের সহজ ও নিরাপদ পদ্ধতি:
স্ক্রিল এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী থেকে অপর আরেকজনের কাছে মূহুর্তের মাধ্যে অর্থ লেনদেন
করা যায়। এতে টাকা উইথড্র দিতে খরচ পড়ে সর্বোচ্চ ৩.৯৫ ডলার । অর্থ লেনদেনের জন্য প্রাপকের
নাম বা ব্যাংক একাউন্ট কিছুই জানার প্রয়োজন নেই, কেবল তার ইমেইল ঠিকানাটিই যথেষ্ঠ।
আরো পড়ুন:-এফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ গুলো কি?
মানিবুকারস দিয়ে খুব সহজেই ৫০ হাজারের উপর ইকমার্স ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে কেনাকাটা করা
যায়। মানিবুকারসকে আপনার ওয়েবসাইটের সাথে যুক্ত করে আপনি নিজেই একটি ইকমার্স সাইট চালু
করতে পারবেন। বর্তমানে বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সি মার্কেটপ্লেসে মানিবুকারস সাপোর্ট করে। এক্ষেত্রে
তুলনামূলকভাবে কম খরচ পড়ে, সেন্ড মানি মাত্র ১%। ফ্রিল্যান্সিং সাইট ছাড়া কোন ব্যক্তি থেকে অর্থ
গ্রহণের জন্য কোন ফি দিতে হয় না। মানিবুকারসের একাউন্ট থেকে নিজের ব্যাংকে টাকা নিয়ে আসতে
মাত্র ৩.৯৫ ডলার খরচ পড়ে।
আরো পড়ুন:-“Affiliate Merketing” অর্থ উপার্জন করার জায়গা সমূহ
ইন্টারনেটে কাজ করে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনার পক্ষে যাকিছু করা সম্ভব সবই আপনি করলেন। যা
জানা প্রয়োজন জানলেন, টাকা খরচ করে ইন্টারনেট সংযোগ নিলেন, ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আউটসোর্সিং
সাইটে গিয়ে কাজ নিলেন, সেটা করে জমাও দিলেন। এরপর আপনার হিসেবের পালা। আপনি টাকা
পাবেন কিভাবে। এখানে যেহেতু আপনার সব ইচ্ছাই যথেষ্ট না সেহেতু আগেই হিসেব করে নেয়া ভাল।
আগে দেখে নেয়া যাক তারা দেয় কিভাবে।
আরো পড়ুন:-বিভিন্ন ধরনের এফিলিয়েট মার্কেটিং সর্ম্পকে আলোচনা ।
সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হচ্ছে ভিসা-মাষ্টারকার্ডের মত ক্রেডিট কার্ড। তারা আপনার নামে টাকা জমা দিতে
পারে সাথেসাথেই, আপনিও সাথেসাথেই সেটা পাবেন। উন্নত দেশগুলিতে মানুষ কেনাকাটা থেকে শুরু
করে ট্যাক্সি ভাড়া পর্যন্ত দেয় ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে। কাজেই তারা এই পদ্ধতি বেশি ব্যবহার করবে
সেটাই স্বাভাবিক।
আরো পড়ুন:-সফল ক্যারিয়ার গড়তে জেনে নিন ৭টি মূলমন্ত্র
প্রতিকুলতা যতই থাক, কাজ করা সম্ভব। চাকরী বা ব্যবসার চিন্তা করে, অন্যের জন্য অপেক্ষায় সময় নষ্ট
না করে নিজেই কিছু করার চেষ্টা করুন। অনেকেই করছে। ভালো খারাপ মেপে দেখুন করবেন কি
করবেন না। চিন্তা করে দেখুন করলে আপনার কাজ সহজ হয় কিনা, বা সময় বাঁচে কিনা। বাঁচলে
আউটসোর্স করতে পারেন। তা না হলে না করলেও তেমন ক্ষতি নেই। সোশ্যাল মিডিয়া মেইনটেইনের মত
ছোটখাটো কাজ আসলে সকল রকম কোম্পানিই আউটসোর্স করতে পারে।
আরো পড়ুন:-লোকসান কেউ ঠেকাতে পারবে না ? আপনার ব্যবসায়ে এই ভুল গুলো হলে ।
গ্রাফিক্সের কাজ, ব্রোশার ডিজাইন, আপডেটের কাজ, মেইনটেইনেন্সের কাজ ইত্যাদি সময় বাঁচাতে
আউটসোর্স করা যায়।
আউটসোর্সিং করে যদি আপনার ব্যবসার সুবিধা হয়, যদি টাকা ও সময় বাঁচে, তাহলে করুন।
আউটসোর্সিং শুরু করলে, আস্তে ধীরে বুঝতে পারবেন এটি আপনার জন্য সুবিধা হচ্ছে কিনা, এরপর মাপ
মত বেছে কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।
- বিখ্যাত মনীষী ভলতেয়ার এর সেরা ২৫ উক্তি ।অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।
- বিখ্যাত মনীষিদের সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি (আপনার জীবন পরিবর্তন করুন)।
- রোনাল্ড রিগান এর সেরা ২৫ উক্তি!!অনুপ্রেরণামূলক উক্তি।শিমন পান
- হিটলারের কিছু মূল্যবান কথা ও উক্তি।শিমন পান
- Rabindranath Tagore Best 25 Quotes!! Inspirational Quotes(Change Your Life).
পরিশেষে:
লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার
সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে
অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে
রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।
ভাল থাকবেন।