অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় বিষয়ে জানুন।

আপনি নিশ্চয় ২০২০ সালে এসে অনলাইনে আয় করার নিশ্চিত উপায় খুজছেন। আবার কেউ কেউ

অনলাইন হতে সহজে আয় করে আয়ের টাকা বিকাশে পেমেন্ট পেতে চাইছেন। অনলাইন হতে আয় করার

নিশ্চিত কিছু উপায় রয়েছে। অনলাইন হতে আয় করার জন্য শুধুমাত্র আপনার মেধা, শ্রম ও সময়ের

প্রয়োজন। আপনি এই তিনটি জিনিস সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারলে ঘরে বসে মোবাইলের মাধ্যমে

অনলাইন হতে সহজে টাকা আয় করতে পারবেন।

আরো জানুন:



আপনি  একজন ছাত্র, গৃহিনী কিংবা চাকরিজীবী যাই হয়ে থাকেন না কেন, আপনার লেখা-পড়া বা

কাজের ফাঁকে কিংবা চাকরির পাশাপাশি অবসর সময়ে ২/৩ ঘন্টা ব্যয় করে মাসে মোটামুটি ভালোমানের

স্মার্ট এমাউন্ট অনলাইন হতে আয় করতে সক্ষম হবেন। এ ক্ষেত্রে আপনার চাকরি কিংবা লেখা পড়ায়

কোন ধরনের ব্যাঘাত ঘটবে না। আপনার মূল প্রফেশন ঠিক রেখেও সামান্য অল্প সময় ব্যয় করে

অনলাইন হতে বাড়তি ‍কিছু টাকা আয় করে নিতে পারবেন।

আরো জানুন: ফ্রিল্যান্সিং শিখতে হলে যা জানতে হবে জেনে রাখুন

আপনি একটি বিষয় ঠান্ডা মস্তিস্কে ভেবে দেখুন, আরো অন্য দশজন স্কুল কিংবা কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের

মত আপনিও আপনার মূলবান সময়টুকু ফেইসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে ফানি ভিডিও দেখা সহ বিভিন্ন

রকম সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় করছেন। কখনো কখনো আমার নিজের প্রতিও খুব দুঃখ হয়

কেন আমি বিগত বৎসরগুলোতে এ সকল সাইটে অযথা সময় ব্যয় করলাম। আমি নিজে প্রায় চার বৎসর

ফেইসবুক, টুইটার এবং বিভিন্ন অনলাইন গেম খেলে সময় পার করেছি। এখন আমি ভাবি কেন আমি এ

সময়টুকো ঐ সমস্ত সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ব্যয় না করে ব্লগিং করে কাটালাম না।

আরো জানুন: অনলাইন ইনকাম: কিভাবে অনলাইনে আয় করবেন তার সংক্ষিপ্ত বিবরন।


এখন আমি আপনাদের সাথে অনলাইনে আয় করার কয়েকটি নিশ্চিত উপায় শেয়ার করব। আশা করি

আপনি ধৈর্য্যধারণ করে ২/৪ মাস কাজ করলে আপনিও মাসে মাসে অনলাইন হতে কিছু টাকা আয় করতে

সক্ষম হবেন। অনলাইনে কাজ শুরুর দিকে আপনার কাছে বিষয়টি কঠিন মনে হবে। কিন্তু ধিরে ধিরে

আপনার কাছে সহজে হয়ে উঠবে। আপনি একটি জিনিস মনে রাখবেন, কেউ একদিনে বড় হয়নি, বড়

হওয়ার জন্য সময় দিতে হয় এবং ধৈর্য্য ধরে কাজ চালিয়ে যেতে হয়।

YouTube হতে টাকা আয় করতে পারেন:

অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে সহজ পথ হচ্ছে YouTube. এখান থেকে যে কোন বয়সের

লোক খুবই সহজে টাকা উপার্জন করতে পারেন। ইন্টারনেট বিশ্বের জনপ্রিয় ১০ ওয়েবসাইটের মধ্যে

YouTube হচ্ছে একটি। আপনি ইচ্ছে করলেই এখান থেকে কম সময় ব্যয় করে অল্প অভীজ্ঞতা নিয়ে

মাসে ভালো মানের টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ব্লগিং করে বা ব্লগে আর্টিকেল লিখে আয় করতে পারেন:

আপনি গুগল ব্লগারে কিংবা ওয়ার্ডপ্রেসে বিনা মূল্যে একটি ব্লগ তৈরী করে নিতে পারেন। গুগল ব্লগার

