অফপেজ এসইও কি এবং এর কাজ সর্ম্পকে বিশদ আলোচনা (SEO অধ্যায়-৯)

আর্টিকেল লেখার জন্য কি-ওয়ার্ড অনেক গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। আর্টিকেল লেখার সময়

খেয়াল রাখতে হবে প্রতি ১০০ ওয়ার্ডের জন্য সর্বনিম্ন ৩টা কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করা। সাধারনত বাছাই

করা কি-ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখতে হয়। বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে

কি-ওয়ার্ড নির্বাচন করতে হবে। কনটেন্ট বা আর্টিকেল লেখার সময় কি-ওয়ার্ড ব্যবহারের উপর জোর

দিতে হবে। বাছাই করা কি-ওয়ার্ডটি লিখিত কনটেন্ট বা আর্টিকেলের প্রথম ২০০টি শব্দের মধ্যে রাখতে

হবে। এতে করে সার্চ ইন্জিন অপটিমাইজেশনে অনেক ভালো ফল পাওয়া সম্ভব।

অফপেজ এসইও(Offpage SEO):

যে কোন ওয়েবসাইটের প্রচার প্রচারনা বৃদ্ধি করাকেই অফপেজ এসইও বলে। সার্চ ইন্জিন ছাড়া অন্য

কোন উপায়ে সাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি করা । যেমন অন্য জনপ্রিয় কোন ওয়েবসাইটে আপনার সাইটের

লিংক দেওয়া বিভিন্ন ফ্রাম সাইটে আপনার সাইটের লিংক শেয়ার করা । সোশাইল মিডিয়াতে আপনার

সাইটের লিংক শেয়ার করা এগুলোই মুটামুটি অফপেজ এসইও(SEO) এর অংশ। অফপেজ এসইও

(Offpage SEO) হলো বিশাল বড় পরিসরে ও দীর্ঘ সময়ের কাজ। তাই নিয়মিত অফপেজ

এসইও(offpage SEO) করে যেতে হয় তাহলেই উন্নতি লক্ষ্য করা যাবে।

আরো জানুন:

এডমিন প্যানেলে লগ ইন না করে বাইরে থেকে ওয়েব সাইটের কাজ হয়। ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক বা

ভিজিটর বাড়াতে অফপেইজ অপটিমাইজেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন

আসলে অন পেইজ অপটিমাইজেশনকে সাহায্য করে। অফ পেইজ অপটিমাইজেন একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ

এবং স্থায়ী সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেন যার মাধ্যমে প্রতিযোগিতামুলক রেঙ্কিং এ একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ

ইঞ্জিনের প্রথম সারিতে অন্তর্ভুক্ত করা যায়। সাধারনত উন্নত ব্যাকলিংক, আর্টিকেল মার্কেটিং, ফোরাম

পোস্টিং ইত্যাদির মাধ্যমে অফ পেইজ অপটিমাইজেশন করা হয়। অফ পেইজ অপটিমাইজেশন শুধুমাত্র

একটি পাতায় নয় এর সঠিক ব্যাবহার পুরো ব্লগের বা ওয়েবসাইটের উপরে পরবে অর্থাৎ এর ফলে

ব্যাকলিংক বৃদ্ধি পাবে এবং পেইজ রেঙ্ক বেড়ে যাবে।

আরো জানুন:

তাই চেষ্টা করা উচিত ওয়েবসাইট এর কন্টেনটগুলো যেন অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে একটু আলাদা হয়।

এর পরে কন্টেনট অনুযায়ী কিছু জনপ্রিয় কীওর্য়াড কন্টেনট পেইজ এ যোগ করে দিতে হবে। অনপেইজ

এর পাশাপাশি একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ভালো অবস্থানে ধরে রাখতে গেলে অবশ্যই অফ পেইজ

অপটিমাইজেন করতে হবে। অনপেইজ এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন থেকে যে সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে

পারা যায় না, তাহা অফ পেইজের মাধ্যমে অনেকাংশে সফলতা অর্জন করা সম্ভবপর হয়। তবে যদি কেউ

এটি কে পরিপূর্ণ ভাবে কাজে লাগাতে সক্ষম হয় তবে সে সফল হবে। এই পদ্ধতিতে অনেক ভিজিটর

পাওয়া সম্ভব বিধায় সাইট এর অবস্থান ভালো থাকে। Forum Posting, Article Submit,

Backlink Submit করা ইত্যাদি অফ পেইজ অপটিমাইজেশন।

অফপেজ এসইও(SEO) এর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সে গুলো হলো:
  • Web 2.0
  • Link Building
  • Froum posting
  • Article Submission
  • Social Bookmarking
  • Review Submission
  • PDF Submission
  • Video Submission
  • Image Submission
  • Directory Submission
  • Guest Post
  • Email marketing

ব্লাক হ্যাট এসইও(Black hat) SEO):

যে প্রদ্ধতিতে অবৈধ উপায়ে সার্চ ইন্জিনকে বোকা বানিয়ে নানা রকম স্পামিং এর মাধ্যমে সার্চ

ইন্জিনের প্রথম পেজের সবার উপরের দিকে আসা যায় তাকে ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO) বলে।

এই এসইও(SEO) কোন সার্চ ইন্জিনই সমর্থন করে না। তাই এটা অস্থায়ী । ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO)

করলে যে কোন সময় আপনার সাইটিকে গুগল প্লান্টি দিতে পারে যার ফলে আপনি আর কখনোই শত

চেষ্টা করেও আপনার সাইটিকে সার্চ ইন্জিনে র‌্যাংক করাতে পারবেন না।

অন্য সাইটের কনটেন কপি-পেস্ট, এডিট করার মাধ্যমে আটিকেল তৈরী করে ওয়েবসাইটে দিয়ে

তারাতারি গুগল সার্চের প্রথম বা দ্বিতীয় পৃষ্টায় আসা। দীর্ঘমেয়াদী ফললাভের জন্য এটি মোটেও

উপযোগী নয়। এটি একটি অবৈধ পদ্ধতি।

আরো জানুন:

তাই ব্লাক হ্যাট এসইও(SEO) না করাই উত্তম।

ব্লাক হ্যাট এসইও এর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় তা হলো:

  • Doorway page
  • Keyword Stuffing
  • Invisible Article
  • Duplicate content
  • Paid Backlink

আরো জানুন:

আরো এক ধরনের এসইও(SEO) রয়েছে সেটি সাধারণত হোয়াইট হ্যাট ও ব্লাগ হ্যাট এর সংমিশ্রণে করা

হয় সেটি হলো গ্রে হ্যাট এসইও।

লেখা গুলো পড়ে ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদেরকে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার

সুচিন্তিত মতামত আমার একান্ত কাম্য। তাই এই বিষয়ে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাহলে

অবশ্যই নিচে কমেন্ট করে জানাবেন। আমি আনন্দের সহিত আপনার মতামত গুলো পর্যালোচনা করে

রেপ্লাই দেওয়ার চেষ্টা করবো।

ভাল থাকবেন।

Leave a Comment