সম্পূর্ণ ফ্রিতে একটি ব্লগ তৈরি করার সুযোগ দিচ্ছে। তাছাড়া গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করা খুব সহজ

হওয়ায় আপনি চাইলে আপনার মোবাইল দিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করে নিতে পারেন।

গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগ তৈরি করার বিষয়ে আমার ব্লগে একটি বিস্তারিত পোস্ট রয়েছে। আপনি দেখে

নিতে পারেন। আমার সাইট থেকে।

Freelancing একজন লেখক হয়ে আয় করতে পারেন:

অনলাইনে আয়ের ক্ষেত্রে বর্তমানে Freelancing একটি জনপ্রিয় প্লাটফর্ম। Freelancing করে

বর্তমানে বাংলাদেশের হাজার হাজার লোক ঘরে বসে অনলাইন হতে টাকা আয় করছে। তাছাড়া বর্তমান

সরকার দেশের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কাজে লাগানোর জন্য Freelancing বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ

কর্মসূচীর ব্যবস্থা চালু করেছে। অনেকে সেই সমস্ত সরকারী প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান হতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে

Freelancing এর মাধ্যমে মাসে লক্ষ্য লক্ষ্য টাকা ইনকাম করে স্বাবলম্বি হচ্ছে।

Freelancing হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যেখানে আপনি আপনার লেখা বা আর্টিকেল শেয়ার করে টাকা

উপার্জন করে নিতে পারবেন। আপনি যদি একজন ভাল লেখক হন কিংবা যে কোন বিষয়ে ভাল জ্ঞান

রাখেন, তাহলে সে বিষয়ে ভালোমানের আর্টিকেল লিখে Freelancing এর কাজ করতে পারবেন।

Adsense থেকে টাকা উপার্জনঃ

Adsense হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) Program. এটি গুগল

কর্তৃপক্ষ সয়ং নিজে পরিচালনা করছে। আপনি যদি আপনার ব্লগ বা ইউটিউব চ্যানেলকে ভালোমানের

Platform এ নিয়ে যেতে পারেন এবং ব্লগে বা ইউটিউব চ্যানেলে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর থাকে তাহলে

Adsense থেকে আপনি হাজার হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

প্রশ্ন উত্তরের মাধ্যমে আয় করতে পারেন:

আপনি যদি বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ হয়ে থাকেন, যেমন ধরুন – Math, English, Physics, Biology,

Humanities ইত্যাদি। তাহলে আপনি প্রশ্ন উত্তর প্রদানের মাধ্যমে ইন্টারনেটে অন্যের বিভিন্ন সমস্যার

সমাধান করে দিতে পারেন। আপনি যদি তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন, তাহলে

ইন্টারনেটে অনেক সাইট আছে যেগুলোতে জয়েন করার জন্য আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে।

তাদের সাইটে জয়েন করার মাধ্যমে ঐ কোম্পানী হতে আপনি ভাল মানের টাকা উপার্জন করতে

পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি বেশ চালাক এবং বুদ্ধিমান হতে হবে। আপনি বুঝতেই পারছেন আপনার

চালাকি এবং মেধাকে কাজে লাগিয়ে এখান থেকে টাকা উপার্জন করতে হবে।

EBAY and AMAZON এ আপনার Products বিক্রির মাধ্যমে আয় করতে পারেন:

আপনারা হয়তো জানেন যে, ইন্টারনেট এর মাধ্যমে পন্য কেনা কাটার জন্য জনপ্রিয় ওয়েবসাইট হচ্ছে

Ebay and Amazon. এখানে লোকজন তাদের বিভিন্ন ধরনের Products বিক্রি করার জন্য

বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকেন। আপনার পন্যটি যদি ক্রেতার কাছে ভাল মনে হয়, তাহলে পন্যটি কেনার জন্য

ক্রেতারা আপনার সাথে যোগাযোগ করবে। আপনি যদি আপনার Products বিক্রি করে একজন

ভালোমানের বিক্রেতা হতে পারেন, তাহলে এখান থেকে কমদামে বিভিন্ন জিনিস ক্রয় করে ভালো দামে

বিক্রয় করে লাভবান হতে পারেন। তবে এই সুবিধা পাওয়ার জন্য আপনাকে আগে একজন ভাল মানের

বিক্রেতা হিসেবে প্রমান করতে হবে।

গ্রাফিকস ডিজাইন করে আয় করতে পারেন:

অনলাইনে গ্রাফিকস ডিজাইনের চাহিদা প্রচুর পরিমানে রয়েছে। অনলাইনে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে

গ্রাফিকস ডিজাইন একটি ভালো উপায়। যারা এই কাজে দক্ষ, তারা বিভিন্ন ডিজাইন বিষিয়ক অনলাইন

মার্কেটপ্লেসগুলোতে তাদের নিজেস্ব ডিজাইন দিয়ে রাখেন। সেখান থেকে তাদের ডিজাইনগুলো ক্রেতাদের

পছন্দ হলে কিনে নেয়। এ ধরনের একটি পণ্য অনেকবার বিক্রি হয়, অর্থাৎ একটি ভালো নকশা থেকেই

দীর্ঘদিন পর্যন্ত আয় হতে থাকে। অনলাইনে এ ধরনের অনেক ওয়েবসাইটে গ্রাফিকসের কাজ বিক্রি করা

যায়। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার কাজটি আপনি প্রাথমিকভাবে এডোবি ফটোশপ থেকে শুরু করতে

পারেন।

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম আয় করতে পারেন:

জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, স্ন্যাপচ্যাট এখন আর শুধু বন্ধুদের সঙ্গে

যোগাযোগের জন্য নয়। এগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি সহজে অনলাইন হতে আয় করতে পারবেন।

আপনার ৩-৫ টি ফেসবুক পেজে প্রচুর পরিমানে ফলোয়ার থাকলে আপনি ঘরে বসে খুব সহজে বিভিন্ন

বিজ্ঞাপন কোম্পানির নিকট থেকে ফেসবুকে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ যেকোন কোম্পানির

পন্যের প্রচারের জন্য এখন ফেসবুক ও টুইটার খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম। এ ক্ষেত্রে আপনার জনপ্রিয় কোন

সোশ্যাল মিডিয়া থাকলে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন কোম্পানি আপনার সাথে যোগাযোগ করবেই। তবে সোশ্যাল

মিডিয়ায় ফ্যান-ফলোয়ার তৈরিসহ তাঁদের ধরে রাখতে প্রচুর ধৈর্য ও প্রাসঙ্গিক বিষয় হওয়া জরুরি।

ডাটা এন্ট্রি করে আয় করতে পারেন:

অনলাইনে সহজ কাজগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে ডাটা এন্ট্রি। এ ক্ষেত্রে অবশ্য আয় খুব কম। তবে এ ধরনের

কাজ অটোমেশনের কারণে এখন খুব কম পাওয়া যায়। যাদের কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও দ্রুতগতির

টাইপিং দক্ষতা আছে, তারা এ ধরনের কাজ করতে পারবেন। অধিকাংশ ফ্রিল্যান্সিং সাইটে এ ধরনের

কাজ রয়েছে। তবে যাদের কোনো কাজে দক্ষতা থাকে, তারা সহজে কাজ পান এবং দ্রুত আয় বাড়াতে

পারেন।

পিটিসি ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন:

অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলোর বিজ্ঞাপনে ক্লিক করলে টাকা দেওয়া হয়। এ ধরনের

সাইটকে পিটিসি সাইট বলে। প্রকল্প শুরুর আগে নিবন্ধন করতে হয়। তবে মনে রাখতে হবে পিটিসি

সাইটগুলো বেশির ভাগ ভুয়া হয়। তাই কাজের আগে নিশ্চিত হতে হবে সেটি প্রকৃত সাইট কি না। অনেক

সময় বন্ধুত্বের রেফারেন্স দিয়ে আয় করতে পারেন।

পরিশেষে

আপনারা পোষ্টটি পড়ে হয়তো ভাবছেন এখানে ইন্টারনেট হতে আয় করার কথা বার বার বলা হচ্ছে

কিন্তু কিভাবে করবো তা দেখানো হচ্ছে না কেন? আসলে কিভাবে আয় করবেন এটা নিয়ে বর্ণনা করা এই

পোষ্টের উদ্দেশ্য নয়। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের শুধু আয় করার সহজ কয়েকটি

পথ দেখিয়ে দিলাম। যার ফলে আপনি এই পথ ধরে অনলাইন হতে কিছু টাকা উপার্জন করে নিতে

পারবেন। আর আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে এ সম্পর্কে আমাদের ব্লগের অন্যান্য পোস্ট হতে বিস্তারিত

জেনে নিতে পারবেন।

ভালো থাকবেন।।

Leave a Comment